Showing posts with label নামাজ. Show all posts
Showing posts with label নামাজ. Show all posts

Thursday 12 April 2012

কলবী নামায, রূহানী নামায

                         بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১৪৩৩ হিজরী ৯ সফর আদীব হুজুর হযরত মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ  সাহেব [দামাত বারাকাতুহুম] মাদরাসাতুল মদীনার ছাত্রদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
তোমরা নামাযের ইহতিমাম কর। নামায হল আল্লাহর সাথে মিলনের মাধ্যম। নামাযে দাঁড়ালে যদি কলবের মধ্যে কাইফিয়ত পয়দা না হয় তাহলে নামায আর নামায হল না। দেখ, একটা হল, আইনের নামায। আরেকটা হল কলবী নামায। আরেকটা হল রূহানী নামায। প্রথম নামায আমরা সবাই পড়ছি। আইনের ভাষায় এই নামায সম্পর্কে বলা হবে-জাযাত ছালাতুহু, কিন্তু ফেরেশতা বলবে, তোর নামায তোর মুখের উপর ছুঁড়ে মারলাম। (কারো কারো তো এই দায়সারা নামাযও হয় না। তাড়াহুড়ো করে অযু করে। অযুর অঙ্গগুলি পুরোপুরি ধোয়া হয় না। এই নামায সম্পর্কে আইনও বলবে-মা জাযাত ছালাতুহু।) কলবী নামায হলে ফেরেশতারা এই কথা বলে না। বরং নামায মুসল্লীকে দুআ দিয়ে ফেরেশতাদের সাথে আসমানে চলে যায়।
প্রথম প্রকারের নামায দ্বারা মানুষ শুধু ফরযের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পায়। কিন্তু খুশু-খুযুবিহীন এই নামায কঙ্কালসার দেহের মতো। যা বিছানায় পড়ে থাকে। নিজে নড়তে পারে না। পাশ ফিরিয়ে দিতে হয়। মেডিক্যালের ভাষায় সে যিন্দা। কিন্তু জীবনের ভাষায় সে যিন্দা নয়। বরং মৃতের চেয়েও অধম। যদি কলবকে হাযির রেখে, আল্লাহ তাআলাকে চিন্তা করে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছি এই অনুভূতি নিয়ে নামায পড়তে পারি তাহলে কলবী নামায হবে।
এই নামায মুসল্লীকে দুআ দিয়ে আসমানের দিকে যাবে। কিন্তু এই নামাযের চেয়ে উঁচু স্তরের নামায হল রূহানী নামায। এটা মূলত কলবী নামাযেরই উঁচু স্তর। এই নামাযে নামাযের কিয়াম, কিরাত, রুকু-সিজদা, দুআ ও তাসবীহতে এক কথায় নামাযের সকল রোকন ও সকল কাজে নামাযীর আত্মা-রূহ শান্তি লাভ করে। তার ভিতরে ঝিরঝির বাতাস বইতে থাকে। সে মেরাজের স্বাদ পায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মেরাজ থেকে নামায নিয়ে এসেছেন, সেই মেরাজের স্বাদ পায়। এটা এক মহাসম্পদ। এটা হাসিল হবে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে।
হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ আলজুহানী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি উত্তমভাবে অযু করে এরপর দুই রাকাত নামায পড়ে, যাতে সে অমনোযোগী হয় না, তার পিছনের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৯০৫
হযরত উকবা ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে যে কেউ উত্তমভাবে অযু করে এরপর দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামায পড়ে। যাতে তার চেহারা ও হৃদয় নামাযের প্রতি নিবিষ্ট থাকে তাহলে সে নিজের জন্য (জান্নাতকে) অবধারিত করে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৩৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ১৬৯
পক্ষান্তরে হযরত মুত্তালিব ইবনে আবু ওদাআহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামায হল দুই দুই রাকাত করে। প্রতি দুই রাকাতে তাশাহহুদ পড়বে, বিনয় ও অক্ষমতা প্রকাশ করবে এবং নতশিরে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। যে এরূপ করে না তার নামায অসম্পূর্ণ।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ১২৬৯
দেখ, একদল মানুষ আছে, যারা রূহানী শব্দ যোগ করে শরীয়ত থেকেই বের হয়ে যায়। নতুন শরীয়ত আবিষ্কার করে। কলবী নামায, রূহানী নামাযের পরিভাষা ব্যবহার করে মুতাওয়ারাছ নামাযের অস্বীকার করে। ঐটা আসলে রূহানী নয়। ঐটা হচ্ছে নফসানী।  আমরা যা বলছি তা হল, মুতাওয়ারাছ নামাযেরই মানবী এবং বাতেনী দিক, যা কুরআন-সুন্নাহরই শিক্ষা। আর এর মাধ্যমেই তোমার নামায রূহানী নামাযে উন্নীত হতে পারে।
নামায যারা পড়ছে না তাদের থেকে আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো। ভালো মানে আমদের গুণ নয়। আল্লাহর দয়া। এটারও শোকর আদায় করি। এতটুকু নামায যদি পড়তে না পারতাম! কিন্তু দুনিয়ার বিষয়ে মানুষ সন্তুষ্ট হয় না। দুনিয়ার বিষয়ে মানুষ শুধু উপরের দিকে তাকায়। তাহলে আখিরাতের বিষয়ে কেন আমরা উপরের দিকে তাকাব না। কেন আমরা আমাদের নামাযকে কলবের নামাযে এবং কলবের নামায থেকে রূহের নামাযে উন্নীত করার চেষ্টা করব না। কেন আমরা মেরাজওয়ালা নামায পড়ার চেষ্টা করব না। চেষ্টা করলে আল্লাহ তাআলা কখনো বঞ্চিত করবেন না। আল্লাহর রাসূলের সুন্নত মোতাবেক চেষ্টা করলে আল্লাহ অবশ্যই দান করবেন।



 
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

আপনার কি মন খারাপ ?

                                     بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

আপনার কি মন খারাপ?
অথবা আপনার কি বেশীর ভাগ সময় মন বিষন্ন থাকে? তাহলে এখনি বাসায় গিয়ে পাক পবিত্র হয়ে ২ রাকাত নফল নামাজ এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে আদায় করুন ,
বসে বসে কিছুক্ষণ পরকালের কথা চিন্তা করুন এবং
সকলের সাথে নিচু কন্ঠে বিণীত হয়ে কথা বলুন, 
দেখবেন আল্লাহর রহমতে আপনার মন ভাল হয়ে যাবে ।
ইনশাআল্লাহ ।



 
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

জুমার নামাজ আদায়ের ফজিলত

http://photos-a.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc7/421226_405677652778905_232911776722161_1844487_1412599357_n.jpg
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস।’ তিনি আরও বলেছেন, এক জুমা থেকে আরেক জুমার মধ্যে সংঘটিত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে, ‘যখন সালাতের জন্য জুমার দিবসে আহ্বান জানানো হয়, তখনই আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশ্যে জলদি চলে এসো এবং ব্যবসায়িক লেনদেন বাদ দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।’ হজরত হাফসা(রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক (প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ) মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব_ অপরিহার্য কর্তব্য।’ _সূনানে নাসায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অবহেলা-অলসতা করে তিন জুমার নামাজ ছেড়ে দিল, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন।’ _আবু দাউদ, নাসায়ী। আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে লোক কোনো ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে না, মোনাফেকের এমন দফতরে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যা কখনো মোছা এবং রদবদল করা হয় না।’ তিরমিযী শরীফে আছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে দিনভর রোজা রাখে এবং রাতভর নামাজ পড়ে কিন্তু জামাতে এবং জুমায় শামিল হয় না_ তার হুকুম কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন,এ অবস্থায় তার মৃত্যু হলেসে জাহান্নামে যাবে। হজরতআলী (রা.) বলেন, ‘মসজিদের প্রতিবেশীর নামাজ মসজিদ ছাড়া আদায় হয় না।’ বলা হলোমসজিদের প্রতিবেশী কে? তিনি বললেন ‘যে আজান শুনতে পায়।’ হাদিস অনুযায়ী জুমার নামাজ আদায়করা যেমন ওয়াজিব তেমন জামাতে নামাজ আদায়ে পবিত্র কোরআনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহপাক বলেন, ‘হাঁটু পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, যেদিন তাদের সেজদা করতে আহ্বান জানানো হবে, তখন তারা সেজদা করতে পারবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে,তারা অপমান ও লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে। অথচ তারা যখন সুস্থ অবস্থায় ছিল, তখন তাদের সেজদা করার জন্য আহ্বান জানানো হতো।’ _সূরা আল কলম-৪২, ৪৩। হজরত কা’বে আহবার বলেন : জামাত বর্জনে অভ্যস্তদের উদ্দেশ করে আয়াতে কারিমা নাজিল হয়। এপ্রসঙ্গে ইমামুত্তাবেঈন হজরত সাঈদ ইবানুল মুসাইয়্যার (রহ.) বলেন, ‘যারা আজান শুনতে পেয়ে, সুস্থ অবস্থায় থেকেও জামাতে উপস্থিত হতো না তাদের উদ্দেশ্য করে ওই আয়াত নাজিল হয়।’ আল্লাহ আমাদের জুমা এবং জামাতে নামাজ আদায়ের তওফিক দান দরুন। আমিন।
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

মুমিনের নামাজের উপকারীতা

                               بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم 

আল্লামা হাফেজ ইবনে কাইয়্যুম রহ. তাঁর বিখ্যাত ‘‘যাদুল মাআ’দ” গ্রন্থে লিখেছেনঃ মু’মিনের নামাযের  উপকারীতা।
 
 * রুজি ও জীবিকা আকর্ষন করে।
 * স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
 * রোগ ব্যধি নিরাময় করে।
 * মানসিক শক্তি সঞ্চয় করে।
 * চেহারা সুন্দর ও উজ্জ্বল করে।
 * অন্তর প্রফুল্ল করে।
 * অংগ প্রত্যংগে আনন্দেরসঞ্চায় করে।
 * যাবতীয় অলসতা দূর করে এবং বক্ষ প্রশস্ত করে।
 * আত্মার খাদ্য যোগায়।
 * আল্লাহর নিয়ামত সমূহেরহিফাজত করে।



যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !