Sunday, 8 April 2012

দাঁত নিয়ে তথ্য – একটা হাসি দেন তো সব গুলো দাত বের করে

দাঁত মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মুখে অবস্থিত একটি অঙ্গ। এটি খাদ্য চর্বণ ও কর্তনের (কাটা) কাজে ব্যবহৃত হয়। অধিকাংশ প্রাণীর দেহে দাঁতই হচ্ছে কঠিনতম অঙ্গ।

দাঁতের প্রকারভেদঃ

  • মোলার বা সাদা বাংলায় “কষ দাঁত”: এটি খাদ্যকে চিবিয়ে পিষে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়।
  • কার্নাসিয়াল Carnassial দাঁত ব্যবহৃত হয় খাদ্য কর্তনের কাজে। এটি কেবল শ্বাপদ (মাংসাশী) প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়।
  • প্রি-মোলার দাঁত মোলার দাঁতের মতই, কিন্তু আকারে ছোট, এবং অনেক সময় এদেরকে বাইকাস্পিডও বলা হয়।
  • শ্বদন্ত বা ক্যানাইন এটি খাদ্য ছিঁড়ে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়। একে কাস্পিড দাঁতও বলা হয়ে থাকে।
  • ছেদক দন্ত বা ইন্সিসর এটি খাদ্য ছেদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

দাঁতের অংশঃ

  • ক্রাউন বা মুকুট : এটি দাঁতের সেই অংশ যা মাড়ির ওপরে থাকে এবং আমরা দেখতে পাই।
  • রুট বা শিকড়: এটি দাঁতের সেই অংশ যা মাড়ি এবং হাড় দিয়ে আবৃত থাকে। দাঁতের শিকড়ের সংখ্যা এক থেকে চার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দাঁতের মুকুট ও শিকড়ের সংযোগস্থলকে নেক (Neck) বলা হয়; এটিও সাধারণত মাড়ি দিয়ে আবৃত থাকে।

দাঁতে উপস্থিত কলাসমূহ ( খাবার কলা না )

  • এনামেল: এটি দাঁতের বাইরের শক্ত আবরণ, যা ক্যালসিয়াম ও ফস ফেট দ্বারা গঠিত।
  • ডেন্টিন এটি ভিতরের স্তর, যা দাঁতের অধিকাংশ স্থান জুড়ে বিদ্যমান।
  • দন্তমজ্জা (ডেন্টাল পাল্প) এটি দাঁতের ভিতরের অংশ, এখানে স্নায়ু ও রক্তবাহী নালিকা বিদ্যমান।
  • সিমেন্ট এটি দাঁতের মূলের চারিদিকে অবস্থিত পাতলা স্তর। এটি এক ধরনের অস্থিসদৃশ আবরণ, যা দাঁতকে চোয়ালের সাথে সংযুক্ত করে রাখে।এছাড়াও দাঁতের সিমেন্ট ও চোয়ালের মাঝখানে যে সূক্ষ ফাঁকা থাকে, সেখানে অগুনতি অতিসূক্ষ তন্তুসদৃশ লিগামেন্ট থাকে যাকে পেরিওডন্টাল টিস্যু বলে। দাঁতকে হাড়ের সাথে সংযুক্ত রাখাই এর প্রধান কাজ

0 comments

Post a Comment

Thanks for comment