بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمশুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরমকরুণাময়, অতি দয়ালু।
আসমানী কিতাবের নামঃ
১. তাওরাত (মুসা আঃ. এর কিতাবের নাম)
২. যাবুর (দাউদ আঃ. এর কিতাবের নাম)
৩. ইনজিল (ঈসা আঃ. এর কিতাবের নাম) কুরআনের নামঃ
কুরআনের নাম অনেকে প্রায় ৯২ টি আবার কেউ ৫৫ টি বলে বর্ণনা করেছেন। তবে, সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্যতথ্য হিসাবে এর পাচটি নামকে উলেখ করা যায়।
১. আল কুরআন
২. আল ফুরকান (সুরা আলে ইমরান, ফুরকান)
৩. আল কিতাব (সুরা বাকারা)
৪.আত তানজিল
৫. আয-যিকর। (সুরা হিজর)
নবীদের নামঃ
কুরআন শরীফে ২৫ জন নবীর ২৬ টা নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা আনয়ামের ৮৩-৮৬ নং আয়াতে ১৮ জন নবীরনাম উল্লেখিত হয়েছে।
১. ইবরাহীম(আঃ)
২. ইসহাক(আঃ)
৩. ইয়া’কুব(আঃ)
৪. নূহ(আঃ)
৫. দাউদ(আঃ)
৬. সুলায়মান(আঃ)
৭. আইয়ুব(আঃ)
৮. ইউসুফ(আঃ)
৯. মুসা(আঃ)
১০. হারুন(আঃ)
১১. জাকারিয়া (আঃ)
১২. ইয়াহিয়া(আঃ)
১৩. ঈসা(আঃ)
১৪. ইলইয়াস(আঃ)
১৫. ইসমাইল(আঃ)
১৬. ইয়াস’আ(আঃ)
১৭. ইউনুস(আঃ)
১৮. লুত (আঃ)
অন্যান্য আয়াতে এসেছে সাতজনের নাম। তাদের ছয়জন হলেন-
১. ইদরীস(আঃ)
২. হুদ(আঃ)
৩. শুয়াইব(আঃ)
৪. যুল-কিফল(আঃ)
৫. সালেহ(আঃ)
৬. আদম (আঃ)
এ ছাড়া রাসুল (সাঃ) এর দুটি নাম এসেছে।
১. মুহাম্মাদ (সাঃ)। এ নামটি এসেছে চার স্থানে। সুরা আলে ইমরান, আহযাব, মুহাম্মাদ ও আল ফাতহে।
২. আহমাদ। এ নামটি এসেছে সুরা সাফফে।
ফেরেশতাদের নামঃ
১. জিরবাইল (আঃ) ও
২. মীকাইল (আঃ)
মানুষের নামঃ (নবীগণ ব্যতিত)
১. লোকমান (সুরা লোকমানে)
২. যায়েদ (সুরা আহযাবে)
৩. মারইয়াম (আঃ)
৪.ইবরাহীম (আঃ) এর পিতা আজর।
৫. কারুন
৬. হামান
৭. জালুত
৮. তালুত
মানুষ ও ফেরেশতার বাইরেঃ
১. কাফেরদের সর্দার ইবলিস
গোত্রের নামঃ
১. আদ
২. সামুদ
৩. মাদইয়ান (এ তিনটি নাম বিভিন্ন সুরায় এসেছে।)
৪. ইয়া’জুজ ও মা’জুজ (সুরা কাহাফ ও আম্বিয়া)
৫. সাবা (সুরা সা’বা)
৬. কুরাইশ (সুরা কুরাইশ)
মুর্তির নামঃ
১. উদ্দ
২. সুওয়া
৩. ইয়াউক
৪. নাসর (এগুলো নুহ আঃ. এর জাতির জাতির লোকদের মুর্তির নাম। এগুলো সুরা নুহে উল্লেখিত হয়েছে।)
৫. লাত
৬. উজ্জা
৭. মানাত (কুরাইশ ও আরবদেরমুর্তির নাম। সুরা নাজমে বর্ণিত হয়েছে।)
স্থানের নামঃ
১. মাক্কা, এটাকে বাক্কা ওবলা হয়।
২. মাদীনা, এটার অপর নাম ইয়াসরিব।
৩. মিসর। (চার স্থানে বর্ণিত সুরা ইউনুসে এক জায়গায়, সুরা ইউসুফে দুই স্থানে এবং সুরা যুখরুফে)
৪. বাবেল (সুরা বাকারায় বর্ণিত হয়েছে।)
৫. বদর প্রান্তর
৬. হুনাইন প্রান্তর
৭. মাশ’আরিল হারাম তথা মুযদালিফা।
৮. হিজর (সালেহ আঃ. এর জাতির লোকদের বাসস্থান। এই নামে একটি সুরা আছে)
৯. আহকাফ (আদ জাতির বসবাসস্থল। এ নামে কুরআনেএকটি সুরা রয়েছে।)
১০. কাহাফ (আসহাবে কাহাফদের গুহা। এ নামে কুরআন শরীফে একটি সুরা আছে।)
১১. আরাফাত।
পাহাড়ের নামঃ
১. তুরে সিনা
ঝর্ণার নামঃ
১. কাউসার
২. সালসাবিল
৩. তাসনীম (সবগুলো বেহেশতের ঝর্ণার নাম)
উপত্যকার নাম
১. ওয়াইল (তিরমীজির বর্ণনা মতে)
সম্মানিত স্থানের নামঃ
১. আরশুল আযীম।
২. ফেরদাউস (সর্বোচ্চ জান্নাত)
৩. মাক্কা
৪. মাদীনা
বিভিন্ন জাতির নামঃ
এগুলো অনেক। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
১. মানুষ
২. জিন
৩. ফেরেশতা
৪. পাখি
৫. সুর্য
৬. চন্দ্র
৭. তারকারাজি
৮. গ্রহ নক্ষত্র
৯. পাহাড়
১০. গাছ পালা
১১. বিভিন্ন শ্রেণীর পশু।
ডাকনামঃ
কুরআন শরীফে শুধুমাত্র একটি স্থানে ডাকনাম এসেছে। সেটা হল- আবু লাহাব (অগ্নিশিখার পিতা) সুরা লাহাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি ছিলেন রাসুল (সাঃ) এর চাচ। তার আসল নামছিল আব্দুল উজ্জা।
উপাধীঃ
১. নবী
২. রাসুল
৩. খালীল (ইবরাহীম আঃ. এর উপাধী)
৪. ইসরাইল (ইয়া’কুব আঃ. এর উপাধী)
৫. মাসীহ (ঈসা আঃ. এর উপাধী)
৬. ফেরআউন (প্রাচীন মিসর সম্রাটদের উপাধী)
৭. তুব্বা (ইয়ামানের শাসক)
৮. শায়তান (ইবলিসের উপাধী;পরে এটা দ্বারা খারাপের শেষ সীমায় পৌছে গেছে এমন লোকদেরকে বুঝানো হয়)
লেখক: ইসমাইল জাবিহুল্লাহ
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশর।
পড়া হলে সবার সাথে শেয়ার করুন
0 comments
Post a Comment
Thanks for comment