Thursday, 12 April 2012

জুমার নামাজ আদায়ের ফজিলত

http://photos-a.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc7/421226_405677652778905_232911776722161_1844487_1412599357_n.jpg
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস।’ তিনি আরও বলেছেন, এক জুমা থেকে আরেক জুমার মধ্যে সংঘটিত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে, ‘যখন সালাতের জন্য জুমার দিবসে আহ্বান জানানো হয়, তখনই আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশ্যে জলদি চলে এসো এবং ব্যবসায়িক লেনদেন বাদ দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।’ হজরত হাফসা(রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক (প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ) মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব_ অপরিহার্য কর্তব্য।’ _সূনানে নাসায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অবহেলা-অলসতা করে তিন জুমার নামাজ ছেড়ে দিল, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন।’ _আবু দাউদ, নাসায়ী। আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে লোক কোনো ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে না, মোনাফেকের এমন দফতরে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যা কখনো মোছা এবং রদবদল করা হয় না।’ তিরমিযী শরীফে আছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে দিনভর রোজা রাখে এবং রাতভর নামাজ পড়ে কিন্তু জামাতে এবং জুমায় শামিল হয় না_ তার হুকুম কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন,এ অবস্থায় তার মৃত্যু হলেসে জাহান্নামে যাবে। হজরতআলী (রা.) বলেন, ‘মসজিদের প্রতিবেশীর নামাজ মসজিদ ছাড়া আদায় হয় না।’ বলা হলোমসজিদের প্রতিবেশী কে? তিনি বললেন ‘যে আজান শুনতে পায়।’ হাদিস অনুযায়ী জুমার নামাজ আদায়করা যেমন ওয়াজিব তেমন জামাতে নামাজ আদায়ে পবিত্র কোরআনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহপাক বলেন, ‘হাঁটু পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, যেদিন তাদের সেজদা করতে আহ্বান জানানো হবে, তখন তারা সেজদা করতে পারবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে,তারা অপমান ও লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে। অথচ তারা যখন সুস্থ অবস্থায় ছিল, তখন তাদের সেজদা করার জন্য আহ্বান জানানো হতো।’ _সূরা আল কলম-৪২, ৪৩। হজরত কা’বে আহবার বলেন : জামাত বর্জনে অভ্যস্তদের উদ্দেশ করে আয়াতে কারিমা নাজিল হয়। এপ্রসঙ্গে ইমামুত্তাবেঈন হজরত সাঈদ ইবানুল মুসাইয়্যার (রহ.) বলেন, ‘যারা আজান শুনতে পেয়ে, সুস্থ অবস্থায় থেকেও জামাতে উপস্থিত হতো না তাদের উদ্দেশ্য করে ওই আয়াত নাজিল হয়।’ আল্লাহ আমাদের জুমা এবং জামাতে নামাজ আদায়ের তওফিক দান দরুন। আমিন।
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

মুমিনের নামাজের উপকারীতা

                               بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم 

আল্লামা হাফেজ ইবনে কাইয়্যুম রহ. তাঁর বিখ্যাত ‘‘যাদুল মাআ’দ” গ্রন্থে লিখেছেনঃ মু’মিনের নামাযের  উপকারীতা।
 
 * রুজি ও জীবিকা আকর্ষন করে।
 * স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
 * রোগ ব্যধি নিরাময় করে।
 * মানসিক শক্তি সঞ্চয় করে।
 * চেহারা সুন্দর ও উজ্জ্বল করে।
 * অন্তর প্রফুল্ল করে।
 * অংগ প্রত্যংগে আনন্দেরসঞ্চায় করে।
 * যাবতীয় অলসতা দূর করে এবং বক্ষ প্রশস্ত করে।
 * আত্মার খাদ্য যোগায়।
 * আল্লাহর নিয়ামত সমূহেরহিফাজত করে।



যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

কুরআনের ভালোবাসায় রুশ নারীর ইসলাম গ্রহণ এবং রুশ ভাষায় কুরআনের ভাষান্তর


                          بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
কুরআনের ভালোবাসায় রুশ নারীর ইসলাম গ্রহণ এবং রুশ ভাষায় কুরআনের ভাষান্তর
বিশ বছরের অধিককাল আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তাঁর করা কুরআনের অর্থানুবাদকে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা অন্যতম সেরা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ হিসেবে গণ্য করছেন। তিনিই এগিয়ে এসেছেন রাশিয়ায় কুরআনুল কারীমের ক্ষেত্রে অনেক গবেষণাকারী ও বিজ্ঞজনদের মৃত্যুজনিত অভাব পূরণে। 
তিনি হলেন রাশিয়ান নারী ভেলেরিয়া বোরোচভা (Valeria Borochva)। নিজের কুরআন অনুবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত আমাকে তার প্রেমিক বানিয়েছে আর এ ভালোবাসাই আমাকে তা রুশ ভাষায় অনুবাদে অনুপ্রাণিত করেছে।’ 
ভেলেরিয়া বোরোচভা কিন্তু কোনো আলেমা বা ইসলামবিশেষজ্ঞ নন। ইসলামের আইনশাস্ত্র বা ফিকহ বিষয়েও তিনি কোনো ডিগ্রিধারী নন। হ্যা, তাঁর বিশেষত্ব হলো তিনি রাশিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ সমাপ্ত করেছেন। সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার ৬০ মিলিয়ন মুসলিমের জন্য যা এক গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি হিসেবে বরিত ও প্রশংসিত হচ্ছে।  
আল-আরাবিয়া ডট নেটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর রুশ ভাষায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অনুবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সিরিয়ার দামেস্ক শহরে বসবাসকারী এক আরব। তাঁর সঙ্গে আমি ১০ বছর কাটাই দামেস্কে। ইতোপূর্বে আমি আরবী জানতাম না। সেখানেই আরবী শিখি। আরবী শেখার পর সেখানে আমি একটি আরবী-রুশ অভিধান রচনা করি।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমার শ্বশুর একজন ধার্মিক পুরুষ ছিলেন। তাঁর একটি বড় লাইব্রেরি ছিল। সেখানে নিয়মিত অধ্যয়নের পাশাপাশি আমি পূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কুরআন তরজমায় মনোনিবেশ করি। দামেস্ক থেকে ফি বছর মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি গবেষণা একাডেমির উদ্দেশ্যে সফর করতাম। একাডেমিতে ছিল একটি অনুবাদ দপ্তর। দশ পারা অনুবাদ সম্পন্ন করার পর একাডেমির আলেমগণ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। আরবী ও রুশ ভাষা জানা তিন বিজ্ঞ আরব ও দুই রাশান আলেম সদস্যের এ কমিটি খুব ভালোভাবে আমার তরজমা পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।’ 
বোরোচভা উল্লেখ করেন, প্রথমে এ বোর্ড তাঁর তরজমা সম্পর্কে অনেক টীকা যোগ করেন। পাশাপাশি তাঁরা অনুবাদের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তাঁরা বলেন, অনুবাদ হয়েছে প্রথম শ্রেণীর। এ কারণেই আমরা এর অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন চালিয়ে যেতে পারছি। এর মধ্যে যদি অনেক ভুল-ভ্রান্তি পেতাম তবে পর্যবেক্ষণে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারতাম না। প্রতিবারই তাঁরা অনুবাদ সম্পর্কে বৈঠক বসতেন এবং এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতেন।’ 
তিনি জানান, তাঁকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে সিরিয়ায় বসবাসের সুবাদে তা সহজেই ডিঙ্গানো সম্ভব হয়েছে। সিরিয়ার সাবেক মুফতী শায়খ আহমদ কিফতারো এবং তার পুত্র শায়খ মাহমুদ কিফতারো সবসময় তাকে সাহায্য করেছেন। প্রেরণা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত অনেক বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করেছি। প্রয়োজনীয় সব কিছুই তাঁদের কাছ থেকে জেনে নিয়েছি। তেমনি ড. যুহাইলিরও সাহায্য নিয়েছি, যার কাছে কুরআনুল কারীমের তাফসীর সংক্রান্ত অনেক কিতাব ছিল।’ 
তিনি যোগ করেন, ‘বহু আলেম আমাকে সাহায্য করেছেন। ‘আমি ভেলেরিয়া যদি একা একা বসে থাকতাম তাহলে কুরআনের তরজমায় অনেক ভুল হত।’ নিজের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ভালোবাসাই আমাকে ইসলামে দীক্ষিত হতে প্রেরণা ও চেতনা জুগিয়েছে। আমার বিশ্বাস, খোলা মন নিয়ে যিনিই এ কুরআন শেষ পর্যন্ত পড়বেন, শেষাবধি তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বলতেই হবে।’ 
অনুবাদের মুদ্রণ ব্যয় সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শেখ যায়েদ ইবন সুলতান (আল্লাহ তার ওপর রহমত করুন) আল-আজহার একাডেমির কাছে একটি চিঠি পাঠান, তরজমা যথার্থ কি-না তিনি তা জানতে চান। নিশ্চিত হবার পর ২৫ হাজার কপি অনুবাদ ছাপার খরচ বহনে আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ যায়েদ। এ পর্যন্ত অর্ধ মিলিয়ন কপি অনুবাদ ছাপা হয়েছে। সৌদি আরবের শায়খ খালেদ কাসেমীও অনেক কপি ছাপিয়েছেন। লিবিয়া ও কাতারে থেকেও এ অনুবাদ ছাপা হয়েছে।’


 
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

কেরালায় নির্মিত হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ

http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2011August/SM/Mosk-sm20110812004242.jpg
কেরলায় প্রস্তাবিত ভারতের বৃহত্তম মসজিদের মডেল।
ভারতের বৃহত্তম মসজিদ তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণের কেরালা রাজ্যের কোজিকোড়ে। দিল্লির জামে মসজিদের তুলনায় এ মসজিদটিবড় হবে বলে জানা গেছে।
আরব আমিরশাহী ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেবসবাসরত অনাবাসী ভারতীয়রা এজন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করছেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এর নির্র্মাণ কাজ শুরু হবে।
প্রস্তাবিত মসজিদটির তৈরির জন্য গঠিত সংস্থার যুগ্ম সচিব দুবাইবাসী বিশিষ্ট চিকিৎসক হাকিম আজহারি কান্থাপুরম জানিয়েছেন, ভারতীয় মুসলমানদের জন্য এ ঐতিহাসিক মসজিদটি তৈরি করতে ব্যয় হবে ১২ বিলিয়ান ডলার। আপাতত এটির নামাকরণকরা হয়েছে ‘মুবারক মসজিদ’।
তিনি দাবি করেছেন, শুধু উপাসনই নয়, এখানে থাকবে শিক্ষা প্রসারের নানা ব্যবস্থা। মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হবে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থাপনা।
হাকিম আজহারি বলেন,‘২শ ৫০হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে মসজিদটি নির্র্মাণ হবে। এক সঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি এখানে বসে নামাজ পড়তে পারবেন। ইসলাম বিষয়কগবেষণার জন্য একটি গ্রন্থাগার থাকবে। নির্র্মাণ করা হবে একটি বিশাল কনফারেন্স হল।’
তিনি আরও বলেন,‘সেখানে যেমন মুসলিম বিদ্বজনদের যেমন আমন্ত্রণ জানানো হবে, তেমনই অমুসলিম বিদ্বজনরা মত বিনিময়ের জন্য আসবেন। মসজিদকে ঘিরেথাকবে মুঘল আমলের স্থাপনার মতো বাগান। এছাড়াও থাকবে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজ। উন্নতমানের হাসপাতাল ও হেলথ কেয়ার সিটি।
মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিকমানের শপিংমল, একাধিক হোটেল ও কনভেশন সেন্টারও থাকবে
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

দুই শহরের তিন বোকা

                       بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১- সিরিয়ায় হেমস নামে এক শহর ছিলো। সেখানকার লোকেরা বোকা হিসাবে প্রসিদ্ধ। একদিন এক ব্যক্তি সেখানে গিয়ে দেখে এক মুয়াজ্জিন ছুটিতে গিয়েছে আর আযান দেওয়ার জন্য মসজিদে এক ইহুদীকে রেখে গেছে ।ইহুদীটি আযান দিল বটে কিন্তু
আমি সাক্ষা দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রসুল
এর স্থলে বলছে
এই মহ্ল্লার লোকেরা সাক্ষ্য দেয় যে মুহামদ (দঃ) আল্লাহর রসুল।
লোকঢি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো- আযানের কথায় এই পরিবর্তন কেন। ইহুদী জওয়াব দিলা আমি মুহাম্মদ (সাঃ) এর রসূল হওয়ার সাক্ষ্য দিতে পারি না। তাই এই কৌশল।
 
২- এই হেমস শহরের আরেকটি ঘটনা । এক ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন । সবকিছু ঠিকমত আদায় করছিল; কিন্তু একপাশ থেকে একটি পা তুলে রেখেছিল । এক ব্যক্তি জিজাসা করলো। নামাযের মধ্যে এক পা তুলে রাখার মানে কি? ইমাম সাহেব বললেন, এই পায়ে ছিঁটা জাতীয় কিছু লেগে নাপাক হয়ে পড়েছিলো। ধোয়ার অবসর পাইনি তাই নামায থেকে পা-টা পৃথক কবে রেখেছিলাম।
৩- ঝাষি শহরের এক বুযুর্গ বয়ান করেন যে এক ব্যক্তি নামাযের ইমামতি করতে গিয়ে সাহু সিজদা করলো। সহি সিজাদার কারণ কী হইয়েছিল? ঈমাম বললো -একটি হালকা পাদ বাহির হয়ে গিয়েছিলো। তাই ছোহ সেজদা করে নিলাম। সুতরাং এই ধরণের বোকাও সমাজে রয়ে গেছে।
 
আল- এফাযাতূল য়্যাওমিয়হ; খন্ড ৬! পৃস্টা ২৯৮ ।
মওলানা আশরাফ আলী থানভী (র: )-এর "মুসলমানের হাসি"থেকে।

মনছুরা বিবি, সন্দেহ এবং যাকাত।

                          بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১- মনছুরা বিবি
 
ইসলামকে আজকাল খুব সহজ কিছু মনে করা হয়। আমরা ইচ্ছামত যেভাবে খুশী সেভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করি। আমাদের ইসলামের অবস্থা মনছুরা বিবির ওযুরমত।
-মনছুরা বিবি যৌবনের শুরুতে একবার ওযু করার সুযোগ পেয়েছিলো।
এরপর সে উশৃঙ্খল হয়ে পরে।একদিন এক ওয়াজ মাহফিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার বিবরন শুনতে পেলো। এত সহজে ওযু ভেঙ্গে যায় তা সে জানতো না। তাই বক্তার ওয়াজ শুনেতার গায়ে জ্বালা ধরে গেলো।
সে তৎক্ষনাত মঞ্চে উঠে শ্রোতাদের লক্ষ্য করে বললো "ভাইসব, এই মওলানা যা বলছে সব মিথ্যা, এত সহজে ওযু ভঙ্গে না। তার প্রমান আমি। আমি গত ১০ বছর যাবত যিনা করছি কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার ওযু ভাঙ্গেনাই।"
-আমাদের ইসলামও মনছুরা বিবির ওযুর মত। যা ইচ্ছা তাই করি, আর দাবি করি আমরামুসলমান।
 
২- সন্দেহ
 
সন্দেহ একটি মারাত্মক রোগ। নামাজে দাড়ালে সন্দেহ হয়, ওযু আছে কি না, নামাজ ৩ রাকাত পরলাম না ৪ রাকাত। অনেকে সন্দেহ করি আমাদের ইসলাম ধর্ম ঠিক নাভুল? আজ যাকাত নিয়ে এক ব্লগারের এমন একটি লেখা পড়লাম। তাদের অবস্থা মাদ্রাসার সেই সন্দেহগ্রস্ত ছাত্রের মত।
এক ছাত্রের সন্দেহ হল তারমাথা নাই। ব্যপারটা ততকালিন বিশিষ্ট শিক্ষক মওলানা মুহাম্মদ ঈয়াকুব (রঃ ) এর কানে গেল। তিনি ছাত্রটিকে জিজ্ঞাস করলেন “ তোমার মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো “জী না”। এই শুনে মওলানা সাহেব জুতা খুলে ছাত্রটিরমাথায় মারতে লাগল।
ছাত্রটি চিতকার করতে লাগল, “মরে গেলাম, মরে গেলাম, খুব লাগছে”।
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন করলেন,"কোথায় লাগছে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো,"মাথায় লাগছে।“
মওলানা সাহেব বললেন,"মাথা তো নাই, ব্যথা লাগছে কেমনে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো,"মাথা আছে হুজুর, মাথা আছে।”
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন, "আর কোনদিন বলবা মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "না হজরত, না”।
তখন মওলানা সাহেব ছাত্রটিকে ছেরে দিলেন।
-তেমনি প্রমানিত হাদিস থেকে পাওয়া বিষয় নিয়ে সন্দেহ করা উচিত নয়। সেগুলোকে ঠিক মনে করে কাজকরতে হবে। বাকী আল্লাহ মাফ করনেওয়ালা।
 
৩- যাকাত
 
১- কেউ কেউ বলেছেন “কোথাও জাকাত অর্থে ‘সম্পদের ১/৪০ ভাগ দান করা’ এবং কোথাও জাকাত অর্থে ‘পবিত্রতা অর্জন’; একই শব্দের পরস্পর অসামঞ্জস্য/অসংগত অনুবাদউদ্দেশ্য প্রণোদিত”।
= আসলে দুই যাগাতেই জাকাতঅর্থ এক, ‘পবিত্রতা অর্জন’,প্রথমটিতে ১/৪০ ভাগ দান করা বলতে সম্পদ পবিত্র করার পদ্ধতি বলা হচ্ছে।প্রথম ক্ষেত্রে জাকাত অর্জনের পদ্ধতি লিখেছেন, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ লিখেছেন, তাই এই ভুল বোঝাবুঝি।
এই ‘পবিত্রতা অর্জন’ –কে ওযু করার সাথে তুলনা করা যায়।পরিষ্কার(পাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিতহয়, অপরিষ্কার(নাপাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিত হয়না বরং সারা শরির ধুতে হয়। সে রকম, আপনার হালাল সম্পদ থাককে তার ১/৪০ ভাগ দান করে(নবীজীর-শিক্ষা) তা পবিত্র করতে পারেন। আর আপনার সম্পদ হালাল না হয়েথাকলে পবত্রতা অর্জন করতেহলে সারা শরির ধোয়ার মত পুরোটাই ত্যাগ করতে হবে। দেহ পবিত্র না হলে যেমন প্রার্থনা কবুল হয় না তেমন সম্পদ পবিত্র না হলেও প্রার্থনা কবুল হয় না।
২- কেউ কেউ আরও লিখেছেন “আর তাই বলে মাত্র ২৩ বৎসরের মধ্যেই আরব বেদুঈনদের মধ্যে সম্পদের ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা স্তব্ধ হয়ে সমতা, ত্যাগ ও সেবার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠিত হয়;”।
=আপনাকে জানানো প্রয়োজন মনেকরছি যে নবীজীর অধিকাংশ বিশিষ্ট সাহাবি সুসভ্য আরব ছিলেন, খুব কম বিশিষ্ট সাহাবিই বেদুইন ছিলেন।
৩- কেউ কেউ আরও লিখেছেন তাদের ভেবে দেখা দরকার যে, ঐ ২.৫০% শতাংশ জাকাত দেয়ার পরে আমাদের মত পুনঃ ট্যাক্স দিত কিনা! যদি না দেয় তবে আমরা ক্রয় ট্যাক্স, বিক্রয় ট্যাক্স, সম্পত্তি ট্যাক্স, আয় ট্যাক্স, পথ ট্যাক্স, পানি-মাটি ট্যাক্স, নিকাহ ট্যাক্স ইত্যাদি নানা ধরণের (কথিত) জাকাত দিয়ে থাকি, যা একুনে ২.৫০% শতাংশের অনেক অনেক উর্ধে এবং যা বায়তুল মালেই জমা হয়।
=আপনাকে জানাতে চাই যে আপনি এই টেক্স মাগনা দেন না, এই টেক্সের বিনিময়ে আপনি রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেবা পেয়ে থাকেন। এরকম টেক্স খলিফায়ে রাশেদিনের সময়ও চালু ছিলো। তারপরও সেইসময় জাকাত আদায়ের জন্যআলাদা ডিপার্টমান্ট ছিলো।
-আজকে আমরা কোরয়ান পড়ে বলছি কোথাও ১/৪০ ভাগ যাকাতের কথা বলা নাই।
আমরা কি যার কাছে কোরয়ান নাজিল হয়েছিলো, সেই নবী করীম(সাঃ ) –এর চেয়ে বড় হয়ে গেছি? নবী করীম(সাঃ ) সম্পদের যাকাত বলতে হালালসম্পদের ১/৪০ ভাগ দান করাকে বলেছেন। আর আমরা কোরয়ান পড়ে তাকে নিজের ইচ্চামত ব্যাক্ষ্যা করছি!!

আমাদের দেশের কিছু মুসলমান এবং জাহেল পীর

                 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

১- আমাদের দেশের কিছু মুসলমান
আমাদের দেশের অনেক মুসলমান এমন আছেন যারা ইসলামের আমল-আখলাক নিজেদের মধ্যে প্রতিফলিত করেন না।
এদের উদাহরণ হলো সেই দুই ব্যক্তির ন্যায় যারা একঢিসফরে যাত্রা করেছিল । পখিমধ্যে দুইজনই ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলো। তখন তারা স্হির করলো রান্না করবে ।
একজন বললোঃ আমি বাজারে গিয়ে সওদা নিয়ে আসছি, তূমি ততক্ষণ জঙ্গল থেকে কিছু জালানি কূড়িয়ে নিয়ে এস ।
দ্বিতীয় জন বললো ঃ দোসত, তূমি জান না আমি এই বিরাট সফরের দ্বারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিা আমার পক্ষে এখন জ্বণিানি ফূড়ানো সম্ভব নয়।
প্রথম ব্যক্তি বেচারা নিজেই বাজার থেকে সওদা কিনে আনলো এবং নিজেই জঙ্গলে গিয়ে জ্বাণীনি কূড়িয়ে নিয়ে আসলো।
এরপর সে বললো: এবার ভাই তুমি আণ্ডন ধরাও, আমি চাউলণ্ডলি ধূই।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ এতটা ধৈর্য্য কোথায়? আমারশরীর একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। প্রথম ব্যক্তি কাজদুইঢি একাই করলো। এরপর বললোঃ আমি তরকারী কূটে নিচ্ছি, তূমি বসে বসে ভাতের হাঁড়িতে জাল দিতে থাক।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ বসে থাকা আমার পক্ষে মরণ।সফরে হেঁটে আমার পা দুইটা ব্যাথায় চুরমার হয়েযাচ্ছে।
অতঃপর প্রথম ব্যক্তি ভাত-তরকারী সব একাই রান্না করে বললোঃ- এসো ভাই খাবার খেয়ে নেই।
তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ অনেকক্ষণ থেকে তোমার সব কথাই অমান্য করেআসছি। আর কত অমান্য করা যায়? বার বার অমান্য করতেআমার লজ্জা লাগছো দাও অন্তত খাবারটা খেয়ে নেই ।
--আল-এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহু, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১০৭ ।
 

২- জাহেল পীর
জাহেল পীরদের স্বভাব আশ্চর্য ধরণের। যখন যা মুখে আসে বলে। এইরূপ এক জাহেল পীরের ঘটনা। মুরীদ তার কাছে একঢি সূপ্নের কথা ব্যক্ত করে তাবীর জানতে চাইলো। মুরীদ বললো, হুযুর, গত রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যেন আপনার হাতঢ়ি একঢি মধুর পাত্রে ড়ৃবানো রয়েছে আর আমার হাত একঢি পায়খানা ভর্তি পাত্রের মধ্যে ড়ূবানো আছে।
এতটূকূ বলা হতে না হতেই পীর সাহেব আনন্দের আতিশয্যে থাকতে না পেরে বলে উঠলো, হবে না? এইরূপই তো হবে! তূই যে ণ্ডনাহগার দুনিয়ার কূকূর তাই তোর হাত নাপাক পাত্রেড়ূবানো থাকবে । আর আমি যে-বূষূর্গ আল্লাহ্বর ওলী তাই আমার হাত মধুর পাত্রে ড়ূবানো থাকে। মূরীদ বললো, হুযুর বলা এখনও শেষ হয়নি তারপর দেখিআপনার হাতের আঙ্গুল আমি চাটছি, আর আমারু হাতের আঙ্গূল আপনি চাটছেন। এই শুনে পীর সাহেব রেগে মেগেমুরীদকে যা- ইচ্ছা তাই বলে গালাগালি করতে লাগলো।
মুরীদ স্বগ্ন দেখুক বা না-দেখুক, একঢি খুব সত্য বিষয়ের নির্দেশনা দিয়েছো কারণ পীর সাহেব মুরীদের সাথে সম্পর্ক জুড়েছিল দুনিয়ার স্বার্খের জন্যে যা- পায়খানার সমতূল্য। মুরীদের নাপাক হাত তাই পীর সাহেবকে চাটতে হয়েছোআর মুরীদ পীরের সাথে সম্পর্ক স্হাপন করেছিলো আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে যা- মধুর সমতূল্য । তাই মুরীদ মুধুতে ড়ূবানো পীরের হাত চেটেছে।
-আল- এফাযাতৃল য়্যাওমিয়্যাহ; খন্ড ৩ পৃন্ঠা ৪৯ ।
মওলানা আশরাফ আলী থানভী (র: )-এর "মাওয়ায়েয ও মলফুয়াত" বই থেকে।