Showing posts with label হাদিসের আলো. Show all posts
Showing posts with label হাদিসের আলো. Show all posts

Monday, 16 April 2012

বৃষ্টির সময় দুআ প্রত্যাখাত হয় না


সাহল ইবনে সাদ (রা) বর্ননা করেন রাসুল (সা) বলেছেন, "দুই সময়ে দুয়া প্রত্যাখাত হয় না। যখন নামাযের জন্য আযান দেয়া হয় আর বৃষ্টির সময়"

                                  (আল হাকিম,২ঃ১১৪ , আবু দাউদঃ ২৫৪০, ইবনে মাযাহ)

নামাযঃ মুসলিম এবং কুফর ও শিরক এর মধ্যে পার্থক্যকারী




                                   বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম

 

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন ‘‘মু’মিন ও কাফির-মুশরিকদের
মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামায পরিত্যাগ করা। অর্থাৎ

মু’মিনেরা নামায পড়ে, আর কাফির-মুশরিকরা নামায

পড়ে না।"

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন

—“নিশ্চয়ই মানুষ ও কুফরীর (শিরক)

মাঝে পৃথককারী বিষয় হচ্ছে সালাত ত্যাগ

করা।”
                     (সহীহ মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘আমাদের ও তাদের

(অমুসলমানদের) মধ্যকার পার্থক্য সূচক অঙ্গীকার

হচ্ছে নামায। অতএব, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল

সে কুফরী করল।”

                     
(মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী,

ইবনে মাজাহ)

আর এখানে কুফরীর অর্থ হলো, এমন

কুফরী যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।

কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

সালাতকে মু’মিন ও কাফিরদের

মাঝে পার্থক্যকারী বলে ঘোষণা করেছেন।

আবু হুরায়রা [রাঃ] থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ

সল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন,

তোমাদের কারো দরজার সামনে যদি একটা নহর

থাকে আর সে যদি তাতে দিনে পাঁচবার গোসল

করে তবে তার শরীরে কোন

ময়লা থাকতে পারে বলে কি তোমাদের ধারণা হয়?

সাহাবীরা বললেন, কোন ময়লা থাকতে পারে না।

তিনি [রসূল সাঃ] বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতও তদ্রুপ।

এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়া'লা গুনাহসমূহ বিলীন

করে দেন।

                         
{সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৮৬৮}

"কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার সালাতের হিসাব

হবে। যদি সালাত ঠিক হয় তবে তার সকল আমল সঠিক

বিবেচিত হবে। আর যদি সালাত বিনষ্ট হয় তবে তার

সকল আমলই বিনষ্ট বিবেচিত হবে।"             
(তিরমিযি:২৭৮)


Saturday, 14 April 2012

খাবার সম্পর্কিত কিছু হাদিস

রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন- " আদম সন্তানের জন্য কয়েক লোকমা খাদ্য যথেষ্ট, যা দিয়ে সে তার কোমর সোজা রাখতে পারে (ও আল্লাহর ইবাদত করতে পারে)। এরপরেও যদি খেতে হয়, তবে পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাদ্য ও একভাগ পানি দিয়ে ভরবে এবং একভাগ খালি রাখবে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য’। [84]


তিনি বলেন-" এক মুমিনের খানা দুই মুমিনে খায়। দুই মুমিনের খানা চার মুমিনে খায় এবং চার মুমিনের খানা আট মুমিনে খায় (অর্থাৎ সর্বদা সে পরিমাণে কম খায়)। [85]    কেননা মুমিন এক পেটে খায় ও কাফের সাত পেটে খায় (অর্থাৎ সে সর্বদা বেশী খায়)।" [86]


 

[84] . তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৫১৯২, ‘হৃদয় গলানো’ অধ্যায়-২৬,পরিচ্ছেদ-২।
[85] . মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৭৮, ‘খাদ্য সমূহ’ অধ্যায়-২১, পরিচ্ছেদ-১।
[86] . বুখারী, মিশকাত হা/৪১৭৩।

Friday, 13 April 2012

আমাদের উচিত হাই নিয়ন্ত্রন করা

                      !!বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম!!

নবী (সঃ) বলেন-  " হাই শয়তান হতে আসে , তাই তোমাদের কেউ যদি হাই তোলে, তার উচিত তা যথা সম্ভব নিয়ন্ত্রন করা "

                                                          [মুসলিম]














        


         [মুসলিম]

Thursday, 12 April 2012

ওযু একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত

 

নবী (সঃ) বলেছেন -    " নামাজ বেহেশতের চাবি  আর  নামাজের চাবি  হল  ওযু "।

                        ( তিরমিযী)

দয়াময় আল্লাহ

                      " বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম "

 

আবু হুরাইরা হতে বর্নিত : তিনি বলেন - আমি আল্লাহর দূত নবী (সঃ) থেকে এই বলতে শুনেছি যে, "আল্লাহ তাঁর দয়াকে এক শত ভাগে বিভক্ত করেছেন যার নিরানব্বুই অংশ তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে এর একটি অংশ নিচে পাঠিয়েছেন এই এক  অংশের কারণে তাঁর সৃষ্টিগুলো একে অন্যের সাথে এত দয়া প্রদর্শন করে, এমনকি ঘোটকীও তার খুরগুলোকে এর শিশুর কাছ থেকে দূরে রাখে পাছে তা তার শিশুটিকে পদদলিত না করে।"

                                                                       "সহীহ আল বুখারী" (গ্রন্থ ৭৩ :: হাদীস ২৯)

Wednesday, 11 April 2012

৩০টি প্রয়োজনীয় হাদিস

                                      




১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে পর্যন্ত কোন ব্যক্তির অন্তরে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানব সমাজ হতে আমি অধিকতর প্রিয় না হই সে পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পূর্ন ঈমানদার হইতে পারবে না।
০২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুসরন করে সে তাদেরই দলভুক্ত।
০৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুসলমানকে নিন্দা করা কবিরা গুনাহ।
০৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দিবার জন্য খাদ্যসহ যাবতীয় জিনিসপত্র বেশী দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করিয়া রাখে আল্লাহ তায়ালা তাকে কষ্ট, রোগ ও দারিদ্রতার রোগে আক্রান্ত করিবেন।
০৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদিস আমার উম্মৎকে পৌঁছাইয়া দিবে কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছভাবে সুপারিশ করিব।
০৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আযান ও ইকামতের সময় যে দোয়া চাওয়া হয় তা রদ হয় না।
০৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে জামাতের সহিত ঈশার নামায আদায় করে তাকে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়। আর যদি সে ফজরের নামাযও জামাতের সহিত আদায় করল তাকে বাকি অর্ধেক রাত্রি ইবাদাতের সওয়াব দেওয়াহয়।
০৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মাগরিবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মন্দ কথা না বলেপড়ে তাহাকে ১২ বৎসর ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।
০৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তিকেদ্বীনের কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে গোপন করে কেয়ামতের দিন তাহাকে আগুনের লাগাম পরান হইবে।
১০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যার বুকে কোরআনের কিছুই নাই সে যেন ধ্বংশ হওয়া ঘরের ন্যায়।
১১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কোরআন পড়িয়া ভুলিয়া যায় কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর সহিত কান ও নাক কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে।
১২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- বসিয়া থাকার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কেবলামুখী হইয়া বসা।
১৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুমিনকে চিনিবার উপায় এই যে, সে হবে দাতা ও সাদা সিধা দরনের লোক।
১৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- এক ঘন্টা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা ৭০ বৎসরের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
১৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যখন কোন বান্দা সেজদাতে থাকে তখন সে আল্লাহর অতি নিকটে থাকে। সুতরাং বেশী করিয়া দোয় চাও।
১৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে মদ পান করেন আল্লাহ তায়ালা তাহার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না।
১৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার দুই বিবি অথচ উভয়ের সাথে ন্যায় বিচার করে নাই কেয়ামতের দিন তাহার বাহু বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।
১৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- গরীব লোক ধনবান লোকদের চাইতে ৫০০ বৎসর আগে বেহেস্তে যাইবে আর ৫০০ বৎসর কেয়ামতের অর্ধ দিবসের সমান।
১৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের পিতামাতার নিকট হতে ফিরিয়া যাইওয়া। যে পিতা মাতার নিকট হইতে ফিরিয়া যায় সে কাফেরে গন্য।
২০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তিনটি বিষয়েরজন্য আরববাসীকে ভালবাস। কেননা আমি আরববাসী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতবাসীদের ভাষা আরবী।
২১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি গরীব ও বিধবার সাহায্যে দৌড়ায় সে ঐ ব্যক্তির ন্যয় যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য দৌড়ায়।
২২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কেহ জুমুআর দিন ১ হাজার বার দুরুদ শরীফ পাঠ করিবে সে মৃত্যুর পূর্বে তাহার বাসস্থান বেহেস্ত দেখিয়া লইবে।
২৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমরা কবর যিয়ারত করিও কারন ইহা মানুষকে মৃত্যু স্মরনকরাইয়া দেয়।
২৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করিবেনকিন্তু যে সকল লোক বাহাদুরীর সহিত প্রকাশ্যে পাপ করে তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন না।
২৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি পিতা মাতা বা কোন একজনের কবর সপ্তাহে একবার জিয়ারত করে তাহার গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয় এবং বাধ্য সন্তান বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়।
২৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- পেশাব সম্পর্কে খুব সতর্কতাঅবলম্বন কর। কেন না অধিকতর কবরেরর আযাব ইহার জন্যই হইবে।
২৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার উপর দুরুদ পড়া ভুলে গিয়েছে সে বেহেস্তের পথ ভুলিয়া গিয়াছে।
২৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহারা স্ত্রী লোকদের পর্দায়রাখেনা বা পর্দায় রাখতে শাসন করে না এবংতাহাদিগকে কোন কুকার্য করিতে দেখিলেও মানা করেনা তাহারাই দাইউছ। দাইউছবেহেস্তের সুগন্ধি কিছুই পাইবে না। তাহাকে ৫০০ বৎসর দূর হইতে দোযখে ফেলিয়া দিবে। তাহাদের জন্য বেহেস্ত হারাম।
২৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার অন্তরের মধ্যে সরিষা পরিমান অহংকার থাকিবেসে বেহেস্তে যাইবে না।
৩০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যেরুপ পানি দ্বারা শস্য উৎপাদন হয় সেরুপ গান বাজনা দ্বারা মানুষের মনে মোনাফেকী ও কপটতার বীজ অংকুরীত হয়।