Monday 12 March 2012

জ্বরের গল্প!!

بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم 
 
গত দুই দিন ধরে আমি কিঞ্চিৎ জ্বরে ভুগছি। এদিকে পোস্টের জন্য একটা টপিক খুজছি। একে একে মিলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে, মানে দুই।
 

জ্বর কোনো রোগ নয়, এটি রোগের উপস্বর্গ মাত্র। আমাদের শরীর অনেক শিরা, উপশিরা দিয়ে গঠিত। আর সব কিছুর ‘Control Panel’ হচ্ছে ‘Brain’। নার্ভাস সিস্টেম মূলত জ্ব্ররের ত্রাতা। শরীরে যখন অতিরিক্ত কোনো কিছুর ‘Feel’ হয় তখন সেটা ‘Brain’ এ পাঠিয়ে দেওয়াই নার্ভাস সিস্টেম এর কাজ।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে জ্বর আসে আবার অনেক সময় আসে না। এটা কেন??

আমরা হঠাৎ করে গায়ের মধ্যে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি দিলে জ্ব্রর আসার সম্ভবনা প্রায় শতভাগ। কিন্তু যদি প্রথমে হাত, আস্তে আস্তে গায়ে একটু করে পানি দিয়ে গোসল শুরু করি তবে জ্বর আসার সম্ভবনা প্রায় নেই!! কেন এমন হয়?? হঠাৎ করে গায়ে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পড়লে শরীরের তাপমাত্রার বড় পরিবর্তন আসে, যেটা অত্যান্ত কম সময়ের মধ্যে নার্ভাস সিস্টেম কাছে একটি ইলেক্ট্রিক শক’র মত। ফলে উত্তেজনায় শরীরের ছোটো ছটো শিরাগুলু বন্ধ হয়ে যায় এবং তাপমাত্রা কমানো বা বের করে দেয়া অসম্ভব হয়ে যায়। শরীরের ভেতর তাপমাত্রা আটকে থেকে তার বহিপ্রকাশ জ্ব্রররে মাধ্যমে ঘটায়।
আমি যা বঝাতে চাইছি তার মানে দাড়ালো, অপ্রত্যাশিত কোনো অনভূতিই জ্ব্ররের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
আমি যা করি জ্বর হলেঃ

জ্বর তো হলো, শিরাগুলু বন্ধ হলো। এখন প্রয়োজন এগুলু খোলা।
বিষয়টা অনেকটা ‘বিষে বিষক্ষয়ের’ মত। গোটা একটা লেবুকে সিধ্ব করে খেয়ে নিলে আধা ঘন্টার মাঝে জ্ব্রর ভালো হয়ে যাওয়ার বিরাট সম্ভবনা আছে।
কেন এভাবে জ্বর ভালো হয়??

লেবুর পানি খাওয়ার সময় দেখবেন শরীর ঝাঁকুনি দিচ্ছে অতিরিক্ত তিতার জন্য। এই ঝাঁকুনির ফলে বন্ধ শিরাগুলু খুলে যায়। হয়ে গেল জ্ব্রর ভালো।তবে NAFA tablet-র মেকানিজম আমার জানা নেই।
(বেশ কিছুদিন ধরে টিকটিকি নিয়ে আমি ছোট একটা ‘experiment’ চালিয়েছি। বেশ কিছু মজার ব্যপার পেলাম। আশা করি পরবর্তী পোস্টে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।)
সবাই ভালো থাকবেন। বিদায়।

0 comments

Post a Comment

Thanks for comment