بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
হাশরের ময়দান অত্যন্ত ভয়ভীতির ময়দান। এ ময়দানে হিসাব নিকাশের জন্য আল্লাহর আদালতে দণ্ডায়মান হতে হবে। নিষ্পাপ নবী রাসূলগণ সুনিশ্চিতভাবে জান্নাতী হওয়া সত্ত্বেও ভয়ে প্রকম্পিত থাকবে। ভয়ভীতির এ মুহূর্তেও এক শ্রেণীর লোকের চেহারা হবেপ্রফুল্ল, পুর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, তারা আরশের নীচে রহমতের শীতল ছায়ায় সম্মানিত আসনে সমাসীন হবে। তারা কারা? তারা ঐ সব লোক যারা লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, উপহাস সহ্য করে বস্তু জগতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেছে। পবিত্র কুরআনকে বুকে ধারন করেছে। হাশরের ময়দানে পবিত্র কুরআন তাদের জন্য সুপারিশ করবে, পুলসিরাতে তাদের জন্য সহায়ক হবে। যাদের এ বিশ্বাস আছে, তারা যেমন বস্তু জগতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের স্বাদ লাভ করেছে তেমন আখেরাতেও লাভ করবে এবং তাদের সম্মানার্থে স্বয়ং আল্লাহপাক পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে শুনাবেন। তখন তারা সেখানে অপূর্ব স্বাদ উপভোগ করবে। এ বিশ্বাসে যে দৃঢ় ও অটল তারজন্য বস্তু জগতে তেলাওয়াতকরা এবং কুরআনকে বুকে ধারণ করা মোটেই কঠিন ব্যাপার নয়, বরং অতি সহজসাধ্য ব্যাপার।
প্রশ্ন জাগে যে, আমলের আগ্রহের জন্য যে ভয়ভীতি, আশা-ভরসা এবং স্বাদ পাওয়ার প্রয়োজন তা লাভের উপায় কী? বুখারী শরীফে এ সম্পর্কে একটি হাদীস রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে-
“তোমরা মুমিন হতে পারবে না, যদি আমি তোমাদের নিকট তোমাদের সন্তান-সন্তুতি, মাতা-পিতা এবং সকল মানুষের তুলনায় অধিক প্রিয় না হই।”
0 comments
Post a Comment
Thanks for comment