Sunday, 22 April 2012

নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি

                                    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم



ভূমিকা : সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে মুমিন সর্বাধিক সতর্ক হবে। যথাসম্ভব নির্ভূলভাবে ছালাত সম্পাদন করতে সচেষ্ট হবে।ছালাতের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত এবং ছালাতের পূর্বাপর বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিশুদ্ধভাবে পালন করবে। তার ছালাত নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছালাতের সাথে মিলছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি? বর্তমানে মুসলমানদের ছালাতের অবস্থা দেখলে মনে হয়না যেতারা ছালাতের মত শ্রেষ্ঠ ইবাদতটি আদায় করছেন না কিকরছেন? দেখা যায় অধিকাংশ লোকের ছালাত বিভিন্ন ধরণের ভুলে ভরা।
আমরা নিম্নে এমন কিছু ভুল-ত্রুটির উল্লেখ করছি যেগুলো মুছল্লীদের মধ্যে দেখা যায়; অথচ তা থেকে সতর্ক থাকা সকলের জন্য জরুরী।
১ ) তাড়াহুড়া করে ওযু করাঃ নামায ধরার জন্য তাড়াহুড়া করে ওযু করার কারণে অনেক সময় কোন কোন স্থানে পানি পৌঁছে না। শুকনা রয়ে যায় বিভিন্ন অঙ্গের কোন কোন স্থান। অথচ কোন স্থান শুকনা থেকেগেলে সেই ওযু দিয়ে ছালাত বিশুদ্ধ হবে না।
২ ) পেশাব ও পায়খানার চাপ রেখে ছালাত আদায় করাঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন,

“খাদ্য উপস্থিত হলে এবং দুটি নাপাক বস্তুর (পেশাব-পায়খানা) চাপ থাকলে ছালাত হবে না। (মুসলিম)
৩ ) দ্রুততার সাথে দৌড়িয়ে নামাযে শরীক হওয়াঃ অনেকে ইমামের সাথেতাকবীরে তাহরীমা পাওয়ার জন্য বা রুকু পাওয়ার জন্যদৌড়িয়ে বা দ্রুত হেঁটে ছালাতে শামীল হয়। অথচ এটানিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন,

“যখন নামাযের ইকামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং ধীর-স্থীর এবং প্রশান্তির সাথে হেঁটে হেঁটে আগমণ করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে তা আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (ইমামের সালামের পর) পূর্ণ করে নিবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
৪ ) জায়নামায পাক করার জন্য দুয়া পাঠ করাঃ ইন্নী ওয়াজ্জাহ্‌তু … বলে জায়নামায পাক করার জন্য দুয়া পাঠ করা হয়। এটি একটি বিদআত। কেননা জায়নামায পবিত্র থাকলে দুয়া না পড়লেও ছালাত হবে।আর জায়নামায নাপাক থাকলে হাজার দুয়া পড়লেও তা পাক হবে না। তাছাড়া এঅবস্থায় দুয়া পাঠ করা নবীজীর ছালাতের পদ্ধতীতে প্রমাণিত নয়।
৫ ) ছালাত শুরুর সময় মুখে নিয়ত উচ্চারণ করাঃ নাওয়াইতু আন… বলে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা আরেকটি বিদআত। কেননা এর পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ তো দূরের কথা কোন যঈফ হাদীছওপাওয়া যায় না। এ ভাবে নিয়ত না রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  না ছাহাবায়ে কেরাম না তাবেঈন না তাবে-তাবেঈন না চার ইমামের কেহ করেছেন। এটা কোন বুযুর্গ ব্যক্তির তৈরী করা প্রথা। তার সাথেইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।সুতরাং তা বর্জন করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ফরয। নিয়ত শব্দের অর্থ-ইচ্ছা বা সঙ্কল্প করা। আর তা অন্তরে হয় মুখে নয়। সুতরাং কোন কিছুকরার জন্য অন্তরে ইচ্ছা বা সঙ্কল্প করলেই সে কাজের নিয়ত হয়ে গেল। তা মুখে বলতে হবে না।
৬ ) নাভীর নীচে হাত বাঁধাঃ এক্ষেত্রে আহমাদ ও আবু দাঊদ বর্ণিত হাদীছটি দলীল হিসেবে পেশ করা হয়। আলী (রাঃ) বলেন, সুন্নাত হচ্ছে ছালাতে ডানহাতকে বাম হাতের উপর রেখেনাভীর নীচে রাখা। কিন্তু হাদীছটির সনদ দুর্বল, তাই উহা আমলযোগ্য নয়। তার বিপরীতে ছহীহ হাদীছ হচ্ছেডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর রাখা। (হাদীছটি ওয়ায়েল বিন হুজর(রাঃ) এর বরাতে আবু দাঊদে বর্ণিত হয়েছে।)
৭ ) সিজদার স্থানে দৃষ্টিপাত না করাঃ আকাশের দিকে বা অন্য দিকেদৃষ্টিপাত করার ফলে ছালাতে ভুল হয়ে যায় এবং মনের মাঝে নানান কথার সৃষ্টি হয়। অথচ দৃষ্টি নতরাখা এবং সার্বক্ষণিক দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখার জন্য নির্দেশ রয়েছে। তবে তাশাহুদ অবস্থায় ডান হাতের তর্জনীখাড়া রেখে তা নাড়াতে হবে এবং তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কি হয়েছে কিছু লোকের, তারা ছালাতরত অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে? তারপর তিনি কঠোর শব্দ ব্যবহার করে বলেন, “তারা এথেকে বিরত হবে; অন্যথা তাদের দৃষ্টি শক্তি ছিনিয়ে নেয়াহবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
ছালাত অবস্থায় ডানে-বামে দৃষ্টিপাতের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এটা হচ্ছে বান্দার ছালাত থেকেকিছু অংশ শয়তানের ছিনিয়ে নেয়া।” (বুখারী)
৮ ) তাকবীর, কুরআন তেলাওয়াত ও ছালাতের অন্যান্য দুয়ার সময় ঠোঁট না নড়িয়ে শুধু মনে মনে বলাঃ এটি একটি বহুল প্রচলিত ভুল। ইমাম নববী বলেন, ইমাম ছাড়া অন্যসবার জন্য সুন্নাত হচ্ছে সবকিছু চুপে চুপে পাঠ করা। চুপে চুপে বলার সর্বনিম্ন সীমা হচ্ছে নিজেকে শোনানো- যদি তার শ্রবণ শক্তি ঠিক থাকে এবংকথায় কোন জড়তা না থাকে। এ বিধান সকল ক্ষেত্রে ক্বিরাত পাঠ, তাকবীর, রুকুসিজদার তাসবীহ্‌ প্রভৃতি। তাছাড়া ঠোঁট না নাড়ালে তো তাকে পড়া বলা চলেনা। কারণ আরবীতে এমন অনেক অক্ষর আছে ঠোঁট না নাড়ালে যার উচ্চারণই হবে না।
৯ ) ছানা এবং আঊযুবিল্লাহ্‌ পাঠ নাকরে সরাসরি বিসমিল্লাহ্‌ পড়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করা। ছানা ও আঊযুবিল্লাহ্‌ পাঠ করা মুস্তাহাব।
১০ ) সূরা ফাতিহা পাঠ না করাঃ বিশেষ করে ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করার সময় সূরা ফাতিহা অনেকে পড়ে না। অথচ সুরা ফতিহা ছাড়া ছালাত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি এমন ছালাত পড়ল যাতে সূরা ফাতিহা পড়ে নাইসে ছালাত ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ তথা অসম্পূর্ণ। (বুখারী ও মুসলিম) রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাঃ) একদা ফজরের ছালাত শেষে মুছল্লীদের বললেন, তোমরা কি ইমামের পিছে পিছে কিছু পাঠ কর? আমরা বললাম, হাঁ, দ্রুত করে পড়েনেই। তিনি বললেন, এরূপ করোনা। তবে সূরা ফাতিহা পড়ে নিও। কেননা যে ব্যক্তি এ সূরা পড়বে না তার ছালাত হবে না। (আবু দাঊদ, তিরমিযী)
لَا صَلَاةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلَا هُوَ يُدَافِعُهُ الْأَخْبَثَانِ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُفَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا

তথাকথিত আশেকে রাসুল, ভন্ড পীর সুফী সম্রাট দেওয়ানবাগী !

http://photos-b.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/428317_370736396279642_322533971099885_1369229_1283940505_n.jpg
মন্তব্য-১# সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে রাসুল সা.রওজায়ে আতহারে ময়লা আবর্জনায় শুয়ে আছেন (নাউজুবিল্লাহ) তারপরে সে নাকি তা পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছে। রাসুল সা. কে কেউ স্বপ্নে খারাপ অবস্থায় দেখলে বুঝতে হবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে।
মন্তব্য-2# তাকে জিজ্ঞাসা করা হল আপনার উপর তো হজ্জ ফরজ, তো আপনি হজ্জ করেন নাকেন? সে বলল: জিবরাঈল আমার ঘরে কা'বা শরীফ নিয়ে আসে এবং আমি ঘরে বসেই হজ্জ করি। এমনকি রাসুল সা. মদীনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজ্জ করেছেন আর তিনি ঘরে বসেই হজ্জ করে ফেলেন।
বলুন এসব ব্যাপার কি সহ্য করা যায়? আল্লাহ জানেন এই অপরাধের কী শাস্তি হতে পারে, ইসলামের নাম বিক্রিকরে তারা তাদের পেট চালাচ্ছে। একবার ওরশ হলে ৩০/৪০ লাখ উঠে যায়। আমরা সাধারণ জনগণ ইসলামের বেসিক জিনিসগুলো কেন জানিনা? যাতে কোন ধর্ম ব্যবসায়ী আমাদের সরল বিশ্বাস নিয়ে কোন ব্যবসা করতে না পারে।
শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী শিরক, বিদআ'ত পা্ওয়া গেলে তাকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে। শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী কারো মাঝে শিরক বিদআ'ত না পাওয়া গেলে শুধু জেদের বশে তাকে ভন্ড বলা উচিত নয়। ইসলাম সবসময় ঠান্ডামাথা ও সুস্থ চিন্তার পক্ষে। আপনার এবং আপনার পরিবারের উপর আল্লাহর রহমত নাজিল হোক ।পোস্ট টি শেয়ার করে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহযোগীতা করুন ।
*** এই পোস্টটি শেয়ার করে সচেতনতা সৃষ্টি করুন।
সুতরাং সবাই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান ।এদেরকে ইসলাম থেকে বিতারিত করুন ।এদের মত ভন্ডদের জন্যই আজ ইসলাম ধর্মের এই দশা ।আপনার আশেপাশের সবাইকে এই ভন্ডদের কবল থেকে রক্ষা করুন ।সচেতন হোন সবাই ।
সূত্রঃ ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত



যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

এপ্রিল ফুল নিয়ে কিছু কথা ।

http://a5.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/s320x320/535036_271272306290596_100002234871416_609595_1934267568_n.jpg

এপ্রিল ফুল এর ইতিহাস বড়ই বেদনাদায়ক।
এখন থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে স্পেন ছিল মুসলিমদের দেশ। এই
দেশটি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রনে ছিল প্রায় আট শত বছর। ক্রসেড-রা দীর্ঘ
দিন ধরে স্পেনকে নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এজন্য তারা ধর্ম যুদ্ধের নামে বিভিন্ন সময় স্পেনে আক্রমন করত। কিন্তু স্পেনের
মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে তারা বরাবরই পরাজিত হত। মুসলিমরা এই
দেশটাকে এতটাই আধুনিক ভাবে সাজিযে ছিল , যা ছিল সত্যিই অসাধারণ।
আজও স্পেনের সেই শহরগুলো এক একটি অপূর্ব ঐতিহাসিক নিদর্শন।
যাহ মানুষকে এখনও মুগ্ধ করে। মুসলিমরা ভালই ছিল স্পেনে। কিন্তু
একটা পর্যায়ে মুসলিমরা ইসলাম হতে দূরে সরে যেতে লাগল। তাদের ইসলাম প্রচার-প্রসার ও ইসলাম পালনের প্রতি অনিহা বাড়তে লাগল
এবং তারা দুনিয়ামুখি হযে গেল। এক পর্যায়ে মুসলিমদের ঈমানের
অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ল। ঠিক এমন এক সময় খ্রিস্টানরা মুসলিমদের
উপর আবারও আক্রমণ করল। যদিও কিছু মুসলিম বীর ও তাদের সাথীরা চরম ভাবে আক্রমণকে প্রতিহত করল এবং ক্রসেড বাহিনীকে প্রায় পরাজিত
করে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। এক্ষেত্রে খ্রিষ্টানরা(ক্রসেড) মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করল। তারা প্রচার
করতে লাগল যে স্পেন এখন তাদের দখলে। এবং তারা ঘোষনা দিয়ে দিল ,
যে সকল মুসলিমরা মসজিদে আশ্রয় নিবে এবং সমুদ্রগামী জাহাজে আশ্রয়
নিবে তারা নিরাপদ। দূর্বল ইমানের মুসলিমরা শত্রুদের কথা মতো কাজ
করল। তারা মসজিদ ও জাহাজে আশ্রয় নিল।
পরে ক্রসেড বাহিনী সকল মসজিদ তালা বদ্ধ করল, এই বলে যতে মুসলিমরা নিরাপদে থাকে। পরে তারা সকল মসজিদ গুলোতে আগুন
ধরিয়ে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করল। আর জাহাজ গুলোকে তারা ডুবিয়ে দিল।
এভাবে স্পেন থেকে মুসলিমদের পরাজিত করল। এবং সেখানে এমন একজন
মুসলিমও ছিল না , যে কিনা আজান দিবে। বিগত ৫০০ বছর স্পেনে কোন আজান
হয়নি।মাত্র কয়েক বছর আগে আজানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আর এভাবে এপ্রিল মাসে মুসলিমদের বোকা বানিয়ে পরাজিত করেছিল। মুসলিমদের এই পরাজয়কে স্মরণ করে খ্রিষ্টানরা এপ্রিল ফুল পালন
করে থাকে। আর আমরা মুসলিমরা এখনও বোকার মত এপ্রিল ফুল পালন
করে নিজেদেরকে আরো বোকা হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকি।

Saturday, 21 April 2012

কিছু চমত্কার ইসলামিক নিদর্শন

http://photos-b.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/379438_231610266916376_229180590492677_501871_1105871414_n.jpg
পাশ্চাত্য মিডিয়া তে এই ছবি টি কখন ই প্রকাশ হবেনা
তবে যে তাদের দম্ভ বিনাশ হবে
এই ছবি টি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ সুনামির ধ্বংসযজ্ঞের পরবর্তী ছবি
পুরো এলাকা বিধ্বস্ত মাঝেদারিয়ে আছে আল্লাহর ঘর-মসজিদ
সুবহানাল্লাহ
আর যারা বলবেন এটা ঘটনাক্রমে মাত্র ! তাদের বলছি এরকম কয়েকটা ঘটনার প্রমান আছে আরও !
সব ই শুধুই ঘটনাক্রমে !!!
http://photos-d.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc7/403146_197644686998984_139739282789525_366064_52445955_n.jpg
জম জম কুপের পানি আল্লাহর
রহমতস্বরুপ। শিশু হজরত ইসমাইল ও
তার মা'কে যখন আল্লাহর
নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আঃ ) নির্জন
মরুভুমিতে পরিত্যাগ করেন। তখন তার
পায়ের আঘাতে জমজম কুপের
উৎপত্তি হয়।মা হাজেরা কুপের
চারপাশে চারটি পাথর
দিয়ে সিমানা দিয়ে দেন
তা না হলে সারা পৃথিবীতে জমজম কুপ
ছড়িয়ে পড়ত।
জমজম কুপের পানি অনেক রোগনিরাময়
করে। যারা হজ্জ
করতে যানা তারা বোতলে ভরেজম জম
কুপের পানি নিয়ে আসেন। এত মানুষ খায়
তবু পানির ফোটা পরিমান ও শেষ হয় না।
এভাবে আল্লাহ তার বান্দারজন্য
ঐশীবানী নিদর্শন রেখেছেন।
নীচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন
এটি হচ্ছে সেই জম জম কুপ !
ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসছেজম জম
কুপের পানি।

নামাজ পড়ায় আর অবহেলা নয়

http://photos-g.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/542475_351660228203606_207600322609598_880269_1290352271_n.jpg
সালাত ( নামাজ ) : কোন অজুহাত নেই -পড়তেই হবে !!
সুবাহানাল্লাহ এই মানুষটি থেকেও কি আপনি অক্ষম ? আসুন দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত(নামাজ) আদায়ের চেষ্টা করি ! হে আল্লাহ আমাদের নিয়তকে কবুল করুন ! হে আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের নিয়ত পালনে সহায়তা করুন ! একে সহজ ( পালনে ) করে দিন !! আমীন !
পুনশ্চঃ ছবিটি নেট থেকে সংগ্রহিত ! মনে হচ্ছে নাইজেরিয় কোন এক মসজিদ থেকে তোলা ছবি!!
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

Thursday, 19 April 2012

লোগো ডিজাইন করার কিছু বিষয়


লোগো যে কোন প্রতিস্ঠানের পরিচিতি প্রকাশের সবচেয়ে জোড়ালো প্রতিক। এপল একটি খাওয়া আপেলের ছবি দিয়ে তাদের পরিচিতি প্রকাশ করে, কোকাকোলা তাদের প্রতিকে ব্যবহার করে প্রবাহিত তরলের মত লেখা দিয়ে। কোন ওয়েবপেজে নিল রঙের ওপর এফ দেখেই কেউ বুঝে যান সেটা ফেসবুকের লিংক।  এসব কারনেই প্রতিটি প্রতিস্ঠান উচু মানের লোগো ব্যবহার করতে আগ্রহি হন, অনেকে তাদের লোগো নিয়ে গর্ববোধ করেন। ডিজাইনারদের কাছেও লোগো ডিজাইন একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
হয়ত মনে হতে পারে লোগো ডিজাইনের কাজ কয়টিই বা হতে পারে ? বাস্তবতা হচ্ছে অনেক ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনারের কাছে লোগো ডিজাইন একমাত্র বিষয়। প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে  প্রতি মুহুর্তে রয়েছে বহু লোগো ডিজাইনের কাজ। বড় কোম্পানীর লোগো পরিবর্তন থেকে শুরু করে নতুন চালু হতে যাওয়া কোম্পানী কিংবা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট প্রত্যেকেরই লোগো প্রয়োজন। সকলেই এপল-মাইক্রোসফটের মত লোগোর জন্য লক্ষ ডলারের ডিজাইনার ব্যবহার করতে পারেন না। ফল হিসেবে অনেকেই নির্ভর করেন ফ্রিল্যান্সারদের ওপর। প্রতিটি লোগো ডিজাইন করে একজন ডিজাইনার পেতে পারেন ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার, সময়ে ৫ হাজার ডলার কিংবা আরো বেশি।
লোগো ডিজাইনের জন্য বেশকিছু সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। কোন সফটঅয়্যার ব্যবহারের সময় কোন বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখবেন সেটা তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
.          ফন্ট/টেক্সট ব্যবহারের ব্যবস্থা
লোগোর গুরুত্বপুর্ন বিষয় টেক্সট। অনেক লোগোতে লেখাকেই কিছুটা পরিবর্তন করে বক্তব্য প্রকাশের উপযোগি করা হয় এবং এগুলিই সত্যিকারের জনপ্রিয় লোগো। কাজেই টেক্সট ব্যবহারে সুযোগ যত বেশি তত ভাল লোগো তৈরীর সম্ভাবনা। লেখা বড়ছোট করা, প্রতিটি অক্ষরকে পৃথকভাবে পরিবর্তন করার ব্যবস্থা, ঘুরানো, যায়গা পরিবর্তন, দুরত্ব কমবেশি করা, পছন্দমত রং ব্যবহার ইত্যাদি গুরুত্বপুর্ন। সেইসাথে থ্রিডি ইফেক্ট ব্যবহারের ব্যবস্থা, স্যাডো-বেভেল-এমবোস ইত্যাদি উচুমানের লোগো ডিজাইন সফটঅয়্যারে থাকে। সফটঅয়্যারের সাথে যদি বিশেষ ফন্ট দেয়া হয় সেটাও অতিরিক্ত সুবিধে।
.          ফাইল ফরম্যাটলোগো ডিজাইন সফটঅয়্যারে জেপেগ, টিফ, বিটম্যাপ, পিএনজি ইত্যাদি ইমেজ ব্যবহারের সুযোগ থাকা প্রয়োজন এবং এদের সবগুলি ফরম্যাটে আউটপুট নেয়ার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। উল্লেখ করা যেতে পারে লোগো তৈরীর জন্য সফটঅয়্যারে সাধারনত ভেক্টর আউটপুটের ব্যবস্থা থাকে না।
.          গ্রাফিক এবং ইমেজ টুল
লোগোর রং, স্যাডো, আকার পরিবর্তন, ঘুরানো, আউটলাইন করা, উল্টানো, থ্রিডি ইফেক্ট দেয়া ইত্যাদি থাকলে পছন্দমত লোগো তৈরী সহজ হয়। সরাসরি সফটঅয়্যারের তৈরী করা লোগোর সাথে যত বেশি পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে তত ভাল।
.          ব্যবহারের সহজতা
যারা লোগো তৈরীর কাজ করতে আগ্রহি তারা সবাই পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনার নিশ্চয়ই নন। মুলত যারা ডিজাইনার নন অথচ লোগো তৈরী করতে চান তাদের জন্যই এই সফটঅয়্যারগুলি। কাজেই ব্যবহার কতটা সহজ সেদিকেও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
.          ডকুমেন্টেশন
সাধারনত সফটঅয়্যারের সাথে হেল্প হিসেবে কাজের পদ্ধত বর্ননা করা থাকে। সেখানে যত বিস্তারিত তথ্য থাকে সেই সফটঅয়্যার থেকে তত ভাল ফল পাওয়া যায়। সেইসাথে যদি অনলাইন হেল্প থাকে তাহলে আরো ভাল।
এধরনের কিছু জনপ্রিয় লোগো ডিজাইন সফটঅয়্যার হচ্ছে;
PagePlus, LogoMaker, AAA Logo, Logo Design Studio, Quick Logo Designer, LogoSmartz, Company Logo Designer
এদের মধ্যে ১ম, ৩য় এবং ৪র্থ সফটঅয়্যারে সীমিতভাবে হলেও ভেক্টর ব্যবহার করা যায়।
শেষকথা
দীর্ঘদিন গ্রাফিক ডিজাইন না শিখে যদি লোগো তৈরী করতে চান তাহলে এদের এক বা একাধিক সফটঅয়্যার ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন। আর যদি লোগো ডিজাইনকে পুরোপুরি পেশা হিসেবে নিতে চান তাহলে আরে কিছু বিষয় আপনাকে লক্ষ করতে হবে। অনেকেই চান তাদের লোগো ভেক্টর ফরম্যাটে, আরো স্পষ্ট করে ইলাষ্ট্রেটর ফরম্যাটে। কারন লোগো যে কোন যায়গায় যে কোন মাপে ব্যবহার হতে পারে। এছাড়া যিনি লোগোর জন্য ৫০০ ডলার ব্যয় করবেন তিনি একেবারে তারজন্য তৈরী লোগো আশা করতেই পারেন, অটোমেটেড বা সেমিঅটোমেটেড লোগো তার পছন্দ হওয়ার কথা না।
কাজেই সত্যিকারের উচুমানের লোগো তৈরীর জন্য এডবি ইলাষ্ট্রেটর শেখার বিকল্প নেই।

কম্পিউটার সুস্থ রাখার টিপস


বর্তমান যুগের সাথে কম্পিউটার নামটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ কম্পিউটারের সঠিক যত্ন নেয়া প্রতিটি পিসি ইউজারের জন্য খুবই জরুরী। পিসিকে গতিশীল ও সুস্থ রাখার কিছু টিপস দিলাম :
১) কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক জ্যাম করে রাখবেন না। অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও ডাটা হার্ডডিস্ক থেকে মুছে ফেলুন। খুব বড় কোন মুভি থাকলে তা সিডি/ডিভিডিতে রাইট করে রাখুন এবং হার্ডডিস্ক থেকে ডিলিট করে দিন।

২) কম্পিউটারের যেন ভাইরাস আক্রান্ত না করে তাই ভালো মানের অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।

৩) ইন্টারনেট ব্যবহার করলে অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ছাড়াও ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন এবং অপরিচিত ওয়েব সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকুন।

৪) মাসে কমপক্ষে একবার ডিফ্রাগমেন্ট চালু করুন। এতে আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন ডাটা-ও ছড়িয়ে থাকা অংশগুলো একত্রিত হবে ও ডিস্ক স্পেস বাড়াতে সাহায্য করবে।

৫) কোন কিছু আনইন্সটল করার সময় তা সরাসরি ডিলিট না করে “এ্যাড-রিমোভ” অপশন থেকে আনইন্সটল করে ফেলুন।

৬) অনেকেই কম্পিউটারের ছোটখাটো সমস্যাতেও নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে থাকেন, বার বার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল পিসির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ম্যানুয়ালি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন, যদি সম্ভব না হয় তাহলে দক্ষ কাউকে দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করুন।

৭) পেন ড্রাইভ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন এবং অবশ্যই তা ওপেন করার পূর্বে ভাইরাস স্ক্যান করে নিন।

৮) প্রতি ৬-৭ মাস অন্তর অন্তর বলয়ার মেশিন/ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে সিপিইউ পরিষ্কার করুন।

৯) অনাকাঙ্ক্ষিত শাট ডাউন এড়াতে ইউপি-এস ব্যবহার করুন।