Showing posts with label মুসলমানের হাসি. Show all posts
Showing posts with label মুসলমানের হাসি. Show all posts

Thursday 12 April 2012

দুই শহরের তিন বোকা

                       بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১- সিরিয়ায় হেমস নামে এক শহর ছিলো। সেখানকার লোকেরা বোকা হিসাবে প্রসিদ্ধ। একদিন এক ব্যক্তি সেখানে গিয়ে দেখে এক মুয়াজ্জিন ছুটিতে গিয়েছে আর আযান দেওয়ার জন্য মসজিদে এক ইহুদীকে রেখে গেছে ।ইহুদীটি আযান দিল বটে কিন্তু
আমি সাক্ষা দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রসুল
এর স্থলে বলছে
এই মহ্ল্লার লোকেরা সাক্ষ্য দেয় যে মুহামদ (দঃ) আল্লাহর রসুল।
লোকঢি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো- আযানের কথায় এই পরিবর্তন কেন। ইহুদী জওয়াব দিলা আমি মুহাম্মদ (সাঃ) এর রসূল হওয়ার সাক্ষ্য দিতে পারি না। তাই এই কৌশল।
 
২- এই হেমস শহরের আরেকটি ঘটনা । এক ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন । সবকিছু ঠিকমত আদায় করছিল; কিন্তু একপাশ থেকে একটি পা তুলে রেখেছিল । এক ব্যক্তি জিজাসা করলো। নামাযের মধ্যে এক পা তুলে রাখার মানে কি? ইমাম সাহেব বললেন, এই পায়ে ছিঁটা জাতীয় কিছু লেগে নাপাক হয়ে পড়েছিলো। ধোয়ার অবসর পাইনি তাই নামায থেকে পা-টা পৃথক কবে রেখেছিলাম।
৩- ঝাষি শহরের এক বুযুর্গ বয়ান করেন যে এক ব্যক্তি নামাযের ইমামতি করতে গিয়ে সাহু সিজদা করলো। সহি সিজাদার কারণ কী হইয়েছিল? ঈমাম বললো -একটি হালকা পাদ বাহির হয়ে গিয়েছিলো। তাই ছোহ সেজদা করে নিলাম। সুতরাং এই ধরণের বোকাও সমাজে রয়ে গেছে।
 
আল- এফাযাতূল য়্যাওমিয়হ; খন্ড ৬! পৃস্টা ২৯৮ ।
মওলানা আশরাফ আলী থানভী (র: )-এর "মুসলমানের হাসি"থেকে।

মনছুরা বিবি, সন্দেহ এবং যাকাত।

                          بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১- মনছুরা বিবি
 
ইসলামকে আজকাল খুব সহজ কিছু মনে করা হয়। আমরা ইচ্ছামত যেভাবে খুশী সেভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করি। আমাদের ইসলামের অবস্থা মনছুরা বিবির ওযুরমত।
-মনছুরা বিবি যৌবনের শুরুতে একবার ওযু করার সুযোগ পেয়েছিলো।
এরপর সে উশৃঙ্খল হয়ে পরে।একদিন এক ওয়াজ মাহফিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার বিবরন শুনতে পেলো। এত সহজে ওযু ভেঙ্গে যায় তা সে জানতো না। তাই বক্তার ওয়াজ শুনেতার গায়ে জ্বালা ধরে গেলো।
সে তৎক্ষনাত মঞ্চে উঠে শ্রোতাদের লক্ষ্য করে বললো "ভাইসব, এই মওলানা যা বলছে সব মিথ্যা, এত সহজে ওযু ভঙ্গে না। তার প্রমান আমি। আমি গত ১০ বছর যাবত যিনা করছি কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার ওযু ভাঙ্গেনাই।"
-আমাদের ইসলামও মনছুরা বিবির ওযুর মত। যা ইচ্ছা তাই করি, আর দাবি করি আমরামুসলমান।
 
২- সন্দেহ
 
সন্দেহ একটি মারাত্মক রোগ। নামাজে দাড়ালে সন্দেহ হয়, ওযু আছে কি না, নামাজ ৩ রাকাত পরলাম না ৪ রাকাত। অনেকে সন্দেহ করি আমাদের ইসলাম ধর্ম ঠিক নাভুল? আজ যাকাত নিয়ে এক ব্লগারের এমন একটি লেখা পড়লাম। তাদের অবস্থা মাদ্রাসার সেই সন্দেহগ্রস্ত ছাত্রের মত।
এক ছাত্রের সন্দেহ হল তারমাথা নাই। ব্যপারটা ততকালিন বিশিষ্ট শিক্ষক মওলানা মুহাম্মদ ঈয়াকুব (রঃ ) এর কানে গেল। তিনি ছাত্রটিকে জিজ্ঞাস করলেন “ তোমার মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো “জী না”। এই শুনে মওলানা সাহেব জুতা খুলে ছাত্রটিরমাথায় মারতে লাগল।
ছাত্রটি চিতকার করতে লাগল, “মরে গেলাম, মরে গেলাম, খুব লাগছে”।
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন করলেন,"কোথায় লাগছে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো,"মাথায় লাগছে।“
মওলানা সাহেব বললেন,"মাথা তো নাই, ব্যথা লাগছে কেমনে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো,"মাথা আছে হুজুর, মাথা আছে।”
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন, "আর কোনদিন বলবা মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "না হজরত, না”।
তখন মওলানা সাহেব ছাত্রটিকে ছেরে দিলেন।
-তেমনি প্রমানিত হাদিস থেকে পাওয়া বিষয় নিয়ে সন্দেহ করা উচিত নয়। সেগুলোকে ঠিক মনে করে কাজকরতে হবে। বাকী আল্লাহ মাফ করনেওয়ালা।
 
৩- যাকাত
 
১- কেউ কেউ বলেছেন “কোথাও জাকাত অর্থে ‘সম্পদের ১/৪০ ভাগ দান করা’ এবং কোথাও জাকাত অর্থে ‘পবিত্রতা অর্জন’; একই শব্দের পরস্পর অসামঞ্জস্য/অসংগত অনুবাদউদ্দেশ্য প্রণোদিত”।
= আসলে দুই যাগাতেই জাকাতঅর্থ এক, ‘পবিত্রতা অর্জন’,প্রথমটিতে ১/৪০ ভাগ দান করা বলতে সম্পদ পবিত্র করার পদ্ধতি বলা হচ্ছে।প্রথম ক্ষেত্রে জাকাত অর্জনের পদ্ধতি লিখেছেন, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ লিখেছেন, তাই এই ভুল বোঝাবুঝি।
এই ‘পবিত্রতা অর্জন’ –কে ওযু করার সাথে তুলনা করা যায়।পরিষ্কার(পাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিতহয়, অপরিষ্কার(নাপাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিত হয়না বরং সারা শরির ধুতে হয়। সে রকম, আপনার হালাল সম্পদ থাককে তার ১/৪০ ভাগ দান করে(নবীজীর-শিক্ষা) তা পবিত্র করতে পারেন। আর আপনার সম্পদ হালাল না হয়েথাকলে পবত্রতা অর্জন করতেহলে সারা শরির ধোয়ার মত পুরোটাই ত্যাগ করতে হবে। দেহ পবিত্র না হলে যেমন প্রার্থনা কবুল হয় না তেমন সম্পদ পবিত্র না হলেও প্রার্থনা কবুল হয় না।
২- কেউ কেউ আরও লিখেছেন “আর তাই বলে মাত্র ২৩ বৎসরের মধ্যেই আরব বেদুঈনদের মধ্যে সম্পদের ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা স্তব্ধ হয়ে সমতা, ত্যাগ ও সেবার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠিত হয়;”।
=আপনাকে জানানো প্রয়োজন মনেকরছি যে নবীজীর অধিকাংশ বিশিষ্ট সাহাবি সুসভ্য আরব ছিলেন, খুব কম বিশিষ্ট সাহাবিই বেদুইন ছিলেন।
৩- কেউ কেউ আরও লিখেছেন তাদের ভেবে দেখা দরকার যে, ঐ ২.৫০% শতাংশ জাকাত দেয়ার পরে আমাদের মত পুনঃ ট্যাক্স দিত কিনা! যদি না দেয় তবে আমরা ক্রয় ট্যাক্স, বিক্রয় ট্যাক্স, সম্পত্তি ট্যাক্স, আয় ট্যাক্স, পথ ট্যাক্স, পানি-মাটি ট্যাক্স, নিকাহ ট্যাক্স ইত্যাদি নানা ধরণের (কথিত) জাকাত দিয়ে থাকি, যা একুনে ২.৫০% শতাংশের অনেক অনেক উর্ধে এবং যা বায়তুল মালেই জমা হয়।
=আপনাকে জানাতে চাই যে আপনি এই টেক্স মাগনা দেন না, এই টেক্সের বিনিময়ে আপনি রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেবা পেয়ে থাকেন। এরকম টেক্স খলিফায়ে রাশেদিনের সময়ও চালু ছিলো। তারপরও সেইসময় জাকাত আদায়ের জন্যআলাদা ডিপার্টমান্ট ছিলো।
-আজকে আমরা কোরয়ান পড়ে বলছি কোথাও ১/৪০ ভাগ যাকাতের কথা বলা নাই।
আমরা কি যার কাছে কোরয়ান নাজিল হয়েছিলো, সেই নবী করীম(সাঃ ) –এর চেয়ে বড় হয়ে গেছি? নবী করীম(সাঃ ) সম্পদের যাকাত বলতে হালালসম্পদের ১/৪০ ভাগ দান করাকে বলেছেন। আর আমরা কোরয়ান পড়ে তাকে নিজের ইচ্চামত ব্যাক্ষ্যা করছি!!

আমাদের দেশের কিছু মুসলমান এবং জাহেল পীর

                 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১- আমাদের দেশের কিছু মুসলমান
আমাদের দেশের অনেক মুসলমান এমন আছেন যারা ইসলামের আমল-আখলাক নিজেদের মধ্যে প্রতিফলিত করেন না।
এদের উদাহরণ হলো সেই দুই ব্যক্তির ন্যায় যারা একঢিসফরে যাত্রা করেছিল । পখিমধ্যে দুইজনই ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলো। তখন তারা স্হির করলো রান্না করবে ।
একজন বললোঃ আমি বাজারে গিয়ে সওদা নিয়ে আসছি, তূমি ততক্ষণ জঙ্গল থেকে কিছু জালানি কূড়িয়ে নিয়ে এস ।
দ্বিতীয় জন বললো ঃ দোসত, তূমি জান না আমি এই বিরাট সফরের দ্বারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিা আমার পক্ষে এখন জ্বণিানি ফূড়ানো সম্ভব নয়।
প্রথম ব্যক্তি বেচারা নিজেই বাজার থেকে সওদা কিনে আনলো এবং নিজেই জঙ্গলে গিয়ে জ্বাণীনি কূড়িয়ে নিয়ে আসলো।
এরপর সে বললো: এবার ভাই তুমি আণ্ডন ধরাও, আমি চাউলণ্ডলি ধূই।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ এতটা ধৈর্য্য কোথায়? আমারশরীর একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। প্রথম ব্যক্তি কাজদুইঢি একাই করলো। এরপর বললোঃ আমি তরকারী কূটে নিচ্ছি, তূমি বসে বসে ভাতের হাঁড়িতে জাল দিতে থাক।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ বসে থাকা আমার পক্ষে মরণ।সফরে হেঁটে আমার পা দুইটা ব্যাথায় চুরমার হয়েযাচ্ছে।
অতঃপর প্রথম ব্যক্তি ভাত-তরকারী সব একাই রান্না করে বললোঃ- এসো ভাই খাবার খেয়ে নেই।
তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ অনেকক্ষণ থেকে তোমার সব কথাই অমান্য করেআসছি। আর কত অমান্য করা যায়? বার বার অমান্য করতেআমার লজ্জা লাগছো দাও অন্তত খাবারটা খেয়ে নেই ।
--আল-এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহু, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১০৭ ।
 

২- জাহেল পীর
জাহেল পীরদের স্বভাব আশ্চর্য ধরণের। যখন যা মুখে আসে বলে। এইরূপ এক জাহেল পীরের ঘটনা। মুরীদ তার কাছে একঢি সূপ্নের কথা ব্যক্ত করে তাবীর জানতে চাইলো। মুরীদ বললো, হুযুর, গত রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যেন আপনার হাতঢ়ি একঢি মধুর পাত্রে ড়ৃবানো রয়েছে আর আমার হাত একঢি পায়খানা ভর্তি পাত্রের মধ্যে ড়ূবানো আছে।
এতটূকূ বলা হতে না হতেই পীর সাহেব আনন্দের আতিশয্যে থাকতে না পেরে বলে উঠলো, হবে না? এইরূপই তো হবে! তূই যে ণ্ডনাহগার দুনিয়ার কূকূর তাই তোর হাত নাপাক পাত্রেড়ূবানো থাকবে । আর আমি যে-বূষূর্গ আল্লাহ্বর ওলী তাই আমার হাত মধুর পাত্রে ড়ূবানো থাকে। মূরীদ বললো, হুযুর বলা এখনও শেষ হয়নি তারপর দেখিআপনার হাতের আঙ্গুল আমি চাটছি, আর আমারু হাতের আঙ্গূল আপনি চাটছেন। এই শুনে পীর সাহেব রেগে মেগেমুরীদকে যা- ইচ্ছা তাই বলে গালাগালি করতে লাগলো।
মুরীদ স্বগ্ন দেখুক বা না-দেখুক, একঢি খুব সত্য বিষয়ের নির্দেশনা দিয়েছো কারণ পীর সাহেব মুরীদের সাথে সম্পর্ক জুড়েছিল দুনিয়ার স্বার্খের জন্যে যা- পায়খানার সমতূল্য। মুরীদের নাপাক হাত তাই পীর সাহেবকে চাটতে হয়েছোআর মুরীদ পীরের সাথে সম্পর্ক স্হাপন করেছিলো আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে যা- মধুর সমতূল্য । তাই মুরীদ মুধুতে ড়ূবানো পীরের হাত চেটেছে।
-আল- এফাযাতৃল য়্যাওমিয়্যাহ; খন্ড ৩ পৃন্ঠা ৪৯ ।
মওলানা আশরাফ আলী থানভী (র: )-এর "মাওয়ায়েয ও মলফুয়াত" বই থেকে।

জুতা চোর

                          بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


একবার মওলানা কাসেম নানোতূবী (রঃ ) কে শিয়া আলেমগণ চ্যালেঞ্জ করেন। সুতরাং বিরাট 

বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল।শিয়া আলেমগণে মঞ্চ ভরে গেল।
 
চারদিকে অসংখ্য শিয়া ও সুন্নী জনতা। কিন্তু কোন সুন্নি আলেমের দেখা নাই। চারদিকে রব উঠলো

 “মওলানা কাসেম কৈ”? সুন্নী জনতা লজ্জায় মাথা নত করে রইলো।শিয়া আলেমগণ ভাবলেন

 “আমাদের সাথে পেরে উঠবে না, এই ভয়ে সুন্নী আলেমরা অনুষ্ঠানেই আসে নাই”। তাই তারা

 একতরফা ভাবে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে অনুষ্ঠান শেষ করার উদ্যোগ নিলো।

 
এমন সময় দেখা গেল একজন লোক জনতার পেছন থেকে নীল লুঙ্গি, সাদা টুপি ও মার্কিন কোর্তা 

গায়ে দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়া আসছেন।ইনিই মওলানা কাসেম(রঃ )। সবার দৃষ্টি মওলানা 

কাসেম(রঃ ) –এর দিকে। মওলানা সাহেব পায়ের জুতা বগলে চেপে রেখেছেন।
 
সবাই বললো, “হুজুর জুতা জোড়া এক পাশে রেখে দেন”।
 
মওলানা সাহেব বললেন “না, এখানে জুতা রাখা যাবে না।শিয়ারা জুতা চুরি করে।“
 
শিয়া আলেমগণ অবাক ও উত্তেজিত হয়ে বললেন, “কোথায় দেখেছেন শিয়াদের জুতা চুরি করতে? 

কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে?”
 
মওলানা সাহেবঃ কেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর মজলিস থেকে একজন শিয়া ব্যক্তি জুতা চুরি 

করেছিলেন।
 
শিয়া আলেমগণ : কি বলেন! রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় শিয়া মতবাদ চালুই হয় নাই, শিয়া

 ব্যক্তি আসবে কোথা থেকে? আপনি ইতিহাসের কিছু জানেন?

 
মওলানা সাহেবঃ মাফ করবেন,আমি ভুল বলেছি, রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় নয়, ছাহাবাদের 

যামানায়। ছাহাবারা তালিমে মশগুল ছিলেন এমন সময় একজন শিয়া ব্যক্তি তাদের জুতা চুরি 

করেছিলেন।শিয়া আলেমগণ : মিথ্যা কথা।ছাহাবাদের যামানায়ও শিয়া মতবাদ চালু হয় নাই।

 সেই সময় কোন শিয়া ছিলোনা।
 
মওলানা সাহেবঃ তাহলে এটি তাবে

য়ীনদের যামানার ঘটনা।

 
শিয়া আলেমগণ : অসম্ভব! তাবেয়ীনদের সময়ও কোন শিয়াছিলোনা।
 
মওলানা সাহেবঃ তাহলে নিশ্চই ঘটনাটি তাবে-তাবেয়ীনদের যামানার।
 
শিয়া আলেমগণ : ইতিহাস সাক্ষী যে এই চারটি যামানার কোনটিতেই

শিয়া ছিলোনা। কারণ শিয়া মতবাদ চালু হয়েছে এই চার যামানার অনেক পরে। সুতরাংশিয়াগণ

 জুতা চুরি করতেই পারে না।

 
 
মওলানা সাহেবঃ এই চার যামানার কথা বললেন, এর সাথে আমাদের কি সম্পর্ক বলতে পারেন?
 
শিয়া আলেমগণ : নিশ্চই বলতেপারি। এই চার যামানায় দেয়া ব্যাখ্যার ভিত্তিতেই আমরা মুসলমান। 


এর পরে দেয়া সব ব্যাখ্যাই বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত।
 
মওলানা সাহেবঃ কিন্তু একটু আগেই না আপনারা বললেন এই চার যামানায় কোন শিয়া ছিলোনা। 

তাহলে কি আপনারা সেই মতবাদ গ্রহণ করেন নাই যা ওই চার যামানার পরে সৃষ্টি হয়েছে। 

আপনাদের মত অনুসারেই যা বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত?
 

শিয়া আলেমগণ নির্বাক হয়ে গেলেন, তারা মাথা নিচু করে বসে রইলেন। এমন কি জনতাও স্তব্ধ 

হয়ে বসে রইলো।
 
মওলানা সাহেব বগল থেকে জুতা বাহির করে পায়ে দিলেন। বিনয়ের সাথে ধীর কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপে 

জলসা থেকে বের হয়ে গেলেন। তিনি অনেক দূর চলে গেলেন, তখনও শিয়া আলেমগণ নির্বাক আর 

জনতা স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
 

-:- আজকে আমরা অনেকেই কোরআনের নাম করে ইসলামের অনেক নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন 

তুলি। কোরআন থেকে নতুন নতুন নিয়ম আবিষ্কার করি।
 
অনেকেই বিজ্ঞান দ্বারা কোরআন প্রমাণ করারও চেষ্টা করি। যদিও বিজ্ঞান আজকে যা বলছে 


কালকেও তাই বলবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
 
আমাদের মনে রাখা উচিত যে কোরআন আরবিতে লেখা হলেও সেটা কোরাইশদের আরবি, সাধারণ 

আরবি নয়। কোরাইশদের আরবি ভাষায় এখন আর কেউ কথা বলে না।
 
কোরআন বুঝতে হলে:
 
১- প্রথমে আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট জানতে হবে
 
২- তারপর জানতে হবে কোরাইশদের আরবি ভাষার ব্যকারণ।
 
৩- তারপরও আপনি অনেক ফ্রেজের অর্থ মেলাতে পারবেন না। কারণ কোরআন গদ্য নয়, পদ্য। 

সে কারণে আয়াত বোঝার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাহায্য লাগবে, অথবা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের

 দেয়া 

ব্যাখ্যা গুলো আপনার জানা থাকতে হবে।
 
== আমাদের সবারই উচিৎ কোরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করা। ==
 
-:- উপরার ৩টি শর্ত পুরণ হলে আপনিও কোরআন পড়ে এর বক্তব্য বুঝতে পারবেন। অন্যথায়

আপনাকে উপরার ৩টি শর্ত পুরণ করা ব্যক্তিদের দেয়া ব্যখ্যায় সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।
  
-:-ব্লগে বা বাস্তবে যারা ইসলামের অনেক নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন তুলি, এক্ষেত্রে দেখা যায় 

আমরা  কোরআনের অর্থ নিচ্ছি কোন তরজমা গ্রন্থ থেকে, তারপর সেই গ্রন্থে দেয়া ব্যাখ্যাকে পাশ 

কাটিয়ে নিজের মনমত কোন ব্যাখ্যা দিচ্ছি।
  
এখন আপনিই বলেন, আমরা কি উপরের ৩টি যোগ্যতা অর্জন করেছি? যোগ্যতা অর্জন না করে 

থাকলে আমাদের কি উচিত হবে কোরআনের এমন অর্থ করা যা সাহাবাদের সময়ে প্রচলিত অর্থের 

থেকে ভিন্ন?