Showing posts with label ফ্রিল্যান্সিং. Show all posts
Showing posts with label ফ্রিল্যান্সিং. Show all posts

Monday, 12 March 2012

এবার ইন্টারনেটে কাজ করুন বাংলাদেশী টাকায়

بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم 


আজ আপনাদের এমনই দুটি ইউনিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আলোচনা করবো যার মধ্যে একটিতে রয়েছে একই সাথে বিড প্রজেক্টের পাশাপাশি বিডমূক্ত মাইক্রো প্রজেক্টের সুবিধা। এবং এই সাইটটিতে বাংলাদেশী টাকায় বিড করা যায় এবং  অর্থ পেমেন্ট করে বাংলাদেশী টাকায়।


অনলাইনে আয়ের যে বহূল প্রচলিত বিষয়গুলো আছে তার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ জনগোষ্ঠির স্বল্পতা এবং মূলত উচ্চ পারিশ্রমীকের কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প আয়ের দেশ সমূহের লোকদের প্রদান করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি এই খাতে বিপুল সংখ্যাক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই পেশার সবচেয়ে আকষর্ণীয় দিক হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার পাশাপাশি রয়েছে তুলনা মূলক ভাল পারিশ্রমিক।


স্ক্রিপ্টল্যান্স একটি পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল

স্ক্রিপ্টল্যান্স (www.scriptlance.com), প্রোগ্রামারদের মধ্যে বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। প্রতিদিন প্রায় ২০০টির অধিক নতুন প্রজেক্ট এই সাইটে আসে। এ সাইটে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আলাদাভাবে মাসিক কোনো ফি দিতে হয় না। তবে সার্টিফাইড প্রোগ্রামারদের প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এই সাইটে সক্রিয় প্রোগ্রামারের সংখ্যা হচ্ছে মাত্র ৩,৪১৭ জন। তবে এই সাইটে প্রোগ্রামারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অন্যান্য সাইট থেকে বেশি। ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার জন্য রয়েছে একটি অনলাইন ফোরাম। রয়েছে এস্ক্রো (Escrow) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা। সাইটটি ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে সহজ। প্রজেক্টে বিড করার পদ্ধতি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো। প্রজেক্টে সাধারণত একজন প্রোগ্রামারের বিড আরেকজন প্রোগ্রামার দেখতে পারে। তবে বায়ার ইচ্ছে করলে তা গোপন রাখার ব্যবস্থা করতে পারে। সাইটের কমিশন খুবই কম, একটি প্রজেক্টের মোট মূল্যের ৫% (তবে সর্বনিম্ন কমিশন ৫ ডলার)।


স্ক্রিপ্টল্যান্স ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রজেক্টগুলো কয়েকটি আলাদা ভাগে সাজানো থাকে। সর্বপ্রথম অংশে রয়েছে প্রজেক্টের বিভাগ, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- পিএইচপি, জাভা, জাভা স্ক্রিপ্ট, সি/সি++, এএসপি ডট নেট, পার্ল/সিজিআই, জুমলা, এসকিউএল, ওয়েবসাইট ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফ্ল্যাশ, সিএসএস, অ্যাজাক্স, এসইও, ডাটাএন্ট্রি, রাইটিং, মার্কেটিং, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি।


দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ফিচার্ড প্রজেক্টের লিস্ট। ফিচার্ড প্রজেক্টগুলো একটি সাধারণ প্রজেক্ট থেকে বেশিদিন সাইটে বিড করার জন্য উন্মুক্ত থাকে। এ ধরনের প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে একজন প্রোগ্রামারকে সাধারণ প্রজেক্টের তুলনায় অর্ধেক কমিশন সাইটকে দিতে হয়। একটি প্রজেক্টকে ফিচার্ড লিস্টে স্থান দিতে বায়ারকে ১৯ ডলার সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়, যা দিয়ে এ ধরনের প্রজেক্টগুলো ক্লায়েন্টের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ই-মেইল, ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেয়া যায়, যা একটি সাধারণ প্রজেক্টে ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য দেয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


তৃতীয় অংশে রয়েছে জরুরি বা আর্জেন্ট প্রজেক্টের লিস্ট। আর্জেন্ট প্রজেক্টের পরবর্তী অংশে রয়েছে বড় বাজেটের প্রজেক্টের লিস্ট। সাধারণত পাঁচশ’ ডলার থেকে শুরু করে দশ হাজার ডলারের অধিক মূল্যের প্রজেক্টগুলো এ অংশে পাওয়া যায়।


হোম পেজের নিচের দিকে জব লিস্টিং নামের ফিচারটি এই সাইটের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এ অংশে চাকরিদাতারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। চাকরিগুলো হতে পারে একটি নির্দিষ্ট প্রজেক্টের জন্য অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। বায়ার ইচ্ছে করলে স্ক্রিপ্টল্যান্স সাইটের মাধ্যমে কাজ দিতে পারে অথবা সরাসরি ফ্রিল্যান্সারের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনলাইনে চাকরি দিতে পারে।


অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো এ সাইটেও বিভিন্ন সুবিধাযুক্ত একটি আলাদা মেম্বারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, যা সার্টিফাইড মেম্বার নামে পরিচিত। তবে অন্য সাইট থেকে এই ফিচারটির পার্থক্য হচ্ছে, যেকেউ সার্টিফাইড মেম্বার হতে পারবে না। সার্টিফাইড মেম্বার হতে হলে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়। এরপর স্ক্রিপ্টল্যান্স কর্তৃপক্ষ আবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। একজন সার্টিফাইড মেম্বার হওয়ার প্রয়োজনীয় শর্ত হলো- কমপক্ষে ৫ জন বায়ারের কাছ থেকে ১০টি বা তার অধিক কাজের মন্তব্য। সাথে থাকতে হবে ভালো একটি রেটিং- ১০-এর মধ্যে ৯ বা তার অধিক। সার্টিফাইড মেম্বার হবার পর রেটিং যদি ৮-এর নিচে ৩০ দিনের অধিক অবস্থান করে, তাহলে সে ফ্রিল্যান্সার সার্টিফাইড মেম্বারশিপের যোগ্যতা হারাবে। সার্টিফাইড মেম্বার হতে আবেদন যাচাইয়ের জন্য ১০ ডলার এবং প্রতি মাসে ২৫ ডলার ফি দিতে হয়। এ অর্থগুলো ফ্রিল্যান্সারের স্ক্রিপ্টল্যান্সের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হয়।


এবার দেখে নেয়া যাক, একজন সার্টিফাইড মেম্বার সাইটটি থেকে কী কী সুবিধা পেয়ে থাকে। প্রথমত সার্টিফাইড মেম্বারদের নামের পাশে সবসময় একটি বিশেষ লোগো সংযুক্ত থাকে, যা বিড করার সময় অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে তাকে আলাদাভাবে প্রদর্শন করে। সার্টিফাইড মেম্বারদের যাচাইবাছাই করে মেম্বারশিপ দেয়া হয়, যা বেশিরভাগ বায়ারের কাজে ওই ফ্রিল্যান্সারের গুরুত্ব বহন করে। একটি প্রজেক্টে সার্টিফাইড মেম্বারের বিড বোল্ড অক্ষরে থাকে, যা সহজেই বায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সর্বোপরি সার্টিফাইড মেম্বারকে প্রতিটি প্রজেক্টে ৫০% কম ফি সাইটকে দিতে হয়।


স্ক্রিপ্টল্যান্স থেকে অর্থ উত্তোলনের খরচ অন্যান্য সাইট থেকে অনেক কম। এই সাইট থেকে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়। এগুলো হচ্ছে- সাধারণ চিঠির মাধ্যমে চেক (৩ ডলার ফি), ফেডএক্সের মাধ্যমে চেক (৩৮ ডলার ফি), পেপাল, ই-গোল্ডে, মানিবুকারস, পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড এবং ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার (২৫ ডলার ফি)। আমাদের দেশের জন্য পেওনার ডেবিট কার্ড এবং ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার সবচেয়ে ভালো দু’টি পদ্ধতি। স্ক্রিপ্টল্যান্সের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিবারে সর্বনিম্ন ৩০ ডলার তোলা যায়।


অসুবিধাঃ-

স্ক্রিপ্টল্যান্স সাইটের একটি অসুবিধা হচ্ছে, প্রজেক্ট শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রজেক্টের কমিশন কেটে রাখা হয়, যা নতুন ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা না থাকলে নেগেটিভ ব্যালেন্স দেখায়। নেগেটিভ ব্যালেন্স ৩০ দিনের বেশি হলে প্রোগ্রামারের অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় অন্য কোনো প্রজেক্টে বিড করা যাবে না। তবে এতে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই, কারণ প্রজেক্ট শেষে বায়ার মূল্য পরিশোধ করার সাথে সাথে অ্যাকাউন্টটি আবার সচল হয়ে যাবে।


বাংলাদেশীদের জন্য এফএল ওয়ার্কার হতে পারে সবচেয়ে আদর্শ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস।

অনলাইনে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল রয়েছে। সেগুলোতে কাজ করে ভাল অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের জন্য কাজ শেষে অর্থ হাতে পাওয়া। সাধারণ বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের কাছে না আছে পেপ্যাল একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড। আবার যাদের এগুলো আছে তাদের আরেক ঝামেলা হলো সংশ্লিষ্ট সাইটকে কাজের সার্ভিস চার্জ এবং উইথড্রয়াল প্রসেসিং চার্জ দেয়ার পর দিতে হয় পেপ্যাল একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের হাই উইড্রয়াল ফি। আর যদি সরাসরি ব্যাংকে টাকা আনতে হয় তাহলেতো পাঠাতে এবং তুলতেই সব শেষ। এখন ভাবনার বিষয় হলো সংশ্লিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং সাইটে সুবিধা যতই ভাল হোক নিজের কষ্টার্জিত আয় হাতে পেতে মাক্সিমাম টাকাই ব্যয় হয়ে যায় তাহলে কষ্ট করে আর লাভ কি?। তবে আমি বলবো এখন আর বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের এতোটা হতাশ হবার কারণ নেই। আমি আপনাদের এখন দেখাবো এমনই একটি পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সাইট যা একজন বাংলাদেশী ওয়ার্কার বা বায়ার(কাজদাতা) হিসেবে আপনার কাছে হতে পারে একটি আদর্শ। আসুন দেখে নেই এক নজরে সম্ববত ২০১২ সালে আসা (Flworker),  সাইটের কমন ফিচারগুলো।



  • বিড প্রজেক্টের পাশাপাশি বিড ফ্রি প্রজেক্টের (মাইক্রো ওয়ার্ক) সুবিধা।
  • ডলারের পাশাপাশি বিডিটি(বাংলাদেশী টাকায়) বিড বা কাজ করার সুবিধা।
  • BDT নুণ্যতম ৫০ টাকা হলেই জিপি ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে এবং ৫০০ টাকা হলেই লোকাল যেকোন ব্যাংকে  অর্থ উত্ত্বোলন করা যায়।
  • USD নুণ্যতম ২ ডলার হলেই এলার্টপে, মানিব্রোকারস্  ও পেপ্যাল একাউন্টে উত্ত্বোলন করা যায়।
  • যাদের অনলাইনে কাজ করার মত কোন দক্ষতা নেই শুধু কপি/পেষ্ট জানেন তারাও এফএল ওয়ার্কারের বেসিক প্রজেক্ট (মাইক্রো ওয়ার্ক) এ কাজ করে বাংলাদেশী টাকায় ঘরে বসে পেমেন্ট পেতে পারেন। আর যারা বিভিন্ন কাজ জানেন তাদের জন্যতো মূল জেনারেল প্রজেক্ট রয়েছেই।
  • প্রতিটি প্রজেক্টে ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের চার্জ বা ফি নেই।
  • ফ্রি রেজিষ্ট্রেশনের পাশাপাশি আলাদাভাবে মাসিক কোনো ফি দিতে হয় না।
  • কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ বায়ার যখনই একজন ওয়ার্কারকে নির্বাচিত করে তখনই প্রজেক্টের সস্পূর্ণ অর্থ সাইটকে পেমেন্ট করতে হয়।
  • কোন সার্টিফাইড বা প্রিমিয়াম ওয়ার্কার অপশন নেই। ( সাধারণত বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্স সাইটে তাদের সার্টিফাইড প্রোগ্রামাররা কোন বিড করলে সেগুলো রঙ্গিন আকারে হাইলাইট হয়ে থাকে এবং তাদের প্রোফাইল ও পোর্টফুলিও তৈরিতে অধিক উন্নত টুলস সরবরাহ করা হয় যা দেখে একজন বায়ার বা কাজদাতা সহজে আকৃষ্ট হয়ে তাদের কে কাজ দিয়ে দেয়। এই অপশনগুলো সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোর একটি ব্যবসা। নতুন ওয়ার্কাররা এবং অনেক ভাল প্রোগ্রামার/ওয়ার্কাররা শুধু সেই সাইটের প্রিমিয়াম মেম্বার হতে না-পারার কারণেই অনেক কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং বায়াররা বাহিরের চাকচিক্য দেখে ভাল আউটপুট থেকে বঞ্চিত হয়। আর এই অসুবিধা যাতে না-হয় তাই হয়তো সে কারণেই কোন সার্টিফাইড বা প্রিমিয়াম ওয়ার্কার অপশন রাখা হয় নাই।
  • বিডের শেষে বিড দাতা ওয়ার্কার মোট কতটি কাজ করছে বা কত টাকা এ পর্যন্ত আয় করেছে এবং সে কোন কোম্পানী কিনা ইত্যাদি অতিরিক্ত ইনফরমেশন থাকে না। এই সুবিধার কারণে নতুন/পুরাতন ওয়ার্কারদের নিজের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের যেমন সুবিধা হয় তেমনি মনও কখনো ছোট হয় না। একজন বায়ার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কার নতুন না পূরাতন সেটি দেখে নয় বরং ওয়ার্কারদের নিজেদের তৈরি করা সমৃদ্ধ কাষ্টম পোর্টফুলিও দেখে যাচাই বাছাই করে যোগ্যতানুসারে বাছাই করতে পারে।
  • একজন প্রোগ্রামারের বিড আরেকজন প্রোগ্রামার দেখতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো বেশিরভাগ সাইটে ডিসপ্লে করার জন্য একটি ম্যাক্সিমাম এমাউন্ট শো করে কিন্তু বিডাররা হিডেনলি আরেকটি নুণ্যতম এমাউন্ট অফার করে যা সাধারণত শো হয় না। একারণে প্রতিদ্বন্ধী ওয়ার্কাররা সত্যিকার অর্থে কত টাকা বিড করেছে তা বুঝার উপায় থাকে না। তবে এফএল ওয়ার্কারে সে অসুবিধা নেই। যা বিড হবে তাই শো করবে। বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
  • ঘন্টানুসারে কাজের ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইউজ করতে হয় না। তাই অনলাইনে থেকে কাজ করার ঝামেলায় পড়তে হয় না। যত ঘন্টায় আপনি কাজটি শেষ করতে পারবেন বলে মনে করেন সেটি বিডে উল্লেখ করা যায় এবং সে অনুসারে কাজ করে কাজ জমা দেয়া যায়।



  • সুইজারল্যান্ড/সৌদিআরব ও বাংলাদেশী বায়ারদের জন্য এই সাইটটি একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম । কারণ আপনার কোন কাজ সহজেই এখন দেশী টাকায় যেকোন ভাল ওয়ার্কারদের দিয়ে করাতে পারবেন। বাংলাদেশী বায়ারগণ পেমেন্টের ক্ষেত্রে লোকাল ব্যাংক ডিপোজিট অথবা গ্রামীণ ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবহার করতে পারেন।
  • যারা অনলাইনে একাধিক লোক দিয়ে দ্রুত সময়ে ছোটখাটো কোন কাজ করাতে চান (যেমন, ফেসবুক/টুইটারে ফ্রেন্ড/লাইক বা ফলোয়াড় বাড়ানো। ইয়াহু/ফেসবুক/জিমেইলে একাধিক আইডি তৈরি। ওয়েবসাইটের রিভিউ বা ব্যাকলিংক তৈরি করানো। পিটিসি/এলিফায়েড প্রমোশনের জন্য রেফার বাড়ানো ইত্যাদি) তাহলে এফএল ওয়ার্কারের বেসিক প্রজেক্ট(মাইক্রো প্রজেক্ট) এ কাজ দিতে পারেন। পেমেন্টের ক্ষেত্রে লোকাল ব্যাংক ডিপোজিট অথবা গ্রামীণ ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবহার করতে পারেন।
  • অর্থ উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশীদের জন্য রয়েছে এক্সট্রিমলি লোকাল সুবিধা। আপনার কর্ষ্টাজিত অর্থগুলো আপনি আপনার লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারবেন নুণ্যতম ৫০০ টাকা হলেই এবং ৫০ টাকা হলেই আপনি জিপি ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে নিয়ে আসতে পারেন সার্ভিস চার্জ ব্যতিত অন্য কোন চার্জ ছাড়াই। আগেই বলেছি প্রায় সবগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ যত এমাউন্টের কাজ করছেন সে অনুসারে আগেই একটি কাজের চার্জ নিয়ে নেয়। অর্থ উত্তোলনের সময় চার্জ নেয় আরেকটি। ক্রেডিড কার্ড/পেপ্যাল/ব্যাংক গুলোও উত্তোলন চার্জ রাখে। কিছু কিছু সাইটে আবার মাসিক চার্জও রয়েছে। সে অনুপাতে এফএল ওয়ার্কার অনেক ভাল। উত্তোলনের সময় সার্ভিস চার্জ ব্যাতিত অন্যকোন সার্ভিস চার্জ একেবারেই নেই। ওদিকে পেপ্যাল/মানিব্রোকার/এলার্টপে ইত্যাদি সুবিধাতো রয়েছেই।



এই সাইট সর্ম্পকে উপরের তথ্য গুলোর জন্য আমি এফএল ওয়ার্কার সাইটের বাংলায় লেখা এই http://dailytulpar.com/LBangla.aspx  টিউটোরিয়াল এবং সাইটের http://dailytulpar.com/FAQ.aspx এবং ইমেইল http://dailytulpar.com/contact.aspx করে জানতে পেরেছি। আরো বিস্থারিত তথ্যের জন্য আপনিও সেগুলো রেজিষ্ট্রেশনের আগে দেখে নিন।


আমি ব্যাক্তিগত ভাবে টাকার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং করি তাই ইন্টারন্যাশনাল কাজের প্রাপ্ত অর্থ বাড়তি খরচ ছাড়া লোকাল উত্ত্বোলন ও দেশী টাকায় বিডের অপশন সুবিধাকেই মূখ্য হিসেবে বিবেচনা করেছি। তাই নতুন হিসেবে এই সাইটের কিছু অসুবিধাকে সাচ্ছন্দে মেনে নেয়া যায়। তবে কিছু অসুবিধা না-বললেই নয় সেগুলো হলোঃ-

অসুবিধাঃ-


আসলে কোন সাইটই পরিপূর্ণ নয় । কিছু অসুবিধাতো রয়েছেই। আমি যখন এই লেখা লিখছি তখন সাইটটি সবার জন্য উন্মোক্ত হলেও এখনো পরিপূর্ণ ভাবে সবকিছু সংযুক্ত করা হয়নি। আমি যতদুর জানতে পারলাম এটি মূলত একটি মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানীর চাইল্ড প্রজেক্ট। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে এই কোম্পানীটি নিবন্ধিত। বাংলাদেশেও এই কোম্পানীটি বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট স্টক এন্ড ফার্ম কতৃক ইনকপোর্রেট লাইসেন্স প্রাপ্ত। মেইল রেসপণ্সে যতটুকু বুঝতে পারলাম এফএল ওয়ার্কার সাইটটি মূলত বাংলাদেশ,ইন্ডিয়া,পাকিস্থান ও মালদ্বীপ বেজড সাইট। সুবিধার ক্ষেত্রে এ দেশগুলোই প্রাধান্ন্য পাবে। কোম্পানী তাদের অন্যান্য প্রতিষ্টানের পাশাপাশি অনলাইন লাইভ নিউজ চ্যানেল www.dailytulpar.com  চালুর জন্য সরকারের কাছে আবেদন রয়েছে। বর্তমানে  www.dailytulpar.com  নামক পুরো সাইটিই এফএল ওয়ার্কারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আলাদা ভাবে এফএল ওয়ার্কারের এড্রেসটি হলো www.dailytulpar.com/flworker.aspx তবে আমার মনে হয় কতৃপক্ষ যদি সাইটি পত্রিকার ভায়া হিসেবে ব্যবহার না আলাদা ডোমেইনে ট্রান্সফার করে তাহলে সবার জন্যই সুবিধা হবে। অর্থ উত্ত্বোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জন্য লোকাল ব্যাংক, জিপি ফ্ল্যাক্সিলোড এর পাশাপাশি যদি কুরিয়ার সার্ভিসও যুক্ত হতো তাহলে আরো সুবিধা হতো। আর সবচেয়ে বড় যে অসুবিধা তা হলো একবার বিড করার পর সে বিডটিকে এডিট করা যায় না। তাই বলবো যারা কোন কাজের জন্য বিড করবেন তারা অবশ্যই লেখার ভুলত্রুটি গুলো ভাল ভাবে দেখে তার পর বিড করবেন।

আসুন Freelance.com সাইট নিয়ে কিছু গল্প শুনি ও সেই সাথে জেনে নিই আউট সোর্সিং বিষয়ের নানাবিধ প্রতিবেদন

 بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم 

আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই এক প্রকার কুশলেই আছেন।
বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞাণ প্রযুক্তির অআর্শীবাদে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশেও ইন্টারনেটের ব্যবহার পূর্বের তুলনায় দ্বিগুন আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিশ্চয়ই এটি একটি শুভ দিক। কেননা, বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তিকে জানতে ও শিখতে হলে অবশ্যই নেটের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে তাদের নেটের খরচ অনেক কম। সেখানে আমাদের দেশে নেটের খরচ কিন্তু বেশী একটা হ্রাস পাইনি।

যাইহোক নেট ব্যবহার করে অনেক যুবক ভাই বর্তমানে স্বপ্ন দেখছেন কিভাবে বিদেশী টাকা ইনকাম করবেন, কোন সাইটে কাজ করবেন, কার কাছ থেকে সঠিক রিভিউ নিবেন ইত্যাদি। অনেকে কিন্তু প্রফেশনাল হিসাবে ইনকাম সাইটে কাজ করছেন ও কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন।

বর্তমানে নেট ব্যবহারের মাধ্যমে ইনকাম করা এখন একটা তেমন স্বপ্নের ব্যাপর নয়। তবে এইজন্য প্রয়োজন কম্পিউটারকে ভাল ভাবে জেনে নেওয়া, কাজ করার মনমানসিকতা, ধৈর্য্য ও পরিশ্রম। বাংলাদেশে এমন বেশ কিছু ফ্রীল্যান্সার আছেন যারা প্রফেশনাল হিসাবে ফ্রীল্যান্স সাইটে কাজ করছেন।এবং আমাদের দেশের যুবক ভাইদের এই বিষয়ে দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, সমগ্র পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আমাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থান প্রায় ৬৫,০০০ জনের মধ্য ৪০০ তম।এদের মধ্য সর্বপ্রথমেই আছেন জনাব, জাকারিয়া চৌধুরী এবং মোহাম্মদ জাবেদ মোর্শেদ চৌধুরী

তাছাড়া আরো অনেকেই আছেন যাদের অবস্থান ১৫০০-২৫০০ এর মধ্য। তাছাড়া সম্প্রতি কিছুদিন পূর্বে অনেকেই জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন যে, জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস www.freelancer.com গত ১৫ই নভেম্বর ২০১১ থেকে ৩১শে জানুয়ারী ২০১২ পর্যন্ত “Expose the Freelancer.com” শীর্ষক একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন দেশের ৪৪০ জন ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন। এখানে বাংলাদেশী মধ্য ২জন বড় অংকের পুরষ্কার পেয়েছেন ।

এখানে যারা এত বড় সফল ফ্রিল্যান্সার হয়েছেন তারা কিন্তু একদিনেই সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তাদেরকেও অনেক পরিশ্রম ও মেহনত কম করতে হয়নি। অবশ্য বাংলাদেশের এই সফল ফ্রিল্যান্সারকে নিয়ে ও অনুষ্ঠিত ফ্রিল্যান্স বিষয়ের আলোচনা/গল্প আমার এই পোষ্টের শেষের দিকে করব।

যাইহোক বর্তমানে ইন্টারনেটের ইনকামের ৩ টি সেক্টর রয়েছে তথা- Google Ad sense, Freelancer & PTC/PTR Site
এর মধ্য সবচেয়ে প্রথম দুইটি ইনকামের দিক থেকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত সাইট। অপরদিকে PTC/PTR Site নিয়ে অনেক তর্ক বা বিতর্কের ব্যাপার রয়েছে। দুনিয়ার যত সস্তা বস্তার ইনকাম হল এই PTC/PTR সাইট। এইগুলো অনেকটা আবার ভূয়া ব্যবসা হিসাবে দাড়িয়েছে। পৃথিবীতে প্রায় ২০০০ এর মত PTC/PTR সাইট রয়েছে অথচ এর মধ্য বিশ্বস্ত সাইটের সংখ্যা প্রায় ১৫-২০ টির মত। যারা পিটিসি সাইটে ইনকাম করেন এখানে কিন্তু ইনকামের রেট বেশী একটা হয়না আবার এমন কিছু সাইট আছে এখানে যে ভাবে সময় দিবেন তাতে যদি ফ্রিল্যান্স বিষয়ে কাজ করেন তাহলে সেই একই সময়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি হয়ে যাবে।

যেহেতু পূর্বেই বলেছি ফ্রিল্যান্স সাইট ইনকামের একটি বিশ্বস্ত সাইট।এই ফ্রিল্যান্স সাইট নিয়েও কিন্তু কিছু মহল ধান্দাবাজির ব্যবসায় উঠে পড়ে লেগেছে। অথবা এমন কিছু সাইটকে রাতারাতি তৈরি করে প্রকৃত ফ্রিল্যান্স সাইটের মত ইন্টারফেস দিয়ে আমাদের মত অনেক যুবক/বেকার ভাইকে বোকা বানানো হচ্ছে। সত্যি কথা বলতে কি অনেক যুবক ভাইয়েদের ইনকামের নেশাটা বর্তমানে মাথাতে এমন ভাবে চেপে ধরেছে তারা কোন ইনকামের সাইটের নাম শুনলেই যেন বেহুশ হয়ে পড়েন। আবার কোন সাইটের বাছ-বিচার না করেই সেখানে জয়েন্ট করে ফেলেন। এই জন্য কাজ করবার পূর্বে আমাদের প্রয়োজন সঠিক লোকের পরামর্শ, তথ্য ও সঠিক পরিকল্পনা।
Freelancer.com সাইট নিয়ে পৃথিবী খ্যাত বেশ কয়েকটি ভেন্ডর/প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরা শুধু দুনিয়া জুড়েই খ্যাত নয়। বহু প্রতিষ্ঠান ও ভেন্ডর সার্টিফেকশনে পাস করেছে ও অসংখ্যক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে।

দুনিয়া জুড়ে খ্যাত এমন কিছু Freelancer.com সাইট গুলো হল-
আপনি ইচ্ছা করলে এর যে কোন একটি সাইট বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে যেহুতু সারা পৃথিবীর ন্যায় আমাদের freelancer.com ও odesk.com জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাই এখানে কাজটা শুরু করেছেন। যেহুতু দেশেই এই ২ টি বিষয়ে সার্পোট প্লাটফর্ম ও প্রশিক্ষণ রয়েছে।
অপরদিকে কিছু সাইট তৈরি হয়েছে যেগুলো freelancer.com বলে হৈ-হৈ রৈ -রৈ রবটা সরগম হয়ে উঠেছে। এদের মধ্য বর্তমানে Dolancer.com, Skylancer.com, Free Adds Sourcing এর নামটা উঠে এসেছে। আমি/আমরা (Campus Friends Bloger Team) নিজে অবশ্য এখানে কয়েকদিন পূর্বে Ontest হিসাবে একটু ঢুঁ মেরেছিলাম কিন্তু কাজের কাজ কিছুই বুঝতে পারিনি। কেননা freelancer.com সাইটেও আমরাও তো একটু কাজ করে লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে যতটুকু সময় পাই।কিন্তু freelancer.com এর সাথে এর তেমন কোন কাজের প্রোজেক্টের মিল পাইনি।
এখন হয়ত আমার/আমাদের এই লেখা পড়ে ফুলে ফেঁপে উঠছেন যারা এই দুটি সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তাদেরকে বলব ভাই, আপনাদেরকে হেয় করার জন্য কিন্তু এই লেখাগুলো আমরা মনগড়া হিসাবে লিখছিনা।বর্তমানে সাম্প্রতিক সময়ে এই সকল সাইট নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে তার ফলাও করছি। এখন আপনারা যদি একচেটিয়াভাবে আপনাদের কার্যক্রম চালিয়ে যান বা সারা বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণকেও যদি সদস্য বানিয়ে ফেলেন তবুও আমরা কিছু বলব না বা প্রতিবাদ করব না। আপনাদের কাজ আপনারা না হয় করতেই থাকুন!
আপনারা হয়ত অনেকেই ভাবতেছেন এই সমস্ত কাথা গুলি ইনিয়ে বানিয়ে লিখছি। আসলে তা এক চূলও সত্যি নই। যা প্রতিবেদনে পেয়েছি তাই উল্লেখ করছি। মনে করুন, এখানে না হয় আমি/আমরা মিথ্যা বলছি কিন্তু যারা সফল ফ্রিল্যান্সার আছেন তারা কি তাহলে মিথ্যা বলছেন? আর মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তাদের কি স্বার্থ লুকায়িত আছে। কারন যারা freelancer.com এর কাজ করেন এখানে তো সম্পূর্ন ফ্রিভাবে সদস্য হওয়া যায় বা কাজ করা যায়। কোন সদস্য বানাতে অর্থ দিতে হচ্ছে না। যদি এমন হত এখানে সদস্য বানাতে অর্থ লাগছে বা নিজের পকেটে অর্থ জমা করা যাচ্ছে এই জন্য freelancer.com সাইট বাদ দিয়ে সদস্যরা অন্য দিকে ভিড়ছে। সেইজন্য নিজেদের সাইটে নজর কাড়ানোর জন্য এই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে! যেহেতু এখানে এই সম্পর্কে কোন জালিয়াতির প্রশ্নই নাই।
যাইহোক কিছুদিন বিভিন্ন পত্রিকাতে Dolancer.com সাইট নিয়ে বেশ লেখালেখি ও প্রতিবেদন হয়েছিল  আমরা তার কিছু Highlights নমূনা দেখব-

রহস্যময় ডুল্যান্সার ও ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং

 কম্পিউটার জগৎ ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারী ২০১২ সংখ্যায় ডুল্যান্সার এবং এর রহস্যময় কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার মোহাম্মদ জাবেদ মোর্শেদ চৌধুরী। লেখাটিতে ডুল্যান্সার সাইটের করুণ চিত্র, আউটসোর্সিং এর নাম করে MLM ব্যবসা, প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব নিয়ে মিথ্যাচার, সাইটে প্রাপ্ত কাজের পরিসংখ্যান আরো নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কোন ভাবেই জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তথাপি আউটসোর্সিং এর নাম করে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সাররা।
সম্পূর্ণ লেখাটি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে পড়া যাবে -
সচেতনতামূলক প্রতিবেদনটি লেখার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি এ থেকে নবীন ফ্রিল্যান্সাররা অবশ্যম্ভাবী বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
 ———————————————————————————-
তাছাড়া Dolancer.com নিয়ে ১৮/০২/২০১২ তারিখে জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকাতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়-
এর শিরোনাম ছিল- প্রতারনার ডিজিটাল ফাদ। প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করে Dolancer.com এর অনেক গুপ্ত বিষয়ে আমাদের তরুন সমাজকে সচেতন করেছেন। পত্রিকার সাংবাদিক সাহেব- জনাব, হায়দার আলী।
এই জন্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি।
পত্রিকাটিতে উক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে রিপোর্ট দেখতে এই খানে ক্লিক করুন-
অখবা যারা পিডিএফ ফাইল পড়তে বা নামাতে চান তারা এই লিংকে ক্লিক করুন-
এখানে জনসাধারনের মন্তব্য সহ পুরো প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা আছে। সুতরাং ঝটপটভাবে ডাউনলোড শুরু করুন।
অবশ্য ডোল্যান্সার কর্তৃপক্ষ উক্ত প্রতিবেদনটি প্রস্তুত হবার পর ১৯/০২/১০১২ কিংবা ২০/০২/২০১২ তারিখের দিকে প্রথম আলো পত্রিকা ও যুগান্তর পত্রিকাতে প্রতিবাদ লিপি হিসাবে একটি বিজ্ঞপ্তি ফলাও করা হয়। এখানে প্রায় ১৫-২০ লাইনের মন্তব্য ছিল। মন্তব্যটি প্রদান করেছিলেন Dolancer.com এর মহাব্যবস্থাপক জনাব, রোকন ইউ.আহমেদ।
অবশ্য উক্ত প্রতিবাদ লিপি হিসাবে বিজ্ঞপ্তিটি তেমন যুতসই হয়নি বা সদুত্তর সঠিক ভাবে দেওয়া হয়নি বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ ও ফ্রিল্যান্সারগণ।তারা বলেন এখানে যে সদস্য ফী নেওয়া হয় তা কোথায় ব্যয় করা হয়? অআবার এটি যে আমেরিকার বিখ্যাত একটি সার্ভার থেকে  ভাড়া ও ডোমেইন নেওয়া হয়েছে ভাল কথা! তাহলে পৃথিবীর বিখ্যাত Freelancer Site হিসাবে এর নাম নেই কেন? যেখানে Odesk দ্রুতভাবেই এই তালিকাতে নাম লিখাতে পেরেছে সেখানে Dolancer, Skylancer এর কেন এমন অবস্থা? ইত্যাদি।মূলত Formality বজায় রাখার জন্য জনসাধারনের নিকট ইতিবাচক মনোভাব নেবার জন্য প্রতিবাদ লিপিটি পাবলিশ করা হয়।
আপনার অনেকেই লক্ষ করবেন যে, Dolancer.com সাইটে পূর্বে ফ্রি সদস্য হিসাবে নিবন্ধন করা যেত না।কিন্তু বর্তমানে Dolancer.com ফ্রি নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে।কিন্তু ফ্রি নিবন্ধন করেও কোন লাভ নাই। কোন কাজই করতে পারবেন না। এখানে চালাকি হিসাবে লেখা রয়েছে Post Forum is Beta Version. তাও আবার সদস্য ফী ৬ মাসের জন্য ৩৫০০/- টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।১ বছরের জন্য ৭০০০/- ফী বহাল রয়েছে।
একটি অনুরোধ-
 ইতিপূর্বে বিভিন্ন ব্লগ সাইটে অআমরা দেখেছি সেখানে Dolancer.com বিষয় নিয়ে সাফাই গাওয়া হয়েছে ও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এই রকম পোষ্ট। এই গুলো কারা লিখেছে তা আমাকে বলতে হচ্ছে না । নিশ্চয় আপনারা ব্যাপারটি অতি সহজেই বুঝতে পেরেছেন। এখানে  Dolancer.com এর বেশ কিছু সুবিধাবাদী সদস্য তারা Dolancer নিয়ে পোষ্টগুলো করছেন নিজেদেরকে সুবিধা হাসিলের জন্য। এখানে তারা বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখাচ্ছেন তার শিরোনাম গুলো এক নজরে যেমন-
১। Dolancer.com সাইটকে যারা বিশ্বাস করেন না তারা এবার ফ্রিভাবে সদস্য হোন ও নিজেই কাজ করে পরীক্ষা করুন!অফারটি অল্প সময়ের!!
২- সদস্য হতে রেফারেলে আমার নাম দিন।
৩- বিশেষ কোন অসুবিধাতে পড়লে আমার মোবাইলে নম্বরে কল দিয়েন
৪- আমি প্রায় মাসে ৩০০০০/- ইনকাম করছি ও পেয়েছি
৫- কে হবেন গোল্ডেন ও প্লাটিনাম মেম্বার। আজীবনের জন্য ইনকাম করতে পারবেন সদস্য হতে আমার সাথে যোগাযোগ করুন ইত্যাদি…… ইত্যাদি।
যাইহোক আমাদের প্রিয় টেকটুইটস সাইটে কিন্তু এই রকম সদস্যদের চোখে পড়েনি। আবার কখন যে পড়বে না এমন কোন গ্যারান্টি নাই। যাই হোক এই ব্যাপারে সবাইকে সচেনতার প্রয়োজন।
এবং আমি সেই সাথে টেকটুইটস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও Admin সাইটকেও বিশেষভাবে অনুরোধ রাখব আপনারাও যেন এই দিকে নজর দৃষ্টি রাখবেন। বিশেষ করে এখানে কোন ব্যাক্তি যেন নিজের স্বার্থে ওকালতি বা দালালী না করতে পারেন। যাই হোক আমার/আমাদের এই পোষ্ট লিখে যদি কোন অন্যায় করে থাকি তাহলে টেকটুইটস কর্তৃপক্ষ যদি পোষ্টটি ডিলেট করে দেন তবুও আমাদের কোন আফসোস বা আকুতি থাকবে না।
অনেক অনেক বক বক করা হল। এবার আরেকটি বিষয়ে মূল আলোচনাতে আসি। প্রথমত এই পোষ্টে আলোচনার শুরুতে বলেছিলাম ফ্রিল্যান্স বিষয়ে একটি সেমিনার হয়েছে এবং কে কি পুরষ্কার পেয়েছে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন-
ফ্রিল্যান্সাপ্রতিযোগিতা: Expose the Freelancer.com Logo
জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস www.freelancer.com গত ১৫ই নভেম্বর ২০১১ থেকে ৩১শে জানুয়ারী ২০১২ পর্যন্ত “Expose the Freelancer.com” শীর্ষক একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন দেশের ৪৪০ জন ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ছিল Freelancer.com সাইটের লোগোকে সৃজনশীল উপায়ে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। প্রতিযোগিতার ফলাফল গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী ঘোষণা করা হয়। এতে ১০ হাজার ডলারের প্রথম পুরষ্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার নাজমা রহমান যিনি সাইটিতে Dataexpert01 নামে পরিচিত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার পান যথাক্রমে পাকিস্থান এবং নেপালের দুজন ফ্রিল্যন্সার।
নাজমা রহমান এবং উনার টিম প্রতিযোগিতার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে Freelancer.com এর লোগো সম্বলিত ২০০০ স্কয়ার ফুটের একটি বিশাল ব্যানার তৈরি করেন এবং একটি বিশাল র ্যালীর আয়োজন করেন যাতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল বয়সের ও বিভিন্ন পেশাজীবির ৩০০০ জন অংশগ্রহণ করেন। র ্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র ্যালীর পাশাপাশি উপস্থিত জনগণকে Freelancer.com সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এবং সাইট থেকে কিভাবে আয় করতে হয় সেদিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রতিযোগীতা: Suggestion of the Month (January)
Freelancer.com তাদের সাইটকে উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পরামর্শ এবং নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে থাকে। এই পরামর্শগুলোর মধ্য থেকে প্রতিমাসে একজন সেরা পরামর্শদাতাকে পুরষ্কৃত করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে পরামর্শ দিয়ে ২৫০ ডলারের পুরষ্কারটি পেয়েছেন বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার সৈয়দ আহমেদ সালিমুদ্দিন সুলতান। সাইটের যে কোন ব্যবহারকারী এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এজন্য সাইটের সাপোর্ট ডেস্কে গিয়ে সাজেশন বিভাগে পরামর্শটি একটি টিকেট হিসেবে জমা দিতে হয়।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

১- প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে, তাই হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধরে বিড (Bid) করে যেতে হবে।
২- প্রথম দিকে যত কম মূল্যে বিড করা হবে কাজ পাবার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে।
৩- সম্ভব হলে বিড করার পূর্বেই যদি কাজটি সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টে দেখানো যায় এবং আপনার কাজটি যদি সে পছন্দ করে তাহলে নিশ্চিতভাবে প্রজেক্টটি আপনাকেই দিবে।
৩- কোন কাজ না পারলে সেই প্রজেক্টে কখনই বিড করা উচিত নয়। অনেকেই না বুঝে বিড করে থাকেন এবং ভাবেন কাজটি পেলে অন্য কারো সাহায্য নিয়ে সম্পন্ন করে ফেলবেন। কাজ না জেনে খুব বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়।
৪- ইন্টারনেটে অসংখ্য ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আপনি যে কাজই করে থাকুন না কেন, চেষ্টা করবেন যাতে পরিপূর্ণভাব সেই কাজে আগে দক্ষ হয়ে তারপর কাজের জন্য আবেদন করা।
৫- সাধারণত যে সকল কাজ তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন এবং যে সকল কাজে কম বিড পড়ে, সেধরনের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে সব ধরনের কাজ একটু পর্যবেক্ষণ করে নিন এবং সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে নিন।
৬- বলাই বাহুল্য আউটসোর্সিং এর কাজ করতে ইংরেজীতে পারদর্শী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত প্রজেক্টের চাহিদা বুঝা এবং সে অনুযায়ী ক্লায়েন্টের সাথে সাবলীলভাবে যোগাযোগ করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
৭- একটি প্রজেক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা না নিয়ে কখনই কাজ শুরু করা উচিত নয়। ক্লায়েন্ট তাদের চাহিদা বিড রিকোয়েস্টের সাথে সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ নাও করতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব তাদেরকে প্রশ্ন করুন। তারপর প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট আপনার নিজের ভাষায় বায়ারকে লিখে জানান। এতে বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন এবং কাজ করার সময় আপনার পরিশ্রম অনেকখানি কমে যাবে। প্রশ্ন করলে বায়ার খুশি হয় এবং আপনার আগ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
৮- সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন এবং প্রতিটি ধাপ শেষ হবার পর পর ক্লায়েন্টকে দেখান।
৯- ডেডলাইন সময় শেষ হবার পূর্বেই সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন এবং ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিন।
১০- ক্লায়েন্টের কাছে কাজ পাঠানোর পূর্বে ভাল করে রিকোয়ারমেন্ট আরেকবার দেখে নিন এবং সম্পূর্ণ কাজ ভাল করে পরীক্ষা করুন।
১১- সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে কাজ শেষে সর্বোচ্চ রেটিং পাওয়া যায়। ভাল রেটিং পেলে পরবর্তী কাজগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়।
১২- ভাল রেটিং পাবার উপায় হচ্ছে – সঠিকভাবে কাজটি করা, সময়মত কাজটি শেষ করা, ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।
১৩- রেটিং দেবার পূর্বে ক্লায়েন্টকে জিজ্ঞেস করে নিন যে সে আপনার কাজে সম্পূর্ণ খুশি কিনা এবং আপনাকে সর্বোচ্চ রেটিং দিতে যাচ্ছে কিনা।
১৪-কাজে এবং কথাবার্তায় সবসময় সৎ থাকতে হবে। কখনও ভুল তথ্য প্রদান করা যাবে না। কোন কারনে কাজ করতে না পারলে বিষয়টি ক্লায়েন্টকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিন, বেশিভাগ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্টের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা পাওয়া যায়।
লেখক -মোহাম্মদ  জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ – এই লেখাটি “প্রথম আলো” পত্রিকার “প্রজন্ম ডট কম” পাতায় ২রা মার্চ ২০১২ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।
একটি বিশেষ পরিচিতি-
 উল্লেখ্য কিছুদিন পূর্বে আমাদের পোষ্টে এলার্টপের ব্যবহার কৌশল সম্পর্কে ১টি পোষ্ট করছিলাম। ঐ খানে আপনাদেরকে একটি এলার্টপে সহায়তা রেফারেল হিসাবে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে বলেছিলাম। এবং লিংকে লেখক মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী নাম উল্লেখ করেছিলাম। অনেকরই প্রশ্ন থাকতে পারে এই লেখক কে?
 যাইহোক আমি বলছি- এই লেখকের অনেক বই ও প্রতিবেদন পড়েছি বিভিন্ন পেপার-পত্রিকাতে। ইনার স্থায়ী নিবাস পবিত্র পূণ্যভূমি সিলেট শহরে। পূর্বে আমি উল্লেখ করেছিলাম ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সারা বিশ্বে তার অবস্থান ৪০০ এর মধ্য। বাংলাদেশের দিক থেকে ১ম বলা চলে। তিনি সিলেটে এই বিষয় নিয়ে প্রায়ই সেমিনার করে থাকেন। এবং কিভাবে এই দেশের তরুনেরা সফলকাম ফ্রীল্যান্সার হবেন সেই সব বিষয়ে গবেষনা করেন এবং কাজও শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের পিসি হেল্প লাইন যে সকল ব্লগার বা ভিজিটর আছেন (মূলত যারা সিলেট জেলার নিবাসী) তারা এক নামে কৃতীধর স্বনামধণ্য এই ব্যাক্তিকে অনেকটা এক নামেই চিনতে পারবেন।
যাইহোক আমি আর বিস্তারিত কিছু বলছিনা । এখানে লেখক নিজেই তার পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলছেন-

 আমি মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী, একজন ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ও গেম ডেভেলপার। পড়ালেখা করেছি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। চতুর্থ বর্ষে থাকাকালে একটি সফটওয়্যার ফার্মে পার্টটাইম ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে এক বছর কাজ করেছি। পাশ করার পর ২০০৬ সাল থেকে অন্য কোন চাকুরী না করে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করছি। বর্তমানে সিলেটে Web craft Bangladesh নামে একটি ওয়েব ও গেম ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান এবং  সিলেট আইটি একাডেমী নামে একটি তথ্য-প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছি।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম রেন্ট-এ-কোডার (ভি-ওয়ার্কার) নামক মার্কেটপ্লেসে কাজ করার মাধ্যমে। ২০১০ পর্যন্ত এই সাইটে কাজ করেছি, সেসময় পর্যন্ত সাইটের তিন লক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে আমার রেংকিং ছিল ৪০০,প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া এতটা সহজ ছিল না। মনে আছে প্রথম কাজ পেতে আমাকে ১৫ থেকে ২০ টি প্রজেক্টে বিড করতে হয়েছিল এবং সময় লেগেছিল প্রায় এক মাস। কিন্তু কয়েকটি প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম অবস্থায় আমার রেংকিং ছিল ৮,০০০ যা থেকে ১,০০০ পৌছাতে এক বছর সময় লেগেছিল। ১,০০০ থেকে ৪০০ তে উন্নীত হতে আরেকটি বছর সময় লেগেছে। গত কয়েক বছরে আমি অসংখ্য প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছ। আমি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, স্পেন, মালয়শিয়া, নরওয়ে, নাইজেরিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করেছি।
বর্তমানে আমি বেশ কয়েকজন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে সরাসরি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ পেয়ে যাচ্ছি। ক্লায়েন্টদের কাজ করার পাশাপাশি বর্তমানে আমরা নিজেরাই আইফোন ও এন্ড্রয়েডের জন্য গেম এবং এপ্লিকেশন তৈরি করে সরাসরি App Store ও Android Market এ রিলিজ করার উদ্দ্যোগ নিচ্ছি। আশা করছি খুব শিঘ্রী দুইটি গেম পাবলিশ করতে পারব। একই সাথে CodeCanyon মার্কেটপ্লেসে আমরা মোবাইল এপ্লিকেশন বিক্রি করছি।
ফ্রিল্যান্সিং এর স্বীকৃতিসরূপ আমি ২০১১  সালে” বেসিস ফ্রিল্যান্সার অব দ্যা ইয়্যার ২০১১” এওয়ার্ডপ্রাপ্ত হই, যা ছিল আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে সবাইকে জানাতে আমি প্রায় সময় বিভিন্ন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করি। গত কয়েক বছর আমি ঢাকাতে বিভিন্ন সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করি। বর্তমানে আমি আমার নিজের শহর সিলেটে এটিকে প্রচার করতে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বিনামূল্যে বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করছি। বর্তমানে BDO osn Outsourcing  নামক একটি গুগল গ্রুপের এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করছি। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন দেশের তরুণরাই আউটসোর্সিং এর কাজ করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চেহারাকে পাল্টে দিবে।
২০০৮ সাল থেকে আমি “কম্পিউটার জগৎ” ম্যাগাজিনে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখছি। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে প্রতিদিন আমি অসংখ্য ইমেইল পেতে থাকি। আমি চেষ্টা করি সবার ইমেইলের উত্তর দিতে। কিন্তু ব্যস্ততার কারনে সকল ইমেইলের উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে কয়েকজন প্রায় একই ধরনের ইমেইল করে থাকেন। পাঠকদের কথা চিন্তা করে তাই এই সাইটটি তৈরি করেছি। চেষ্টা করব নিয়মিতভাবে এই সাইটে লিখতে।
যাইহোক অনেক কথা লেখা হল। অআপনাদের যদি কারও কোন সামান্যতম উপকারে অআসে তাহলে অআমাদের এই লেখার পরিশ্রম স্বার্থকতা বলে মনে করব। মূলত যারা সঠিক ফ্রিল্যান্সার সাইটে কাজ করতে চান তাদেরকে মনোবল বৃদ্ধি ও উসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্যই অআজকের এই পোষ্টটি সাজিয়েছি।
বিঃদ্র- এই পোষ্টের কিছু আলোচনা আমাদের চিন্তশক্তিতে ও গবেষনা হিসাবে লিখেছি। এবং বাকি অংশ বিভিন্ন পেপার-পত্রিকার রেফারেল অনুসরনে করেছি। তাছাড়া কিছু অংশ লেখার জন্য লেখকের পূর্ব থেকেই সম্মতি পেয়ে করেছি।
পোষ্টটির কোন ভূল ত্রুটি দৃষ্টি গোচর হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান রাখছি।
Legal Notice-
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি/লেখক আমার এই পোষ্টগুলো হুবহু ও অআংশিক নকল করে অন্য ব্লগ সাইট ও নিজের ব্লগ সাইটে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন।এইগুলো করা মূলত অনৈতিকতার পরিচয় ও বেআইনি কাজও বটে। যেমন-০২/০৩/২০১২ তারিখে এভাস্ট সিকিউরিটি নিয়ে একটি পোষ্ট করেছিলাম সেখানে একটি ব্যক্তিগত সাইটে দেখলাম উক্ত সাইটের লেখক আমার লেখা হুবহু নকল করে নিজের নামে তা প্রকাশ করেছেন। কেউ যদি নিজের লেখা হুবহু নকল করে অন্য কেউ চালিয়ে দেয় বিষয়টি মেনে নেওয়া অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার। তবে একটি বিষয় নিয়ে যদি কেউ আপডেট হিসাবে নিজের মেধার বহি প্রকাশ ঘটিয়ে রিভিউ করে তবে সেটিকে নকল বলা অনুচিত নয়। যাই হোক ঐ সকল লেখকদেরকে আমি টেকটুইটস এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করব Please Don’t any post/Write Script without author/writer permission. এখানে শুধু আমার লেখা নকল হয়নি অন্য ব্লগার ভাইদের লেখাও হুবহু নকল করা হয়েছে-
N.B- : PLEASE DO NOT COPY MY ANY COLLECTION & AND DO NOT SHARE IT OF OTHER PERSONS  ™ AMD
আজ এই পর্যন্তই। সবাই সুস্থ থাকুন! ভাল থাকুন এই প্রত্যাশাতে-

ফ্রীল্যান্সিং করতে চান? তাহলে ফ্রী কিছু কাজ করুন!!

              بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم 

নাহ!! আমি ঠিক টাইটেলই দিয়েছি। আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কাজ ফ্রী করে দিতে হবে। কেন জানতে চান?

যারা ফ্রীল্যান্সিং করেন তাদের কে কাজে বিড করার আগে/ এপ্লাই কররার সময় একটি কভার লেটার লিখতে হয়। ঐ খানে প্রায় সময়ই আপনাকে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখতে হয়। কিন্তু যদি আপনার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে কি লিখবেন ঐ খানে? বা আপনাকে আপনার ম্যানেজার জিজ্ঞেস করল আপনি কি ঐ ধরনের কাজ আর করেছেন? করে থাকলে লিঙ্ক/ উদাহরন দিন। কিন্তু আপনি তখন পূর্ব কাজের উদাহরন দিতে পারবেন না। ফল সরূপ কাজটা ও হারাবেন।

এখন যদি আপনি আপনার পরিচিত কারো কিছু ফ্রী কাজ করে দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ঐ সব গুলো দেখাতে পারবেন। তাছাড়া কাজ করলে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে। অন্য কারো কাজ করা মানে উনার নিজের মত করে কাজ করা, উনি কি চায় তা আপনি বুঝে কাজ করা। তাই এই ফ্রী কাজ গুলো করে দিলে আপনার জন্য ভালোই হবে খারাপ না... [ পোস্টটি শুধু নতুন দের জন্য, যারা ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে চায় বা কাজ যেনেও কাজ পারে না তাদের জন্য]
কারো জন্য ফ্রী কিছু কাজ করে দিলে তার ফল কিন্তু পাওয়া যায়। আমার এই ছোট আর্টিকেলটিকে অবহেলা করবেন না প্লিজ। কাজ জেনে থাকলে বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের কিছু কাজ করে দিন। আপনারই ভালো হবে।

এটা শুধু যে ফ্রীল্যান্সিং এ তা না, আপনি যদি আইটি বিভাগের ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে কেউ আপনার সার্টিফিকেট দেখবে না, আপনার কাজ দেখবে। আপনি কি জানেন তা দেখবে। তাই কারো জন্য কারো প্রয়োজনে আপনার সময় নষ্ট করলে মনে হয় তা নষ্ট হবে না। আরেকটা জিনিস হচ্ছে আপনি যত হেল্প করবেন আপনার জ্ঞান তত বাড়বে। একটুও কমবে না।

ধন্যবাদ সবাইকে। শুভ ফ্রীল্যান্স আউটসোর্সিং।

একজন ফ্রিলাঞ্চারের গল্প

                     بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم

এটা আমার প্রথম টিউন। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এইখানে আমি আমার নিজের জীবনের ফ্রীলাঞ্চার হওয়ার গল্প বলেছি সুমন নামের ছেলেটার মাধ্যমে।

ছেলেটির নাম সুমন। খুলনা ইউনিভার্সিটিতে পরে। বন্ধুদের হুজুকে পরে ইউনিপে নামক একটা MLM কোমপানির সাথে জড়িয়ে পরে। সে তার বাবাকে বুজিয়ে বড় অঙ্কের টাকা নেয়। এরপর ইউনিপের গল্পতো সবাই জানেন। ছেলেটি দিসেহারা হয়ে পরে। কি করবে কিছুই তার জানা নেই। তবে সুমনের একটা ভাল গুন আছে। সে তার বিপদের সময় তার কাছের কারো কাছে জিনিশটা শেয়ার করে। তো, সে তার কাছের এক সিনিয়র ভাই এর কাছে তার অবস্থার কথা খুলে বলল। ওই সময় ওই সিনিয়র ভাইটার ও খারাপ সময় যাচ্ছিল । সে ফ্রীলাঞ্চিং এ দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। সুমন কে দাদা বলল, তুমি ফ্রীলাঞ্চিং এর চেষ্টা করে দেখো। ছেলেটার এইদিকে বেশ আগ্রহ ছিল। শুরু করে দিল চেষ্টা। এর আগে সুমনের সপ্ন ছিল গ্রাফিচস এর উপর কাজ করবে । তার পকেট খালি। অনেক ধার দেনা। কি করবে সে। বাসা থেকে টাকা নেয়া বন্ধ। বন্ধুরা তাকে দেখলে ভয় পাই। টাকা ধার চাই কিনা। ছেলেটা অনেক চিন্তা করে বের করল তার ইংলিশে বেশ দক্ষতা আছে।

এটা কাজে লাগানোর পথ ও পেয়ে গেল। Article Writing টাকে বেছে নিল। প্রথমে অনেক ঘাটাঘাটি করে এবং ওই সিনিয়র দাদাটার সহায়তাই বিড করা শিখে গেল। বিড সে করতেই আছে কিন্তু কোন রেস্পন্সের দেখা নেই। পকেট এ টাকা নেই। ক্যান্টিনে বাকি। খাওয়ার টাকা নেই। চারিদিকে পাউনাদারের প্রেসার। দিশেহারা সুমন। তবে পাশে ছিল দাদা। ক্যামনে ক্যামনে জানি ৩০-৪০ টাকা যোগার হোতো আর দুই জনের একবেলা কেটে যেত।

হটাত সুমন একদিন দেখল freelancer.com এ তার একটা মেসেজ আসছে। সুমন তো খুশিতে আত্মহারা। মেসেজ এ একটা স্যাম্পলের জন্য বলছে। সুমন একটা স্যাম্পলে লিখে পাথিয়ে দিল। বয়ায়ার খুশি হয়ে কাজ টা তাকে দিল। সুমন খুশি হয়ে কাজ সুরু করে দিল। অনেক কষ্ট করে দুইরাত দুইদিন না ঘুমিয়ে কাজটা শেষ করে জমা দিল। এরপর বায়ার এর কোন রেস্পন্সের দেখা নেয়। দুই তিন দিন পর সুমন পেমেন্ট এর জন্য বলল। কোন রেস্পন্স নেয়। তার মানে তার এত কষ্ট সব বৃথা। ভাবছিল এই ৩০ ডলার পাইলে একটু তো শান্তি পেত। হল না।

আবার সে বিড করা সুরু করলো। বাকি, ধার বারতেই আছে। ১০-১৫ দিন পর সে আবার একটা প্রোজেক্ট জিতল। আবার হার ভাংগা পরিশ্রম । কাজ শেষ করলো, সাবমিট করল। বায়ার তো খুব খুশি। পেমেন্ট দিল এবং একটা খুব ভাল ফিডব্যাক দিল। এখন ডলার সে তুল্বে কিভাবে। তার তো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নেই। অনলাইন এ ও  কোন অ্যাকাউন্ট নেই। খুজতে খুজতে আবার সেই দাদা। দাদার ফ্রীলাঞ্চের অ্যাকাউন্ট এ প্রোজেক্ট ছেরে টাকাটা পাঁঠিয়ে দিল। দাদার যে তখন খুব ভাল অবস্থা তা না। কোন রকম ধার দেনা করে মানিবুকারসে আর ব্যাংক এ একটা অ্যাকাউন্ট খুলছে। $৫০ এর কাজ করে সব কেটে কুটে $৩৭ মত তূলতে পারলাম। এরপর মনে হল আস্তে আস্তে হবে। এরপর?  ভাগ্য এত খারাপ যে পিসি টা গেল নষ্ট হয়ে। মাদারবোর্ড শেষ। কোনরকম ৩০০০ টাকা হলে পিসি টা চালু করা যাবে। কোন উপাই না দেখে বাসাতে মিথ্যা কথা বলে টাকাটা নিল সুমন। পিসি ঠিক করাল। আর ডলার থেকে যে টাকা পাইছিল ওইটা দুইদিনেই শেষ। ধার শোধ, একটু পেট ভরে খেতে গিয়ে টাকা শেষ। ধার তো ১০% এর মত ও শেষ হইনি। মডেম এ প্যাকেজ নেবে কিভাবে। আবার ধার। তো কাজ চলে আবার চলেনা করে ২ মাস শেষ। ক্যামনে যে গেল আল্লাই জানে। তো সব যোগার করে আবার বিড করা সুরু করলো সুমন। এইবার দেশি একটা বায়ার পেল। এই বায়ার টা সুমন কে নিয়মিত কাজ দিতে থাকল। খুব কম রেট, কিন্তু নিয়মিত কাজ দিত আর টাকা দিত। আস্তে আস্তে সুমন বুজতে শিখল। বিড করতে থাকল। মানিবুকারস অ্যাকাউন্ট খুলল। চলতে থাকল। বেশ কিছু ধার সে শোধ করে দিছে ।

এর পর হটাত সুমনের সব ডলার সহ মানিবুকারস অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে গেল। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না। সুমনের পিসি আবার নষ্ট। মানিবুকারস সাসপেন্ডেড। আবার অনিশ্চিত সুমনের ফ্রীলাঞ্চিং ক্যারিয়ার। ওই সমই সুমনের ফ্রীলাঞ্চিং অ্যাকাউন্ট এ কিছু ডলার ছিল। ওইটা সিস্টেমে তুলে কোনোরকম পিসি ঠিক করলো। কিন্তু মডেম! না, সুমন বেশ কিছু ধার শোধ করে ফেলেছে। তাকে অনেকে এখন ধার দেই। তো মডেম হল। কাগজপত্র দিয়ে মানিবুকারস ঠিক হল। ফ্রীলাঞ্চিং চলতে থাকল। এরই মধ্যে ১০-১২ মাস শেষ হয়ে গাছে। কোনোরকম খেয়ে পরে বেচে ছিল সুমন।১ বছর ৪ মাস পর মানে ১৬ম মাসে সুমনের ইঙ্কাম ১২০০ ডলার এর উপরে। এখন সে প্রতি মাসে $১০০০ ইঙ্কাম করার লক্ষ্য নিয়ে মাস শুরু করে। সুমনের এখন অনেক বন্ধু। তাকে দেখলেই কাসে আসে। খোঁজ খবর নেয়।
এর মধ্যে সুমনের আরো কত যে ঝামেলা পোহাতে হইছে তার সব লিখতে গেলে লিখাটা আরো অনেক বড় হয়ে যেত। তাই সংক্ষেপে শেষ করলাম। এই খানে সুমন পেরেছে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়েও  ফ্রীলাঞ্চিং এ নিজেকে তুলে নিয়ে আস্তে, তবে আপনি পারবেন না ক্যানো ?

Sunday, 11 March 2012

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ফ্রি-কথন….বিড করা সংক্রান্ত কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিকস

                بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم
টিউন: অয়ন
ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার পেছনে যে মৌলিক বিষয়গুলো রয়েছে তাদের মধ্যে বিড করার ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। মনে করি এই কারনে যে , ফ্রিল্যান্সিং আপনার গৎবাধা কাজের মত নয়।এখানে আপনাকে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে , প্রতিযোগিতা করতে হবে ও সর্বোপরি সময়ের সাথে সাথে নিজের কোয়ালিটিকে আরও উন্নত করতে হবে। এখন , কথা হল আপনি তখনই আপনার দক্ষতা , সময়ানুবর্তিতা ও কাজের প্রতি আপনার ডেডিকেশান দেখানোর সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র যখন আপনার হাতে কাজ থাকবে।আপনার হাতে যদি কাজ নাই থাকে তাহলে সেখানে সফলতার জন্য দরকারি অন্য ব্যাপারগুলো অর্থহীন হয়ে যায়।আর কাজ পেতে হলে ভালো বিডিং অপরিহার্য বিশেষত যখন আপনি নতুন শুরু করতে যাবেন কিংবা কোন নতুন বায়ারের সাথে কাজ করতে যাবেন। আমার আগের পোস্টের মত এখানেও আমি শুধু নিজের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার চেস্টা করব।গতানুগতিক উপদেশ আসলে কোন ভালো পদ্ধতি বলে মনে হয়না আমার কাছে।

আমি প্রথম কবে বিড করেছিলাম সেটা ঠিক মনে নেই।সম্ভবত ২০০৯ এর কোন এক সময়ে হবে।আর প্রথম কাজ পেয়েছি ২০১১ এর সেপ্টেম্বর মাসে।অর্থাৎ যদি আক্ষরিক অর্থে সময় হিসাব করেন তাহলে তাহলে দুই বছর।যদিও মাঝের এই সময়টা আমি এই ব্যাপারে মোটেও সিরিয়াস ছিলাম না।তবে মাঝে মধ্যে কোন ওডেস্ক জাতীয় কোন সাইটে গেলে হয়ত টুকটাক বিড করেছি কোন কোন সময়। তবে যেহেতু আমি লিখতে বসেছি , :) ধরি আমি সেই দুই বছর জানপ্রাণ দিয়ে চেস্টা করেছি কাজ পাবার।কিন্তু কোন কাজ পাইনি।সত্যি কথা হল কোন বায়ার কখনই আমার বিডের উত্তরই দেয়নি , কাজ পাওয়া তো পরের ব্যাপার। এই প্রসঙ্গ টেনে আনার কারন হল , হয়ত আপনি বিড করেই যাচ্ছেন কাজ পাওয়ার জন্য কিন্তু বায়ারের কাছ থেকে সাড়াই পাচ্ছেন না কাজ তো দূরের কথা।কিন্তু কেন ?? উত্তরটা পেয়েছি বা বলতে পারেন ঠেকায় পড়ে বুঝেছি গত কয়েক মাসে।একটু তুলে ধরি ,
আমার মোটামুটি পার্মানেন্ট একজন বায়ারের কথা বলি।ওনার সাথে আমি বেশ কয়েকটা প্রজেক্টে কাজ করেছি।আমি যখন একটা কাজ সফলভাবে শেষ করি এরপর তার সাথে আমার পরবর্তি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা ও টাকাপয়সা ফাইনাল হয়।এরপর উনি সাইটে গিয়ে প্রজেক্ট পোস্ট করেন ও আমি সেখানে বিড করি।তার মানে টা তাহলে কি দাঁড়ালো ভাবুন তো।দেখেন , তিনি যেহেতু প্রজেক্ট পোস্ট করেছেন অবশ্যই সেখানে অন্ত:ত ১০-১৫ জন বিড করে থাকে।তিনি তাদের ভিতর অনেকের ইন্টারভিউও নেন।কিন্তু কাজ কে পাবে আর কত টাকায় পাবে সেটা কিন্তু আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে।বাকিটা লোক দেখানো। কাজেই আপনি ধরে রাখতে পারেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কারনে আপনার বিডের কোন জবাব আপনি পাচ্ছেন না।আর এটা যদি কারন না হয় অর্থাৎ বায়ার যদি নতুন কাউকে দিয়ে কাজ করাবেন বলে ঠিক করে থাকেন তাহলে আপনার চেয়ে ভালো রেটিং আছে এমন কেউ আপনার চেয়ে ভালো বিড করে বায়ারের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন এটা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।অন্ত:ত এটা ভেবে আপনি নিজের কভার লেটারকে আরো ভালো করতে চেস্টা করবেন।

মনোযোগ আকর্ষণের ব্যাপারটা কভার লেটার লেখার ব্যাপারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।খুব ভালো হত যদি অংকের মত কোন সূত্র থাকতো এটার । দুর্ভাগ্যবশত সেটা নেই কারন এখানে কোন "সায়েন্স" নেই , সোজা বাংলায় বলতে গেলে আমি বলব কভার লেটার বা বিডিং হল একটা "চাপাবাজি"।আর জানেনই তো, "চাপাবাজি" একটা শিল্প যদি ধরা না পড়েন ।কাজেই যেহেতু , সোজাসাপ্টা কোন নিয়ম নেই যে , সেই ফরম্যাটে কভার লেটার লিখলে আপনি সাড়া পাবেনই পাবেন। তাই আমরা যেটা করতে পারি তা হল নিজেদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করতে পারি।গুড প্র্যাকটিসগুলো আলোচনা করতে পারি।অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা আশা করি এখানে তাদের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন যাতে আমাদের সবার উপকার হয়।আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় নিচের পয়েন্টগুলো আমার কাছে ইফেক্টিভ মনে হয়েছে।
১ . প্রথম কাজ হল যে কাজে বিড করবেন সেটার ডেসক্রিপশান ভালোমত খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ুন।পুরোটা বুঝতে চেস্টা করুন বায়ার কি চেয়েছে।এটা যখন পড়বেন অবশ্যই কিছু প্রশ্ন আপনার মনে জাগবে।কারন কাজের পুরো বর্ণনা খুব একটা থাকেনা।যে প্রশ্নগুলো বা পয়েন্টগুলো আপনার ক্লিয়ার হওয়া দরকার সেগুলো মনে মনে ঠিক করুন বা আরও ভালো হয় লিখে ফেলুন।
২ . কভার লেটারে আমি মূলত এমন কথাবার্তার প্যাটার্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করি।প্রথমে একটা ভালো সম্ভাষণ জানিয়ে শুরু করুন ও নিজের পরিচয় দিন। এরপর সংক্ষেপে বলুন যে , আপনার প্রজেক্টের ব্যাপারে পড়লাম , আমি আগ্রহী এ ব্যাপারে , কিন্তু এই পয়েন্টগুলিতে আমার কিছু জানার ছিল যে আপনি আসলে কি চাচ্ছেন। এরপর আপনার আগের ঠিক করা প্রশ্নগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখুন। সবশেষে লিখুন আপনি কতদিন সময় নিতে চান কাজ শেষ করতে এবং টাকাপয়সা কত নিতে চান এরপর হালকা তৈলমর্দন সহকারে শেষ করুন।
৩ . যদিও বলেছি কভার লেটার পুরাই একটা চাপাবাজি কিন্তু মনে রাখবেন কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না।দেখা গেল অতিরিক্ত তেল দিতে গিয়ে বায়ারকে বোঝালেন যে আপনি অমুক এক্সপার্ট , তমুক এক্সপার্ট এই পারেন সেই পারেন , এই কাজ আপনার বাম হাতের কাজ ইত্যাদি।বায়ার হয়ত আপনাকে বিশ্বাস করে আপনাকে কাজ দিয়ে দেবে কিন্তু ফলাফল ভালো নাও হতে পারে।এই কাজ করে আমাকে একবার কমপক্ষে ৩০০ ডলারের কাজ মাত্র ৫০ ডলারে করতে হয়েছিল , ভাব নিতে গিয়ে প্রজেক্টের কাজের এস্টিমেশান ভুল করেছিলাম।পরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।শুধু রেটিং পাবার জন্য সহ্য করে কাজ করতে হয়েছে।কাজেই গুড প্র‌্যাকটিস হল , নিজের ব্যাপারে সৎ থাকুন। নিজের ব্যাপারে বাড়তি কথা বললে বেশিরভাগ বায়ারই সাড়া দেবে না।
৪ . ফেসবুক বা মেসেন্জারে চ্যাট তো জীবনে আমরা অনেক করেছি।কাজেই আমরা একাজটা আশা করি ভালোই পারি। অনেক বায়ার স্কাইপিতে চ্যাট করে ইন্টারভিউ নেন।চ্যাট করতে পারলে বায়ারকে কনভিন্স করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।যদি সম্ভব হয় তাহলে ট্রাই করতে পারেন তবে অনেক সাইটই নিজেদের সাইটের বাইরে যোগাযোগ করতে দেয়না।ধরা খাইলে সুলেমানি ব্যান খাইতে পারেন।
সবচেয়ে বড় কথা যেটা , কভার লেটার কিংবা বায়ারের সাথে মেসেজ চালাচালির সময় নিজের কথায় ও কাজে সৎ থাকুন।নিজের দেশে সততার মূল্য না থাকলেও বাইরের দেশের লোকজন আপনার সততার দাম দেবে।ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে খুব ভালোমত অনুভব করেছি এটা। শুধু বিড করা কিংবা মেসেজ চালাচালির সময় না , বরং কাজ পেয়ে গেলে সফলভাবে শেষ করার পুরো প্রক্রিয়াতেই বেশি লাভ করতে গিয়ে নিজের সততাকে বিসর্জন দেবেন না কখনও।বাইরের বায়ারদের কাছে বাংলাদেশিদের একটা সম্মান আছে , আর সেটা এ কারনেই। সামনে একটা পোস্টে বিভিন্ন এমপ্লয়ারের সাথে কাজ করার একইসাথে মজার ও তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।

** পূর্বে সামহয়্যারইনব্লগে প্রকাশিত।