Monday, 19 March 2012

জুমার দিন মাতা-পিতার ক্ববরে উপস্থিত হওয়ার সাওয়াব

                 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم  



খাতামুল মুরসালীন,রাহমাতুল্লিল আলামীন صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘‘র দয়ামূলক ইরশাদ হচ্ছে:যে ব্যক্তি আপন মাতা-পিতা কিংবা একজনের ক্ববরে প্রতি জুমার দিন যিয়ারত করার জন্য উপস্থিত হয় আল্লাহ عَزَّ وَجَلَّ তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং মাতা-পিতার সাথে সদাচারণকারী হিসেবে গণ্য করা হবে।
(নাওয়াদিরুল উসূল লিল হাকীম আত্ তিরমিযী,পৃষ্ঠা-৯৭,হাদীস নং-১৩০,দামেশক)











 

মাতা-পিতাকে গালি গালাজকারী সাবধান হউন

                           بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم



যেসব লোক অপরের মাকে গালিগালাজ করার অভ্যস্থ হয় সে খুব মন্দ ব্যক্তি,দাওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মাদীনা’র প্রকাশিত ৩১২ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব, “বাহারে শরীয়ত” ১৬তম অংশ,পৃষ্ঠা১৯৫ ‘’র মধ্যে সাদরুশ শারিয়াহ,বদরুত তরীক্বা,হযরতে আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ আমজাদ আলী আজমী عَلَيْهِ رَحْمَةُ اللهِ الْقَوِىবর্ণনা করেন:রাসুলুল্লাহصَلَّى اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র ভিত্তিমূলক ইরশাদ হচ্ছে:এ কথাটি কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত যে,মানুষ আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করে।লোকেরা আরয করল:ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কেউ কি আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করে?ইরশাদ ফরমান: “হ্যাঁ,সেটা এভাবে করা হয় যে সে অন্যের পিতাকে গালি গালাজ করে,প্রতিউত্তরে ঐ ব্যক্তি তার পিতাকে গালি গালাজ করে এবং সে অন্যের মাকে গালি গালাজ করে প্রতিউত্তরে ঐ লোকটি তার মাকে গালি গালাজ করে।” (মুসলিম শরীফ,পৃষ্ঠা-৬০,হাদীস নং-১৪৬)অত্র হাদীসে পাক বর্ণনা করার পর হযরতে আল্লামা মাওলানা মুফতী আমজাদ আলী আজমী  عَلَيْهِ رَحْمَةُ اللهِ الْقَوِى বলেন:সাহাবায়ে কিরাম (عَلَيْهِمُ الرِّضْوَان)যাঁরা আরবেরঅন্ধকার যুগ দেখেছিলেন,তাঁদের ধারনাতে আসতেছিলনা যে কেউ আপন মাতা-পিতাকে কেন গালি গালাজ করবে অর্থাৎ (কেউ কি আপন মাতা-পিতাকেওগালি গালাজ করতে পারে)এ বিষয়টি তাঁদের ধারনার বাইরে ছিল।হুযুর (صَلَّیاللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) ইরশাদ করেন এটা দ্বারা উদ্দেশ্য অন্য জনের দ্বারা গালি গালাজ করানো আর এখন তো এমন যুগ চলে এসেছে যে অনেকে নিজেই আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করে ও তাদেরকে কোন পাত্তাই দেয়না।      (বাহারে শরীয়ত)
আগুনের ডালে ঝুলন্ত ব্যক্তি:
হযরতে সায়্যিদুনা ইমাম আহমদ ইবনে হাজর মাক্কী শাফেঈ عَلَيْهِ رَحْمَةُاللهِ الْقَوِى বর্ণনা করেন:সারওয়ারে কায়েনাত,শাহে মাওজুদাত صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র উপদেশ মূলক ফরমান হচ্ছে:মি’রাজ রজনীতে আমি কিছু লোককে দেখলাম যারা আগুনের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।তখনআমি জিজ্ঞাসা করলাম:হে জিবরাইল!এসব লোক কারা?আরয করলেন:اَلَّذِيْنَ يَشْتُمُوْنَ ابَائَهُم وَاُمَّهَاتِهِمْ فِى الدُّنُيَا অর্থাৎ এসব লোক যারা দুনিয়াতে আপন মাতা-পিতাকে গালি গালাজ করেছিল।(আয্ যাওয়াজির আন ইক্বতিরাফিল কাবাইর,খন্ড-পৃষ্ঠা-১৩৯,দারুল মা’রিফাহ,বৈরুত)
বৃষ্টির ফোটার মত অগ্নি স্ফুলিঙ্গ:
  বর্ণিত রয়েছে:যে ব্যক্তি আপন মাতা-পিতাকেগালি দিল তার ক্ববরে আগুনের এত বেশী অগ্নিকনা অবতীর্ণ হবে যেভাবে (বৃষ্টির)ফোটা আকাশ হতে যমিনে পতিত হয়।                                                                                               (প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা-১৪০)
ক্ববর পাজর ভেঙ্গে দিবে:
  বর্ণিত আছে:যখন মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তানকে দাফন করে দেয়া হয় তখন ক্ববর তাকে চাপ দেয় এমনকি তার পাজরদ্বয় (ভেঙ্গে চুর্ণহয়ে) একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়।                                                 (প্রাগুক্ত)
জান্নাতে প্রবেশ করবেনা:
   হযরতে সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنهُمَا হতে বর্ণিত,রাসূলে যীশান,নূরে রাহমান صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰیعَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র উপদেশ মূলক ইরশাদ হচ্ছে:তিন ধরনের লোক জান্নাতে প্রবেশ করবেনা (১)মাতা-পিতাকে কষ্ট প্রদানকারী(২)দাইউস(৩)পুরুষের বেশ ভূষাধারিনী মহিলা।                                                           (আলমুসতাদরাক খন্ড-১,পৃষ্ঠা-২৫২,হাদীস নং-২৫২)

Sunday, 18 March 2012

পৃথিবীর যে কোন মোবাইলে এস এম এস করুন ফ্রি তাও আবার বাংলায়!

সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি, আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জনের কাছে এস এম এস পাঠাই তাতে আবার টাকা খরচ হয়। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে এ খরচের মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে কেননা ইন্টার নেটে বিভিন্ন সাইট আছে যেখান থেকে ফ্রি এস এম এস করা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমি আজ এমন একটি ওয়েব সাইটের কথা বলব যেখান থেকে আপনি সহজেই ইউনিকোড ব্যবহার করে বাংলা মেসেজ লিখে সেন্ড করতে পারবেন সাইটটির ঠিকানা হল www.websmsonline.com এখানে প্রবেশ করলে এরকম উইন্ডো দেখতে পাবেন।
এখানে প্রথমে আপনি আপনার কান্ট্রি সিলেক্ট করুন কান্ট্রি সিলেক্ট করা হলে আপনার দেশের কোড অটোমেটিক চলে আসবে তার পর আপনার মোবাইল নং (যে টায় পাঠাতে চান) 0 বাদে বসিয়ে দিয়ে মেসেজ লিখুন এবং সব শেষে ক্যাপচা পুরণ করে sent sms এ ক্লিক করুন। দেখবেন আপনার মেসেজ খুব কম সময়ের মধ্যে ডেলিভারী হয়ে গেছে। সবাইকে ধন্যবাদ।

Forgot Password???.আর লাগবেনা ইমেইল করে পাসওয়ার্ড উদ্ধার!!!

[BISMILLAH HIR RAHMANIR RAHIM]

আপনাদের হয়তো অনেকেরই আমার মত পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার রোগ আছে, আর তাছাড়া প্রতিদিনই আমরা নানান ফ্রি কিছু পাওয়ার লোভে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করি…… কি ঠিক বলছিনা???? 
 :D
কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় আমরা পাসওয়ার্ড ভুলে যাই ফলে ঐ ওয়েবসাইটের Forgot Password অপশনটি ব্যাবহার করি যা ঐ সময় দুনিয়ার সবচেয়ে আলসেমির কাজ মনে হয় :@
কিন্তু আপনি যদি মজিলা ফায়ারফক্স ব্যাবহার করেন তাহলে সহজে পাসওয়ার্ডটি পেয়ে যাবেন,

তবে মনে রাখবেন এই জন্য কোন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রির সময় ফায়ারফক্সের বা ঐ ওয়েবসাইটের Remember Password/Remember me অপশন টা ব্যাবহার করতে হবে
নিচে দেখুন-

১) Firefox>Options>Security>নিচে দেখুন Saved Password অপশন আছে ওটাতে ক্লিক করুন

২) এবার Show Passwords এ ক্লিক করুন। এরপর Yes ক্লিক করুন
কি??? চোখ বড় বড় হয়ে গেছে না????????? আমারো একই অবস্থা হয়েছিলো……

প্রতিদিন একটি হাদিস

1. হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রা. থেকে বর্ণিত। হুযুর সা. ইরশাদ করেছেন- কোন বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তা থেকে দান-সদকা করলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা, আর তা থেকে ব্যয় করলে তাতে বরকতও হবে না। আর এই ধন-সম্পদ তার উত্তরাধীকারীদের জন্য রেখে গেলে তার জন্য দোযখের পূঁজি হবে। (মুসনাদে আহমাদ-হাদিস নং-৩৬৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-২০২৬)
~~ আসুন হারাম থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট হই~~

2. সুফইয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ছাকাফী [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহ রাসূল! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম] বললেনঃ"তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।" {সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৪১৩}

3. “যখন নামাযের ইকামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং ধীর-স্থীর এবং প্রশান্তির সাথে হেঁটে হেঁটে আগমণ করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে তা আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (ইমামের সালামের পর) পূর্ণ করে নিবে।”
(বুখারী ও মুসলিম)  

4. রাসূলুল্লা হ (সাঃ ) বলেছেন- ইবলিস তার রবের সমীপে বলল,
“আপনার ইযযত ও জালালের কসম! আমি আদম সম্প্রদায়কেপথচ্যুত করতে থাকব, যে পর্যন্ততাদের প্রাণ থাকে।” আল্লাহ বললেন,
“আমার ইযযত ও জালালের কসম! তাদেরকে আমিমাফ করতেথাকব, যে পর্যন্ত তারা আমার কাছে মাফ চাইতে থাকবে।”

5.  ''যে ব্যক্তি যথারীতি নামায আদায় করবে, তা কিয়ামতের দিন তার জন্য মুক্তির ওসীলা , আলোকবর্তিকা,ও যুক্তিপ্রমাণ দাঁড় হবে। আর যে যথারীতি নামায আদায়না করবে , তার জন্য তা আলোকবর্তিকাও হবে না, যুক্তিপ্রমাণও হবে না এবংমুক্তির ওসীলাও হবে না । বরং সে কিয়ামতের দিন ফেরাউন, কারূন, হামান ও উবাই বিন খালফের সহযাত্রীহবে।'' [আহমদ। দারিমী ও মিশকাত]

6.  হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-“তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা।(অর্থা কবরের মত ইবাদতহীন করোনা) আর আমার কবরে উৎসব করোনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেইথাকনা কেন, তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে”। {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২০৪৪, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদিস নং-৪১৫১২, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং-৩৮৬৫}  

7.  রাসূল (সা) বলেছেনঃ বেহেশ্‌ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৫৪৩৯, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )

8. হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা জিজ্ঞেস করলেন-“তোমরা কি জান, প্রকৃত নিঃস্ব কে?” সাহাবারা উত্তরে বললেন-“আমাদের মাঝে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যার কোন টাকা-পয়সাবা সহায় সম্পত্তি নাই”। নবী কারীম সাঃ বললেন-“প্রকৃত নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিননামায, রোযা, যাকাত ইত্যাদি নিয়ে হাজির হবে। সাথে এটাও নিয়ে আসবে যে, কাউকে গালি দিয়েছে। কাউকেমিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। কারো মাল খেয়ে ফেলেছে। কাউকে হত্যা করেছে। কাউকেপ্রহার করেছে। তারপর তার পূণ্যগুলির কিছু একজনকে আর কিছু অন্যজনকে দেয়া হবে। যদি হকদারদের দাবী শেষ হওয়ার আগেই তার পূণ্যশেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপ তাকে সোপর্দ করা হবে।অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
আল মু’জামুল আওসাত, হাদিস নং-২৭৭৮,
সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৪১৮, ,
সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৬৭৪৪,
মুসনাদুস সাহাবা ফিল কুতুবিত তিসআ, হাদিস নং-৬২০

9. আনাস ইবনে মালিক [রাযি] থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ"আদম সন্তানের বয়স বাড়ে কিন্তু তাতে দু'টো বিষয় জওয়ান হয়, জীবনের প্রত্যাশা এবং সম্পদের মোহ।" {সুনানে তিরমিযী-২৩৪২}

10.  আদী ইবনে হাতেম (রাঃ ) হতেবর্নিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
“দোযখের আগুন থেকে বাঁচ, যদি এক টুকরা খুরমা দান করেও হয়। আর তাও না পেলে একটি মিষ্টি কথার বিনিময়েহলেও।”
[বুখারি]  




Saturday, 17 March 2012

নাসার নভোচারী সুনিতা এখন মুসলমান

                  بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم 


২৪০ মাইল উপর থেকে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে ২ টি উজ্জ্বল আলো দেখি, টেলিস্কোপে বুঝতে পারি এগুলো মক্কা ও মদিনাঃ সুনিতা উইলিয়াম
মহাকাশ অঙ্গনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সম্পর্কে সুনিতা উইলিয়াম নিজেই বলেছেন, ‘আমি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ মাইল উপরে উঠলাম, তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি তারা (আলো) দেখতে পেলাম। এর পরএকটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো দুটি দেখার চেষ্টা করলে দেখি, একটি আলোর অবস্থান মক্কায় আর অন্যটি মদিনায়। এই দৃশ্য দেখার পর আমি প্রচণ্ডভাবে অভিভূত হই এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।
—————————————————————————————————————
নাসার নভোচারী সুনিতা এখন মুসলমান
২০০৬ সালের কথা। বরাবরের মতো মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে একটি নভোযান পাঠানো হলো। মহাকাশের খোঁজখবর সংগ্রহকরাই ছিল যে অভিযানের মূলউদ্দেশ্য। অন্য গবেষকদেরসঙ্গে সে নভোযানে অবস্থান করছিলেন সুনিতা উইলিয়াম। মহাকাশ গবেষণাযানটি যখন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৪০ মাইল উপরে, হঠাৎ নিচের দিকে চোখ আটকে যায় সুনিতার। পৃথিবী পৃষ্ঠে তারার মতো দুটি আলো জ্বলতে দেখলেন তিনি। চিন্তায় পড়ে গেলেন সুনিতা; ভাবলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠে তো এভাবে জ্বলে থাকার মতো কোনো আলোকশিখা থাকার কথা নয়। তবে এই আলোকরশ্মি দুটি কি?
সঙ্গীদের ডেকে দেখালেন এবং টেলিস্কোপের সাহায্যে আলো দুটিকে নির্ণয় করার চেষ্টা চালালেন। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো সুনিতার। আরো কাছে, আরো পরিষ্কারভাবে দেখলেন, আলো দুটির কেন্দ্রস্থল পৃথিবীর মক্কা ও মদিনা। মক্কা শহরের কেন্দ্রস্থলও মদিনা শহরের কেন্দ্রস্থ থেকে মহাকাশমুখি এই আলোকরশ্মিদুটি বিকিরিত হচ্ছে।
মহাকাশ অঙ্গনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সম্পর্কে সুনিতা উইলিয়াম নিজেই বলেছেন, ‘আমি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ মাইল উপরে উঠলাম, তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি তারা (আলো) দেখতে পেলাম। এর পরএকটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো দুটি দেখার চেষ্টা করলে দেখি, একটি আলোর অবস্থান মক্কায় আর অন্যটি মদিনায়। এই দৃশ্য দেখার পর আমি প্রচণ্ডভাবে অভিভূত হই এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণ করি। আমি এখন একজন মুসলমান।’
ইসলাম গ্রহণ করা নিয়ে শতজল্পনা-কল্পনার ইতি টেনেওমরাহ পালন করতে আসা সুনিতা উইলিয়াম জেদ্দারহোটেল হিলটনে বসে এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার কাহিনী। সাংবাদিকদের শোনাচ্ছিলেন তাঁর মুসলমান হওয়ার রোমাঞ্চকর গল্প। এ সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করার নেপথ্যে থাকা ঘটনা ব্যক্ত করার পাশাপাশি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তরদেন। নাসার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুনিতার ইসলাম গ্রহণ করা বিষয়ে তাঁকে চেনেন বা জানেন এমনঅনেকের মন্তব্য ছিল অনেকটাই এরকম- ‘আর কারো পক্ষে সম্ভব হলেও সুনিতার পক্ষে এটা কখনো সম্ভব নয়।
কারণ সে ছিল ইসলাম বিদ্বেষী’। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা এবং সন্দেহ-কানাকানির ইতি টেনে গত রমজান মাসে ওমরাহপালন করতে এসে নিজের মুসলমান হওয়ার ঘোষণা দিলেন সুনিতা উইলিয়াম এবং গর্ব করে বললেন, ‘আমি এখন একজন মুসলমান, এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনিতা উইলিয়াম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ায়ো অঙ্গরাজ্যের ‘ইউক্লিডে’ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা দীপক পাণ্ডে ও মা বনি পাণ্ডে উভয়ই ছিলেন ভারতীয় হিন্দু। ম্যাসাচুসেটস হাই স্কুলেপড়াশোনা করার পর ১৯৮৭ সালে ফিজিক্যাল সায়েন্সে বিএস ডিগ্রি এবং ১৯৯৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এর আগে ১৯৮৯ সালে সুনিতা ন্যাভাল একাডেমীতে কমিশন লাভ করেন এবং ১৯৯৩ সালে ন্যাভাল এভিয়েটর হিসেবেপদোন্নতি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে আমেরিকান হেলিকপ্টার ইনস্টিটিউটে টেস্ট পাইলট ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পালনকালে ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, পারস্য ও আরবসাগরসহ মরুভূমি এলাকায় কাজ করেন। এর পর ১৯৯৮ সালে সুনিতা ফ্লোরিডাস্থ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় যোগদান করেন। কর্মরত অবস্থায়ই একজন ক্যাথলিক খৃস্টানকে বিয়ে করে সংসারজীবনে প্রবেশ করেন তিনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে আরবের মরু এলাকায় কাজ করার সময় অল্প-বিস্তর ধারণা অর্জন করেন মুসলমানদের প্রকৃত জীবন সম্পর্কে। উল্লেখ্য, এর আগে ইসলাম সম্পর্কে সুনিতার বস্তুতকোনো ধারণা বা পড়াশোনা ছিল না।
নভোযান পরিচালনার ক্ষেত্রে খুব দক্ষ কর্মী ছিলেন সুনিতা উইলিয়াম। মহাকাশে গিয়ে রেকর্ড পরিমাণ সময় ১৯ ঘণ্টা ১৭ মিনিট স্পেস ওয়ার্ক করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেনিঃসন্তান সুনিতা সেদিন সবার সামনে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান। আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা নিয়ে এতদিন যে সন্দেহ চলে আসছিল, আজ তার অবসান হলো।বর্তমানে আমি একজন মুসলমানের মতোই জীবন যাপন করছি। আমার ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে আর কোনো বিভ্রান্তি ছড়ানোরউপায় নেই ।

উইন্ডোজ ৭ এর লগ অন স্ক্রীন পাল্টান সহজে

BISMILLAH HIR RAHMANIR RAHIM

আমরা অনেকেই উইন্ডোজ ৭ ব্যাবহার করি। অন্যান্য সব কিছুর মতো মাইক্রোসফট আমাদের উইন্ডোজ ৭ এ আমাদের নিজেদের মতো উইন্ডোজ লগ অন বদলানোর সুবিধা দিয়ে দিয়েছে। এজন্য আমাদের যা করতে হবে তা হলঃ

১) প্রথমে Start এ ক্লিক করে Run চালু করে Regedit লিখে এন্টার দিন।
২) তারপর নিচের পদ্ধতিতে এক এক করে content গুলোতে ক্লিক করে ঢুকুন-
HKEY_LOCAL_MACHINE\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Authentication\ LogonUI\Background
৩) OEMBackground DWORD key তে ডাবল ক্লিক করে Edit DWORD (32 bit) Value ওপেন করুন।
৪) Value data 0 কেটে 1 দিয়ে ওকে করুন।
৫) এখন আপনি যে ছবিটি আপনার লগ অন স্ক্রীন এর ব্যাকগ্রাউন্ড বানাবেন সেটির সাইজ যেন ২৫৬ কেবি বা তার কম যেন হয়।
৬) ছবিটি কপি করে C:\Windows\system32\oobe\info\backgrounds ফোল্ডার এ পেস্ট করে backgroundDefault.jpg নামে সেভ করুন।
৭) কম্পিউটার রিস্টার্ট নিন............ ব্যাস!!!! পালতে গেলো আপনার লগ অন ব্যাকগ্রাউন্ড 
:)
বি.দ্রঃ অনেকের C:\Windows\system32\oobe\info\backgrounds এই ফোল্ডার টি নাও তাক্তে পারে উইন্ডোজ এ বা থেকেও অসুবিধা করবে এ ব্যাকগ্রাউন্ড না পাল্টানই উত্তম।
অনেক গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করেছি। ভুল হলে ছোট হিসেবে ক্ষমা করবেন। সুস্থ থাকুন।
.................................আল্লাহ হাফেয।..............................