Thursday 12 April 2012

হজ্বের দোয়া ও নিয়ম-কানুন [শেষ পর্ব]

                             بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


তাছাড়াআর কোন বসতি সেখানে ছিল না। বলা হয়েছে ৈ“গয়রা জি যারইন ইন্দা বায়তিকাল মুহাররম” কোন বাড়ী-ঘর নেই; ধু-ধু মরম্নভূমি ছাড়া আর কিছু নেই।
এই কাবা ঘরের নিকটে সর্বপ্রথম বসতি হলো মা হাজেরা এবং হযরত ইসমাইল (আঃ)। তাঁর পর ইসমাইল (আঃ) থেকেই মক্কার বসতি গড়ে উঠেছিল। সে কারণে মক্কার মানুষদেরকে ইসমাইলী আরবও বলা হয়। আর মুহাম্মদ (সঃ)-এর জন্ম মক্কার কুরাইশ বংশে। সে হিসেবে তিনিও হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর বংশধর। ইব্রাহিম (আঃ) তাঁর বংশে যে নবীর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন তিনি হলেন হযরতমুহাম্মদ (সঃ)। আলস্নাহতায়ালা হযরত ইবাহিম (আঃ)-এর দোয়া শেষহলে আদেশ করলেন, “হে ইব্রাহিম মানুষদেরকে হজ্বের জন্য আহবান কর। মানুষেরা পায়ে হেঁটে আসবে। সওয়ারিতে আরোহণ করে করে আসবে।” আরো বললেন, হে ইব্রাহিম ও ইসমাইল! তোমরা উভয়ে আমার এই ঘর কাবা শরীফকে ইতেকাফকারী, তওয়াফকারী, রম্নকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য পুতঃ পবিত্র রাখবে।” সুতরাং ইব্রাহিম (আঃ)-এর সময় হতেই হজ্বের এই প্রচলন পরবর্তীতে সকল নবী এবং তাদের উম্মতদের মাধ্যমে এটি সংঘটিত হয়ে আসছে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সঃ) একটি ভাষণ দিলেন, সেখানে তিনি বললেন, আলস্নাহ যাদের উপর হজ্ব ফরজ করে দিয়েছেন তাদের তা আদায় করা উচিৎ (মুসলিম)। আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মুসলমানদের অভ্যাস হলো বৃদ্ধ বয়সে হজ্ব করতে যাওয়া। অনেকে আশংকাকরেন যুবক বয়সে হজ্ব করতে গেলে ফিরে এসে হয়ত হজ্বের মর্যাদা রড়্গা করতে পারবে না। এটা সঠিক নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুনতারা যুবক বয়সেই হজ্ব করতে যাচ্ছেন। কেননা হজ্ব অত্যন্ত শ্রমসাধ্য কাজ। এটা দৈহিক সড়্গমতা থাকতে থাকতেই না করলে বৃদ্ধ বয়েসে পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করা সম্ভব নয়। আমি নিজে শুনেছি অনেক বৃদ্ধ হাজী হজ্ব করে দেশে এসে আফসোস করে বলেন, যদি আরো আগে যেতে পারতাম! কেননা অনেক কাজই সঠিকভাবে আদায় করতে পারেননি। নিজের মনে তখন খারাপ লাগে। তাই যখনই হজ্ব ফরজ হয় তখনই তা আদায়করা উচিৎ।
বিলম্ব করা উচিৎ নয়। কারণ কার কখন হায়াত শেষ হয়ে যায় তাতো বলা যায় না। এমন যদি হয় কারো হজ্ব ফরজ হলো। আর তিনি ইচ্ছা করে বিলম্বে হজ্ব করার ইচ্ছা পোষণ করলেন।এর মধ্যে হজ্ব করার পূর্বেই তার হায়াত শেষ হয়ে গেল অর্থাৎ মৃত্যু এসে গেল। সে অবস্থার উলেস্নখ করে রাসুল (সঃ) আফসোস করে বলেছেন, কেউ যদি হজ্ব না করে ইহুদী কিংবা নাছারা হয়ে মারা যায় তাহলে আমার পড়্গ থেকে তার জন্য কোন সুপারিশ নেই। একবার একদলমহিলা রাসুল (সঃ)-এর কাছেএসে জিহাদের অনুমতি চাইলে, রসুল (সঃ) তাদের বললেন, মেয়েদের জন্য হজ্বই হলো জিহাদ। মেয়েরা যদি হজ্ব করে তাহলে হজ্বের সোয়াব তাঁরাও পাবে। বিদায় হজ্বের সময় খাস্‌আম গোত্রের এক মহিলা তাঁর পিতার অসুস্থার কথা জানালে রসুল (সঃ) ঐ মহিলাকে তা আদায় করার জন্য বললেন। হযরত আবু রাজিন উকাইলী (রাঃ) বলেন,আমার পিতা অড়্গম, অসুস্থ রসুল (সঃ) বললেন, তোমার পিতার পড়্গ হতে তুমি তা আদায় করে দাও। পরিশেষে এটুকু বলেই শেষ করতে চাই হজ্ব আমাদের মিলস্নাতের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) থেকে মহানবী (সঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও তার উম্মতদের উপর ফরজ ছিল। কেয়ামত পর্যন্ত এই ফরজ বলবত থাকবে। তাই আমাদের সামর্থবান সকলকে আল্লাহতায়ালা সঠিক সময়ে হজ্ব সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন।


 

  যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !
 

0 comments

Post a Comment

Thanks for comment