Showing posts with label ইসলামী সংবাদ. Show all posts
Showing posts with label ইসলামী সংবাদ. Show all posts

Thursday 12 April 2012

কুরআনের ভালোবাসায় রুশ নারীর ইসলাম গ্রহণ এবং রুশ ভাষায় কুরআনের ভাষান্তর


                          بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
কুরআনের ভালোবাসায় রুশ নারীর ইসলাম গ্রহণ এবং রুশ ভাষায় কুরআনের ভাষান্তর
বিশ বছরের অধিককাল আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তাঁর করা কুরআনের অর্থানুবাদকে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা অন্যতম সেরা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ হিসেবে গণ্য করছেন। তিনিই এগিয়ে এসেছেন রাশিয়ায় কুরআনুল কারীমের ক্ষেত্রে অনেক গবেষণাকারী ও বিজ্ঞজনদের মৃত্যুজনিত অভাব পূরণে। 
তিনি হলেন রাশিয়ান নারী ভেলেরিয়া বোরোচভা (Valeria Borochva)। নিজের কুরআন অনুবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত আমাকে তার প্রেমিক বানিয়েছে আর এ ভালোবাসাই আমাকে তা রুশ ভাষায় অনুবাদে অনুপ্রাণিত করেছে।’ 
ভেলেরিয়া বোরোচভা কিন্তু কোনো আলেমা বা ইসলামবিশেষজ্ঞ নন। ইসলামের আইনশাস্ত্র বা ফিকহ বিষয়েও তিনি কোনো ডিগ্রিধারী নন। হ্যা, তাঁর বিশেষত্ব হলো তিনি রাশিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ সমাপ্ত করেছেন। সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার ৬০ মিলিয়ন মুসলিমের জন্য যা এক গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি হিসেবে বরিত ও প্রশংসিত হচ্ছে।  
আল-আরাবিয়া ডট নেটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর রুশ ভাষায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অনুবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সিরিয়ার দামেস্ক শহরে বসবাসকারী এক আরব। তাঁর সঙ্গে আমি ১০ বছর কাটাই দামেস্কে। ইতোপূর্বে আমি আরবী জানতাম না। সেখানেই আরবী শিখি। আরবী শেখার পর সেখানে আমি একটি আরবী-রুশ অভিধান রচনা করি।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমার শ্বশুর একজন ধার্মিক পুরুষ ছিলেন। তাঁর একটি বড় লাইব্রেরি ছিল। সেখানে নিয়মিত অধ্যয়নের পাশাপাশি আমি পূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কুরআন তরজমায় মনোনিবেশ করি। দামেস্ক থেকে ফি বছর মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি গবেষণা একাডেমির উদ্দেশ্যে সফর করতাম। একাডেমিতে ছিল একটি অনুবাদ দপ্তর। দশ পারা অনুবাদ সম্পন্ন করার পর একাডেমির আলেমগণ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। আরবী ও রুশ ভাষা জানা তিন বিজ্ঞ আরব ও দুই রাশান আলেম সদস্যের এ কমিটি খুব ভালোভাবে আমার তরজমা পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।’ 
বোরোচভা উল্লেখ করেন, প্রথমে এ বোর্ড তাঁর তরজমা সম্পর্কে অনেক টীকা যোগ করেন। পাশাপাশি তাঁরা অনুবাদের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তাঁরা বলেন, অনুবাদ হয়েছে প্রথম শ্রেণীর। এ কারণেই আমরা এর অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন চালিয়ে যেতে পারছি। এর মধ্যে যদি অনেক ভুল-ভ্রান্তি পেতাম তবে পর্যবেক্ষণে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারতাম না। প্রতিবারই তাঁরা অনুবাদ সম্পর্কে বৈঠক বসতেন এবং এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতেন।’ 
তিনি জানান, তাঁকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে সিরিয়ায় বসবাসের সুবাদে তা সহজেই ডিঙ্গানো সম্ভব হয়েছে। সিরিয়ার সাবেক মুফতী শায়খ আহমদ কিফতারো এবং তার পুত্র শায়খ মাহমুদ কিফতারো সবসময় তাকে সাহায্য করেছেন। প্রেরণা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত অনেক বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করেছি। প্রয়োজনীয় সব কিছুই তাঁদের কাছ থেকে জেনে নিয়েছি। তেমনি ড. যুহাইলিরও সাহায্য নিয়েছি, যার কাছে কুরআনুল কারীমের তাফসীর সংক্রান্ত অনেক কিতাব ছিল।’ 
তিনি যোগ করেন, ‘বহু আলেম আমাকে সাহায্য করেছেন। ‘আমি ভেলেরিয়া যদি একা একা বসে থাকতাম তাহলে কুরআনের তরজমায় অনেক ভুল হত।’ নিজের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ভালোবাসাই আমাকে ইসলামে দীক্ষিত হতে প্রেরণা ও চেতনা জুগিয়েছে। আমার বিশ্বাস, খোলা মন নিয়ে যিনিই এ কুরআন শেষ পর্যন্ত পড়বেন, শেষাবধি তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বলতেই হবে।’ 
অনুবাদের মুদ্রণ ব্যয় সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শেখ যায়েদ ইবন সুলতান (আল্লাহ তার ওপর রহমত করুন) আল-আজহার একাডেমির কাছে একটি চিঠি পাঠান, তরজমা যথার্থ কি-না তিনি তা জানতে চান। নিশ্চিত হবার পর ২৫ হাজার কপি অনুবাদ ছাপার খরচ বহনে আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ যায়েদ। এ পর্যন্ত অর্ধ মিলিয়ন কপি অনুবাদ ছাপা হয়েছে। সৌদি আরবের শায়খ খালেদ কাসেমীও অনেক কপি ছাপিয়েছেন। লিবিয়া ও কাতারে থেকেও এ অনুবাদ ছাপা হয়েছে।’


 
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

কেরালায় নির্মিত হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ

http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2011August/SM/Mosk-sm20110812004242.jpg
কেরলায় প্রস্তাবিত ভারতের বৃহত্তম মসজিদের মডেল।
ভারতের বৃহত্তম মসজিদ তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণের কেরালা রাজ্যের কোজিকোড়ে। দিল্লির জামে মসজিদের তুলনায় এ মসজিদটিবড় হবে বলে জানা গেছে।
আরব আমিরশাহী ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেবসবাসরত অনাবাসী ভারতীয়রা এজন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করছেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এর নির্র্মাণ কাজ শুরু হবে।
প্রস্তাবিত মসজিদটির তৈরির জন্য গঠিত সংস্থার যুগ্ম সচিব দুবাইবাসী বিশিষ্ট চিকিৎসক হাকিম আজহারি কান্থাপুরম জানিয়েছেন, ভারতীয় মুসলমানদের জন্য এ ঐতিহাসিক মসজিদটি তৈরি করতে ব্যয় হবে ১২ বিলিয়ান ডলার। আপাতত এটির নামাকরণকরা হয়েছে ‘মুবারক মসজিদ’।
তিনি দাবি করেছেন, শুধু উপাসনই নয়, এখানে থাকবে শিক্ষা প্রসারের নানা ব্যবস্থা। মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হবে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থাপনা।
হাকিম আজহারি বলেন,‘২শ ৫০হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে মসজিদটি নির্র্মাণ হবে। এক সঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি এখানে বসে নামাজ পড়তে পারবেন। ইসলাম বিষয়কগবেষণার জন্য একটি গ্রন্থাগার থাকবে। নির্র্মাণ করা হবে একটি বিশাল কনফারেন্স হল।’
তিনি আরও বলেন,‘সেখানে যেমন মুসলিম বিদ্বজনদের যেমন আমন্ত্রণ জানানো হবে, তেমনই অমুসলিম বিদ্বজনরা মত বিনিময়ের জন্য আসবেন। মসজিদকে ঘিরেথাকবে মুঘল আমলের স্থাপনার মতো বাগান। এছাড়াও থাকবে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজ। উন্নতমানের হাসপাতাল ও হেলথ কেয়ার সিটি।
মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিকমানের শপিংমল, একাধিক হোটেল ও কনভেশন সেন্টারও থাকবে
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

Monday 9 April 2012

১৯৮৩সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী অজানা এক ইতিহাসের নাম ।

                             بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


http://photos-a.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/549128_333413303384779_196351987090912_915203_2021914121_n.jpg
ইসলামিক সংবাদঃ
১৯৭৯ সালের শুরুর দিকে, আসামে নির্বাচন কমিশন ৪৫ হাজার বিদেশী ভোটারকে ভোটের অধিকার দেন । ঘটনারশুরুটা এখানেই। অল আসাম স্টুডেন্ট ফোরাম ঘোষণা করে বিদেশীদের ভোটার হিসাবে এদের অন্তর্ভুক্ত করলে আসামে রক্তের হলী খেলা বয়ে দেয়া হবে । শুরু হয় বাংলাদেশী খেদাওআন্দোলন। সাথে যোগ দেয় আরও কিছু রাজনৈতিক সংগঠন।গঠন হয় All Assam GanaSangram Parishad (AGSP)।AGSP বাংলাদেশী খেদাও আন্দোলনে ১৯৭৯ থেকে১৯৮২ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ এর মত খুন দেড় হাজার এর বেশী মানুষ আহত, জ্বালাও পোড়াও সহ অনেক ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন গোষনা করেন। এ নির্বাচন আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেত্রী ইন্দ্রাগান্ধীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনের আয়োজন হয়। সেই দিন থেকেই আসাম অগ্নিগর্ভ ধারণ করে। AGSP নির্বাচনবয়কটের ঘোষণা দেয়। কংগ্রেস সহ কিছু দল নির্বাচনের পক্ষেও মিছিল বের হয়।... জনতা নির্বাচনের দাবিতে মিছিল করেন। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে তারা জোড় দাবিতে সোচ্ছার হন।
সারা আসামে রিউমার ছড়ানোহয় হাজার হাজার বাংলাদেশী বাংলাদেশ থেকে এসে ভোটে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য AGSP শপথ নেয়। গঠন করা হয় আলাদা আরেকটি ফোরাম। এদিকে ভোট গ্রহন চলছিলো। আসামের মরিগণ জেলার একটা অংশের কথা। সেখানে মোহাম্মাদ হোসেন নামের এক স্বতন্ত্রপ্রার্থী হেমান্দ্র নারায়ণ নামের এক প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। হেমান্দ্র নারায়ণ ২৫ বছরধরে ঐ এলাকা শাসন করে আসছিলেন। এতে করে আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা AGSP। প্রতিশোধ নেশায় পাগল হয়ে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারির দিনের বেলায় মাত্র ৬ ঘণ্টায় আসামের Nellie য়হত্যা করা হয় ৫০০০ মানুষকে যার মধ্যে ৩৫০০-ইছিল শিশু(মুসলিম) এ হত্যাকান্ডের এখনো একটিরও বিচার হয়নি।
দিনের আলোয় মাত্র ৬ ঘণ্টায় হাজার হাজার শিশুর হত্যাকান্ডের বিচারের বাণী আজ নিরবে নিভৃতে কেঁদে উঠে বাববার।ইন্ডিয়া কি কোনদিন এ হত্যাকান্ডের বিচার করবে?? ইন্ডিয়া কি দিয়েমুছবে এ রক্তের দাগ? স্রষ্টার বিচার যে বড়ই কঠিন? হয়তো এটাই আজ আসামকে পোড়াচ্ছে!! গোটা ইন্ডিয়াকে পোড়াচ্ছে!! ইতিহাসে শিক্ষা যে বড়ই নির্মম।

Saturday 17 March 2012

নাসার নভোচারী সুনিতা এখন মুসলমান

                  بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم 


২৪০ মাইল উপর থেকে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে ২ টি উজ্জ্বল আলো দেখি, টেলিস্কোপে বুঝতে পারি এগুলো মক্কা ও মদিনাঃ সুনিতা উইলিয়াম
মহাকাশ অঙ্গনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সম্পর্কে সুনিতা উইলিয়াম নিজেই বলেছেন, ‘আমি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ মাইল উপরে উঠলাম, তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি তারা (আলো) দেখতে পেলাম। এর পরএকটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো দুটি দেখার চেষ্টা করলে দেখি, একটি আলোর অবস্থান মক্কায় আর অন্যটি মদিনায়। এই দৃশ্য দেখার পর আমি প্রচণ্ডভাবে অভিভূত হই এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।
—————————————————————————————————————
নাসার নভোচারী সুনিতা এখন মুসলমান
২০০৬ সালের কথা। বরাবরের মতো মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে একটি নভোযান পাঠানো হলো। মহাকাশের খোঁজখবর সংগ্রহকরাই ছিল যে অভিযানের মূলউদ্দেশ্য। অন্য গবেষকদেরসঙ্গে সে নভোযানে অবস্থান করছিলেন সুনিতা উইলিয়াম। মহাকাশ গবেষণাযানটি যখন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৪০ মাইল উপরে, হঠাৎ নিচের দিকে চোখ আটকে যায় সুনিতার। পৃথিবী পৃষ্ঠে তারার মতো দুটি আলো জ্বলতে দেখলেন তিনি। চিন্তায় পড়ে গেলেন সুনিতা; ভাবলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠে তো এভাবে জ্বলে থাকার মতো কোনো আলোকশিখা থাকার কথা নয়। তবে এই আলোকরশ্মি দুটি কি?
সঙ্গীদের ডেকে দেখালেন এবং টেলিস্কোপের সাহায্যে আলো দুটিকে নির্ণয় করার চেষ্টা চালালেন। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো সুনিতার। আরো কাছে, আরো পরিষ্কারভাবে দেখলেন, আলো দুটির কেন্দ্রস্থল পৃথিবীর মক্কা ও মদিনা। মক্কা শহরের কেন্দ্রস্থলও মদিনা শহরের কেন্দ্রস্থ থেকে মহাকাশমুখি এই আলোকরশ্মিদুটি বিকিরিত হচ্ছে।
মহাকাশ অঙ্গনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সম্পর্কে সুনিতা উইলিয়াম নিজেই বলেছেন, ‘আমি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ মাইল উপরে উঠলাম, তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি তারা (আলো) দেখতে পেলাম। এর পরএকটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো দুটি দেখার চেষ্টা করলে দেখি, একটি আলোর অবস্থান মক্কায় আর অন্যটি মদিনায়। এই দৃশ্য দেখার পর আমি প্রচণ্ডভাবে অভিভূত হই এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণ করি। আমি এখন একজন মুসলমান।’
ইসলাম গ্রহণ করা নিয়ে শতজল্পনা-কল্পনার ইতি টেনেওমরাহ পালন করতে আসা সুনিতা উইলিয়াম জেদ্দারহোটেল হিলটনে বসে এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার কাহিনী। সাংবাদিকদের শোনাচ্ছিলেন তাঁর মুসলমান হওয়ার রোমাঞ্চকর গল্প। এ সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করার নেপথ্যে থাকা ঘটনা ব্যক্ত করার পাশাপাশি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তরদেন। নাসার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুনিতার ইসলাম গ্রহণ করা বিষয়ে তাঁকে চেনেন বা জানেন এমনঅনেকের মন্তব্য ছিল অনেকটাই এরকম- ‘আর কারো পক্ষে সম্ভব হলেও সুনিতার পক্ষে এটা কখনো সম্ভব নয়।
কারণ সে ছিল ইসলাম বিদ্বেষী’। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা এবং সন্দেহ-কানাকানির ইতি টেনে গত রমজান মাসে ওমরাহপালন করতে এসে নিজের মুসলমান হওয়ার ঘোষণা দিলেন সুনিতা উইলিয়াম এবং গর্ব করে বললেন, ‘আমি এখন একজন মুসলমান, এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনিতা উইলিয়াম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ায়ো অঙ্গরাজ্যের ‘ইউক্লিডে’ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা দীপক পাণ্ডে ও মা বনি পাণ্ডে উভয়ই ছিলেন ভারতীয় হিন্দু। ম্যাসাচুসেটস হাই স্কুলেপড়াশোনা করার পর ১৯৮৭ সালে ফিজিক্যাল সায়েন্সে বিএস ডিগ্রি এবং ১৯৯৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এর আগে ১৯৮৯ সালে সুনিতা ন্যাভাল একাডেমীতে কমিশন লাভ করেন এবং ১৯৯৩ সালে ন্যাভাল এভিয়েটর হিসেবেপদোন্নতি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে আমেরিকান হেলিকপ্টার ইনস্টিটিউটে টেস্ট পাইলট ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পালনকালে ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, পারস্য ও আরবসাগরসহ মরুভূমি এলাকায় কাজ করেন। এর পর ১৯৯৮ সালে সুনিতা ফ্লোরিডাস্থ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় যোগদান করেন। কর্মরত অবস্থায়ই একজন ক্যাথলিক খৃস্টানকে বিয়ে করে সংসারজীবনে প্রবেশ করেন তিনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে আরবের মরু এলাকায় কাজ করার সময় অল্প-বিস্তর ধারণা অর্জন করেন মুসলমানদের প্রকৃত জীবন সম্পর্কে। উল্লেখ্য, এর আগে ইসলাম সম্পর্কে সুনিতার বস্তুতকোনো ধারণা বা পড়াশোনা ছিল না।
নভোযান পরিচালনার ক্ষেত্রে খুব দক্ষ কর্মী ছিলেন সুনিতা উইলিয়াম। মহাকাশে গিয়ে রেকর্ড পরিমাণ সময় ১৯ ঘণ্টা ১৭ মিনিট স্পেস ওয়ার্ক করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেনিঃসন্তান সুনিতা সেদিন সবার সামনে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান। আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা নিয়ে এতদিন যে সন্দেহ চলে আসছিল, আজ তার অবসান হলো।বর্তমানে আমি একজন মুসলমানের মতোই জীবন যাপন করছি। আমার ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে আর কোনো বিভ্রান্তি ছড়ানোরউপায় নেই ।