Thursday, 12 April 2012

জুতা চোর

                          بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


একবার মওলানা কাসেম নানোতূবী (রঃ ) কে শিয়া আলেমগণ চ্যালেঞ্জ করেন। সুতরাং বিরাট 

বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল।শিয়া আলেমগণে মঞ্চ ভরে গেল।
 
চারদিকে অসংখ্য শিয়া ও সুন্নী জনতা। কিন্তু কোন সুন্নি আলেমের দেখা নাই। চারদিকে রব উঠলো

 “মওলানা কাসেম কৈ”? সুন্নী জনতা লজ্জায় মাথা নত করে রইলো।শিয়া আলেমগণ ভাবলেন

 “আমাদের সাথে পেরে উঠবে না, এই ভয়ে সুন্নী আলেমরা অনুষ্ঠানেই আসে নাই”। তাই তারা

 একতরফা ভাবে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে অনুষ্ঠান শেষ করার উদ্যোগ নিলো।

 
এমন সময় দেখা গেল একজন লোক জনতার পেছন থেকে নীল লুঙ্গি, সাদা টুপি ও মার্কিন কোর্তা 

গায়ে দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়া আসছেন।ইনিই মওলানা কাসেম(রঃ )। সবার দৃষ্টি মওলানা 

কাসেম(রঃ ) –এর দিকে। মওলানা সাহেব পায়ের জুতা বগলে চেপে রেখেছেন।
 
সবাই বললো, “হুজুর জুতা জোড়া এক পাশে রেখে দেন”।
 
মওলানা সাহেব বললেন “না, এখানে জুতা রাখা যাবে না।শিয়ারা জুতা চুরি করে।“
 
শিয়া আলেমগণ অবাক ও উত্তেজিত হয়ে বললেন, “কোথায় দেখেছেন শিয়াদের জুতা চুরি করতে? 

কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে?”
 
মওলানা সাহেবঃ কেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর মজলিস থেকে একজন শিয়া ব্যক্তি জুতা চুরি 

করেছিলেন।
 
শিয়া আলেমগণ : কি বলেন! রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় শিয়া মতবাদ চালুই হয় নাই, শিয়া

 ব্যক্তি আসবে কোথা থেকে? আপনি ইতিহাসের কিছু জানেন?

 
মওলানা সাহেবঃ মাফ করবেন,আমি ভুল বলেছি, রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় নয়, ছাহাবাদের 

যামানায়। ছাহাবারা তালিমে মশগুল ছিলেন এমন সময় একজন শিয়া ব্যক্তি তাদের জুতা চুরি 

করেছিলেন।শিয়া আলেমগণ : মিথ্যা কথা।ছাহাবাদের যামানায়ও শিয়া মতবাদ চালু হয় নাই।

 সেই সময় কোন শিয়া ছিলোনা।
 
মওলানা সাহেবঃ তাহলে এটি তাবে

য়ীনদের যামানার ঘটনা।

 
শিয়া আলেমগণ : অসম্ভব! তাবেয়ীনদের সময়ও কোন শিয়াছিলোনা।
 
মওলানা সাহেবঃ তাহলে নিশ্চই ঘটনাটি তাবে-তাবেয়ীনদের যামানার।
 
শিয়া আলেমগণ : ইতিহাস সাক্ষী যে এই চারটি যামানার কোনটিতেই

শিয়া ছিলোনা। কারণ শিয়া মতবাদ চালু হয়েছে এই চার যামানার অনেক পরে। সুতরাংশিয়াগণ

 জুতা চুরি করতেই পারে না।

 
 
মওলানা সাহেবঃ এই চার যামানার কথা বললেন, এর সাথে আমাদের কি সম্পর্ক বলতে পারেন?
 
শিয়া আলেমগণ : নিশ্চই বলতেপারি। এই চার যামানায় দেয়া ব্যাখ্যার ভিত্তিতেই আমরা মুসলমান। 


এর পরে দেয়া সব ব্যাখ্যাই বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত।
 
মওলানা সাহেবঃ কিন্তু একটু আগেই না আপনারা বললেন এই চার যামানায় কোন শিয়া ছিলোনা। 

তাহলে কি আপনারা সেই মতবাদ গ্রহণ করেন নাই যা ওই চার যামানার পরে সৃষ্টি হয়েছে। 

আপনাদের মত অনুসারেই যা বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত?
 

শিয়া আলেমগণ নির্বাক হয়ে গেলেন, তারা মাথা নিচু করে বসে রইলেন। এমন কি জনতাও স্তব্ধ 

হয়ে বসে রইলো।
 
মওলানা সাহেব বগল থেকে জুতা বাহির করে পায়ে দিলেন। বিনয়ের সাথে ধীর কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপে 

জলসা থেকে বের হয়ে গেলেন। তিনি অনেক দূর চলে গেলেন, তখনও শিয়া আলেমগণ নির্বাক আর 

জনতা স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
 

-:- আজকে আমরা অনেকেই কোরআনের নাম করে ইসলামের অনেক নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন 

তুলি। কোরআন থেকে নতুন নতুন নিয়ম আবিষ্কার করি।
 
অনেকেই বিজ্ঞান দ্বারা কোরআন প্রমাণ করারও চেষ্টা করি। যদিও বিজ্ঞান আজকে যা বলছে 


কালকেও তাই বলবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
 
আমাদের মনে রাখা উচিত যে কোরআন আরবিতে লেখা হলেও সেটা কোরাইশদের আরবি, সাধারণ 

আরবি নয়। কোরাইশদের আরবি ভাষায় এখন আর কেউ কথা বলে না।
 
কোরআন বুঝতে হলে:
 
১- প্রথমে আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট জানতে হবে
 
২- তারপর জানতে হবে কোরাইশদের আরবি ভাষার ব্যকারণ।
 
৩- তারপরও আপনি অনেক ফ্রেজের অর্থ মেলাতে পারবেন না। কারণ কোরআন গদ্য নয়, পদ্য। 

সে কারণে আয়াত বোঝার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাহায্য লাগবে, অথবা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের

 দেয়া 

ব্যাখ্যা গুলো আপনার জানা থাকতে হবে।
 
== আমাদের সবারই উচিৎ কোরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করা। ==
 
-:- উপরার ৩টি শর্ত পুরণ হলে আপনিও কোরআন পড়ে এর বক্তব্য বুঝতে পারবেন। অন্যথায়

আপনাকে উপরার ৩টি শর্ত পুরণ করা ব্যক্তিদের দেয়া ব্যখ্যায় সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।
  
-:-ব্লগে বা বাস্তবে যারা ইসলামের অনেক নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন তুলি, এক্ষেত্রে দেখা যায় 

আমরা  কোরআনের অর্থ নিচ্ছি কোন তরজমা গ্রন্থ থেকে, তারপর সেই গ্রন্থে দেয়া ব্যাখ্যাকে পাশ 

কাটিয়ে নিজের মনমত কোন ব্যাখ্যা দিচ্ছি।
  
এখন আপনিই বলেন, আমরা কি উপরের ৩টি যোগ্যতা অর্জন করেছি? যোগ্যতা অর্জন না করে 

থাকলে আমাদের কি উচিত হবে কোরআনের এমন অর্থ করা যা সাহাবাদের সময়ে প্রচলিত অর্থের 

থেকে ভিন্ন?

মুসলিম বিবাহ আইন (শরিয়ত) সম্পর্কে কিছু তথ্য

                                     بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


ভারতবর্ষে মুসলিম আইন সৃষ্টি হয়েছে মূলতঃ কোরানের নির্দেশ থেকে। তবে নির্দেশগুলি সংশোধিত হয়েছে বিধানসভা ও লোকসভায়গৃহীত বিল এবং
 কোর্টের বিভিন্ন রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে।
 

মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুসারে বিবাহ বা নিকা হল পরস্পরের উপভোগের জন্য এবং বৈধ সন্তান উত্পাদনেরজন্য স্বেচ্ছায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এর 
প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
মুসলিম বিবাহ হতে গেলে এক পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব (ইজাব) আসতে হবে এবং অন্য পক্ষকে তাতে সন্মতি (কবুল) জানাতে হবে। সন্মতি 

ছাড়া বিবাহ বৈধ হবে না এবং এই সন্মতি কোনও শর্ত-সাপেক্ষ হওয়া চলবে না। উপরোন্তু এই সন্মতি আদায় করার জন্য কোনও রকম চাপ সৃষ্টি, মিথ্যার প্রশ্রয় নেওয়া বাকোনোরূপ প্রভাব খাটানো চলবে না। একই বৈঠকে প্রস্তাব ও সন্মতিদান সম্পন্ন করতে হবে এবং এগুলি করতে হবে সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করে। সাক্ষী থাকবে দুই জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুই জন নারী (সুন্নি আইন অনুসারে)। নারীসাক্ষীদের ক্ষেত্রে সাক্ষীদের হতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমনা ও মুসলিম। শিয়া আইনে বিবাহের সময় সাক্ষীরপ্রয়োজনীয়তা নেই।
মুসলিম বিবাহ আইনে নাবালকও অসুস্থমনা ব্যক্তিদের বিবাহ হওয়া সম্ভব, কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অভিভাবক বা কোনও প্রতিনিধি কর্তৃক এইবিবাহ-চুক্তি সম্পাদিত হবে। নাবালকরা প্রাপ্ত-বয়স্ক হবার পর চাইলে এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
এই বিবাহের অধিকার ও দায়ের মধ্যে রয়েছে বিবাহের আগে, বিবাহের সময়ে অথবা বিবাহের পরে উভয়পক্ষের মধ্যে যে বোঝাপড়া (শর্ত) হবে, তা যদি মুসলিম আইন বা সাধারণ নীতির পরিপন্থী না হয়, তাহলে সেই শর্ত বাধ্যতামূলক হবে।
মুসলিম বিবাহ আইনে দেনমোহরের ব্যবস্থা আছে। দেনমোহরে একটি অর্থের পরিমান নির্দিষ্ট করা হয়, যেই পরিমান অর্থ স্ত্রীকেদিতে স্বামী বাধ্য থাকবে।বিবাহের সময়ে বা পূর্বে এই দেনমোহর স্থির হয়। অবশ্য পরেও করা যেতে পারে। দেনমোহরকে বিবাহ-চুক্তির মূল্য বা শর্ত বলা চলে না (মুসলিম বিবাহেকোনও শর্ত থাকে না)। লাহোরও এলাহাবাদ হাইকোর্ট দেনমোহরকে স্ত্রীর মর্যাদাস্বরূপ বলে বিচার করেছেন - অর্থাত্ এটি হল আইনগত স্ত্রীর প্রাপ্য মার্যাদা। বিবাহ-চুক্তিতে যদি লেখাও থাকে দেনমোহর দিতে হবে না - সেক্ষেত্রেও দেনমোহর স্ত্রীর প্রাপ্য। অন্যপক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের মতে, দেনমোহর হল সম্পত্তির মূল্য।
মুসলিম বিবাহ আইনে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ। সেই আত্মীয়তা রক্ত-সম্পর্কিত হতে পারে (যেমন, পুরুষের ক্ষেত্রে তার মাতা, মাতামহী, কন্যা, পৌত্রী, ইত্যাদি), কিংবা অন্য কোন নিকট আত্মীয় হতে পারে (যেমন, পুরুষের ক্ষেত্রে শাশুড়ি, স্ত্রীরপূর্ববিবাহজাত কন্যা, বিমাতা, ইত্যাদি)।
এই আইন অনুসারে পুরুষরা একসঙ্গে চারটি বিবাহ করতেপারে। কিন্তু নারীদের পক্ষে একই সঙ্গে একাধিক স্বামী থাকা নিষিদ্ধ।
মুসলিম বিবাহ আইনে অনেক অবৈধ বিবাহ বৈধ হয়ে যায় যখন অবৈধতার কারণ লুপ্ত হয়। যেমন, চারটি স্ত্রী বর্তমান থাকলেও কেউ যদি আবার বিবাহ করে, তাহলে সেইবিবাহ অবৈধ। কিন্তু সে যদি একজন স্ত্রীকে তালাক দেয় (বা পরিত্যাগ করে), তাহলে তার অবৈধ বিবাহটি বৈধ হয়ে যায়। কোনও নারীর ইদ্দতের সময়কালে তাকে বিবাহ করলে সেই বিবাহ অবৈধ, আবার ইদ্দতের সময়ে পার হয়ে গেলেই সেটি বৈধ বলে গণ্য হবে।
(ইদ্দত: স্বামীর মৃত্যুর পর বা বিবাহ-বিচ্ছেদের পর মুসলিম নারী যে-সময়ের জন্য [মোটামুটিভাবে তিনমাস বা তার অধিক] একা থাকে)।
সুন্নি পুরুষ যদি কোনও মুসলিম নারী বা কিতাবিয়াকে (অর্থাত্, যে-ধর্মে ঈশ্বর-প্রদত্ত বাণী পুস্তকাকারে [বাইবেল, কোরান, ইত্যাদি] আছে - সেই ধর্মাবলম্বীকে) বিবাহ করে - তাহলে সুন্নি আইন অনুসারে সেটি বৈধ হবে। কিন্তু যে ধর্মে পৌত্তলিকতা আছে (যেমন, হিন্দু ধর্ম) - সেই ধর্মাবলম্বী নারীকে বিবাহকরতে পারে না। করলে, সেটিকে নিয়ম-বহির্ভূত বা অনিয়মিত বলে গণ্য করা হবে। শিয়া আইনে এটি শুধু অনিয়মিত নয়, এটি হবে অবৈধ।সুন্নি ও শিয়া - কোন আইনেইমুসলিম নারী কোনও অমুসলিমপুরুষকে (সে কিতাবিয়া হলেও) বৈধভাবে বিবাহ করতে পারে না। সুন্নি আইন অনুসারে সেটি হবে নিয়ম-বহির্ভূত বিবাহ। শিয়া আইন অনুসারে সেটি হবে অবৈধ।
যদিও কোরান ও হদিথে এ-বিষয়ে সমর্থন নেই, তবুও অন্যান্য চুক্তির মত বিবাহ-চুক্তিও যাতে ভঙ্গ করা যায় - তার ব্যবস্থা ভারতবর্ষের মুসলিম আইনে রয়েছে। The Dissolution of Muslim Marriage Act, ১৯৩৯ অনুসারে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে নারীরপক্ষে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে যাবার কয়েকটিশর্ত আছে:
১) চার বছর ধরে স্বামী নিখোঁজ;
২) দুই বছর ধরে স্বামী তাকে অবহেলা করছে বা ভরণপোষণ দেয় নি;
৩) স্বামী সাত বছর বা তার অধিক কালের জন্য কারাদণ্ডপেয়েছে;
৪) তিন বছর ধরে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দাম্পত্য কর্তব্য করে নি;
৫)দুই বছর ধরে স্বামীর মাথা খারাপ কিংবা কুষ্ঠরোগগ্রস্থ বা বাজে যৌনব্যাধিতে আক্রান্ত;
৬) বিবাহের সময় স্বামী অক্ষম ছিল এবং এখনও আছে;
৭) ১৫ বছর বয়স হবার আগে যে বিবাহ হয়েছিল, ১৮ বছর বয়সের আগেই সে বিবাহকে স্বামী অস্বীকার করেছে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক ঘটেনি;
৮) স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ করছে, যেমন, তাকে প্রহার করছে বা মানসিক ভাবে পীড়ন করছে, অসত্রমণীর সঙ্গে সংসর্গ করছে, স্ত্রীকে জোর করে অসামাজিক অবৈধ জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে, ধর্মীয় আচরণে হস্তক্ষেপ করছে, স্ত্রীর আইনসঙ্গত অধিকারে বাধা দিচ্ছে, কোরানের অনুশাসন অনুযায়ী সকল স্ত্রীদের সঙ্গে সম-আচরণ করছে না, ইত্যাদি।
পুরুষদের ক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদের একক ইচ্ছার আইনআছে। যে কোনও পুরুষ তিনবার তালাক উচ্চারণ করেস্ত্রীকে পরিত্যাগ করতে পারে। যার উদ্দেশ্যে তালাক দেওয়া হল, সে সেখানেনা থাকলেও এই বিচ্ছেদ স্বীকৃতি পাবে। তবে তালাকদেওয়া স্ত্রীকে সেই পুরুষআবার বিবাহ করতে পারবে না। তালাক-প্রাপ্তা সেই মুসলিম নারী যদি অন্য কোনও পুরুষকে বিবাহ করে এবং সেই বিবাহ ভেঙ্গে যায়,তখনই আবার তাকে বিবাহ করা যাবে।
শরিয়ত আইনে স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়েছে দুটি ক্ষেত্রে। এক হল জিহার, অর্থাত্ স্বামী যদি নিষিদ্ধ সম্পর্কের কোনও স্ত্রীর প্রতি আসক্ত হয় এবং তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে রাজি না হয়। সেক্ষেত্রে স্ত্রীআবেদন করলে আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আদেশ দেবে।

Wednesday, 11 April 2012

৩০টি প্রয়োজনীয় হাদিস

                                      




১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে পর্যন্ত কোন ব্যক্তির অন্তরে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানব সমাজ হতে আমি অধিকতর প্রিয় না হই সে পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পূর্ন ঈমানদার হইতে পারবে না।
০২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুসরন করে সে তাদেরই দলভুক্ত।
০৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুসলমানকে নিন্দা করা কবিরা গুনাহ।
০৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দিবার জন্য খাদ্যসহ যাবতীয় জিনিসপত্র বেশী দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করিয়া রাখে আল্লাহ তায়ালা তাকে কষ্ট, রোগ ও দারিদ্রতার রোগে আক্রান্ত করিবেন।
০৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদিস আমার উম্মৎকে পৌঁছাইয়া দিবে কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছভাবে সুপারিশ করিব।
০৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আযান ও ইকামতের সময় যে দোয়া চাওয়া হয় তা রদ হয় না।
০৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে জামাতের সহিত ঈশার নামায আদায় করে তাকে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়। আর যদি সে ফজরের নামাযও জামাতের সহিত আদায় করল তাকে বাকি অর্ধেক রাত্রি ইবাদাতের সওয়াব দেওয়াহয়।
০৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মাগরিবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মন্দ কথা না বলেপড়ে তাহাকে ১২ বৎসর ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।
০৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তিকেদ্বীনের কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে গোপন করে কেয়ামতের দিন তাহাকে আগুনের লাগাম পরান হইবে।
১০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যার বুকে কোরআনের কিছুই নাই সে যেন ধ্বংশ হওয়া ঘরের ন্যায়।
১১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কোরআন পড়িয়া ভুলিয়া যায় কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর সহিত কান ও নাক কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে।
১২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- বসিয়া থাকার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কেবলামুখী হইয়া বসা।
১৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুমিনকে চিনিবার উপায় এই যে, সে হবে দাতা ও সাদা সিধা দরনের লোক।
১৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- এক ঘন্টা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা ৭০ বৎসরের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
১৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যখন কোন বান্দা সেজদাতে থাকে তখন সে আল্লাহর অতি নিকটে থাকে। সুতরাং বেশী করিয়া দোয় চাও।
১৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে মদ পান করেন আল্লাহ তায়ালা তাহার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না।
১৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার দুই বিবি অথচ উভয়ের সাথে ন্যায় বিচার করে নাই কেয়ামতের দিন তাহার বাহু বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।
১৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- গরীব লোক ধনবান লোকদের চাইতে ৫০০ বৎসর আগে বেহেস্তে যাইবে আর ৫০০ বৎসর কেয়ামতের অর্ধ দিবসের সমান।
১৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের পিতামাতার নিকট হতে ফিরিয়া যাইওয়া। যে পিতা মাতার নিকট হইতে ফিরিয়া যায় সে কাফেরে গন্য।
২০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তিনটি বিষয়েরজন্য আরববাসীকে ভালবাস। কেননা আমি আরববাসী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতবাসীদের ভাষা আরবী।
২১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি গরীব ও বিধবার সাহায্যে দৌড়ায় সে ঐ ব্যক্তির ন্যয় যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য দৌড়ায়।
২২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কেহ জুমুআর দিন ১ হাজার বার দুরুদ শরীফ পাঠ করিবে সে মৃত্যুর পূর্বে তাহার বাসস্থান বেহেস্ত দেখিয়া লইবে।
২৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমরা কবর যিয়ারত করিও কারন ইহা মানুষকে মৃত্যু স্মরনকরাইয়া দেয়।
২৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করিবেনকিন্তু যে সকল লোক বাহাদুরীর সহিত প্রকাশ্যে পাপ করে তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন না।
২৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি পিতা মাতা বা কোন একজনের কবর সপ্তাহে একবার জিয়ারত করে তাহার গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয় এবং বাধ্য সন্তান বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়।
২৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- পেশাব সম্পর্কে খুব সতর্কতাঅবলম্বন কর। কেন না অধিকতর কবরেরর আযাব ইহার জন্যই হইবে।
২৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার উপর দুরুদ পড়া ভুলে গিয়েছে সে বেহেস্তের পথ ভুলিয়া গিয়াছে।
২৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহারা স্ত্রী লোকদের পর্দায়রাখেনা বা পর্দায় রাখতে শাসন করে না এবংতাহাদিগকে কোন কুকার্য করিতে দেখিলেও মানা করেনা তাহারাই দাইউছ। দাইউছবেহেস্তের সুগন্ধি কিছুই পাইবে না। তাহাকে ৫০০ বৎসর দূর হইতে দোযখে ফেলিয়া দিবে। তাহাদের জন্য বেহেস্ত হারাম।
২৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার অন্তরের মধ্যে সরিষা পরিমান অহংকার থাকিবেসে বেহেস্তে যাইবে না।
৩০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যেরুপ পানি দ্বারা শস্য উৎপাদন হয় সেরুপ গান বাজনা দ্বারা মানুষের মনে মোনাফেকী ও কপটতার বীজ অংকুরীত হয়।

Tuesday, 10 April 2012

ক্ষমাশীল আল্লাহ তা'আলা










"যখন স্বামী এবং স্ত্রী পরস্পর তাদের চেহারার দিকে ভালবাসা নিয়ে তাকায়, তখন উভেয়র দিকে আল্লাহ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে তাকান।" 

[বুখারি ৬:১৯ এবং তিরমিজি ১৪:৭৯ ] 

প্রয়োজনিয় একটি হাদিস

 

                      বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আবু হুরাইরা(রাঃ) হতে বর্ণিত:      নবী (সঃ) বলেন, "কেউ যদি রাতে ঘুম থেকে উঠে এবং অজু সঞ্চালন করে, সে যেন তিন বার নাকে পানি প্রবেশ করায় এবং তা বাহির করে দেয়। কারণ, শয়তান তার নাকের উপরের অংশে সারা রাত অবস্থান করে . "



আল Bukhaari ভলিউম 4, বুক 54, নম্বর 516

আসুস ডুয়েল কোর ল্যাপটপ



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


আসুস’র এ৪৪এইচ মডেলের নতুন ল্যাপটপ বাজারে এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। এতে রয়েছে ২.২ গিগাহার্জ গতির ইন্টেল ২য় প্রজন্মের ডুয়েল কোর প্রসেসর, আসুস পাওয়ার৪গিয়ার এবং পাম-প্রুফ টেকনোলজি, ২ জিবি র্যাম, ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক, ডিভিডি রাইটার, ১৪” ডিসপ্লে, বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স, ওয়েবক্যাম, এইচডি অডিও, ল্যান, ব্লুটুথ, ওয়্যারলেস ল্যান, মেমোরি কার্ড রিডার, ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট প্রভৃতি। মূল্য ৩৮,০০০ টাকা। ফোন: ০১৭১৩২৫৭৯৪২, ৮১২৩২৮১

আসছে স্যামসাংয়ের নমনীয় ডিসপ্লে


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম



টেক জায়ান্ট স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসি দিয়ে বাজার ধরে রেখেছে অনেকদিন থেকেই। এর বাইরে তাদের স্মার্ট টিভির ব্যবসাও চলছে ভালোমতই। তবে এছাড়াও তাদের অন্যান্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন থেমে নেই। বরং নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে তারা বাজার মাত করার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে ভালোভাবেই। গত বছরে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস)-এ তারা প্রদর্শন করেছিলো এক ধরনের নমনীয় ডিসপ্লে। তারপর দীর্ঘদিন এ নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হয়নি প্রযুক্তি বিশ্বে। স্যামসাং নিজেও তেমন কিছুই জানায়নি এটা নিয়ে। তবে তাদের কাজ যে থেমে ছিলো না একে নিয়ে, তারই প্রমাণ তারা দিলো সম্প্রতি। তারা তাদের এই নমনীয় ডিসপ্লে’কে বাজারে নিয়ে আসার প্রস্তুতি অনেকটাই সেরে ফেলেছে বলেই জানিয়েছে। আর বাজারে নিয়ে আসার জন্য তারা নতুন এই ডিসপ্লে’র একটি নামও ঠিক করে ফেলেছে। এর ব্র্যান্ড নাম তারা ঠিক করেছে ‘ইয়োউম’। গত বছরে সিইএস’র সময় স্যামসাংয়ের মুখপাত্র রবার্ট উয়ি জানিয়েছিলেন যে এই বছরের কোনো এক সময় তারা বাজারে এই নমনীয় ডিসপ্লে’র একটি ডিভাইস নিয়ে আসবেন। আর এই ডিভাইস সম্ভবত কোনো স্মার্টফোন হবে বলেই ধারণা দিয়েছিলেন তিনি। তার এই ঘোষণাকেই বাস্তবে রূপ দিতে নতুন ধরনের এই ডিসপ্লে’র ব্র্যান্ড নামটির নিবন্ধন করিয়েছে তারা। নমনীয় অ্যামোলেড (Flexible AMOLED) ডিসপ্লে প্রযুক্তি হিসেবেই নিবন্ধন করা হয়েছে এই ইয়োউম। স্যামসাং জানিয়েছে, তাদের এই ইয়োউম ডিসপ্লে হবে আরও বেশি পাতলা, হালকা এবং কোনোভাবেই একে ভাঙা যাবেনা। সাধারণ এলসিডি ডিসপ্লেতে থাকে ছয়টি স্তর। এর চেয়ে উন্নত ওএলইডি প্রযুক্তিতে এই স্তর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চারে। নতুন এই নমনীয় ইয়োউমেও থাকছে চারটি স্তর। তবে ওএলইডি ডিসপ্লেতে যেখানে কাঁচের টিএফটি এবং এনক্যাপ স্তর ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে ইয়োউমে এই দুই স্তরেই ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের ফিল্ম। ফলে এই ডিসপ্লে একদিকে হয়ে উঠেছে নমনীয়, অন্যদিকে এর পুরুত্বও কমে গেছে অনেকখানি। স্যামসাং আশা করছে নানান ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসে তারা ব্যবহার করতে পারবে ইয়োউম। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাশাপাশি ই-রিডার, ক্যামেরা এবং এমনকি কোনো ভিডিও চ্যাটিং সিস্টেমের ডিসপ্লেতেও এটি ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করছে তারা। স্যামসাং এই ডিসপ্লে তৈরি করলেও সম্ভবত এটি প্রথম বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে এলজি। অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্য উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও স্যামসাং তৈরি করছে এটি। আর তারা গত সপ্তাহেই জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণেই এই ডিসপ্লে তৈরি করেছে তারা।


সংগ্রহ:ইত্তেফাক