Monday 19 March 2012

মাতা-পিতাকে গালি গালাজকারী সাবধান হউন

                           بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم



যেসব লোক অপরের মাকে গালিগালাজ করার অভ্যস্থ হয় সে খুব মন্দ ব্যক্তি,দাওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মাদীনা’র প্রকাশিত ৩১২ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব, “বাহারে শরীয়ত” ১৬তম অংশ,পৃষ্ঠা১৯৫ ‘’র মধ্যে সাদরুশ শারিয়াহ,বদরুত তরীক্বা,হযরতে আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ আমজাদ আলী আজমী عَلَيْهِ رَحْمَةُ اللهِ الْقَوِىবর্ণনা করেন:রাসুলুল্লাহصَلَّى اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র ভিত্তিমূলক ইরশাদ হচ্ছে:এ কথাটি কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত যে,মানুষ আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করে।লোকেরা আরয করল:ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কেউ কি আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করে?ইরশাদ ফরমান: “হ্যাঁ,সেটা এভাবে করা হয় যে সে অন্যের পিতাকে গালি গালাজ করে,প্রতিউত্তরে ঐ ব্যক্তি তার পিতাকে গালি গালাজ করে এবং সে অন্যের মাকে গালি গালাজ করে প্রতিউত্তরে ঐ লোকটি তার মাকে গালি গালাজ করে।” (মুসলিম শরীফ,পৃষ্ঠা-৬০,হাদীস নং-১৪৬)অত্র হাদীসে পাক বর্ণনা করার পর হযরতে আল্লামা মাওলানা মুফতী আমজাদ আলী আজমী  عَلَيْهِ رَحْمَةُ اللهِ الْقَوِى বলেন:সাহাবায়ে কিরাম (عَلَيْهِمُ الرِّضْوَان)যাঁরা আরবেরঅন্ধকার যুগ দেখেছিলেন,তাঁদের ধারনাতে আসতেছিলনা যে কেউ আপন মাতা-পিতাকে কেন গালি গালাজ করবে অর্থাৎ (কেউ কি আপন মাতা-পিতাকেওগালি গালাজ করতে পারে)এ বিষয়টি তাঁদের ধারনার বাইরে ছিল।হুযুর (صَلَّیاللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) ইরশাদ করেন এটা দ্বারা উদ্দেশ্য অন্য জনের দ্বারা গালি গালাজ করানো আর এখন তো এমন যুগ চলে এসেছে যে অনেকে নিজেই আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করে ও তাদেরকে কোন পাত্তাই দেয়না।      (বাহারে শরীয়ত)
আগুনের ডালে ঝুলন্ত ব্যক্তি:
হযরতে সায়্যিদুনা ইমাম আহমদ ইবনে হাজর মাক্কী শাফেঈ عَلَيْهِ رَحْمَةُاللهِ الْقَوِى বর্ণনা করেন:সারওয়ারে কায়েনাত,শাহে মাওজুদাত صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র উপদেশ মূলক ফরমান হচ্ছে:মি’রাজ রজনীতে আমি কিছু লোককে দেখলাম যারা আগুনের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।তখনআমি জিজ্ঞাসা করলাম:হে জিবরাইল!এসব লোক কারা?আরয করলেন:اَلَّذِيْنَ يَشْتُمُوْنَ ابَائَهُم وَاُمَّهَاتِهِمْ فِى الدُّنُيَا অর্থাৎ এসব লোক যারা দুনিয়াতে আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করেছিল।(আয্ যাওয়াজির আন ইক্বতিরাফিল কাবাইর,খন্ড-পৃষ্ঠা-১৩৯,দারুল মা’রিফাহ,বৈরুত)
বৃষ্টির ফোটার মত অগ্নি স্ফুলিঙ্গ:
  বর্ণিত রয়েছে:যে ব্যক্তি আপন মাতা-পিতাকেগালি দিল তার ক্ববরে আগুনের এত বেশী অগ্নিকনা অবতীর্ণ হবে যেভাবে (বৃষ্টির)ফোটা আকাশ হতে যমিনে পতিত হয়।                                                                                               (প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা-১৪০)
ক্ববর পাজর ভেঙ্গে দিবে:
  বর্ণিত আছে:যখন মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তানকে দাফন করে দেয়া হয় তখন ক্ববর তাকে চাপ দেয় এমনকি তার পাজরদ্বয় (ভেঙ্গে চুর্ণহয়ে) একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়।                                                 (প্রাগুক্ত)
জান্নাতে প্রবেশ করবেনা:
   হযরতে সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنهُمَا হতে বর্ণিত,রাসূলে যীশান,নূরে রাহমান صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র উপদেশ মূলক ইরশাদ হচ্ছে:তিন ধরনের লোক জান্নাতে প্রবেশ করবেনা (১)মাতা-পিতাকে কষ্ট প্রদানকারী(২)দাইউস(৩)পুরুষের বেশ ভূষাধারিনী মহিলা।                                                           (আলমুসতাদরাক খন্ড-১,পৃষ্ঠা-২৫২,হাদীস নং-২৫২)

0 comments

Post a Comment

Thanks for comment