Tuesday, 27 March 2012

Write a program that read 2 number and display L.C.M in C

LCM program in c with two numbers : 

#include<stdio.h>
int main(){
  int n1,n2,x,y;
  printf("\nEnter two numbers:");
  scanf("%d %d",&n1,&n2);
  x=n1,y=n2;
  while(n1!=n2){
      if(n1>n2)
           n1=n1-n2;
      else
      n2=n2-n1;
  }
  printf("L.C.M=%d",x*y/n1);
  return 0;
}

LCM program in c with two numbers (Other logic) :



#include<stdio.h>

int lcm(int,int);

int main(){

   

    int a,b,l;
    printf("Enter any two positive integers ");
    scanf("%d%d",&a,&b);
 
    if(a>b)
         l = lcm(a,b);
    else
         l = lcm(b,a);
   
    printf("LCM of two integers is %d",l);
    return 0;
}
int lcm(int a,int b){
  
    int temp = a;
    while(1){
         if(temp % b == 0 && temp % a == 0)
             break;
         temp++;
    }
   return temp;
}

LCM program in c with multiple numbers :




#include<stdio.h>

int lcm(int,int);



int main(){
   
    int a,b=1;
    printf("Enter positive integers. To quit press zero.");
    while(1){
         scanf("%d",&a);
         if(a<1)
             break;
         else if(a>b)
             b = lcm(a,b);
         else
             b = lcm(b,a);
    }
    printf("LCM is %d",b);
    return 0;
}
int lcm(int a,int b){
 
    int temp = a;
    while(1){
         if(temp % b == 0 && temp % a == 0)
             break;
         temp++;
    }
    return temp;
}





Definition of LCM (Least common multiple):

LCM of two integers is a smallest positive integer which is multiple of both integers that it is divisible by the both of the numbers.
For example: LCM of two integers 2 and 5 is 10 since 10 is the smallest positive numbers which is divisible by both 2 and 5.

Sunday, 25 March 2012

মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ

http://www.bangladesh-pratidin.com/admin/news_images/196/image_196_36156.jpg
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) দশম হিজরি সনের জিলহজ মাসে অনুষ্ঠিত পবিত্র হজের সময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সাহাবির সামনে ৯ জিলহজ বিকালে আরাফাতের মাঠে জাবালে রহমতের নিচে নসিহতমূলক হেদায়েতের যে বক্তব্য পেশ করেন তাকেই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ বলে। এটি ছিল মানব জাতির উদ্দেশে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সর্বশেষ ভাষণ। এই ভাষণে মহানবী (সা.) আল্লাহ তায়ালার মহিমা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পর মানব জাতির উদ্দেশে যা বলেছিলেন তা এই যে_
 ১. হে মানব জাতি! তোমরা আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোন, আমি জানি না, এবারের পর তোমাদের সঙ্গে এ স্থানে আর মিলিত হতে পারব কিনা। সিরাতে ইবনে হিশাম।
২. হে মানব জাতি! মনে রেখ তোমাদের আল্লাহ এক, তার কোনো শরিক নেই, তোমাদের আদি পিতা এক, কোনো অনারবের উপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তেমনি কোনো সাদার উপর কোনো কালোর শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কেবলমাত্র আল্লাহভীতিই শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। তাবারি।
৩. তোমাদের জীবন ও সম্পদ, তোমাদের পরস্পরের কাছে তেমনি পবিত্র, যেমনি আজকের এই স্থান ও দিনটি পবিত্র, এই মাস, এই শহর পবিত্র। মুসলিম শরীফ।
৪. জাহেলিয়াতের সবকিছু আমার পদতলে পিষ্ট, জাহেলি যুগের সব, রক্তের দাবি রহিত করা হলো।
৫. আজ থেকে জাহেলি যুগের সর্বপ্রকার সুদ রহিত করা হলো।
৬. তোমাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা তাদের আল্লাহর কালামের মাধ্যমে হালাল করে নিয়েছ, তোমরা তাদের অন্ন-বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে।
৭. হে মানব জাতি! মনে রেখ আমার পরে আর কোনো নবী আসবে না। আর তোমাদের পরেও কোনো উম্মত নেই। কাজেই তোমরা খুশি মনে নামাজ আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে, সম্পদের জাকাত আদায় করবে এবং বাইতুল্লাহর হজ পালন করবে, শাসকের আনুগত্য করবে, তবেই তোমরা আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। তাবারি।
৮. হে মানব জাতি! পিতার অপরাধে পুত্র দায়ী হবে না এবং পুত্রের অপরাধে কোনো পিতা দায়ী হবে না। তিরমিযি।
৯. হে মানব জাতি! শিগগিরই তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে। তাবারি।
১০. মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।
১১. হে মানব জাতি! আমি তোমাদের কাছে দু'টি বস্তু রেখে গেলাম, যদি তোমরা তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখ, তবে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার মধ্যে একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার সুন্নাত। যারা এখানে নেই তাদের কাছে আমার এই বাণীগুলো পেঁৗছে দিবে। তাবারি।
১২. হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের দাস-দাসী সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। তোমরা যা খাবে তাদের তা খেতে দিবে, তোমরা যা পরবে তাদের তা পরাবে। তোমরা তাদের ক্ষমা করে দিবে, তোমরা কখনো তাদের শাস্তি দিবে না।
১৩. হে মানব জাতি! তোমরা দিনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। কারণ অতীতে বহু জাতি দিনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে ধ্বংস হয়ে গেছে।< নাছায়ী ইবনে মাযা শরীফ।>

হজ্ব

                  بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِي

ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদের মধ্যে হজ্ব একটি অন্যতম স্তম্ভ। প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তির জন্য আলস্নাহতায়ালা হজ্বের নির্দেশ দিয়েছেন। সড়্গম ব্যক্তি যাদের উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হজ্ব অস্বীকার করে তাহলে মুসলমান থাকতে পারে না। টিকিয়ে রাখতে হলে প্রত্যেক ধনবান মুসলমানকে অবশ্যই হজ্ব করতে হবে। হজ্বের মাধ্যমে নিষ্পাপ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে এবংকবুল হজ্বের সওয়াব কেবলমাত্র আলস্নাহর জান্নাত। এত বড় পুরম্নস্কার যে হজ্বের মধ্যে নিহিত, সেই হজ্বের সকল কাজগুলো আমাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে।আলস্নাহতায়ালা কুরআনে বলেছেন, “স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা যখন ইব্রাহিম (আঃ) ও ইসমাইল কাবাঘর নির্মাণ শেষ করলেন। তখন তারা পিতা পুত্র উভয়েই আমার কাছে হাত তুললেন এবং বললেন, হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পড়্গ থেকে এই সামান্য খেদমতটুকু কবুল করম্নন।
আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্ববিষয়ে জ্ঞানী।” কাবাঘর নির্মিত হয়েছিল হযরত আদম(আঃ)-এর পৃথিবীতে আগামনের সময় ফেরেশতাদের দ্বারা। তার পর হযরত নূহ (আঃ)-এর মহা পস্নাবনের সময় প্রায় এই ঘরের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়েছিল। তখন হযরত নূহ (আঃ) এটা সংস্কার করেছিলেন এর পরও কয়েকবারসংস্কার হয়েছে। তার পর হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর জামানা চলে এসেছে। তিনি একটি বড় পাথরের উপরে দাঁড়িয়ে এই ঘরের দেয়াল গেঁথে ছিলেন। আর ইসমাইল (আঃ) তখন কিশোর। অনেক দূর-দূরান্ত হতে কুড়িয়ে কুড়িয়ে পাথর নিয়ে পিতার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এইসময় দীর্ঘ সময় ঐ বড় পাথরটির উপর দাঁড়িয়ে দেয়াল গেঁথেছিলেন বলে ঐ পাথরটিতে ইব্রাহিম (আঃ)-এর পায়ের ছাপ পড়ে গিয়েছিল। সেই পাথরটি এখনমাকামে ইব্রাহিমে রাখা আছে। ইব্রাহিম (আঃ) কর্তৃক এই ঘর নির্মাণ শেষে আরো কয়েকটি দোয়া পড়েছিলেন। যেমন ইব্রাহিম(আঃ) বললেন, “হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পিতা, পুত্র উভয়কে আপনি মুসলমান বানান। আমার বংশধরদের কেউও। আসার আমাদেরকে হজ্বের রীতি-নীতি শিড়্গা দিন। নিশ্চয় আপনি তওবা গ্রহণকারী এবং পরম দয়ালু।” ইব্রাহিম (আঃ) নিজে এবং তাঁর পুত্র ইসমাইলকে মুসলমান হওয়ার জন্য আলস্নাহর কাছে প্রার্থনা করায় আলস্নাহ বললেন, “হে ইব্রাহিম আত্মসমার্পন কর! অর্থাৎ মুসলমান হও! ইব্রাহিম (আঃ) বলেছিলেন, “আমি আত্মসমর্পন করলাম অর্থাৎমুসলমান হয়ে গেলাম। আসমান জমিন সব কিছুর মালিক আলস্নাহতায়ালার নিকট। এবার ইব্রাহিম (আঃ) দোয়া করলেন হে আলস্নাহ আমার বংশধরদেরকেএই ঘর রড়্গণা-বেড়্গণ করার যোগ্যতা দান করম্নন।
আর তাদেরকে ফল-ফলারী দ্বারা রেজেকের ব্যবস্থা। করম্নন। জানি পরবর্তীতে আলস্নাহতায়ালা এই কাবাঘরের রড়্গণা-বেড়্গণকারী হিসেবে তাঁর সন্তান হযরত ইসমাইল (আঃ) কে আলস্নাহতায়ালা কুবল করেছিলেন। ঘটনার প্রেড়্গাপটটি ছিল এমন আলস্নাহ বললেন, হে ইব্রাহিম তোমার স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে মরম্নভূমিতে রেখে এসো। ইব্রাহিম (আঃ) তাই করলেন। এর পর স্ত্রী হাজেরা শিশু পুত্রকে নিয়ে চিন্তায় পড়লেন। এক টুকরো রম্নটি ও সামান্যকিছু পানি। এটাতো এড়্গুণি শেষ হয়ে যাবে। চারিদিকে একবার তাকালেন।যতদূর দু’চোখ যায় ধু-ধু মরভূমি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। রুটি পানি শেষ হলো। মা হাজেরা নিকটবর্তী পাহাড়ের দিকে একবার তাকালেন। দেখলেন সাফা পাহাড় দিয়ে ঝর ঝর করে ঝর্নাধারা নামছে, অনেক আশা নিয়ে সাফা পাহাড়ে গেলেন। সেখানে যেয়ে কিছুই পেলেন না। কেবলই মরীচিকা। সেখান থেকেই মারওয়া পাহাড়ের দিকে তাকালেন। দেখলেন যে, মারওয়া পাহাড় দিয়ে ঝর্নাধারা নামছে। মারওয়াপাহাড়ে এক দৌঁড়ে চলে এলেন। সেখানেও কিছুই পেলেন না।
কেবলই মরীচিকা ছাড়া। এভাবে সাতবার সাফা পাহাড়ে ঝর্ণা ভেবে দৌঁড়দিয়ে ছিলেন। সাফা পাহাড় হতে মারওয়া পাহাড়ে ঝর্নাভেবে সাতবার দৌঁড় দিয়েছিলেন। উপর হতে হয়ত আলস্নাহ রাব্বুল আলামীন এই দৃশ্য দেখছিলেন এবং শিশু পুত্রকে বাঁচানোর যে অদম্য প্রচেষ্টা এটা আল্লাহতায়লা পছন্দ করে নিয়ে মা হাজেরার এই দৌঁড়ানোকে হজ্বের কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন। সাথে সাথে শিশুপুত্র ইসমাইল (আঃ)-এর পায়ের গোড়ালীর আঘাতে সেখানে এমন একটি পানির উৎস সৃষ্টি করে দিয়েছেন।যা কেয়ামত পর্যন্ত কখনোই শেষ হবার নয়। যার নাম যম্‌যম্‌। যম্‌যম্‌ শব্দটি হিব্রু ভাষার একটি শব্দ। অর্থ হলো থেমে যাও। মা হাজেরা যখন দেখলেন যে, পানি চারিদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তখন পাথর দিয়ে বাঁধ দিচ্ছিলেন আর বলছিলেন, যম্‌যম্‌-থাম থাম। এই পানি আলস্নাহর একান্তô অনুগ্রহের ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। কেননা এই পানি না হলে মা হাজেরা ও শিশু পুত্র ইসমাইল (আঃ)-এর বেঁচে থাকার কোনউপায় ছিল না। এটাতো কেবল পানি অন্যান্য খাবার তো নেই। যে কারণে আলস্নাহতায়ালা এই পানির মধ্যে খাবারের সব উপাদানদিয়েই সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়ার সব পানি খেতে হয় বসে। আর এই পানি খেতে হয় দাঁড়িয়ে। রাসুল (সঃ) এই পানি দাঁড়িয়ে খেতেন আর একটি দোয়া পড়তেন। “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়া, অরিযকাও অছিয়া অশিফা আমমিন কুলেস্ন দাঈন”। অর্থাৎ “হে আল্লাহ। এই পানির মাধ্যমে আপনি আমাকে দান করিুন উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত রিযিক ও সকল বিমারী রোগ হতে আমাকে রড়্গা করুন।” এই পানি পান করার সময় যারা এই দোয়া পাঠ করবে এবং যেনিয়তে পাঠ করবে আলস্নাহতায়ালা তাঁর সেই নেক ইচ্ছা মঞ্জুর করবেন।
বাস্তবতার আলোকে দেখেছিঅনেক হাজী সাহেব দেশ থেকে হজ্ব করতে যাওয়ার সময় ব্যাগ ভর্তি করে ওষুধ নিয়ে যান অসুস্থতারকারণে। কিন্তু যেই না যম্‌যমের পানি পান করা শুরম্ন করলেন সঙ্গে সঙ্গে সব রোগ হতে সুস্থতা লাভ করলেন ওষুধগুলো যেভাবে ব্যাগেভরে নিয়ে গিয়েছিলেন আবারসেভাবেই ফেরত নিয়ে আসলেন। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আরো দোয়া করেছিলেন। “হে আমাদের প্রভু পরওয়ারদেগার আমার বংশধরদের মধ্যে এমন একজননবী পাঠান যিনি আপনার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করে শোনাবে। তাদের কে কিতাবও হিকমাত বা জ্ঞান-বিজ্ঞান শিড়্গা দেবেন। এবং তাদেরকে পূতঃ পবিত্রকরে তুলবেন। আপনি মহা পরাক্রমশালী এবং হেকমত ওয়ালা। আমরা উপরের আলোচনা হতে জেনেছি কাবাঘরের সন্নিকটে যম্‌যম্‌ কূপের পাশেই মাহাজেরা এবং ইসমাইল (আঃ)-এর বসতি ছিল।তাছাড়াআর কোন বসতি সেখানে ছিল না। বলা হয়েছে ৈ“গয়রা জি যারইন ইন্দা বায়তিকাল মুহাররম” কোন বাড়ী-ঘর নেই; ধু-ধু মরম্নভূমি ছাড়া আর কিছু নেই।
এই কাবা ঘরের নিকটে সর্বপ্রথম বসতি হলো মা হাজেরা এবং হযরত ইসমাইল (আঃ)। তাঁর পর ইসমাইল (আঃ) থেকেই মক্কার বসতি গড়ে উঠেছিল। সে কারণে মক্কার মানুষদেরকে ইসমাইলী আরবও বলা হয়। আর মুহাম্মদ (সঃ)-এর জন্ম মক্কার কুরাইশ বংশে। সে হিসেবে তিনিও হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর বংশধর। ইব্রাহিম (আঃ) তাঁর বংশে যে নবীর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন তিনি হলেন হযরতমুহাম্মদ (সঃ)। আলস্নাহতায়ালা হযরত ইবাহিম (আঃ)-এর দোয়া শেষহলে আদেশ করলেন, “হে ইব্রাহিম মানুষদেরকে হজ্বের জন্য আহবান কর। মানুষেরা পায়ে হেঁটে আসবে। সওয়ারিতে আরোহণ করে করে আসবে।” আরো বললেন, হে ইব্রাহিম ও ইসমাইল! তোমরা উভয়ে আমার এই ঘর কাবা শরীফকে ইতেকাফকারী, তওয়াফকারী, রম্নকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য পুতঃ পবিত্র রাখবে।” সুতরাং ইব্রাহিম (আঃ)-এর সময় হতেই হজ্বের এই প্রচলন পরবর্তীতে সকল নবী এবং তাদের উম্মতদের মাধ্যমে এটি সংঘটিত হয়ে আসছে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সঃ) একটি ভাষণ দিলেন, সেখানে তিনি বললেন, আলস্নাহ যাদের উপর হজ্ব ফরজ করে দিয়েছেন তাদের তা আদায় করা উচিৎ (মুসলিম)। আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মুসলমানদের অভ্যাস হলো বৃদ্ধ বয়সে হজ্ব করতে যাওয়া। অনেকে আশংকাকরেন যুবক বয়সে হজ্ব করতে গেলে ফিরে এসে হয়ত হজ্বের মর্যাদা রড়্গা করতে পারবে না। এটা সঠিক নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুনতারা যুবক বয়সেই হজ্ব করতে যাচ্ছেন। কেননা হজ্ব অত্যন্ত শ্রমসাধ্য কাজ। এটা দৈহিক সড়্গমতা থাকতে থাকতেই না করলে বৃদ্ধ বয়েসে পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করা সম্ভব নয়। আমি নিজে শুনেছি অনেক বৃদ্ধ হাজী হজ্ব করে দেশে এসে আফসোস করে বলেন, যদি আরো আগে যেতে পারতাম! কেননা অনেক কাজই সঠিকভাবে আদায় করতে পারেননি। নিজের মনে তখন খারাপ লাগে। তাই যখনই হজ্ব ফরজ হয় তখনই তা আদায়করা উচিৎ।
বিলম্ব করা উচিৎ নয়। কারণ কার কখন হায়াত শেষ হয়ে যায় তাতো বলা যায় না। এমন যদি হয় কারো হজ্ব ফরজ হলো। আর তিনি ইচ্ছা করে বিলম্বে হজ্ব করার ইচ্ছা পোষণ করলেন।এর মধ্যে হজ্ব করার পূর্বেই তার হায়াত শেষ হয়ে গেল অর্থাৎ মৃত্যু এসে গেল। সে অবস্থার উলেস্নখ করে রাসুল (সঃ) আফসোস করে বলেছেন, কেউ যদি হজ্ব না করে ইহুদী কিংবা নাছারা হয়ে মারা যায় তাহলে আমার পড়্গ থেকে তার জন্য কোন সুপারিশ নেই। একবার একদলমহিলা রাসুল (সঃ)-এর কাছেএসে জিহাদের অনুমতি চাইলে, রসুল (সঃ) তাদের বললেন, মেয়েদের জন্য হজ্বই হলো জিহাদ। মেয়েরা যদি হজ্ব করে তাহলে হজ্বের সোয়াব তাঁরাও পাবে। বিদায় হজ্বের সময় খাস্‌আম গোত্রের এক মহিলা তাঁর পিতার অসুস্থার কথা জানালে রসুল (সঃ) ঐ মহিলাকে তা আদায় করার জন্য বললেন। হযরত আবু রাজিন উকাইলী (রাঃ) বলেন,আমার পিতা অড়্গম, অসুস্থ রসুল (সঃ) বললেন, তোমার পিতার পড়্গ হতে তুমি তা আদায় করে দাও। পরিশেষে এটুকু বলেই শেষ করতে চাই হজ্ব আমাদের মিলস্নাতের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) থেকে মহানবী (সঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও তার উম্মতদের উপর ফরজ ছিল। কেয়ামত পর্যন্ত এই ফরজ বলবত থাকবে। তাই আমাদের সামর্থবান সকলকে আল্লাহতায়ালা সঠিক সময়ে হজ্ব সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন।

কিয়ামতের দিনে বান্দার উপকারে আসবে এমন ২ টি কালেমা

                 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِي


►আসসালামু আলাইকুম◄
►কিয়ামতের দিনে বান্দার উপকারে আসবে এমন ২ টি কালেমা◄
আবূ হুরায়রা (রা: ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, দুটিকালেমা এমন যা যবানে (উচ্চারন করতে) সহজ, (কিয়ামত দিবসে) ওজনে ভারীএবং তা করুনাময় আল্লাহর নিকট প্রিয়। কালেমা দুটি হচ্ছে ,"সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম"
... অর্থ- আল্লাহর প্রশংসা করার সাথে তাঁর পবিত্রতা বর্ননা করছি, তাঁর প্রশংসা বড়ই মহৎ।
[বুখারী -৭ /১৬৮ মুসলিম- ৪/ ২০৭২] 

Saturday, 24 March 2012

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ওডেস্কের আয়োজন

BISMILLAH HIR RAHMANIR RAHIM

আউটসোর্সিংয়ে জড়িত মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) নিয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট (মার্কেট প্লেস) ওডেস্ক (www.odesk.com) বিশেষ একটি আয়োজন সামনে রেখে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সেরা শহরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। ফলে ওডেস্কের ‘কন্ট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ নামক অনুষ্ঠান ঢাকার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন, ফিলিপাইনের ইলিগান ও ম্যানিলায়। ওডেস্কের ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/odesk) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানা গেছে। ওডেস্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফলাফলের ভিত্তিতে অনুষ্ঠান যথাক্রমে অস্টিন, ঢাকা, ইলিগান ও ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হবে। ভালো অবস্থানে থেকেও পাকিস্তানের লাহোর মূল তালিকায় যেতে পারেনি। এর বাইরে অন্য শহরগুলোতে অনলাইনে বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানিয়েছে ওডেস্ক। বিশেষ এ অনুষ্ঠানে ওডেস্ক বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে হবেন, একে অপরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করবেন। এ আয়োজনের তারিখ খুব শিগগিরই জানানো হবে বলে জানা গেছে। —নুরুন্নবী চৌধুরী

(সংগ্রহীত)

প্রথম আলো

যৌবনের মহা পরীক্ষায় ইউসুফ (আঃ)

            بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِي

রূপ-লাবণ্যে ভরা ইউসুফের প্রতি মন্ত্রীপত্নী যুলায়খার অন্যায় আকর্ষণ জেগে উঠলো। সে ইউসুফকে খারাপ ইঙ্গিত দিতে লাগল। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন,

‘আর সে যে মহিলার বাড়ীতে থাকত, ঐ মহিলা তাকে ফুসলাতে লাগল এবং (একদিন)দরজা সমূহ বন্ধকরে দিয়ে বলল, কাছে এসো! ইউসুফ বলল, আল্লাহ আমাকে রক্ষা করুন!তিনি (অর্থাৎ আপনার স্বামী) আমার মনিব। তিনি আমার উত্তম বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয়ই সীমা লংঘনকারীগণ সফলকাম হয় না’ (২৩) । 


‘উক্তমহিলা তার বিষয়ে কুচিন্তাকরেছিল এবং ইউসুফ তার প্রতি (অনিচ্ছাকৃত) কল্পনা করেছিল। যদি না সেস্বীয় পালনকর্তার প্রমাণ অবলোকন করত’ (অর্থাৎ আল্লাহ নির্ধারিত উপদেশদাতা ‘নফসে লাউয়ামাহ’ তথা শাণিত বিবেক যদি তাকে কঠোরভাবে বাধা না দিত)। এভাবেই এটা এজন্য হয়েছে যাতে আমরা তার থেকে যাবতীয় মন্দ ও নির্লজ্জ বিষয় সরিয়ে দেই।নিশ্চয়ই সে আমাদের মনোনীতবান্দাগণের একজন’ (২৪) ।

‘তারা উভয়ে ছুটে দরজার দিকে গেল এবং মহিলাটি ইউসুফের জামা পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে ফেলল। উভয়ে মহিলার স্বামীকে দরজার মুখে পেল। তখন মহিলাটি তাকে বলল, যে ব্যক্তি তোমার স্ত্রীর সাথে অন্যায় বাসনা করে, তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা অথবা (অন্য কোন) যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেওয়া ব্যতীত আর কি সাজা হ’তে পারে’? (২৫) । 


‘ইউসুফ বলল, সেই-ই আমাকে (তার কুমতলব সিদ্ধ করার জন্য) ফুসলিয়েছে। তখন মহিলার পরিবারের জনৈক ব্যক্তি সাক্ষ্য দিল যে, যদি ইউসুফের জামা সামনের দিকেছেঁড়া হয়, তাহ’লে মহিলা সত্য কথা বলেছে এবং ইউসুফমিথ্যাবাদী’ (২৬)।

‘আর যদি তার জামা পিছন দিকথেকে ছেঁড়া হয়, তবে মহিলা মিথ্যা বলেছে এবং ইউসুফ সত্যবাদী’ (২৭) ।


 ‘অতঃপর গৃহস্বামী যখন দেখল যে, ইউসুফের জামা পিছন দিক থেকে ছেঁড়া, তখন সে (স্বীয়স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে) বলল, এটা তোমাদের ছলনা। নিঃসন্দেহে তোমাদের ছলনা খুবই মারাত্মক’ (২৮)

 । (অতঃপর তিনি ইউসুফকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন,) ‘ইউসুফ! এ প্রসঙ্গ ছাড়। আরহে মহিলা! এ পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চিতভাবে তুমিই পাপাচারিনী’
(সূরা ইউসুফ ১২/২৩-২৯) ।

বিশ্ববিখ্যাত মনীষীদের চোখে ইসলাম ও মুহাম্মাদ সা.

                بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
 

বিশ্ববিখ্যাত মনীষিদের চোখে ইসলাম ও মুহাম্মাদ সা. (প্রথম পর্ব)
জর্জ বার্নাড শঃ যদি আগামী একশ’ বছরের মধ্যে শুধু ইংল্যান্ড নয় সমগ্র ইউরোপকে শাসন করার সম্ভাবনা কোন ধর্মের থাকে, তাহলে সে ধর্ম হবে কেবল ইসলাম ।
 আমি সর্বদা মুহাম্মাদ (সা) এর ধর্ম প্রসঙ্গে উচ্চ ধারনা পোষণ করে এসেছি এর আশ্চর্য জীবনি শক্তির জন্য । আমার মনে হয় এটায় একমাত্র ধর্ম যা জীবনের পরিবর্তিত ধাপের সঙ্গে একাত্মীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে ।
 সেই কারণে প্রতিটা যুগেই আছে এর (সমান) আবেদন । আমি বিশ্বাস করি যদি মুহাম্মাদ (সা) এর মতো একজন মানুষ আধুনিক বিশ্বের একনায়কের পদ অধিকার করতেন, তাহলে তিনি এমন সাফ্যলের সঙ্গে এর সমস্যা গুলির সমাধান করতে পারতেন যা এর জন্য প্রয়োজনীয় সুখ ও শান্তি বয়ে আনত ।(Genuine Islam; vol. 1)
ফিলিপ কে. হিট্টিঃ পৃথিবীর সকল ধর্মের মধ্যে একমাত্র ইসলাম পেরেছিল জাত ও বর্ণের ভেদাভেদ মুছে ফেলতে । (History of the Arabs; by Philip K. Hitti, page 3)
এম.এন রায়ঃ ইসলামের অসাধারণ সাফ্যলের মুলে আছে এর বৈপ্লবিক তাৎপর্য । ইসলামই প্রথম সামাজিক সাম্য প্রবর্তন করেছিল যা সমস্ত দেশের প্রাচীন সভ্যতা গুলির মধ্যে তখনও ছিল অজানা । (The historical role of Islam)
মহাত্মা গান্ধীঃ মুহাম্মাদ (সা) ছিলেন একজন মহান পয়গম্বর । তিনি সাহসী ছিলেন এবং আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করতেন না । তিনি কখনও এক কথা বলে অন্য কাজ করতেন না । এই পয়গম্বর ছিলেন ফকিরের মতো । তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে প্রচুর সম্পদ করতে পারতেন । আমি যখন তাঁর দুঃখের কাহিনী পড়ি তখন আমার চোখ দিয়ে কান্না ঝরে পড়ে । তিনি, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সঙ্গীরা কতই না কষ্ট ভোগ করেছিলেন স্বেচ্ছায় ।তাই আমার মতো একজন সত্যাগ্রহী তাঁর মতো মানুষকে শ্রদ্ধা না করে থাকতে পারে না । যিনি তাঁর মনকে নিবদ্ধ রেখেছিলেন এক আল্লাহর প্রতি এবং তিনি চিরকাল হেঁটেছেন আল্লাহ ভীরুতার পথে । মানব জাতির প্রতি তাঁর সহানুভূতি ছিল সীমাহীন । (Islam and its holy prophet as judged by the Non Muslim world; page- 20)
ড. তারাচাঁদঃ অমুসলিমদের উচিত গরিব, পদদলিত এবং অনাথদের বন্ধু চিরসত্যবাদী মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা । মুহাম্মাদ (সা) ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আরাম ও সুখের জীবন । তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন । নিজের পোষাক ও জুতো নিজ হাতে সেলাই করতেন । তিনি তাঁর শত্রুদের ক্ষমা করেছিলেন, দয়া দেখিয়েছিলেন ক্রীতদাসদের প্রতি । তিনি যেমন সাহসী ও অকুতোভয় ছিলেন, তেমনি ছিলেন ভদ্র ও অমায়িক । আমরা অবশ্যই স্বীকার করব যে ইসলামের বিস্তার তলোয়ার দিয়ে রাজ্যজয়ের মাধ্যমে হয়নি, ইসলামের বিস্তার হয়েছে তাঁর ব্যাক্তিত্বের জাদুতে এবং তাঁর আশ্চর্য বাগ্মীতার প্রভাবে । (Islam and its holy prophet as judged by the Non Muslim world; page- 240)
সি.পি. রামস্বামীঃ ইসলাম বলতে কি বোঝায় ? আমি মনে করি এবং বিশ্বের সমস্ত চিন্তাশীল ব্যক্তিও এটা স্বীকার করেন যে বিশ্বের এক এবং একমাত্র সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ধর্ম ইসলাম যা আজ প্রকৃতপক্ষে কাজ করে চলেছে এই বিশ্বে । একজন হিন্দু হয়ে এবং হিন্দু বিশ্বাসের মধ্যে দৃঢ় ভাবে বেষ্টিত হয়েও আমি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে এ কথা বলছি । (The Eastern times; 22 December; 1944)