Showing posts with label কোরআনের আলো. Show all posts
Showing posts with label কোরআনের আলো. Show all posts

Monday 16 April 2012

আল্লাহ আমাদের গিবত হতে হেফাজত করুন


"মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।"

                                                                                                                                [সূরা হুজুরাত ৪৯::১২]

মুমিনের সংখিপ্ত পরিচয়

                             বিসমিল্লাহির রহমানির  রহিম

 

আল্লাহ বলেন -     "মুমিন তো হচ্ছে সেসব লোক, (যাদের) আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করানো হলে তাদের হৃদয় কম্পিত হয়ে ওঠে এবং যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা (সব সময়) তাদের মালিকের (আল্লাহ) ওপর নির্ভর করে।"   

                                               [সূরা আনফাল : ২]

সালাত সম্পরকে আল্লাহ এর কিছু বানী

                                       বিস্মিল্লাহির রহমানির রহিম






"তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও।

তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে,

তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর,

নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন।" 

                                                        [কুরআন ২:২১০]

"নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ

করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান

করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের

পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই

এবং তারা দুঃখিত হবে না।"

                                                        [কুরআন ২:২৭৭]

"নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক

তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন

পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর

যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে,

সে যেন অপবাদ আরোপ করল।"

                                                        [কুরআন ৪:৪৮]

"অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা।

তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল।

সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।

কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস

স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ

করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না।"

                                                         [মারইয়াম, ১৯:৫৯-৬০]

"অবশ্য তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে আর

যাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের

দ্বীনী ভাই। আর আমি বিধানসমূহে জ্ঞানী লোকদের

জন্যে সবিস্তরে র্বণনা করে থাকি।"

                                                          [কুরআন ৯:১১]






Saturday 14 April 2012

মা বাবার সাথে ভালো ব্যবহার করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব

"তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সাথে শিষ্ঠাচারপূর্ণভাবে কথা বলো।"

                                                                       [সুরা বনী ইসরাইলঃ ২৩]

Friday 13 April 2012

শর্ব প্রথম তৈরি ইবাদতের ঘর

                       <<< বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম>>>

 

" নিঃসন্দেহে এটি  সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের ইবাদতের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়। "       [সূরা আল ইমরানঃ ৯৬]

আল্লাহ আমাদেরকে কুখরী থেকে হেফাজত করুন..........

                            //// বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম /////

"আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কেউ মৃত্যুর সম্মুখে উপস্থিত হয়, তখন(তারা) বলতে থাকেঃ (হে আল্লাহ) আমি এখন তওবা করছি। আর ক্ষমা নেই তাদেরও জন্য যারা অবিশ্বাশী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি এদের জন্য(এক ভয়াবহ) যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।"

                                                     [সূরা নিসা:১৮]


Monday 9 April 2012

একটি প্রয়োজনীয় হাদিস সবার জন্য, না পড়লে সবচেয়ে বড় মিস করবেন

                                بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم 


হে নবী ! মু'মিন পুরুষদের বলে দিন তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে এটি তাদের জন্য অধিক কল্যাণকর যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন

আর হে নবী ! মু'মিন মহিলাদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে বুক ঢেকে রাখে তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়া- স্বামী, পিতা, স্বামীর পিতা, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, নিজের মেলামেশার মেয়েদের, নিজের মালিকানাধীনদের, অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্য কোন রকম উদ্দেশ্য নেই এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে হে মু'মিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে

●●●
সূরা নূর : ৩০-৩১

Thursday 15 March 2012

নামায সম্পর্কে কিছু মাসআলা



                                 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
প্রশ্নঃ নামায আদায়ের সর্বোত্তম সময় কোনটি?
উত্তরঃ প্রথম ওয়াক্ত। (সময় হওয়ার সাথে সাথে আদায় করা উত্তম।)
প্রশ্নঃ কোন্‌ নামায আদায় করলে মানুষ আল্লাহর যিম্মাদারীর মধ্যে এসে যায়?
উত্তরঃ ফজরের নামায।
প্রশ্নঃ কোন নামাযজামাতের সাথে আদায় করলে অর্ধেক রাত্রি নফল নামায পড়ার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ এশা নামায। ০০০
প্রশ্নঃ কোন নামাযজামাতের সাথে আদায় করলে পূর্ণ রাত্রি নফল নামায পড়ার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফজর নামায।
প্রশ্নঃ কোন দুরাকাত নামাযে একটি মাকবূল হজ্জ ও একটি মাকবূল উমরার ছোয়াব পাওয়াযায়?
উত্তরঃ ফজরের নামায পড়ে স্বীয় মুসল্লায় বসে থেকে সূর্য উঠার পর দুরাকাত নামায পড়লে।
প্রশ্নঃ কোন নামাযছুটে গেলে মানুষ পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়?
উত্তরঃ আসরের নামায।
প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “মানুষ যদি জানতো এই দুনামাযে কি পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত।” নামায দুটি কি কি?
উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায।
প্রশ্নঃ কোন দুটি নামায মুনাফেক্বদের উপর সবচেয়ে ভারী ও কষ্টকর?
উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায।
প্রশ্নঃ ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায কোনটি?
উত্তরঃ রাতের নফল (তাহাজ্জুদ) নামায।

Wednesday 14 March 2012

যেমন কর্ম তেমন ফল (আল কুরআনের আলোকে)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم       
 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরমকরুণাময়, অতি দয়ালু।

   
أُوْلَائِكَ لَهُمْ نَصِيب ٌ مِمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ -
অর্থাৎ- এদেরই জন্য অংশ রয়েছে নিজেদের উপার্জিত স¤পদের। (মানে হলো- যা সে উপার্জন করেছে বা কর্ম করেছে তার ফল পাবে।) আর আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (সুরা আল বাকারা- ২ ঃ ২০২)
   

وَلِكُلّ ٍ دَرَجَات ٌ مِمَّا عَمِلُوا وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ -
অর্থাৎ- প্রত্যেকের জন্যে তাদের কর্মের আনুপাতিক মর্যাদা আছে এবং আপনার প্রতিপালক তাদের কর্ম স¤পর্কে বেখবর নন। (সুরা আল আনআম- ৬ ঃ ১৩২)
   

مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَه ُُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا وَمَنْ جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَلاَ يُجْزَى إِلاَّ مِثْلَهَا وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ -
অর্থাৎ- যে একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে, একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে। বস্তূত: তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (সুরা আল আনআম- ৬ ঃ ১৬০)
   
وَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَاللَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ -
অর্থাৎ- পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে। তাদের প্রাপ্য পরিপুর্ণভাবে দেয়া হবে। আর আল্লাহ্ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। (সুরা আল ইমরান- ৩ ঃ ১৩২)
   
وَاتَّقُوا يَوْما ً تُرْجَعُونَ فِيهِূِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْس ٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ -
অর্থাৎ- ঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্ল¬াহ্র কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। অত:পর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না। (সুরা আল বাকারা- ২ ঃ ২৮১)
   
يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْس ٍ مَا عَمِلَتْ مِنْ خَيْر ٍ مُحْضَرا ً وَمَا عَمِلَتْ مِنْ سُوء ٍ تَوَدُّ لَوْ-
অর্থাৎ- সেদিন প্রত্যেকেই যা কিছু সে ভাল কাজ করেছে; চোখের সামনে দেখতে পাবে এবং যা কিছু মন্দ কাজ করেছে তাও। (সুরা আল ইমরান- ৩ ঃ ৩০)
   
ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِظَلاَّم ٍ لِلْعَبِيدِ -
অর্থাৎ- এ হল তারই প্রতিফল যা তোমরা ইতিপূর্বে নিজের হাতে পাঠিয়েছ (নিজে যে কাজ করেছো তার ফল)। বস্তূত: আল্লাহ্ বান্দাদের প্রতি অত্যাচার করেন না। (সুরা আল ইমরান- ৩ ঃ ১৮২)
   
فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّي لاَ أُضِيعُ عَمَلَ عَامِل ٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْض -
অর্থাৎ- অত:পর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি না, তা সে পুরুষ হোক কিংবা স্ত্রীলোক। তোমরা পর¯পর এক। (সুরা আল ইমরান- ৩ ঃ ১৯৫)
   
إِنَّ اللَّهَ لاَ يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّة ٍ وَإِنْ تَكُ حَسَنَة ً يُضَاعِفْهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْراً عَظِيما ً -
অর্থাৎ- নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; আর যদি তা সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন। (সুরা আন নিসা- ৪ ঃ ৪০)
   

وَمَنْ يَكْسِبْ إِثْما ً فَإِنَّمَا يَكْسِبُه ُُ عَلَى نَفْسِه ِِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيماً حَكِيما ً -
অর্থাৎ- যে কেউ পাপ করে, সে নিজের পক্ষেই করে। আল্লাহ্ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
(And whoever earns sin, he earns it only against himself. And Allâh is Ever AllKnowing, AllWise.) (myiv Avb wbmv- 4 t 111)
   

لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلاَ أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءا ً يُجْزَ بِه ِِ وَلاَ يَجِدْ لَه ُُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيّا ً وَلاَ نَصِيرا ً -
অর্থাৎ- তোমাদের আশার উপরও ভিত্তি নয় এবং আহলে-কিতাবদের আশার উপরও না। যে কেউ মন্দ কাজ করবে, সে তার শাস্তি পাবে এবং সে আল্লাহ ছাড়া নিজের কোন সমর্থক বা সাহায্যকারী পাবে না। (সুরা আন নিসা- ৪ ঃ ১২৩)
   

فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُمْ مِنْ فَضْلِه ِِ وَأَمَّا الَّذِينَ اسْتَنكَفُوا وَاسْتَكْبَرُوا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَاباً أَلِيما ً وَلاَ يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيّا ً وَلاَ نَصِيرا ً -
অর্থাৎ- অত:পর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে পরিপূর্ণ সওয়াব দান করবেন, বরং ¯¦ীয় অনুগ্রহে আরো বেশী দেবেন। পক্ষান্তরে যারা লজ্জাবোধ করেছে এবং অহঙ্কার করেছে তিনি তাদেরকে দেবেন বেদনাদায়ক আযাব। আল্লাহ্কে ছাড়া তারা কোন সাহায্যকারী ও সমর্থক পাবে না। (সুরা আন নিসা- ৪ ঃ ১৭৩)

Tuesday 13 March 2012

কুরআনে উল্লেখিত নাম, ডাকনাম ও উপাধী

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم  
 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরমকরুণাময়, অতি দয়ালু।

আসমানী কিতাবের নামঃ
১. তাওরাত (মুসা আঃ. এর কিতাবের নাম)
২. যাবুর (দাউদ আঃ. এর কিতাবের নাম)
৩. ইনজিল (ঈসা আঃ. এর কিতাবের নাম) কুরআনের নামঃ
কুরআনের নাম অনেকে প্রায় ৯২ টি আবার কেউ ৫৫ টি বলে বর্ণনা করেছেন। তবে, সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্যতথ্য হিসাবে এর পাচটি নামকে উলেখ করা যায়।
১. আল কুরআন
২. আল ফুরকান (সুরা আলে ইমরান, ফুরকান)
৩. আল কিতাব (সুরা বাকারা)
৪.আত তানজিল
৫. আয-যিকর। (সুরা হিজর)
নবীদের নামঃ
কুরআন শরীফে ২৫ জন নবীর ২৬ টা নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা আনয়ামের ৮৩-৮৬ নং আয়াতে ১৮ জন নবীরনাম উল্লেখিত হয়েছে।
১. ইবরাহীম(আঃ)
২. ইসহাক(আঃ)
৩. ইয়া’কুব(আঃ)
৪. নূহ(আঃ)
৫. দাউদ(আঃ)
৬. সুলায়মান(আঃ)
৭. আইয়ুব(আঃ)
৮. ইউসুফ(আঃ)
৯. মুসা(আঃ)
১০. হারুন(আঃ)
১১. জাকারিয়া (আঃ)
১২. ইয়াহিয়া(আঃ)
১৩. ঈসা(আঃ)
১৪. ইলইয়াস(আঃ)
১৫. ইসমাইল(আঃ)
১৬. ইয়াস’আ(আঃ)
১৭. ইউনুস(আঃ)
১৮. লুত (আঃ)
অন্যান্য আয়াতে এসেছে সাতজনের নাম। তাদের ছয়জন হলেন-
১. ইদরীস(আঃ)
২. হুদ(আঃ)
৩. শুয়াইব(আঃ)
৪. যুল-কিফল(আঃ)
৫. সালেহ(আঃ)
৬. আদম (আঃ)
এ ছাড়া রাসুল (সাঃ) এর দুটি নাম এসেছে।
১. মুহাম্মাদ (সাঃ)। এ নামটি এসেছে চার স্থানে। সুরা আলে ইমরান, আহযাব, মুহাম্মাদ ও আল ফাতহে।
২. আহমাদ। এ নামটি এসেছে সুরা সাফফে।
ফেরেশতাদের নামঃ
১. জিরবাইল (আঃ) ও
২. মীকাইল (আঃ)
মানুষের নামঃ (নবীগণ ব্যতিত)
১. লোকমান (সুরা লোকমানে)
২. যায়েদ (সুরা আহযাবে)
৩. মারইয়াম (আঃ)
৪.ইবরাহীম (আঃ) এর পিতা আজর।
৫. কারুন
৬. হামান
৭. জালুত
৮. তালুত
মানুষ ও ফেরেশতার বাইরেঃ
১. কাফেরদের সর্দার ইবলিস
গোত্রের নামঃ
১. আদ
২. সামুদ
৩. মাদইয়ান (এ তিনটি নাম বিভিন্ন সুরায় এসেছে।)
৪. ইয়া’জুজ ও মা’জুজ (সুরা কাহাফ ও আম্বিয়া)
৫. সাবা (সুরা সা’বা)
৬. কুরাইশ (সুরা কুরাইশ)
মুর্তির নামঃ
১. উদ্দ
২. সুওয়া
৩. ইয়াউক
৪. নাসর (এগুলো নুহ আঃ. এর জাতির জাতির লোকদের মুর্তির নাম। এগুলো সুরা নুহে উল্লেখিত হয়েছে।)
৫. লাত
৬. উজ্জা
৭. মানাত (কুরাইশ ও আরবদেরমুর্তির নাম। সুরা নাজমে বর্ণিত হয়েছে।)
স্থানের নামঃ
১. মাক্কা, এটাকে বাক্কা ওবলা হয়।
২. মাদীনা, এটার অপর নাম ইয়াসরিব।
৩. মিসর। (চার স্থানে বর্ণিত সুরা ইউনুসে এক জায়গায়, সুরা ইউসুফে দুই স্থানে এবং সুরা যুখরুফে)
৪. বাবেল (সুরা বাকারায় বর্ণিত হয়েছে।)
৫. বদর প্রান্তর
৬. হুনাইন প্রান্তর
৭. মাশ’আরিল হারাম তথা মুযদালিফা।
৮. হিজর (সালেহ আঃ. এর জাতির লোকদের বাসস্থান। এই নামে একটি সুরা আছে)
৯. আহকাফ (আদ জাতির বসবাসস্থল। এ নামে কুরআনেএকটি সুরা রয়েছে।)

১০. কাহাফ (আসহাবে কাহাফদের গুহা। এ নামে কুরআন শরীফে একটি সুরা আছে।)
১১. আরাফাত।
পাহাড়ের নামঃ
১. তুরে সিনা
ঝর্ণার নামঃ
১. কাউসার
২. সালসাবিল
৩. তাসনীম (সবগুলো বেহেশতের ঝর্ণার নাম)
উপত্যকার নাম
১. ওয়াইল (তিরমীজির বর্ণনা মতে)
সম্মানিত স্থানের নামঃ
১. আরশুল আযীম।
২. ফেরদাউস (সর্বোচ্চ জান্নাত)
৩. মাক্কা
৪. মাদীনা
বিভিন্ন জাতির নামঃ
এগুলো অনেক। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
১. মানুষ
২. জিন
৩. ফেরেশতা
৪. পাখি
৫. সুর্য
৬. চন্দ্র
৭. তারকারাজি
৮. গ্রহ নক্ষত্র
৯. পাহাড়
১০. গাছ পালা
১১. বিভিন্ন শ্রেণীর পশু।
ডাকনামঃ
কুরআন শরীফে শুধুমাত্র একটি স্থানে ডাকনাম এসেছে। সেটা হল- আবু লাহাব (অগ্নিশিখার পিতা) সুরা লাহাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি ছিলেন রাসুল (সাঃ) এর চাচ। তার আসল নামছিল আব্দুল উজ্জা।
উপাধীঃ
১. নবী
২. রাসুল
৩. খালীল (ইবরাহীম আঃ. এর উপাধী)
৪. ইসরাইল (ইয়া’কুব আঃ. এর উপাধী)
৫. মাসীহ (ঈসা আঃ. এর উপাধী)
৬. ফেরআউন (প্রাচীন মিসর সম্রাটদের উপাধী)
৭. তুব্বা (ইয়ামানের শাসক)
৮. শায়তান (ইবলিসের উপাধী;পরে এটা দ্বারা খারাপের শেষ সীমায় পৌছে গেছে এমন লোকদেরকে বুঝানো হয়)
লেখক: ইসমাইল জাবিহুল্লাহ
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশর।
পড়া হলে সবার সাথে শেয়ার করুন

সূরা নাস (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা 6

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم  
 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরমকরুণাময়, অতি দয়ালু।

সূরা বনী ইসরাঈল ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ১১১

                         بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
           শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,    অতি দয়ালু।

মাতৃভাষার মর্যাদা আল্লাহর দান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

“আমি সব পয়গম্বরকেই তাদেরস্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শনকরেন। তিনি পরাক্রমশালী ওপ্রজ্ঞাময়।” (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪)
সুপ্রিয় বন্ধুরা,

আল্লাহপাক ভাষাবিচিত্রতাও জাতিবিচিত্রতাকে সৃষ্টি করেছেন তার সৃষ্টির নিদর্শন হিসেবে। আর তাঁর এ নিদর্শনকে রক্ষার জন্যই তিনি যে জাতির মুখে যে ভাষা ফুটিয়েছেন তাকেই তার ইবাদতের অর্থাৎ নামাজে কিতাব পাঠের যোগ্যতা দিয়েছেন। অনারবি ভাষা যদিতার ইবাদতের অযোগ্যই হতো তবে তার সব কিতাব ও সহিফাই নাজিল করতেন অনারবি ভাষায়। অনারবি ভাষা আল্লাহর ইবাদতের অযোগ্য হলে তাওরাত, যাবুর,ইঞ্জিল কিতাব ও সহিফাগুলোবিভিন্ন অনারবের বিভিন্ন ভাষায় নাজিল করতেন না। আল্লাহর বিধান হচ্ছে যার যার জন্য তার তার ভাষা। প্রত্যেক পয়গম্বরের জাতিসত্তার ভাষায় তার কিতাব ও সহিফা নাজিল করেইতিনি অকাট্যভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন, জাতিসত্তার ভাষা বা মাতৃভাষাই মানবাধিকার। ভাষাবিচিত্রতার মাধ্যমে তিনি বিশ্বমানবতাকে দিয়েছেন ভাষাগত মুক্তি এবং ভাষাবিচিত্রতার মাধ্যমে ভাষাগত মুক্তির দ্বারাই বিশ্ববাসীকে দিয়েছেন জ্ঞানগত ও শিক্ষাগত মুক্তি। তাই তিনি তার কিতাব, শিক্ষা ও জ্ঞানকে নির্দিষ্ট কোন ভাষার প্রাচীরে আবদ্ধ করেননি। সব জাতির ভাষায় আল্লাহর কিতাবের শিক্ষা ওজ্ঞান হবে চিরমুক্ত স্বাধীন এটাই আল্লাহর ইচ্ছা। আর তিনি তাঁর ইচ্ছারই বাস্তবায়ন করেছেন। জাতিসত্তার ভাষা বা মাতৃভাষানীতির দ্বারা তিনি বিশ্বকে ভাষাগত আগ্রাসনমুক্ত রেখেছেন।  সর্বাবস্থায় তিনি বান্দাদের জাতিসত্তার ভাষাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতির ভাষায় নাজিলকৃত তার বিভিন্ন কিতাব ও সহিফা এ কথারই অকাট্য প্রমাণ।
মাতৃভাষা বা জাতিসত্তার ভাষাই সহজ ভাষার পথ। এ পথ শিক্ষা ও জ্ঞানের পথ। এ পথ আলোর পথ। এ পথ কখনোই রুদ্ধ করা যাবে না। আল্লাহর নবী রাসূলরা মাতৃভাষার পথেরই পথিক ছিলেন। মাতৃভাষাতে আল্লাহ বান্দাদের দিয়েছেন মৌলিক অধিকার। তাই আজ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় সর্বাগ্রে আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে।

প্রিয় বন্ধুরা,
এসো মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মাতৃভাষার যে মর্যাদা দিয়েছেন তা রক্ষায় সচেষ্ট হই।
গ্রন্থনায় : আবদুল কুদ্দুস মাখন

পবিত্র কোরআন সম্পর্কে কিছু তথ্য

 ِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم

১.পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় সর্বমোট ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিনে ।
২.সূরা আলাকের পর ওহী অবতীর্ণ বন্ধ থাকা আড়াইবছর সময়কালকে বলা হয়"দাওরে ফুরকত" ।
৩.আল্লাহ শব্দটি কোরআনে আছে মোট ২৫৮৪ বার ।
৪.কোরআনে বর্ণিত একমাত্র সাহাবীর নাম "যাইদ ইবনে হারিস (রাযি)" ।
৫. কোরআনে বর্ণিত পাহাড়সমূহ হচ্ছে"তুরস্কের জুদী এবং ফিলিস্তিনের তূর পাহাড়" ।
৬. কোরআনে ‘আল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’বাক্যটি এসেছে ৬ বার ।
৭. পবিত্র কুরআনের  সূরা ফাতাহ এর ২৯ নং আয়াতে। আরবী২৯টি অক্ষরই রয়েছে?
৮. পবিত্র কুরআনের  সূরায়ে 'কাউছার' এ ‘মীম’ অক্ষরটি নেই
৯. সূরা কুরায়শ, ফালাকও আছর এই তিনটি সূরায় ك ‘কাফ’ অক্ষরটি নেই ।
১০.পবিত্র কোরআনের সূরায়ে নামল  (২৭ নং সূরা) এ দুই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রয়েছে ।

কুরআনের প্রতি অমলিন ভালোবাসা

ِسْــــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ اارَّحِيم

নির্ভীক মুজাহিদ, শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, বিচক্ষণ রাজনীতিক, ক্ষণজন্মা সাধক, সময়ের সেরা দরবেশ, মুসলিম উম্মাহর গর্বের ধন শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রাহ. ছিলেন জ্ঞান-পাণ্ডিত্য, তাকওয়া-পরহেজগারী, জিহাদ ও দাওয়াত-- এক কথায় আল্লাহ পাকের মনোনীত ধর্ম ইসলামের বিজয় ও প্রতিষ্ঠা সাধনের ভুবনে এক কিংবদন্তী পুরুষ। তিনি ছিলেন শাইখুল হিন্দ হযরত মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রাহ. এর যোগ্যতম উত্তরসূরী। যাঁদের অকান্ত পরিশ্রমের ফসল এই স্বাধীন ভারত উপমহদেশ, যাঁদের নাম বর্ণমালার পোষাকে নযরে পড়লেও আতঁকে ওঠে আজ অবধি বৃটিশ শ্বেত ভল্লুকেরা, মাল্টার নির্জন দ্বীপ আবাদ হয়েছিল যাঁদের সাধনার বদৌলতে-- তাঁদেরই অন্যতম বীর সেনানী, আপোষহীন বিপ্লবী নেতা, নবী বংশের দীপ্ত প্রদীপ সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.। এই মহামনীষীর ইখলাস, তাওয়াক্কুল, তিলাওয়াত ও রাতভর তাহাজ্জুদের কান্নাপ্লাবিত সাধনা ছিল উপমাময়। পবিত্র কুরআনের প্রতি তাঁর ভালবাসা ছিল অমলিন ইর্ষণীয় ও সীমাহীন। নিম্নে তাঁরই একটি ঘটনা বর্ণিত হচ্ছে।

ইংরেজদের বিরুদ্ধে তখন কঠোর আন্দোলন চলছিল। এক পর্যায়ে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী করে বন্দী করা হলো শাইখুল হিন্দ হযরত মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রাহ.কে। তারপর তাকে নির্বাসন দেওয়া হলো আন্দামান দীপপুঞ্জে। স্বীয় উস্তাদ ও শাইখের কষ্টের কথা চিন্তা করে তাঁর একাকী নির্বাসনকে মেনে নিতে পারলেন না প্রিয় শাগরেদ হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রাহ.। তিনি বললেন, আমার উস্তাদের সাথে আমাকেও তোমরা নির্বাসনে পাঠাও। আমি তাঁর সাথে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইংরেজরা শেষ পর্যন্ত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করল। তাকেও পাঠিয়ে দিল আন্দামান নির্বাসনে।

কিছুদিন পর তাঁদের বন্দী জীবনে এলো রহমত ও বরকতের মাস রমজান। হযরত শাইখুল হিন্দ রাহ. প্রিয় শাগরেদ হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.কে ল্য করে গভীর আক্ষেেপর সুরে বললেন, এ রমজানে আমরা হয়তো কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত শুনতে পারব না!

এ কথাটি হযরত শাইখুল হিন্দ রাহ. এজন্য বলেছিলেন যে, তিনি এবং হযরত মাদানী রাহ. কেউ-ই কুরআনে কারীমের হাফেজ ছিলেন না। তাছাড়া এখানো অন্য কোনো হাফেজও ছিলনা; যাকে ইমাম বানিয়ে তাঁরা খতমে তারাবীহ পড়তে পারেন।

উস্তাদের কথা শুনে প্রিয় নবীজীর সুন্নতের প্রেম আর আল্লাহর কিতাবের প্রতি অমলিন ভালবাসা উথলে উঠলো হযরত মাদানীর হৃদয়েও। তিনি মুহূর্তকাল মাথা নিচু করে কী যেন ভাবলেন। তারপর আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস ও তাঁর অসীম রহমতের প্রতি ভরসা রেখে বলেই ফেললেন, হযরত! আপনি দোয়া করুন। ইনশাআল্লাহ আমিই খতমে তারাবীহ পড়াব।
হযরত আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে পড়াবে? তুমি তো হাফেজ নও। জবাবে মাদানী রহ. বললেন, দিনে মুখস্থ করে রাতে পড়াব।

হযরত বললেন, ঠিক আছে তাই হবে।
রমজানের আগের দিন। হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. কুরআন শরীফ নিয়ে বসলেন। আরশে আযীম থেকে তাঁর উপর বর্ষিত হলো করুণার ধারা। অলৌকিক মুজিযাগ্রন্থ আল কুরআনের এক আশেকের কাছে পরাস্ত হলো মানুষের স্বাভাবিক মাপ-ঝোপের অভিজ্ঞতা। দেখা গেল, সেদিন থেকে হযরত মাদানী রহ. দিনে এক পারা করে মুখস্থ করে ফেলতেন আর রাতে তা তারাবীহের নামাজে স্বীয় শায়েখকে শোনাতেন। এভাবে তিনি ত্রিশ দিনে পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করে হাফেজ হলেন আর আপন উস্তাদের মনের আশাও পুরা করলেন।
প্রিয় পাঠক! এই তো হলো কারামত। এই তো হলো উস্তাদ ভক্তির অনন্য নযীর। (সূত্র : বীস বড়ে মুসলমান, মালফুযাতে হাকীমুল উম্মত, আনওয়ারুল আউলিয়া, পৃষ্ঠা-১৪৫)