Showing posts with label কোরবানী. Show all posts
Showing posts with label কোরবানী. Show all posts

Tuesday, 20 March 2012

কোরবানির ইতিহাস

http://www.bangladesh-pratidin.com/admin/news_images/203/image_203_37375.jpg
কোরবানি শব্দের অর্থ উৎসর্গ। যারা আল্লাহপাকের একত্ববাদে বিশ্বাসী, যারা তাকে পালনকর্তা, লালনকর্তা, সৃষ্টিকর্তা হিসেবে অন্তরের অন্তঃস্থলে পরম যত্নের সঙ্গে স্থান দিয়েছেন, তারাই তার ইবাদতকে পরম সৌভাগ্যের বিষয় হিসেবে বরণ করে নিয়েছে। সেই আল্লাহর নামে নিজ অধিকারের কোনো বস্তুকে উৎসর্গ করা। মনে রাখতে হবে, এ উৎসর্গের মূল্যায়ন আর্থিকভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না। হয় একমাত্র আল্লাহভীরুতার ওপর। কোরবানি একমাত্র আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্যই হতে হবে। কোরবানি শব্দটি 'কুরব' থেকে এসেছে, যার অর্থ নৈকট্য, সানি্নধ্য ও নিকটবর্তী হওয়া। কোরবানির মাধ্যমে কোনো কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া ।
মানব জাতির পিতা হজরত আদম (আঃ)-এর সময় থেকেই এই কোরবানি চালু হয়ে এসেছে। সে সময় কোরবানির অন্য নিয়ম প্রচলিত ছিল। কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট বস্তু বা জন্তুকে কোনো একটি উঁচু স্থান বা পাহাড়ে রেখে আসা হতো। যার কোরবানি আল্লাহপাক কবুল করতেন, সেই বস্তু বা জন্তুটিকে আকাশ থেকে একটি আগুনের ফুলকি এসে জ্বালিয়ে দিত। আর যে কোরবানিটি আল্লাহপাক কবুল করতেন না, সেটি সেভাবেই পড়ে থাকত। তখন কোরবানির মাংস খাওয়া যেত না, সম্পূর্ণটাই উৎসর্গ, সুতরাং পুড়ে যেত। পরে আল্লাহপাক এই নিয়ম বাতিল করেন এবং কোরবানির পশুর মাংস খাওয়া জায়েজ করেন।
হজরত আদম (আঃ)-এর সন্তান জন্ম নিত জোড়ায় জোড়ায়। একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। তাদের মধ্যে বিয়ে হতো এক জোড়ার মেয়ের সঙ্গে অন্য জোড়ার ছেলের। কিন্তু কাবিলের সঙ্গে যে মেয়ে ছিল সে সুন্দরী না হওয়ায় আর তার সঙ্গের মেয়েটি সুন্দরী হওয়ায় সে জিদ ধরল সে তার জোড়ার মেয়েকেই বিয়ে করবে। এই নিয়ে হাবিল আর কাবিলের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। এই বিবাদ মীমাংসার জন্য পিতা হজরত আদম (আঃ) বললেন, তোমরা আল্লাহপাকের দরবারে কোরবানি পেশ কর। আল্লাহপাক যার কোরবানি কবুল করবেন, তার সঙ্গেই আকলিমার বিয়ে হবে। পিতার সিদ্ধান্তে একমত হয়ে হাবিল একটি দুম্বা আর কাবিল কিছু ফল-ফসল একটি পাহাড়ের চূড়ায় রেখে এলো। তখন আসমান থেকে একটি আগুনের ফুলকি এসে হাবিলের কোরবানিটি ছাই করে দিল। আর কাবিলের কোরবানি অবিকল পড়ে রইল। এতেই প্রমাণিত হলো যে, কাবিলের সঙ্গে আকলিমার বিয়ে হতে পারে না। কোরআনে কারীমে কউমে আদ এবং অন্যান্য কউমের কোরবানির কথাও বলা আছে।
তবে আমরা মুসলমানরা মূলত মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর সুন্নত অনুসরণ করি। আল্লাহপাক তাকে অনেকভাবে পরীক্ষা করেছেন। আল্লাহ তাকে ৯০ বছর পর্যন্ত কোনো সন্তানাদি দেননি । তারপর তাকে আল্লাহ একটি সুসন্তানের সুসংবাদ দান করেন। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এবং তার স্ত্রী সম্পূর্ণ অবাক হয়ে যান। ফেরেশতাদের দ্বারা এই সংবাদ পেয়ে তারা প্রশ্ন করেন, তা কি করে সম্ভব? তখন ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) উত্তর দেন, আপনার পালনকর্তার কাছে এটা অসম্ভব কিছু নয়। তারপর সন্তান হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই হজরত ইব্রাহীম (আঃ) অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হন এবং সন্তানকে খুব ভালোবাসতেন। আল্লাহ তখন পরীক্ষা করতে চাইলেন, ইব্রাহীম আমাকে বেশি ভালোবাসে না তার সন্তানকে। তাই তিনি তাকে স্বপ্ন দেখান তার প্রিয় জিনিস কোরবানি দিতে। ইব্রাহীম (আঃ) অনেক পশু কোরবানি দেওয়ার পরও একই স্বপ্ন বারবার দেখার পর বুঝলেন আল্লাহপাক তার ছেলেকে কোরবানি দিতে বলছেন। তিনি ইসমাঈল (আঃ) কে নিয়ে রওনা হলেন, তখন পথে শয়তান ইসমাঈল (আঃ)কে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু তিনি পাথর ছুঁড়ে মারেন। ইব্রাহীম (আঃ) যখন তার ছেলেকে তার অভিপ্রায়ের কথা জানালেন, তিনি উত্তর দেন পিতা আপনাকে আল্লাহ যা আদিষ্ট করেছেন আপনি তা পালন করেন, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্গত হিসেবে পাবেন। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) শক্ত করে রশি দিয়ে বেঁধে নিজের চোখ কাপড় দিয়ে বন্ধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলেকে কোরবানি করার চেষ্টা করেন। ওদিকে আল্লাহপাক ছুরিকে নিষেধ করে দেন ইসমাঈল (আঃ)কে কাটতে। ফলে এত ধারালো ছুরি দিয়ে তিনি বারবার চেষ্টা করেও কাটতে পারেননি। তখন মনের দুঃখে ছুরি ছঁড়ে মারেন। ছুরি পাথরের উপর পড়ে পাথর খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। আল্লাহ ইব্রাহীম (আঃ)-এর ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং বেহেশত থেকে ফেরেশতা দ্বারা দুম্বা পাঠিয়ে দেন কোরবানি করার জন্য; আর বলেন, ইব্রাহীম তুমি তোমার দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছ আর আমি তোমার কোরবানি কবুল করেছি। তুমি ইসমাঈলের বদলে দুম্বা কোরবানি কর। ইব্রাহীম (আঃ)-এর অপূর্ব আত্মত্যাগের কারণে আল্লাহপাক তাকে জাতিসমূহের নেতা করেছেন এবং আমরা প্রতি নামাজে দরুদের মাধ্যমে তার প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করি।
সুতরাং আমাদেরকেও আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করতে হবে। কোরবানি করার জন্য নির্দেশ রয়েছে সূরা কাউসারে। আল্লাহপাক বলেছেন, আপনি রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন। কোরবানি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, 'কোরবানি দিনের পছন্দনীয় আল্লাহপাকের নিকট অন্য কোনো দিন নয়। উক্ত দিনে কোরবানি করা সমস্ত নেক কাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। কোরবানির জন্তুর রক্ত মাটি স্পর্শ করার আগেই তা আল্লাহপাকের নিকট কবুল হয়ে যায়'। তিনি আরও বলেন, 'কোরবানির জন্তুর শরীরে যত লোম আছে প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকি তার আমলনামায় লিখে দেওয়া হয়'। রাসূলে পাক (সাঃ) আরও বলেন, 'যে ব্যক্তি সামর্থথাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমার মুছল্লায় (ঈদের জামাত) না আসে'। প্রতিটি সামর্থ্যবান লোকের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। যাকাত পরিমাণ মাল থাকলে কোরবানি দিতে হবে। মুসাফিরের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয় না।

কোরবানী ঈদ বা ঈদুল আযহার কতিপয় সুন্নত ।

                  بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم     



 আসুন সবাই জেনে নেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের কয়েকটি সুন্নত আর সেগুলো পালন করে হাসিল করি অশেষ নেকি ।
১|ঈদুল আযহার দিন খুব ভোরে জাগ্রত হওয়া ।ফজরের পর থেকে গোসলের প্রষ্তুতি নেওয়া ।গোসল শেষে যার যার সাধ্য অনুযায়ী নতুন কাপর /অপেক্ষাকৃত নতুন কাপড় কিংবা পাকসাফ কাপড় পরিধান করা ।
২|গায়ে আতর জাতীয় খুশবু মাখা ।
৩|ঈদুল ফিতরে সাধারনত আমরা ঈদের নামাজে যাওয়ার পূর্বে কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে নেই (সুন্নত) ।কিন্তু ঈদুল আযহার ক্ষেত্রে সুন্নত হচ্ছে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া এবং কোরবানী সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকা ।
৪|যে পথে ঈদগাহে যাবেন সে পথ বাদে অন্যপথে বাড়ি ফেরা ।

কোরবানির ফজিলত

                 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


(ক) কুরবানীর পশুর শরীরে যত পশম থাকে, প্রত্যেকটা পশমের পরিবর্তে এক একটি নেকী পাওয়া যায়।
(খ) কুরবানীর দিনে কুরবানীই হলো সবচেয়ে বড় এবাদাত।
(গ)আয়শা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোন আমল আল্লাহর কাছে নাই। ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর,পশম সমূহ ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। কুরবানীর রক্ত জমিনে পতিত হবার পুর্বেই তা আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদায় পৌছে যায়। অতএব, তোমরা কুরবানির দ্বারা নিজেদেরনফস কে পবিত্র কর।
مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلًا أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ هِرَاقَةِ دَمٍ وَإِنَّهُ لَيَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَظْلَافِهَا وَأَشْعَارِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنْ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا
ইবনে মাজাহ ২/১০৪৫, হাদিস৩১২৬।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের বিশেষ ফজিলত
জিলহজ্জ মাসের দশম তারিখে ঈদুল আদ্বহা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে বিত্তবানেরা দরিদ্রদের পাশে এসে দাঁড়ায়, অসহায় দুস্থ লোকেরা এই দিনে বিত্তবানদের থেকে পায় বিশেষ সহনুভবতা, সব মিলে একে অপরের সুখ-দুখ, আনন্দ-ব্যদনা বুঝতে সক্ষম হয়, যার ফলে আল্লাহর কাছে এই মাসের ফজিলত অনেক বেশি। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসুল ইরশাদ করেছেন,
مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامٍ أَفْضَلَ مِنْهَا فِي هَذِهِ قَالُوا وَلَا الْجِهَادُ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُبِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَيْءٍ
জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের নেক আমল অন্য যে কোন দিনের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। সাহাবীগণ প্রশ্নকরলেন, জিহাদ ও নয় কি ? রাসুলুল্লাহ  বললেন জিহাদ ও নয়, তবে ঐ ব্যক্তি যে নিজের জান ও মাল নিয়ে বের হয়েছে আর ফিরে আসে নি। অর্থাৎ শহিদহয়ে গেছে।
বোখারী, ১/৩২৯, হাদিস ৯২৬। ফতহুলবারী লিইবনে হাজার, ৩/৩৯০, হাদিস ৯১৬।
কাদের উপর কুরবানী দেয়া ওয়াজিব
১। ১০ই যিলহজ্জের ফজর থেকে ১২ই জিলহজ্জের সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্থ্যাৎ কুরবানীর দিনগুলোতে যার নিকট সদকায়ে ফিতর/ফিতরা
ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থ/সম্পদ থাকে তার উপর কুরবানী কতরা ওয়াজিব।
২। মুসাফিরের উপর (সফর রতঅবস্থায় থাকলে) কুরবানীকরা ওয়াজিব হয় না।
৩। কুরবানী ওয়াজিব না হলেও নফল কুরবানী করলে কুরবানীর চওয়াব পাওয়া যাবে।
৪। কুরবানী শুধু নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয়-সন্তানাদি, মাতা-পিতা ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয় না, তবে তাদের পক্ষ
থেকে করলে তা নফল কুরবানীহবে।
৫। যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় সে কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করলে সেই পশু করুবানী করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।
৬। কোন মকসুদের (উদ্দেশ্য) জন্য কুরবানীর মান্নত করলে সেই মকসুদ পূর্ণ হলে তার উপর (গরীব বা ধনী) কুরবানী করা
ওয়াজিব হয়ে যায়।
৭। যার উপর কুরবানী ওয়াজিব সে কুরবানীর দিনগুলোতে কুরবানী না করলে কুরবানী দিনগুলো চলে যাওয়ার পর একটা বকরীর
(ছাগল) মুল্য সদকা করা ওয়াজিব।
কোন কোন পশু দ্বার কুরবানী করা জায়েজ
বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, দুম্বা, গাভী, ষাড়, বলদ, মহিষ, উট, এই কয় প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েজ।
কুরবানীর পশুর বয়স প্রসঙ্গ
(ক) বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা কম পক্ষে পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে। বয়স যদিকিছু কমও হয় কিন্ত এরুপ মোটা তাজা যে, এক বৎসর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে তার দ্বারা কুরবানী জায়েজ আছে তবে অন্তত ছয় মাস বয়স হতেই হবে। তবে বকরী কোন অবস্থা এক বৎসরের কম হলে চলবে না।
(খ) গরু ও মহিষের বয়স কম পক্ষে দুই বৎসর হতে হবে।
(গ) উট এর বয়স কম পক্ষে পাঁচ বৎসর হতে হবে।
কুরবানীর পশুর স্বাস্থ্যগত প্রসঙ্গ
(ক) কুরবানীর পশু ভাল এবংহৃষ্টপুষ্ট হওয়াই উত্তম।
(খ) যে প্রাণী লেংড়া অর্থ্যাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে-এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও ভর করতে পারে না এরুপ পশু দ্বারা কুরবানী দুরস্ত হবে না।
(গ) যে পশুর একটিও দাঁত নেই তার দ্বারা কুরবানী দুরস্ত নয়।
(ঘ) যে পশুর কান জন্ম হতে নেই তা দ্বারা কুরবানী দুরস্ত নয়, তবে কান ছোট হলে অসুবিধা আছে।
(ঙ) যে পশুর শিং মুল থেকে ভেঙ্গে যায় তা দ্বারা কুরবানী দুরস্ত নয়। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙ্গে গিয়েছে এরপু পশু দ্বারা কুরবানী জায়েজ আছে।
(চ) যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশী নষ্ট তা দ্বারা কুরবানী জায়েজ নেই।
(ছ) যে পশুর একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে বেশী কেটে গিয়েছে তা দ্বারা কুরবানী দুরস্ত নয়।
(জ) অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু যার এতটুকু শক্তি নেই যে, জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেটে যেতে পারে তা দ্বারা কুরবানী দুরস্ত নয়।
(ঝ) ভাল পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ ত্রুটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কুরবানী দুরস্ত হয় না-এরপু হলে সেটিই কুরবানী দেয়া দুরস্ত হবে।
(ঞ) গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েজ। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সে বাচ্চাও জবাই করে দিতে হবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী হলে সেরুপ পশু কুরবানী দেয়া মাকরুহ।
(ট) বন্ধ্যা পশু কুরবানী করা জায়েজ আছে।
শরীকের মাসায়েল
০১। বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বায় এক জনের বেশী শরীক হয়ে কুরবানী করা যায় না। এগুলো একটা একজনের নামেই কুরবানী হতে হবে।
০২। একটা গরু, মহিষ, উটে সর্ব্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারে, তবে সাতজনই হতেহবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই, সেক্ষেত্রে সাত/ছয়/পাঁচজন কুরবানী দিতে পারে। তবে কারো অংশ সাত ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম হলে তা হবে না।
০৩। মৃত্যের নামেও কুরবানী হতে পারে।
০৪। রাসুলে কারীম (সাঃ), তাঁর বিবিগণ ও বুযুর্গদের নামেও কুরবানী হতে পারে।