بِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم
আজ আপনাদের এমনই দুটি ইউনিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আলোচনা করবো যার মধ্যে একটিতে রয়েছে একই সাথে বিড প্রজেক্টের পাশাপাশি বিডমূক্ত মাইক্রো প্রজেক্টের সুবিধা। এবং এই সাইটটিতে বাংলাদেশী টাকায় বিড করা যায় এবং অর্থ পেমেন্ট করে বাংলাদেশী টাকায়।
আজ আপনাদের এমনই দুটি ইউনিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আলোচনা করবো যার মধ্যে একটিতে রয়েছে একই সাথে বিড প্রজেক্টের পাশাপাশি বিডমূক্ত মাইক্রো প্রজেক্টের সুবিধা। এবং এই সাইটটিতে বাংলাদেশী টাকায় বিড করা যায় এবং অর্থ পেমেন্ট করে বাংলাদেশী টাকায়।
অনলাইনে আয়ের যে বহূল প্রচলিত বিষয়গুলো আছে তার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং
অন্যতম। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ জনগোষ্ঠির
স্বল্পতা এবং মূলত উচ্চ পারিশ্রমীকের কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো
তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প আয়ের দেশ সমূহের লোকদের প্রদান করে
থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের পরিধি
বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি এই খাতে বিপুল সংখ্যাক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন
ব্যক্তিদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই পেশার সবচেয়ে আকষর্ণীয়
দিক হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার পাশাপাশি রয়েছে তুলনা মূলক ভাল পারিশ্রমিক।
স্ক্রিপ্টল্যান্স একটি পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল
স্ক্রিপ্টল্যান্স (www.scriptlance.com),
প্রোগ্রামারদের মধ্যে বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্স
মার্কেটপ্লেস। প্রতিদিন প্রায় ২০০টির অধিক নতুন প্রজেক্ট এই সাইটে আসে। এ
সাইটে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আলাদাভাবে মাসিক কোনো ফি দিতে হয় না। তবে
সার্টিফাইড প্রোগ্রামারদের প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করতে
হয়। এই সাইটে সক্রিয় প্রোগ্রামারের সংখ্যা হচ্ছে মাত্র ৩,৪১৭ জন। তবে এই
সাইটে প্রোগ্রামারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অন্যান্য সাইট থেকে বেশি।
ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার জন্য রয়েছে একটি অনলাইন ফোরাম। রয়েছে এস্ক্রো
(Escrow) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা। সাইটটি
ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে সহজ। প্রজেক্টে বিড করার পদ্ধতি অন্যান্য
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো। প্রজেক্টে সাধারণত একজন প্রোগ্রামারের বিড
আরেকজন প্রোগ্রামার দেখতে পারে। তবে বায়ার ইচ্ছে করলে তা গোপন রাখার
ব্যবস্থা করতে পারে। সাইটের কমিশন খুবই কম, একটি প্রজেক্টের মোট মূল্যের ৫%
(তবে সর্বনিম্ন কমিশন ৫ ডলার)।
স্ক্রিপ্টল্যান্স ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রজেক্টগুলো কয়েকটি আলাদা
ভাগে সাজানো থাকে। সর্বপ্রথম অংশে রয়েছে প্রজেক্টের বিভাগ, যার মধ্যে
অন্যতম হচ্ছে- পিএইচপি, জাভা, জাভা স্ক্রিপ্ট, সি/সি++, এএসপি ডট নেট,
পার্ল/সিজিআই, জুমলা, এসকিউএল, ওয়েবসাইট ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফ্ল্যাশ,
সিএসএস, অ্যাজাক্স, এসইও, ডাটাএন্ট্রি, রাইটিং, মার্কেটিং, মাল্টিমিডিয়া
ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ফিচার্ড প্রজেক্টের লিস্ট। ফিচার্ড প্রজেক্টগুলো
একটি সাধারণ প্রজেক্ট থেকে বেশিদিন সাইটে বিড করার জন্য উন্মুক্ত থাকে। এ
ধরনের প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে একজন প্রোগ্রামারকে সাধারণ প্রজেক্টের তুলনায়
অর্ধেক কমিশন সাইটকে দিতে হয়। একটি প্রজেক্টকে ফিচার্ড লিস্টে স্থান দিতে
বায়ারকে ১৯ ডলার সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়, যা দিয়ে এ ধরনের প্রজেক্টগুলো
ক্লায়েন্টের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। পাশাপাশি
ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ই-মেইল, ইনস্ট্যান্ট
ম্যাসেঞ্জার, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেয়া যায়, যা একটি সাধারণ প্রজেক্টে
ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য দেয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
তৃতীয় অংশে রয়েছে জরুরি বা আর্জেন্ট প্রজেক্টের লিস্ট। আর্জেন্ট
প্রজেক্টের পরবর্তী অংশে রয়েছে বড় বাজেটের প্রজেক্টের লিস্ট। সাধারণত
পাঁচশ’ ডলার থেকে শুরু করে দশ হাজার ডলারের অধিক মূল্যের প্রজেক্টগুলো এ
অংশে পাওয়া যায়।
হোম পেজের নিচের দিকে জব লিস্টিং নামের ফিচারটি এই সাইটের একটি
স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এ অংশে চাকরিদাতারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন
চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। চাকরিগুলো হতে পারে একটি নির্দিষ্ট প্রজেক্টের
জন্য অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। বায়ার ইচ্ছে করলে স্ক্রিপ্টল্যান্স
সাইটের মাধ্যমে কাজ দিতে পারে অথবা সরাসরি ফ্রিল্যান্সারের সাথে যোগাযোগ
করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনলাইনে চাকরি দিতে পারে।
অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো এ সাইটেও বিভিন্ন সুবিধাযুক্ত একটি
আলাদা মেম্বারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, যা সার্টিফাইড মেম্বার নামে পরিচিত।
তবে অন্য সাইট থেকে এই ফিচারটির পার্থক্য হচ্ছে, যেকেউ সার্টিফাইড মেম্বার
হতে পারবে না। সার্টিফাইড মেম্বার হতে হলে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়।
এরপর স্ক্রিপ্টল্যান্স কর্তৃপক্ষ আবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেয়। একজন সার্টিফাইড মেম্বার হওয়ার প্রয়োজনীয় শর্ত হলো- কমপক্ষে ৫ জন
বায়ারের কাছ থেকে ১০টি বা তার অধিক কাজের মন্তব্য। সাথে থাকতে হবে ভালো
একটি রেটিং- ১০-এর মধ্যে ৯ বা তার অধিক। সার্টিফাইড মেম্বার হবার পর রেটিং
যদি ৮-এর নিচে ৩০ দিনের অধিক অবস্থান করে, তাহলে সে ফ্রিল্যান্সার
সার্টিফাইড মেম্বারশিপের যোগ্যতা হারাবে। সার্টিফাইড মেম্বার হতে আবেদন
যাচাইয়ের জন্য ১০ ডলার এবং প্রতি মাসে ২৫ ডলার ফি দিতে হয়। এ অর্থগুলো
ফ্রিল্যান্সারের স্ক্রিপ্টল্যান্সের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হয়।
এবার দেখে নেয়া যাক, একজন সার্টিফাইড মেম্বার সাইটটি থেকে কী কী সুবিধা
পেয়ে থাকে। প্রথমত সার্টিফাইড মেম্বারদের নামের পাশে সবসময় একটি বিশেষ লোগো
সংযুক্ত থাকে, যা বিড করার সময় অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে তাকে
আলাদাভাবে প্রদর্শন করে। সার্টিফাইড মেম্বারদের যাচাইবাছাই করে মেম্বারশিপ
দেয়া হয়, যা বেশিরভাগ বায়ারের কাজে ওই ফ্রিল্যান্সারের গুরুত্ব বহন করে।
একটি প্রজেক্টে সার্টিফাইড মেম্বারের বিড বোল্ড অক্ষরে থাকে, যা সহজেই
বায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সর্বোপরি সার্টিফাইড মেম্বারকে প্রতিটি
প্রজেক্টে ৫০% কম ফি সাইটকে দিতে হয়।
স্ক্রিপ্টল্যান্স থেকে অর্থ উত্তোলনের খরচ অন্যান্য সাইট থেকে অনেক কম।
এই সাইট থেকে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়। এগুলো হচ্ছে-
সাধারণ চিঠির মাধ্যমে চেক (৩ ডলার ফি), ফেডএক্সের মাধ্যমে চেক (৩৮ ডলার
ফি), পেপাল, ই-গোল্ডে, মানিবুকারস, পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড এবং
ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার (২৫ ডলার ফি)। আমাদের দেশের জন্য পেওনার ডেবিট
কার্ড এবং ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার সবচেয়ে ভালো দু’টি পদ্ধতি।
স্ক্রিপ্টল্যান্সের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিবারে সর্বনিম্ন ৩০ ডলার তোলা যায়।
অসুবিধাঃ-
স্ক্রিপ্টল্যান্স সাইটের একটি অসুবিধা হচ্ছে, প্রজেক্ট শুরু হওয়ার সাথে
সাথে প্রজেক্টের কমিশন কেটে রাখা হয়, যা নতুন ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে
কোনো টাকা না থাকলে নেগেটিভ ব্যালেন্স দেখায়। নেগেটিভ ব্যালেন্স ৩০ দিনের
বেশি হলে প্রোগ্রামারের অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায়
অন্য কোনো প্রজেক্টে বিড করা যাবে না। তবে এতে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই,
কারণ প্রজেক্ট শেষে বায়ার মূল্য পরিশোধ করার সাথে সাথে অ্যাকাউন্টটি আবার
সচল হয়ে যাবে।
বাংলাদেশীদের জন্য এফএল ওয়ার্কার হতে পারে সবচেয়ে আদর্শ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস।
অনলাইনে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল রয়েছে। সেগুলোতে কাজ করে ভাল
অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো বাংলাদেশী
ওয়ার্কারদের জন্য কাজ শেষে অর্থ হাতে পাওয়া। সাধারণ বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের
কাছে না আছে পেপ্যাল একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড। আবার যাদের এগুলো আছে তাদের
আরেক ঝামেলা হলো সংশ্লিষ্ট সাইটকে কাজের সার্ভিস চার্জ এবং উইথড্রয়াল
প্রসেসিং চার্জ দেয়ার পর দিতে হয় পেপ্যাল একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের হাই
উইড্রয়াল ফি। আর যদি সরাসরি ব্যাংকে টাকা আনতে হয় তাহলেতো পাঠাতে এবং
তুলতেই সব শেষ। এখন ভাবনার বিষয় হলো সংশ্লিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং সাইটে সুবিধা
যতই ভাল হোক নিজের কষ্টার্জিত আয় হাতে পেতে মাক্সিমাম টাকাই ব্যয় হয়ে যায়
তাহলে কষ্ট করে আর লাভ কি?। তবে আমি বলবো এখন আর বাংলাদেশী ওয়ার্কারদের
এতোটা হতাশ হবার কারণ নেই। আমি আপনাদের এখন দেখাবো এমনই একটি পরিপূর্ণ
ফ্রিল্যান্সিং সাইট যা একজন বাংলাদেশী ওয়ার্কার বা বায়ার(কাজদাতা) হিসেবে
আপনার কাছে হতে পারে একটি আদর্শ। আসুন দেখে নেই এক নজরে সম্ববত ২০১২ সালে
আসা (Flworker), সাইটের কমন ফিচারগুলো।
- বিড প্রজেক্টের পাশাপাশি বিড ফ্রি প্রজেক্টের (মাইক্রো ওয়ার্ক) সুবিধা।
- ডলারের পাশাপাশি বিডিটি(বাংলাদেশী টাকায়) বিড বা কাজ করার সুবিধা।
- BDT নুণ্যতম ৫০ টাকা হলেই জিপি ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে এবং ৫০০ টাকা হলেই লোকাল যেকোন ব্যাংকে অর্থ উত্ত্বোলন করা যায়।
- USD নুণ্যতম ২ ডলার হলেই এলার্টপে, মানিব্রোকারস্ ও পেপ্যাল একাউন্টে উত্ত্বোলন করা যায়।
- যাদের অনলাইনে কাজ করার মত কোন দক্ষতা নেই শুধু কপি/পেষ্ট জানেন তারাও এফএল ওয়ার্কারের বেসিক প্রজেক্ট (মাইক্রো ওয়ার্ক) এ কাজ করে বাংলাদেশী টাকায় ঘরে বসে পেমেন্ট পেতে পারেন। আর যারা বিভিন্ন কাজ জানেন তাদের জন্যতো মূল জেনারেল প্রজেক্ট রয়েছেই।
- প্রতিটি প্রজেক্টে ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের চার্জ বা ফি নেই।
- ফ্রি রেজিষ্ট্রেশনের পাশাপাশি আলাদাভাবে মাসিক কোনো ফি দিতে হয় না।
- কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ বায়ার যখনই একজন ওয়ার্কারকে নির্বাচিত করে তখনই প্রজেক্টের সস্পূর্ণ অর্থ সাইটকে পেমেন্ট করতে হয়।
- কোন সার্টিফাইড বা প্রিমিয়াম ওয়ার্কার অপশন নেই। ( সাধারণত বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্স সাইটে তাদের সার্টিফাইড প্রোগ্রামাররা কোন বিড করলে সেগুলো রঙ্গিন আকারে হাইলাইট হয়ে থাকে এবং তাদের প্রোফাইল ও পোর্টফুলিও তৈরিতে অধিক উন্নত টুলস সরবরাহ করা হয় যা দেখে একজন বায়ার বা কাজদাতা সহজে আকৃষ্ট হয়ে তাদের কে কাজ দিয়ে দেয়। এই অপশনগুলো সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোর একটি ব্যবসা। নতুন ওয়ার্কাররা এবং অনেক ভাল প্রোগ্রামার/ওয়ার্কাররা শুধু সেই সাইটের প্রিমিয়াম মেম্বার হতে না-পারার কারণেই অনেক কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং বায়াররা বাহিরের চাকচিক্য দেখে ভাল আউটপুট থেকে বঞ্চিত হয়। আর এই অসুবিধা যাতে না-হয় তাই হয়তো সে কারণেই কোন সার্টিফাইড বা প্রিমিয়াম ওয়ার্কার অপশন রাখা হয় নাই।
- বিডের শেষে বিড দাতা ওয়ার্কার মোট কতটি কাজ করছে বা কত টাকা এ পর্যন্ত আয় করেছে এবং সে কোন কোম্পানী কিনা ইত্যাদি অতিরিক্ত ইনফরমেশন থাকে না। এই সুবিধার কারণে নতুন/পুরাতন ওয়ার্কারদের নিজের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের যেমন সুবিধা হয় তেমনি মনও কখনো ছোট হয় না। একজন বায়ার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কার নতুন না পূরাতন সেটি দেখে নয় বরং ওয়ার্কারদের নিজেদের তৈরি করা সমৃদ্ধ কাষ্টম পোর্টফুলিও দেখে যাচাই বাছাই করে যোগ্যতানুসারে বাছাই করতে পারে।
- একজন প্রোগ্রামারের বিড আরেকজন প্রোগ্রামার দেখতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো বেশিরভাগ সাইটে ডিসপ্লে করার জন্য একটি ম্যাক্সিমাম এমাউন্ট শো করে কিন্তু বিডাররা হিডেনলি আরেকটি নুণ্যতম এমাউন্ট অফার করে যা সাধারণত শো হয় না। একারণে প্রতিদ্বন্ধী ওয়ার্কাররা সত্যিকার অর্থে কত টাকা বিড করেছে তা বুঝার উপায় থাকে না। তবে এফএল ওয়ার্কারে সে অসুবিধা নেই। যা বিড হবে তাই শো করবে। বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
- ঘন্টানুসারে কাজের ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইউজ করতে হয় না। তাই অনলাইনে থেকে কাজ করার ঝামেলায় পড়তে হয় না। যত ঘন্টায় আপনি কাজটি শেষ করতে পারবেন বলে মনে করেন সেটি বিডে উল্লেখ করা যায় এবং সে অনুসারে কাজ করে কাজ জমা দেয়া যায়।
- সুইজারল্যান্ড/সৌদিআরব ও বাংলাদেশী বায়ারদের জন্য এই সাইটটি একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম । কারণ আপনার কোন কাজ সহজেই এখন দেশী টাকায় যেকোন ভাল ওয়ার্কারদের দিয়ে করাতে পারবেন। বাংলাদেশী বায়ারগণ পেমেন্টের ক্ষেত্রে লোকাল ব্যাংক ডিপোজিট অথবা গ্রামীণ ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবহার করতে পারেন।
- যারা অনলাইনে একাধিক লোক দিয়ে দ্রুত সময়ে ছোটখাটো কোন কাজ করাতে চান (যেমন, ফেসবুক/টুইটারে ফ্রেন্ড/লাইক বা ফলোয়াড় বাড়ানো। ইয়াহু/ফেসবুক/জিমেইলে একাধিক আইডি তৈরি। ওয়েবসাইটের রিভিউ বা ব্যাকলিংক তৈরি করানো। পিটিসি/এলিফায়েড প্রমোশনের জন্য রেফার বাড়ানো ইত্যাদি) তাহলে এফএল ওয়ার্কারের বেসিক প্রজেক্ট(মাইক্রো প্রজেক্ট) এ কাজ দিতে পারেন। পেমেন্টের ক্ষেত্রে লোকাল ব্যাংক ডিপোজিট অথবা গ্রামীণ ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবহার করতে পারেন।
- অর্থ উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশীদের জন্য রয়েছে এক্সট্রিমলি লোকাল সুবিধা। আপনার কর্ষ্টাজিত অর্থগুলো আপনি আপনার লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারবেন নুণ্যতম ৫০০ টাকা হলেই এবং ৫০ টাকা হলেই আপনি জিপি ফ্ল্যাক্সিলোডের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে নিয়ে আসতে পারেন সার্ভিস চার্জ ব্যতিত অন্য কোন চার্জ ছাড়াই। আগেই বলেছি প্রায় সবগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ যত এমাউন্টের কাজ করছেন সে অনুসারে আগেই একটি কাজের চার্জ নিয়ে নেয়। অর্থ উত্তোলনের সময় চার্জ নেয় আরেকটি। ক্রেডিড কার্ড/পেপ্যাল/ব্যাংক গুলোও উত্তোলন চার্জ রাখে। কিছু কিছু সাইটে আবার মাসিক চার্জও রয়েছে। সে অনুপাতে এফএল ওয়ার্কার অনেক ভাল। উত্তোলনের সময় সার্ভিস চার্জ ব্যাতিত অন্যকোন সার্ভিস চার্জ একেবারেই নেই। ওদিকে পেপ্যাল/মানিব্রোকার/এলার্টপে ইত্যাদি সুবিধাতো রয়েছেই।
এই সাইট সর্ম্পকে উপরের তথ্য গুলোর জন্য আমি এফএল ওয়ার্কার সাইটের বাংলায় লেখা এই http://dailytulpar.com/LBangla.aspx টিউটোরিয়াল এবং সাইটের http://dailytulpar.com/FAQ.aspx এবং ইমেইল http://dailytulpar.com/contact.aspx করে জানতে পেরেছি। আরো বিস্থারিত তথ্যের জন্য আপনিও সেগুলো রেজিষ্ট্রেশনের আগে দেখে নিন।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে টাকার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং করি তাই ইন্টারন্যাশনাল
কাজের প্রাপ্ত অর্থ বাড়তি খরচ ছাড়া লোকাল উত্ত্বোলন ও দেশী টাকায় বিডের
অপশন সুবিধাকেই মূখ্য হিসেবে বিবেচনা করেছি। তাই নতুন হিসেবে এই সাইটের
কিছু অসুবিধাকে সাচ্ছন্দে মেনে নেয়া যায়। তবে কিছু অসুবিধা না-বললেই নয়
সেগুলো হলোঃ-
অসুবিধাঃ-
আসলে কোন সাইটই পরিপূর্ণ নয় । কিছু অসুবিধাতো রয়েছেই। আমি যখন এই লেখা
লিখছি তখন সাইটটি সবার জন্য উন্মোক্ত হলেও এখনো পরিপূর্ণ ভাবে সবকিছু
সংযুক্ত করা হয়নি। আমি যতদুর জানতে পারলাম এটি মূলত একটি মাল্টিন্যাশন্যাল
কোম্পানীর চাইল্ড প্রজেক্ট। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে এই কোম্পানীটি নিবন্ধিত।
বাংলাদেশেও এই কোম্পানীটি বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট স্টক এন্ড ফার্ম কতৃক
ইনকপোর্রেট লাইসেন্স প্রাপ্ত। মেইল রেসপণ্সে যতটুকু বুঝতে পারলাম এফএল
ওয়ার্কার সাইটটি মূলত বাংলাদেশ,ইন্ডিয়া,পাকিস্থান ও মালদ্বীপ বেজড সাইট।
সুবিধার ক্ষেত্রে এ দেশগুলোই প্রাধান্ন্য পাবে। কোম্পানী তাদের অন্যান্য
প্রতিষ্টানের পাশাপাশি অনলাইন লাইভ নিউজ চ্যানেল www.dailytulpar.com চালুর জন্য সরকারের কাছে আবেদন রয়েছে। বর্তমানে www.dailytulpar.com নামক পুরো সাইটিই এফএল ওয়ার্কারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আলাদা ভাবে এফএল ওয়ার্কারের এড্রেসটি হলো www.dailytulpar.com/flworker.aspx
তবে আমার মনে হয় কতৃপক্ষ যদি সাইটি পত্রিকার ভায়া হিসেবে ব্যবহার না আলাদা
ডোমেইনে ট্রান্সফার করে তাহলে সবার জন্যই সুবিধা হবে। অর্থ উত্ত্বোলনের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জন্য লোকাল ব্যাংক, জিপি ফ্ল্যাক্সিলোড এর পাশাপাশি
যদি কুরিয়ার সার্ভিসও যুক্ত হতো তাহলে আরো সুবিধা হতো। আর সবচেয়ে বড় যে
অসুবিধা তা হলো একবার বিড করার পর সে বিডটিকে এডিট করা যায় না। তাই বলবো
যারা কোন কাজের জন্য বিড করবেন তারা অবশ্যই লেখার ভুলত্রুটি গুলো ভাল ভাবে
দেখে তার পর বিড করবেন।
0 comments
Post a Comment
Thanks for comment