Thursday 12 April 2012

প্রত্যেক মুসলমানের জন্যনামাজ অবধারিত

                بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

রাসুল (সা.) বলেন: বাচ্চা যখন সাত বছরে পদার্পণ করেতখন তাকে নামায পড়তে আদেশকর। আর দশ বছরে পদার্পণ করলে নামায না পড়ার দরুন (মৃদু) প্রহার কর। (আবু দাউদ)
অন্য বর্ণনায় আছে: তার বিছানা পৃথক করে দাও।
ইমাম আবুসুলায়মান খাত্তাবী (রহ.) বলেন: এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, বাচ্চা নির্ধারিত বয়সে পৌঁছে নামায না পড়লে, তার জন্য হালকা শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
নামাযের পুরস্কার ও শাস্তি
রাসুল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায ঠিকমত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে পাঁচটি পুরস্কারে সম্মানিত করবেন। (১) তার অভাব দূর করবেন, (২) কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেবেন, (৩) ডান হাতে আমলনামা দেবেন, (৪) বিজলীর ন্যায় পুলসিরাত পার করাবে ও (৫)বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
আর যে ব্যক্তি নামাযে অবহেলা করবে, আল্লাহ তাকে১৪টি শাস্তি দেবেন। দুনিয়াতে পাঁচটি, মৃত্যুর সময় তিনটি, করবে তিনটি, কবর থেকে উঠানোর সময় তিনটি।দুনিয়াতে পাঁচটি: ১। তার হায়াত থেকে বরকত কমে যাবে, ২। চেহারা থেকে নেককারের নিদর্শন লোপ পাবে, ৩। তার কোন নেক আমলের প্রতিদান দেয়া হবে না, ৪। তার কোন দু’আ কবুল হবে না, ৫। নেকারদের দু’আ থেকে সে বঞ্চিত হবে।
মৃত্যুর সময় তিনটি: ১। সেঅপমানিত হয়ে মারা যাবে, ২। অনাহারে মারা যাবে, ৩।এমন পিপাসার্ত হয়ে মারা যাবে যে, তাকে পৃথিবী সব সমুদ্রের পানি পান করালেও তার পিপাসা মিটবে না।
কবরে তিনটি: ১। কবর সংকীর্ণ হয়ে এত জোরে চাপ দেবে যে, তার পাঁজরের একদিকের হাড় বিপরীত দিকে ঢুকে যাবে, ২। কবরে আগুন ভর্তি করে রাখা হবে, যে আগুনের জ্বলন্ত কয়লায় সে রাতদিন জ্বলতে থাকবে। ৩। তার কবরে এমন ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ রাখা হবে, যা তাকে বিলম্বে নামায পড়ার কথা উল্লেখ করে কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।
পুনরুত্থানের সময় তিনটি: ১। কঠোরভাবে হিসাব নেয়া হবে, ২। আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত থাকবেন, ৩। জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অপর বর্ণনায় আছে, বিচার দিবসে তার কপালে তিনটি কথা লেখা থাকবে: ১ হে আল্লাহর হক নষ্টকারী, ২। হে আল্লাহর অভিশপ্ত, ৩। তুমি যেমন আল্লাহর হক নষ্ট করেছ, তেমনি আজকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, হাশরের দিন এক ব্যক্তিকে আল্লাহর সামনে দাঁড় করানো হবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের নির্দেশ দেবেন। সে আরয করবে, হে আল্লাহ! কি কারণে এ নির্দেশ? আল্লাহ বলবেন: নামায নির্ধারিত সময়ের পরে পড়া এবং আমার নামে মিথ্যা শপথ করার জন্যে।একদা রাসুল্লুল্লাহ (সা.)সাহাবাদের জন্য দু’আ করলেন: হে আল্লাহ! আমাদেরকাউকে বঞ্চিত ও হতভাগা করো না, অত:পর উপস্থিত সাহাবাদেরকে রসুল (সা.) প্রশ্ন করলেন: তোমরা কি জান? কে বঞ্চিত ও দুর্ভাগা? সাহাবাগণ বললেন: ইয়া রাসুলাল্লাহ! কে সে ব্যক্তি? তিনি বললেন: নামায ত্যাগকারী।
রুকু, সিজদা পূর্ণ না করার শাস্তি
দুর্ভোগ সেসব নামাযীর জন্য যারা তাদের নামায সম্বন্ধে উদাসীন। (সূরা মাউন-৪-৫)
যারা রুকু-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না, শুধুমাত্র উঠে আর বসে, এ আয়াতে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রবেশ করল, রাসুলুল্লাহ (সা.) সেখানে বসা ছিলেন। অত:পর লোকটি নামায পড়ল। নামায শেষে এসে নবী (সা.)-কে সালাম করল। তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন: “ফিরে যাও, আবার নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।” সে ফিরে গিয়ে আবার নামায পড়ে পুনরায় কাছে এসে নবীজীকে সালাম করল। তিনি সালামের উত্তর দিয়ে আবার বললেন:
“ফিরে যাও আবার নামায পড়।তুমি নামায পড়নি।” এভাবে লোকটি তিনবার নামায পড়া শেষে আরয করল: ইয়া রাসুলুল্লাহ! যে আল্লাহ আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ! এর চেয়ে ভালভাবে নামায পড়ার নিয়ম আমার জানা নেই, আমায়শিখিয়ে দিন। রাসুলুল্লাহ(সা.) বললেন: যখন নামাযে দাঁড়াবে প্রথমে তাকবীর বলবে। অত:পর তোমার সাধ্যানুযায়ী কুরআন পড়। তারপর রুকু কর এবং ধীরস্থিরভাবে রুকু করে সোজা হয়ে দাঁড়াও। অত:পর সিজদা কর এং সিজদায় গিয়ে স্থির হও। অত:পর সোজা হয়েবস। আবার সিজদা কর এবং সিজদায় গিয়ে
স্থির হও।



 
 যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !
 

0 comments

Post a Comment

Thanks for comment