লোগো যে কোন প্রতিস্ঠানের পরিচিতি প্রকাশের সবচেয়ে জোড়ালো প্রতিক। এপল একটি খাওয়া আপেলের ছবি দিয়ে তাদের পরিচিতি প্রকাশ করে, কোকাকোলা তাদের প্রতিকে ব্যবহার করে প্রবাহিত তরলের মত লেখা দিয়ে। কোন ওয়েবপেজে নিল রঙের ওপর এফ দেখেই কেউ বুঝে যান সেটা ফেসবুকের লিংক। এসব কারনেই প্রতিটি প্রতিস্ঠান উচু মানের লোগো ব্যবহার করতে আগ্রহি হন, অনেকে তাদের লোগো নিয়ে গর্ববোধ করেন। ডিজাইনারদের কাছেও লোগো ডিজাইন একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
হয়ত মনে হতে পারে লোগো ডিজাইনের কাজ কয়টিই বা হতে পারে ? বাস্তবতা হচ্ছে অনেক ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনারের কাছে লোগো ডিজাইন একমাত্র বিষয়। প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রতি মুহুর্তে রয়েছে বহু লোগো ডিজাইনের কাজ। বড় কোম্পানীর লোগো পরিবর্তন থেকে শুরু করে নতুন চালু হতে যাওয়া কোম্পানী কিংবা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট প্রত্যেকেরই লোগো প্রয়োজন। সকলেই এপল-মাইক্রোসফটের মত লোগোর জন্য লক্ষ ডলারের ডিজাইনার ব্যবহার করতে পারেন না। ফল হিসেবে অনেকেই নির্ভর করেন ফ্রিল্যান্সারদের ওপর। প্রতিটি লোগো ডিজাইন করে একজন ডিজাইনার পেতে পারেন ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার, সময়ে ৫ হাজার ডলার কিংবা আরো বেশি।
লোগো ডিজাইনের জন্য বেশকিছু সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। কোন সফটঅয়্যার ব্যবহারের সময় কোন বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখবেন সেটা তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
. ফন্ট/টেক্সট ব্যবহারের ব্যবস্থা
লোগোর গুরুত্বপুর্ন বিষয় টেক্সট। অনেক লোগোতে লেখাকেই কিছুটা পরিবর্তন করে বক্তব্য প্রকাশের উপযোগি করা হয় এবং এগুলিই সত্যিকারের জনপ্রিয় লোগো। কাজেই টেক্সট ব্যবহারে সুযোগ যত বেশি তত ভাল লোগো তৈরীর সম্ভাবনা। লেখা বড়ছোট করা, প্রতিটি অক্ষরকে পৃথকভাবে পরিবর্তন করার ব্যবস্থা, ঘুরানো, যায়গা পরিবর্তন, দুরত্ব কমবেশি করা, পছন্দমত রং ব্যবহার ইত্যাদি গুরুত্বপুর্ন। সেইসাথে থ্রিডি ইফেক্ট ব্যবহারের ব্যবস্থা, স্যাডো-বেভেল-এমবোস ইত্যাদি উচুমানের লোগো ডিজাইন সফটঅয়্যারে থাকে। সফটঅয়্যারের সাথে যদি বিশেষ ফন্ট দেয়া হয় সেটাও অতিরিক্ত সুবিধে।
লোগোর গুরুত্বপুর্ন বিষয় টেক্সট। অনেক লোগোতে লেখাকেই কিছুটা পরিবর্তন করে বক্তব্য প্রকাশের উপযোগি করা হয় এবং এগুলিই সত্যিকারের জনপ্রিয় লোগো। কাজেই টেক্সট ব্যবহারে সুযোগ যত বেশি তত ভাল লোগো তৈরীর সম্ভাবনা। লেখা বড়ছোট করা, প্রতিটি অক্ষরকে পৃথকভাবে পরিবর্তন করার ব্যবস্থা, ঘুরানো, যায়গা পরিবর্তন, দুরত্ব কমবেশি করা, পছন্দমত রং ব্যবহার ইত্যাদি গুরুত্বপুর্ন। সেইসাথে থ্রিডি ইফেক্ট ব্যবহারের ব্যবস্থা, স্যাডো-বেভেল-এমবোস ইত্যাদি উচুমানের লোগো ডিজাইন সফটঅয়্যারে থাকে। সফটঅয়্যারের সাথে যদি বিশেষ ফন্ট দেয়া হয় সেটাও অতিরিক্ত সুবিধে।
. ফাইল ফরম্যাটলোগো ডিজাইন সফটঅয়্যারে জেপেগ, টিফ, বিটম্যাপ, পিএনজি ইত্যাদি ইমেজ ব্যবহারের সুযোগ থাকা প্রয়োজন এবং এদের সবগুলি ফরম্যাটে আউটপুট নেয়ার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। উল্লেখ করা যেতে পারে লোগো তৈরীর জন্য সফটঅয়্যারে সাধারনত ভেক্টর আউটপুটের ব্যবস্থা থাকে না।
. গ্রাফিক এবং ইমেজ টুল
লোগোর রং, স্যাডো, আকার পরিবর্তন, ঘুরানো, আউটলাইন করা, উল্টানো, থ্রিডি ইফেক্ট দেয়া ইত্যাদি থাকলে পছন্দমত লোগো তৈরী সহজ হয়। সরাসরি সফটঅয়্যারের তৈরী করা লোগোর সাথে যত বেশি পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে তত ভাল।
লোগোর রং, স্যাডো, আকার পরিবর্তন, ঘুরানো, আউটলাইন করা, উল্টানো, থ্রিডি ইফেক্ট দেয়া ইত্যাদি থাকলে পছন্দমত লোগো তৈরী সহজ হয়। সরাসরি সফটঅয়্যারের তৈরী করা লোগোর সাথে যত বেশি পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে তত ভাল।
. ব্যবহারের সহজতা
যারা লোগো তৈরীর কাজ করতে আগ্রহি তারা সবাই পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনার নিশ্চয়ই নন। মুলত যারা ডিজাইনার নন অথচ লোগো তৈরী করতে চান তাদের জন্যই এই সফটঅয়্যারগুলি। কাজেই ব্যবহার কতটা সহজ সেদিকেও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
যারা লোগো তৈরীর কাজ করতে আগ্রহি তারা সবাই পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনার নিশ্চয়ই নন। মুলত যারা ডিজাইনার নন অথচ লোগো তৈরী করতে চান তাদের জন্যই এই সফটঅয়্যারগুলি। কাজেই ব্যবহার কতটা সহজ সেদিকেও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
. ডকুমেন্টেশন
সাধারনত সফটঅয়্যারের সাথে হেল্প হিসেবে কাজের পদ্ধত বর্ননা করা থাকে। সেখানে যত বিস্তারিত তথ্য থাকে সেই সফটঅয়্যার থেকে তত ভাল ফল পাওয়া যায়। সেইসাথে যদি অনলাইন হেল্প থাকে তাহলে আরো ভাল।
সাধারনত সফটঅয়্যারের সাথে হেল্প হিসেবে কাজের পদ্ধত বর্ননা করা থাকে। সেখানে যত বিস্তারিত তথ্য থাকে সেই সফটঅয়্যার থেকে তত ভাল ফল পাওয়া যায়। সেইসাথে যদি অনলাইন হেল্প থাকে তাহলে আরো ভাল।
এধরনের কিছু জনপ্রিয় লোগো ডিজাইন সফটঅয়্যার হচ্ছে;
PagePlus, LogoMaker, AAA Logo, Logo Design Studio, Quick Logo Designer, LogoSmartz, Company Logo Designer
এদের মধ্যে ১ম, ৩য় এবং ৪র্থ সফটঅয়্যারে সীমিতভাবে হলেও ভেক্টর ব্যবহার করা যায়।
শেষকথা
দীর্ঘদিন গ্রাফিক ডিজাইন না শিখে যদি লোগো তৈরী করতে চান তাহলে এদের এক বা একাধিক সফটঅয়্যার ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন। আর যদি লোগো ডিজাইনকে পুরোপুরি পেশা হিসেবে নিতে চান তাহলে আরে কিছু বিষয় আপনাকে লক্ষ করতে হবে। অনেকেই চান তাদের লোগো ভেক্টর ফরম্যাটে, আরো স্পষ্ট করে ইলাষ্ট্রেটর ফরম্যাটে। কারন লোগো যে কোন যায়গায় যে কোন মাপে ব্যবহার হতে পারে। এছাড়া যিনি লোগোর জন্য ৫০০ ডলার ব্যয় করবেন তিনি একেবারে তারজন্য তৈরী লোগো আশা করতেই পারেন, অটোমেটেড বা সেমিঅটোমেটেড লোগো তার পছন্দ হওয়ার কথা না।
কাজেই সত্যিকারের উচুমানের লোগো তৈরীর জন্য এডবি ইলাষ্ট্রেটর শেখার বিকল্প নেই।
0 comments
Post a Comment
Thanks for comment