Sunday, 17 March 2013

নোকিয়া মোবাইল সেটের কিছু সমস্যা ও করণীয়

মোবাইল ফোন আমাদের নিত্য
দরকারি একটি জিনিস তাই এর
নিয়মিত রক্ষণা-বেক্ষন
করা দরকার। মোবাইল ফোন
বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদরে পরিবার
আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সংযুক্ত
করে রেখেছে। আর তাই হঠাৎ
করে যদি বিকল হয়ে যায় আপনার
সামান্য অবহেলায় আপনারই অতি আপন প্রিয় মোবাইল
ফোনটি তাহলে শিকার হতে হয়
নানা সমস্যার। আপনি এই
ভাবে যদি কাজ করতে পারেন
তবে ১০০% আপনার মোবাইল
অনেকদিন টিকবে একথা নিশ্চিত। তাই মোবাইল ফোন
সেটটি কিভাবে যত্ন নেয়া যায়
তার কিছু টিপস দেয়া হলো। * মোবাইল ফোন এবং এর
চার্জারটি একই ব্র্যান্ডের
ব্যবহার করা উচিত।
কেননা প্রত্যেক ফোনের জন্য
আলাদা আলাদা চার্জার
তৈরি করা হয় ফোনের চার্জ গ্রহণের ওপর ভিত্তি করে। * দিনে একটি নির্দিষ্ট
সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটির
চার্জিং সময় নিরর্ধারণ
করা প্রয়োজন। কেননা অল্প অল্প
করে বারবার চার্জ দেয়া ঠিক নয়।
এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে।
* মোবাইল ফোনের ডিসপেস্ন
স্ক্রিনে আপনার ফোনটি চার্জ
নিচ্ছে কিনা তা প্রদর্শন
করছে কিনা ভালভাবে লৰ্য করুন।
* মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে গিয়ে যদি আপনার হাত
থেকে পড়ে যায়
তাহলে সাথে সাথে মোবাইল
ফোনটি বন্ধ করম্নন এবং আবার
তা সচল করুন।
* কোন কারণে যদি আপনার মোবাইল ফোন পানিতে ভিজে যায়
তাহলে বুঝা মাত্রই মোবাইল ফোন
সেট
থেকে ব্যাটারি আলাদা করে নিন
এবং সূর্যের তাপে শুকিয়ে নিন। যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব মোবাইল সার্ভিসিং কেন্দ্রে যাওয়া উচিত। করব। ================================================================ *মোবাইল সেটে ২ ধরনের
সমস্যা হয় । সমস্যা ১ : সফটওয়্যার জনিত সমস্যা : ২ হার্ডওয়্যার জনিত।
বিশ্বখ্যাত ব্রান্ড নকিয়ার
স্যাম্বিয়ান সেট গুলোর ৯০%
সমস্যা হয় সফটওয়্যার জনিত,
সফটওয়্যার জনিত সমস্যা যেমন
আপনার সেটটি দিন দিন স্লো হয়ে যাচ্ছে ।
সেটটিতে ঠিকমত মিউজিক
বা ভিডিও প্লে হচ্ছে না।
সেটটি প্রায় হ্যাং হয়ে যায় ।
সেটটি ষ্টার্টআপ এ এসে বন্ধ
হয়ে যায় ইত্যাদি । এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে সেটের
মেমোরী খুলে ফরম্যাট করে ফেলুন ।
তারপরে সেটটি রি-ষ্টোর করুন
(ম্যানুয়ালী) এতে যদি কাজ না হয়।
*#7780# চাপুন এতে যদি কাজ
না হয় সবশেষে সেটটি বন্ধ করে *৩এবং সেন্ট বাটন এক
সাথে চেপে ধরে পাওয়ার চাপুন ।
পাওয়ার আসার পরেও *৩এবং সেন্ট
এই ৩টি বাটন ধরে রাখবেন যতক্ষন
না আপনার সেটটি পরিপুর্ণ
ভাবে চালু না হয় ।

Wednesday, 9 May 2012

উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট



সম্প্রতি মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো তাদের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্করণকে ‘উইন্ডোজ ৮’ বলেই ডাকা হবে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ম্যাশএবল-এর।
সূত্রমতে, উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমটি ৩২ ও ৬৪ বিট দু’ধরনের হার্ডওয়ারেই চলবে। তবে প্রধানত চার ধরনের উইন্ডোজ ৮ বাজারজাত করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
‘রেগুলার উইন্ডোজ ৮’ থাকছে একেবারেই সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য। এতে কম্পিউটিংয়ের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ করা যাবে।
‘উইন্ডোজ ৮ প্রো’ থাকছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার এবং প্রযুক্তিমনস্ক মানুষের জন্য। এতে অ্যাডভান্সড কিছু সুবিধা যেমন ফাইল এনক্রিপ্ট করা, ভার্চুয়াল হার্ড ড্রাইভ থেকে বুট করা ইত্যাদি থাকছে। এছাড়াও মিডিয়া সেন্টার পিসিতে ব্যবহারের জন্য উইন্ডোজ ৮ প্রো এবং মিডিয়া প্যাক অ্যাড-অনের প্রয়োজন পড়বে যা সাধারণ উইন্ডোজ ৮-এ দেয়া থাকবে না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
‘উইন্ডোজ ৮ আরটি’ ট্যাবলেট ডিভাইসে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। আরটি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সে ব্যাপারে মাইক্রোসফট পরিষ্কার কিছু না জানালেও ম্যাশএবল ধারণা করছে ‘রান-টাইম’ বোঝাতেই আরটি যোগ করা হয়েছে। তবে এআরএম চিপের জন্য তৈরি এই উইন্ডোজের সংস্করণ আলাদা কিনতে পাওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেট ডিভাইসেই জুড়ে দেয়া থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি। সেই সঙ্গে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এবং ওয়াননোটের বিনামূল্যের একটি সংস্করণও প্রি-ইনস্টলড থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি-চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসে।
এই তিনটি ছাড়াও আরও বড় কাজের জন্য ‘উইন্ডোজ ৮ এন্টারপ্রাইজ’ সংস্করণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে উইন্ডোজ ৮ প্রো-এর সব সুবিধার পাশাপাশি আইটি প্রফেশনালদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধাও যোগ করা থাকবে; যেন একাধিক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কিং আরও সহজে করা যায়। এছাড়াও চীনসহ বেশ কিছু দেশের জন্য স্থানীয় ভাষাতেও একটি লোকাল-ল্যাঙ্গুয়েজ সমৃদ্ধ উইন্ডোজ ৮ বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইন্ডোজ ৮-এর নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজারকে আরও বড় করে তুলছে মাইক্রোসফট। একইসঙ্গে যার যে কাজে কম্পিউটার প্রয়োজন, তাকে অপারেটিং সিস্টেমের ঠিক সেই সংস্করণ (রেগুলার, প্রো, আরটি অথবা এন্টারপ্রাইজ) ব্যবহার করতে বাধ্য করাও মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার অংশবিশেষ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

তবে কবে নাগাদ সার্বিকভাবে প্রস্তুত উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি মাইক্রোসফট।

Tuesday, 8 May 2012

অপারেটিং সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে না?

অনেক সময় Control panel-এর Add or Remove Programs থেকে কোনো সফটওয়্যার Uninstall করার সময় বা ভুলবশত সি ড্রাইভ থেকে যদি অপারেটিং সিস্টেমের দরকারি কোনো ফাইল ডিলিট হয়ে যায়, তাহলে কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করে না বা অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল মিসিং দেখায় এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কম্পিউটারকে কিছুদিন আগের অবস্থায় নিয়ে যান। অর্থাৎ আনুমানিক যে তারিখ আপনার কম্পিউটার ভালো ছিল, সেই তারিখে নিয়ে যান। 
আর এটি করতে হলে প্রথমে C:\WINDOWS\ System32\Restore-এ গিয়ে rstrui.exe-তে ডাবল ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটাতে Restore my computer to an earlier time নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন একটি ক্যালেন্ডার এসেছে। এখন যে তারিখে আপনার কম্পিউটার ভালো ছিল, সেই তারিখ নির্বাচন করে (শুধু বোল্ড তারিখগুলো নির্বাচন করতে পারবেন) Next-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে আবার Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন কম্পিউটার অটো রিস্টার্ট নিয়ে কাজ শেষ করার পর সফলতার বার্তা এসেছে। এখন দেখবেন আপনার কম্পিউটারের সমস্যা ঠিক হয়ে গেছে। আর যদি তাতে ঠিক না হয় তাহলে আবার পুনরায় অন্য কোনো তারিখ নির্বাচন করেও Restore করতে পারেন। এখন করা Restore-টি আবার আপনি Undo-ও করতে পারবেন।  

শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম




ইন্টারনেটে চালু হয়েছে শিক্ষাবিষয়ক স্টুডেন্ট রিলেশন (www.studentrelation.com) নামের ওয়েবসাইট। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও বৃত্তির তথ্য পাওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৮ মাত্রার কৃত্রিম ভূমিকম্প!

ভূমিকম্পের সময় রাবার-বিয়ারিং প্রযুক্তিতে তৈরি কম্পিউটার ডেটা সেন্টার, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো টিকে থাকতে সক্ষম হবে কি না—তা নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকেরা। এক খবরে বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় চিকিত্সা সরঞ্জামসহ একটি হাসপাতাল সদৃশ ভবন তৈরি করে ৮.৮ মাত্রার কৃত্রিম ভূমিকম্প ঘটিয়ে ভবনটির স্থায়িত্ব পরীক্ষা করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ধকল সামলেও দিব্যি টিকে গেছে ভবনটি। 
রাবার-বিয়ারিং পদ্ধতিতে ভবন তৈরির বিষয়টি জাপানে প্রচলিত। ভবনের ভারসাম্য রক্ষায় বা ভূমিকম্পের ঝুঁকি থেকে ভবন রক্ষায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। রাবার বিয়ারিং ব্যবহার করে ভবন তৈরি করলে তা ভূমিকম্পের ঝুঁকি এড়াতে সক্ষম হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই ৫০ লাখ ডলার খরচ করে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকেরা। 
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক তারা হাচিংসন রাবার বিয়ারিং পরীক্ষা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় রাবার বিয়ারিং ভবনকে ভূকম্পন টের পেতে দেয় না। বিষয়টা অনেকটা একটি ভবনকে রোলার কোস্টারে চড়ানোর মতো।
হাচিংসন আরও জানিয়েছেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধে ভবনের কাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সবচেয়ে বেশি। কাঠামোর পাশাপাশি ভবনের সিঁড়ি, লিফট ও অন্য অংশগুলোর দিকে নজর দেওয়াটাও জরুরি। 
গবেষকেরা তাঁদের পরীক্ষার জন্য ২৪ মিটার উচ্চতার ভবন তৈরি করে তা হাসপাতালের আদলে সাজিয়েছিলেন। পরীক্ষায় প্রথমে ৬.৭ মাত্রার কৃত্রিম ভূমিকম্প ঘটিয়ে ভবনটিকে পরীক্ষা করা হয়। এরপর রিখটার স্কেলের ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটিয়ে গবেষকেরা দেখেছেন, রাবার বিয়ারিং ভূমিকম্পে সুরক্ষিত রেখেছে তাদের ভবনটিকে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের রাবার-বিয়ারিংযুক্ত ভবনের ক্ষেত্রে এটাই প্রথম পরীক্ষা।
জানা গেছে, গবেষকেরা চলতি মাসে রাবার বিয়ারিং ব্যবহার ছাড়া ওই ভবনে আবারও ভূমিকম্প ঘটিয়ে পরীক্ষা করবেন। এরপর দুই ধরনের পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করে এ বিষয়ে তথ্য জানাবেন তাঁরা।

Wednesday, 2 May 2012

ব্ল্যাকবেরি ১০ আলফা উন্মুক্ত









ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা রিসার্চ ইন মোশন (রিম) নতুন অপারেটিং সিস্টেম ‘ব্ল্যাকবেরি ১০’-এর আলফা সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে। ১ মে ফ্লোরিডায় শুরু হওয়া বার্ষিক ব্ল্যাকবেরি ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সে নতুন অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করেছেন রিমের প্রধান নির্বাহী থ্রস্টেন হেইন্স। এক খবরে হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, রিমের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করার পর প্রথমবারের মতো এর নতুন কিছু ফিচার মুগ্ধ করেছে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের।
নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের সাহায্যে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে একসময়ের জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা রিম স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের বাজারে নিজেদের অবস্থান খুইয়েছে। তাই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রতিষ্ঠানটির ওপরে শেয়ারহোল্ডারদের চাপ ছিল।
নতুন অপারেটিং সিস্টেমটির ফিচার হিসেবে কী কী থাকছে, তা বর্ণনা করতে গিয়ে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও দেখিয়েছেন রিমের প্রধান নির্বাহী থ্রস্টেন হেইন্স। ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, নতুন ফিচার হিসেবে ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে টাচ কি-বোর্ড, যা টাইপ করা শুরু করলে শব্দটি আগে থেকেই ধারণা করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর জন্য এতে রয়েছে নিজস্ব টাইপিং ডিকশনারি তৈরির সুযোগ, নতুন ইন্টারফেস ও ক্যামেরার জন্য নতুন ফিচার।
চলতি বছরেই ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর একাধিক পণ্য তৈরি করতে পারে রিম। ব্ল্যাকবেরি নতুন সংস্করণের স্মার্টফোন, প্লেবুকের নতুন সংস্করণ ছাড়াও রিম নতুন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরি করতে পারে বলে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন

জিমেইলে এল ভাষান্তরের সুবিধা


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম



গুগল তাদের জিমেইল সেবায় ‘অটোমেটিক মেসেজ ট্রান্সলেশন’ নামে একটি ফিচার উন্মুক্ত করেছে। স্বয়ংক্রিয় অনুবাদের এই ফিচারটির সাহায্যে জিমেইলের ইনবক্সের মেইল অনুবাদ করে পড়া যাবে। এক খবরে হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ১ মে মঙ্গলবার জিমেইলে ভাষান্তর করার এই ফিচারটি উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে গুগল।
গুগল কর্মকর্তা জেফ চিন জিমেইল ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, মেইল অনুবাদ করার এই ফিচারটি গুগল ল্যাবে এত দিন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ছিল। পরীক্ষামূলক পর্যায় পার করে এখন এটিকে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের মে মাসে অটোমেটিক মেসেজ ট্রান্সলেশন নামের এই ফিচারটির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। এরপর ফিচারটি গুগল ল্যাবে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে চালু করেছিল। গুগল ল্যাব হচ্ছে, কোনো নতুন টুল বা ফিচার পরীক্ষা করার জন্য গুগলের কর্মকর্তা ও গুগল সার্ভিস ব্যবহারকারীদের একটি স্থান।
এ প্রসঙ্গে গুগল জানিয়েছে, নতুন ফিচারটির সাহায্যে জিমেইল ভাষান্তরের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। মেইলের ওপর ‘ট্রান্সলেট মেসেজ’ নামে একটি বাটন দেখাবে। এই বাটনটিতে ক্লিক করে নিজের সুবিধা অনুসারে মেইল অনুবাদ করে নেওয়া যাবে। মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও সুবিধা আনতেই এই ফিচারটি উন্মুক্ত করছে গুগল।


২০১১ সালে ৪০ কোটিরও বেশি ভাইরাস কম্পিউটারে আঘাত করেছিল। কম্পিউটার নিরাপত্তা পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমানটেক জানিয়েছে, ৪০ কোটি ৩০ লাখ ভাইরাসের আক্রমণের কারণেই ২০১১ সালকে ইয়ার অব দ্য হ্যাক বা হ্যাকের বছর বলা হয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ২০১২ সাল হবে মোবাইল হ্যাকের বছর।
২০১১ সালে শতকরা ৮১ ভাগ ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সিমানটেকের প্রকল্প পরিচালক জন হ্যারিসনের বরাতে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভেঞ্চারবিট এক খবরে জানিয়েছে, কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিমানটেক একাই ২০১১ সালে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ম্যালওয়্যারের আক্রমণ প্রতিরোধ করেছে। 
ভাইরাস প্রসঙ্গে হ্যারিসন জানিয়েছেন, অনেক হ্যাকার কেবল আর্থিক কারণেই ভাইরাস ছড়িয়েছেন। আর্থিক লাভের কারণেই হ্যাকারের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। অটোমেটেড টুল ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকেই ভাইরাস ছড়ানোর কাজ করছে হ্যাকাররা। ২০১১ সালে হ্যাকাররা ৪০ কোটিরও বেশি ভাইরাস ছড়িয়েছে, যা ২০১১ সালের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
হ্যারিসন আরও জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ভাইরাসগুলোর বেশির ভাগই ছিল পুববর্তী ভাইরাসের অনুকরণে তৈরি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরোনো ভাইরাস কোডের সঙ্গে নতুন টুলকিট ব্যবহার করে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হ্যাকাররা। এ ক্ষেত্রে ম্যাক বিপর্যয়ের কারণ ফ্ল্যাশব্যাক ভাইরাসটির কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যায়।

Tuesday, 1 May 2012

কেয়ামত ও হাশর


                             بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

কোরআন উঠে না যাওয়া পর্যন্ত কেয়ামত হবে নাঃ
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কুরআন যেখান থেকেএসেছে সেখানে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না। তারপর আকাশের চর্তুদিকে মৌমাছির গুণ গুণ শব্দের মত কুরআনের গুণ গুণ শব্দ হতে থাকবে। তখন মহান ও প্রতাপশালী রব বলবেন, “তোমার কি হয়েছে?” কুরআন বলবে, “আমি তোমার কাছ থেকেবেরিয়েছিলাম এবং তোমার কাছে ফিরে আসব। আমাকে পাঠ করা হয়, কিন্তু আমার কথামতআমল করা হয় না।” তখন কুরআনকে উঠিয়ে নেয়া হবে।” দায়লামী এ হাদীসটি হযরত ইবনে আমর (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহর মুঠোর মধ্যে আকাশ ও পৃথিবী
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় কেয়ামতের দিন মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ সাতটি আকাশ এবং পৃথিবী নিজের মুঠের মধ্যেধারণ করে বলবেন, “আমি আল্লাহ্‌, আমি অশীম দয়ালু,আমি রাজাধিরাজ, আমি পরম পবিত্র, আমি শান্তি, আমি রক, আমি শক্তিশালী ও মতাবান, আমি গর্বের অধিকারী। আমিই পৃথিবী সৃষ্টি করেছি যখন তা কিছুই ছিল না, আমি পুনরায় তা ফিরিয়ে আনব। শাসকগণ কোথায়? জুলুমকারীগণ কোথায়?” এ হাদীসটি আবুশ শায়খ সংগ্রহ করেছেন।
উলঙ্গ ও খাৎনাবিহীন অবস্থায় সমবেত হওয়া
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন তোমাদেরকে খালি পায়ে, উলঙ্গ ও খাৎনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে। আর সর্বপ্রথম যাকে পোশাক পরান হবে, তিনি হচ্ছেন ইবরাহীম খলীল (আ) মহান আল্লাহ্‌ বলবেন, “আমার বন্ধু ইবরাহীমকে পোশাক পরাও, লোকজন যেন তার মর্যাদা বুঝতে পারে।” তারপর অপরাপর লোককে তাদেরআমলের মান অনুযায়ী পোশাক পরান হবে।” আবূ নুয়াঈ’ম এ হাদীসটিতলাক ইবনে হাবীব থেকে তিনি তার দাদা থেকে সংগ্রহ করেছেন।
অংগ প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- তোমরা আমাকে এটা জিজ্ঞেস কর না, কি জন্য আমি হেসেছি। কেয়ামতের দিনবান্দা ও তার রবের মধ্যে যে তর্ক- বিতর্ক হবে তাতে আমি আশ্চর্যম্বিত হয়েছি। বান্দা বলবে, “হে আমার রব!তুমি কি আমাকে প্রতিশ্রতিদাওনি য, আমার প্রতি তুমি জুলুম করবে না।?” আল্লাহ বলবেন, “হ্যাঁ”। বান্দা বলবে, “তবে আমি আমার নিজেরসাক্ষ্য ছাড়া অপর কারো সাক্ষ্য মানব না।” তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, “আমি নিজেও কি যথেষ্ট সাক্ষী নই? অথবা মর্যাদাশীল লেখকফেরেশতারাও কি সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট নয়?” বান্দা বহুবার তা নাকচ করে দেবে। তখন তার মুখে মোহর লাগান হবে এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বলতে থাকবে, পৃথিবীতে সে কি করেছিল। তখন বান্দা (মনে মনে) বলবে, “তোরা দূর হয়ে যা, তোরা ধ্বংস হ, তোদের জন্যই আমি সংগ্রাম করেছিলাম।” এ হাদীসটি হাকেম সংগ্রহ করেছেন।
পাপ পূণ্য বিনিময়
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত প্রতিপালক বলেছেন, “বান্দার পূণ্য ও পাপসমূহ উপস্থিত করা হবে।অতঃপর তার কতগুলো পরসপরেরসাথে বিনিময় করা হবে। অতপর যদি একটি পূণ্যও অবশিষ্ট থাকে তবে তা দিয়ে আল্লাহ তার জন্য বেহেশতে যাওয়ার পথ সুগম করে দেবেন।” হাকেম এ হাদীসটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকেসংগ্রহ করেছেন।
আমল অনুযায়ী মর্যাদাঃ
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- এক লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে, অতঃপর তার গোলামকে তার চেয়েও বেশি মর্যাদায় অধিষ্ঠিত দেখতে পাবে। সে তখন আরয করবে, “হে আমার রব! গোলাম আমার চেয়েও উচ্চতর মর্যাদায় আসীন আছে।” আল্লাহ বলবেন, “তাকে আমি তার আমলের প্রতিদান দিয়েছি। আর তোমাকে তোমার আমলের প্রতিদান দিয়েছি।” দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা)থেকে সংগ্রহ করেছেন।
জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে
*. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বেহেশত ও দোযখ কলহ করল। বেহেশত বলল, আমারভেতরে দূর্বল ও দারিদ্রগণপ্রবেশ করবে এবং দোযখ বলল,জালিম ও অহংকারীগণ আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। অনন্তর আল্লাহ্‌ জাহান্নামকে বললেন, “তুমিআমার আযাব। তোমাকে দিয়ে যাকে ইচ্ছে আমি শাস্তি দেই।” আর বেহেশতকে বললেন, “তুমি আমার রহমত। তোমাকে দিয়ে যাকে ইচ্ছে আমি অনুগ্রহ করি। আর তোমাদের প্রত্যেকের জন্য নিজ নিজ স্থান নির্ধারিত রয়েছে।” তিরমিযী ও মুসলিম এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন। তারা একে হাসান ছহীহ বলেছেন।
* . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্‌ বলেছেন, “এ আমার করুনা, এর দ্বারা আমি যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করি, অর্থাৎ তা হচ্ছে জান্নাত।” শায়খাইন এ হাদীসটি সংগ্রহ করেছেন।
জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ প্রার্থী
* . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- (কেয়ামতের দিন) নিশ্চয়ই এক লোককে জাহান্নামের দিকে টেনে নেয়া হবে। তাকে দেখে জাহান্নাম সংকুচিত হতে থাকবে এবং তার একাংশ অন্য অংশকে ধরে রাখবে। তখন দয়াময় আল্লাহ্‌ তাকে বলবেন, “তোমার কি হয়েছে?” জাহান্নাম বলবে, “পৃথিবীতে সে সর্বদা আমারআযাব থেকে পরিত্রাণ প্রার্থনা করত। মোবারক ও মহান আল্লাহ্‌ তখন বলবেন, “আমার বান্দাকে ছেড়ে দাও।” দায়লামী এ হাদীসটি ইবনে আব্বাস (সাঃ) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
* . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- (কেয়ামতের দিন) সুমহান আল্লাহ্‌ (ফেরেশতাদেরকে) বলেবেন, “আমার বান্দার আমলনামার প্রতি দৃষ্টি ফেল। অতঃপর যাকে তোমারা দেখ যে, সে আমার কাছে বেহেশত চেয়েছিলতাকে আমি বেহেশত দেব, আর যে আমার কাছে জাহান্নাম থেকে পরিত্রান চেয়েছিল, আমি তাকে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি দেব।” আবূ নুয়াঈ’ম এ হাদীসটিহযরত আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
জান্নাতীর চাষাবাদঃ
* . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বেহেশতীদের মধ্যেএক লোক তার প্রতিপালকের কাছে চাষাবাদ করার অনুমতিচাইবে। আল্লাহ্‌ তাকে বলবেন, “তুমি যা কিছু চেয়েছিলে তা কি এখানে নেই,” সে বলবে, হ্যাঁ সব কিছু আছে, কিন্তু আমি চাষাবাদ করতে ভালবাসি।” তারপর সে বীজ রোপন করবে, অনন্তর চোখের পলকে বিজ অঙ্কুরিত হবে, চারা বড় হবে, ছড়া বের হবে এবং ফলস কাটার উপযোগী হয়ে যাবে। তারপর তা পাহাড়ের ন্যায় স্তুপীকৃত হবে। তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, “হে আদম সন্তান! লক্ষ্য কর। কোন কিছুই তোমাকে পরিতৃপ্ত করতে পারবে না।” আহমদ ও বুখারী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

হাশরের ময়দানের অবস্থা


                                    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


হাশরের ময়দান অত্যন্ত ভয়ভীতির ময়দান। এ ময়দানে হিসাব নিকাশের জন্য আল্লাহর আদালতে দণ্ডায়মান হতে হবে। নিষ্পাপ নবী রাসূলগণ সুনিশ্চিতভাবে জান্নাতী হওয়া সত্ত্বেও ভয়ে প্রকম্পিত থাকবে। ভয়ভীতির এ মুহূর্তেও এক শ্রেণীর লোকের চেহারা হবেপ্রফুল্ল, পুর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, তারা আরশের নীচে রহমতের শীতল ছায়ায় সম্মানিত আসনে সমাসীন হবে। তারা কারা? তারা ঐ সব লোক যারা লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, উপহাস সহ্য করে বস্তু জগতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেছে। পবিত্র কুরআনকে বুকে ধারন করেছে। হাশরের ময়দানে পবিত্র কুরআন তাদের জন্য সুপারিশ করবে, পুলসিরাতে তাদের জন্য সহায়ক হবে। যাদের এ বিশ্বাস আছে, তারা যেমন বস্তু জগতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের স্বাদ লাভ করেছে তেমন আখেরাতেও লাভ করবে এবং তাদের সম্মানার্থে স্বয়ং আল্লাহপাক পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে শুনাবেন। তখন তারা সেখানে অপূর্ব স্বাদ উপভোগ করবে। এ বিশ্বাসে যে দৃঢ় ও অটল তারজন্য বস্তু জগতে তেলাওয়াতকরা এবং কুরআনকে বুকে ধারণ করা মোটেই কঠিন ব্যাপার নয়, বরং অতি সহজসাধ্য ব্যাপার।
প্রশ্ন জাগে যে, আমলের আগ্রহের জন্য যে ভয়ভীতি, আশা-ভরসা এবং স্বাদ পাওয়ার প্রয়োজন তা লাভের উপায় কী? বুখারী শরীফে এ সম্পর্কে একটি হাদীস রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে-
“তোমরা মুমিন হতে পারবে না, যদি আমি তোমাদের নিকট তোমাদের সন্তান-সন্তুতি, মাতা-পিতা এবং সকল মানুষের তুলনায় অধিক প্রিয় না হই।”

কেয়ামত কবে হবে?

                             بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم      




কেয়ামত কবে হবে , সর্বকালের মুসলমানদের তাজানার আগ্রহ অপরিসীম। কোরানিক সত্য হলো , আমাদের নবীর ভবিষ্যতের কোন জ্ঞান ছিলনা বা কেয়ামতের দিনক্ষন ও জানা ছিলনা। এমনকি তিনি জানতেন ও না , তার বা তার উম্মতের ভবিষ্যত কি? এ ব্যাপারে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন : "আপনি বলুনঃ আমিতোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।৬:৫০" এবং "বলুনঃ আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রুত বিষয় আসন্ন না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন। ৭২:২৫" এবং"অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দিনঃআমি তোমাদেরকে পরিস্কারভাবে সতর্ক করেছি এবং আমিজানি না, তোমাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা নিকটবর্তী না দূরবর্তী। ২১:১০৯" এবং এর থেকেও আর কত পরিস্কার ভাবে আল্লাহ বলবেন : " বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদেরসাথে কি ব্যবহার করা হবে।আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ককারী বৈ নই। ৪৬:৯"
এত কিছুর পরেও আরো অনেক আয়াত আছে , যেখানে দৃঢ় ভাবে বলা হয়েছে যে কবে কেয়ামত হবে তা শুধু আল্লাহই জানেন। "নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। ৩১:৩৪" এবং"কেয়ামতের জ্ঞান একমাত্রতাঁরই জানা। ৪১:৪৭" এবং"বরকতময় তিনিই, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। ৪৩:৮৫"উপরের আয়াতগুলো থেকে আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে , আমাদের নবী ভবিষ্যত জানতেন না এবং কেয়ামত কবে হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। যদিও একটি আয়াতই যথেষ্ট ছিল , তবুও মানুষ তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে নবীকে বারে বারে একি প্রশ্ন করতে থাকে। নবী ও যথারীতিউত্তর না দিয়ে ওহীর অপেক্ষা করেন । ফলে প্রতিবারেই ওহীর মাধ্যমেএকি উত্তর আসে এই বলে যে ,রসূল ভবিষ্যত জানেন না এবং কেয়ামতের দিনক্ষন শুধু আল্লাহই জানেন।
প্রতিবারি যখনি নবীকে কেয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতো , তিনি পূর্বে নাযিল হওয়া আয়াতের উপর নির্ভর করে নিজের থেকে কোন উত্তর দিতেন না এবং যদিও তিনি জানতেন যে পূর্বে নাযিল হওয়া আয়াতের পরিপন্থি কোন উত্তর আসা সম্ভব না , তবুও তিনি ধৈর্য্যের সাথে ওহীর অপেক্ষা করতেন। "আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিতহবে? বলে দিন এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়।যখন তা তোমাদের উপর আসবেঅজান্তেই এসে যাবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ বিশেষ করে আল্লাহর নিকটই রয়েছে। কিন্তু তা অধিকাংশ লোকই উপলব্ধি করে না। আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতেপারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। ৭:১৮৭-১৮৮"
মানুষ এই উত্তরে সন্তুষ্ট না। তারা সঠিক দিনক্ষন জানতে চায়। আবারো প্রশ্ন। আবারো অপেক্ষা। উত্তর আসে - "তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামতকখন হবে? এর বর্ণনার সাথে আপনার (মুহম্মদের ) কি সম্পর্ক? এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে। যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন। ৭৯:৪২-৪৫"
এতক্ষন যে ঘটনাগুলো বর্ননা করলাম , তা সকলি মক্কার ঘটনা , হিজরতের আগে। নবী মদিনায় আসার পরে, মদিনা বাসীর ও একি প্রশ্ন , কেয়ামত কবে হবে?নবী আগের আয়াতগুলোর উপরে ভিত্তি করে উত্তর দিতে পারতেন , কিন্তু তিনি তা না করে আবারো আল্লাহ্‌র নির্দেশের অপেক্ষায় থাকেন। ওহী আসে -"লোকেরা আপনাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহর কাছেই। আপনি কি করে জানবেন যে সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটেই।33:63"এভাবেই নবীর জীবদ্দশায় বারে বারেই বিভিন্ন মানুষ একি প্রশ্ন করেছে কিন্তু নবী আগে নাযিল হওয়া আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট না করতে পেরে আল্লাহ্‌র ওহীর অপেক্ষা করেছেন এবং বারে বারে একি উত্তর পেয়েছেন। আল্লাহ্‌র বানীতো আর পরিবর্তন হয় না বা পরস্পর বিরোধী আয়াত আসা ওসম্ভব না। তাহলে মানুষকে কিভাবে সন্তুষ্ট করা সম্ভব? কোরানের তো পরিবর্তন সম্ভব না , কারনআল্লাহ নিজেই এর হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। যদিও কোরান থেকে আমরা নিশ্চিতভাবেই জানতে পারি , রসূল ভবিষ্যত জানতেন না এবং কেয়ামতের কোন জ্ঞান তার ছিল না , তারপরেও আমরা রসূলের মৃত্যুর পরে হাদীসের নামে বিভিন্ন বর্ননা পাই - কেয়ামতের লক্ষন কি কি , জান্নাত ও জাহান্নাম বাসীদের হাল হকিকতের বর্ননা , তার উম্মতের ভবিষ্যত নিয়ে বিভিন্ন ভবিষ্যদবানী , যেমন কয় দল হবে , কারা সঠিক পথে থাকবে , কারা শাফায়াত পাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সহীহ হাদিসগ্রন্থগুলো এইধরনের সহীহ হাদীস দিয়ে পূর্ন , যা মানুষকে সন্তুষ্ট করে চলেছে কিন্তু এগুলো পরিস্কার কোরানিক শিক্ষার পরিপন্থি।
এই সকল হাদীস কোরানের মহিমাকে বুঝতে সাহায্য করে , কারন এখন আমরা জানি কেন বারে বারে কেয়ামতের দিনক্ষন ও রসূলের ভবিষ্যত জ্ঞান নিয়ে এতগুলো আয়াত একি উত্তর নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এসেছিল।
একটি বা দুটি নয় , এমন শত শত হাদীস আছে যা কেয়ামত ওভবিষ্যদবানী নিয়ে , যা পরিস্কার কোরানিক শিক্ষার পরিপন্থি। হয় কোরান সঠিক নয়তো হাদীস।

Wednesday, 25 April 2012

চমৎকার কিছু মোবাইল গেমস না দেখলে পরে খুব মিস করবেন |

আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন গেম পাগলেরা সবাইকে tipsour24 এ স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া- প্রতিবেশি ও আশেপাশের সবাইকে নিয়ে খুবই ভাল আছেন। ভাল থাকুন ও ভাল রাখুন আপনার পাশের মানুষটিকে। প্রতিটি দিনই আপনাদের সবার ভাল ভাবে কাটুক এটাই কামনা করি।। |আমি কিন্তু ভালো আছি। tipsour24 এ প্রতিদিন এত সুন্দর সুন্দর পোষ্ট হচ্ছে এতে কী ভালো না থেকে পারা যায়?এখন থেকে আমি মোবাইল ডাউনলোড নিয়ে বলব|হাতে সময় থাকার কারণে আজ গেমস জোনের নতুন পর্ব দিতে পারেছি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ভিন্নধরমি গেম।এবার কয়েকটি screenshot দেখুনঃফ্রীতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন|

LOTR_Paths_Of_The
Click here download LOTR_Paths_Of_The games
 james_bond_007
Click here download james_bond_007 games
 Major_Pain
Click here download Major_Pain
 Mission_Impossible_III
 Click here download Mission_Impossible_III games
 Russianmafia
 Click here download Russianmafia games

এই সকল গেমস ডাউনলোড করার জন্য প্রতিটি ছবির নিচে লিংক দেওয়া হল |আশা করি আপনাদের পছন্দ হবে। ভাল লাগলে comment করবেন।পরার জন্য ধন্যবাদ|

প্রাণময় হোক প্রতিটি মসজিদ |রোকন রাইয়ান

http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2011December/SM/masjid20111229155006.jpg
নিউইয়র্ক-এর একটি মসজিদে তাবলিগ জামাতের এক মুরব্বিকে বসে বসে ঘুমাতেদেখে অবাক হয়েছিলেন এক আমেরিকান। বিস্ময় চাপা দিতে না পেরে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনি বসে বসে কি করে ঘুমাচ্ছেন! আমাদের তো ঘুমের ওষুধের পেছনে কারি কারি টাকা খরচ করেও নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। মুরুব্বি সহজ সুলভতায় উত্তর দিয়েছিলেন, মসজিদ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিময় জায়গা। এখানে বসে থাকলে আপনারও এমনিতেই ঘুম চলে আসবে। ঘটনা বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত ওই বন্ধুর কাছে জানতে পারি পরে ওই আমেরিকান ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নিয়মিত মসজিদে আসতে শুরু করেন। মানতে কষ্ট হলেও আজব ব্যাপার, যে লোকটি এতদিন ঘুমের ওষুধ খেয়েও প্রতি রাতে নির্ঘুম কাটাতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই তিনিই নিয়মিত মসজিদে আসার ফলে শান্তিময় জীবন-যাপন শুরু করেন।
মসজিদ শান্তিময় স্থান। এটি তার ছোট্ট উদাহরণ। এ কথা ঐতিহাসিকভাবেই স্বীকৃত, শান্তি ও কল্যাণের আধার মসজিদ। যে কারণে রাসূল আকরাম সা. এর জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রব্যবস্থা সবকিছু পরিচালিত হত এই মসজিদ থেকেই। মসজিদই ছিল রাসূল সা. এর সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থল। মসজিদ থেকে পরিচালিত হত রাষ্ট্রসভা, দাওয়াতি কার্যক্রম, দীনি তালিম, বিয়ে পড়ানো ইত্যাদি। কারো রিজিকের অভাব থাকলে চলে আসতেন মসজিদে। কেউ বা অবসর কাটাতে চলে আসতেন মসজিদে।এভাবেই মসজিদকে প্রাণবন্ত রাখতেন সাহাবাগণ। আরব রাষ্ট্রগুলোতে এর ধারাবাহিকতা ছিন্ন হলেও এখনো এর ছিটেফোটা কিছুটা লক্ষ্য করা যায়। তবে বাংলাদেশের মসজিদগুলো এর ব্যতিক্রম। এখানে লোক সমাগম নেই বললেই চলে। ওয়াক্তিয়া নামাজে দুই কাতার ছাড়া বাকিটা গড়ের মাঠ। যারা নিয়মিত নামাজি তারাও আর বাড়তি সময় দেন নামসজিদে। মুসল্লি নেই বলে মুয়াজ্জিনও নামাজ শেষে দরজায় লাগান ইয়া বড় তালা। কেউ দেরিতে নামাজ পড়তে এলে বারান্দাই তার ভরসা।
অবশ্য মালামাল হেফাজতে এরউত্তম ব্যবহার আর নেই। আজকাল চোরের হাত সব জায়গা ঘুরে এই পবিত্র স্থানেও পড়ছে। লোভী অনেক নামাজিও দ্বিধাদ্বন্দ্বের অতলে অন্যের জুতো নিয়ে ভাগছেন।কি আশ্চর্যের কথা! নামাজটাও এখন শান্তিতে পড়া যায় না ওই জুতো ব্যাগ খোয়ানোর ভয়ে। অনেক সময় সেজদার জায়গাটা তাই চলে যায় জুতোর দখলে।
তবে তাই বলে মসজিদকে অবহেলা করা যাবে না! মসজিদ আবাদ রাখতে হবে। প্রাণবন্ত রাখতে হবে এর ভেতর-বাহির। এটা ঈমানেরই একটা দাবি। মুসলমান হিসাবে মহান কর্তব্য। কারণ মসজিদ হলো জান্নাতেরবাগিচা। এ বাগিচার হেফাজতএবং উত্তম ব্যবহার প্রতিটি মুসলিমের জন্যই সংরক্ষিত। হাদিস শরিফে মসজিদকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা এসেছে। নবি করিম সা. বলেছেন- ‘যখন তোমরা জান্নাতের বাগিচা দিয়ে অতিবাহিত হও তখন এর ফল খাও, অর্থাৎ তাতে তোমরা বিচরণ কর। জিজ্ঞেস করা হলো, হে রাসূলাল্লাহ সা.! জান্নাতের বাগিচা কি? তিনি বললেন- মসজিদসমূহ।’ (মিশকাত-৭০)
নবি করিম সা. মসজিদকে জান্নাত বলেছেন। এর কারণওসুস্পষ্ট, এতে ইবাদত করার ফলে মানুষ জান্নাত লাভ করে থাকে। জাহান্নাম থেকেপায় চিরমুক্তি।
অপরদিকে সরাসরি মসজিদকে সরব ও প্রাণময় রাখার নির্দেশ এসেছে কুরআনে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করে সে-ই, যে আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছে। সুতরাং ঈমানদার হিসাবে মসজিদকে সচল সুরক্ষিত রাখা আমাদেরই কর্তব্য।
মসজিদকে আবাদ রাখতে চাইলেপ্রয়োজন মুসল্লির উপস্থিতির ব্যাপকায়ন। লোক সমাগমের বিভিন্ন দীনিকাজ। এ তালিকায় মসজিদভিত্তিক পাঠাগার নির্মাণ, বয়স্কদের কোরআন পাঠদান, ইসলামি জলসা, হামদ-নাতের আয়োজন, কিতাবিতালিম ইত্যাদি আসতে পারে।অবশ্য বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক কিছু কিছু মসজিদে পাঠাগার চালুআছে, তবে সেটি সক্রিয় নয়। নির্ধারিত কারো দায়িত্বে নেই বলে অচল পড়ে থাকে পাঠাগার। এ ক্ষেত্রে সুবিধা হবে মুয়াজ্জিনকে বাড়তি ফি দিয়ে নির্ধারিত সময় দেয়ার প্রতিশ্রুতি নেয়া। পাশাপাশি এলাকার মুসল্লি কিংবা কর্তৃপক্ষের সার্বিক দেখাশোনা।
মসজিদের ভেতর ছাড়া এর আশাপাশ আজকাল আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখা যায় না। শহুরে অনেক মসজিদের পাশেই এখন দেখা যায় সিটি কর্পোরেশনের ডাস্টবিন। আবার বাজারের ব্যাপকায়নের ফলে মসজিদের আশপাশে কিংবা কোনো কোনো মসজিদের নিচ তলায় দেখা যায় মার্কেট গড়ে উঠেছে। এসব মার্কেটের প্রায় প্রতিটি দোকানে কর্তৃপক্ষের সামনেই চলছে টেলিভিশন। অশ্লীল সিডি-ভিসিডির দোকানও দেখাযায় কোনো কোনো জায়গায়। অথচ মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সব ধরনের অশ্লীলতা থেকে দূরেরাখা বাঞ্চণীয়। কেননা হাদিস শরিফে এই মসজিদকেই জান্নাতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এবং মসজিদ যে আল্লাহর ঘর এ নিয়েও মুমিনের হৃদয়ে কিঞ্চিত সন্দেহ নেই। তাহলে এই ঘরের পবিত্রতা নষ্ট করা এবং একে দুনিয়াবি অর্থ উপার্জনের উপলক্ষ বানানো আমাদের কতটা ঠিক হচ্ছে এই নিয়ে যদি কর্তৃপক্ষ সামান্যতমও ভাবতেন উপকার হতো।
সর্বোপরি কথা হলো মসজিদেএলাকার সকল মুসল্লির পদচারণ হোক। মসজিদ যেন মুসল্লিশূন্য না হয়। অবশ্য অনেকের যুক্তি, শহরে মসজিদ বেশি হওয়ায় লোক জনের উপস্থিতি কম। তবে এ যুক্তি তাদের মানার কোনো কারণ নেই যারা শবে কদর, শবে বরাত আর শুক্রবারের নামাজ পড়েন বাকখনো এই নামাজ পড়া দেখেছেন। ওই তিন নামাজের মুসল্লিদের এখন এ কথাও ভাবার সময় এসেছে, এসবের চেয়ে প্রতিদিনের ওয়াক্তিয়া নামাজের তুলনা কোনো অংশে কম নয়। বরং ফরজ নামাজের গুরুত্বই সব সময় সবার আগে। আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক বস্তুটি গ্রহণের তাওফিক দিন।





যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ

মসজিদ পরিচিতি(ছবি ও তথ্যসহ) |

আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম সিঙ্গাপুরের কিছু মসজিদের পরিচিতি।
তাহলে আসুন শুরু করা যাক:
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_tenteradiraja.jpg
১) মসজিদের নাম: Tentera Di Raja
স্থাপত্যকাল: ১৯৬১ সাল। একজন মুসলিম বৃটিশ আর্মি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সিঙ্গাপুর সরকার তাকে সম্মান জানাতে তার নামানুসারে মসজিদের নামকরন করেন।
অবস্থান: ক্লেমেটি
ধারন ক্ষমতা: ১০০০ জন।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_waktanjong.jpg
২) মসজিদের নাম: Wak Tanjong
স্থাপত্যকাল: ১৯৩৫ সাল। পরে ১৯৯৮ সালে এটা আবার মেরামত করা হয়।
অবস্থান: পায়া লেবার
ধারন ক্ষমতা: ৫০০ জন।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_sultan.jpg
৩) মসজিদের নাম: Sultan
স্থাপত্যকাল: ১৮২৪ সাল। এটা সিঙ্গাপুরের প্রাচীনমসজিদের একটি। পরে ১৯২০ সালে এটা আবার পূননির্মান করা হয়।
অবস্থান: মাসকাট রোড
ধারন ক্ষমতা: ২০০০ জন।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_sallimmattar.jpg
৪) মসজিদের নাম: Sallim Mattar
স্থাপত্যকাল: ১৯৬০ সাল।
অবস্থান: মাটটার রোড
ধারন ক্ষমতা: ১৪০০ জন।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_omarkampungmelaka.jpg
৬) মসজিদের নাম: Mydin
স্থাপত্যকাল: ১৯৩৫ সাল। ২০০১ সালে একে আবার পূননির্মান করা হয়।
অবস্থান: জালান লাপাং রোড
ধারন ক্ষমতা: ১০০০ জন।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_mujahidin.jpg
৭) মসজিদের নাম: Mujahidin
স্থাপত্যকাল: ১৯৭৭ সাল।
অবস্থান: স্টিরলিং রোড
ধারন ক্ষমতা: ৩৫০০ জন।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/sapnokutir201108031312373743_Muhajirin%20Pic.jpg
৮) মসজিদের নাম: Muhajirin
স্থাপত্যকাল: ১৯৭৭ সাল। এরপর ২০০৯ সালে একে পূননির্মান করা হয় Singapore Islamic Hub development এর অধীনে।
অবস্থান: ব্রেডেল
ধারন ক্ষমতা: ১৪০০ জন





http://photos-e.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc7/292258_250302221731794_100002560544665_500232_1567186565_n.jpg

মা-বাবা, সন্তান এবং নিজের জন্য কোরআন থেকে নেয়া কিছু দোয়া

                                   بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
 
রাব্বানাগফিরলী ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুউমুল হিসাবু ।
বাংলা অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনকে ক্ষমা কর, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।
(সুরা ইবরাহিম, আয়াত-৪১)
রাব্বীজ আলনী মুকিমাস সালাতি ওয়া মিন জুররিয়াতিরাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুআয়ি।
বাংলা অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। (সুরা ইবরাহিম, আয়াত-৪০)
রাব্বীর হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানী সাগীরা ।
বাংলা অর্থ : হে পালনকর্তা, তাদের(মা-বাবা) উভয়ের প্রতি রহম কর,যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।
(সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-২৪)
রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াযিনা ওয়া জুররি ইয়াতিনা কুররাতা আ ইয়ুনেওওয়াজ আলনা লিল্ মুত্তাকিনা ইমামা ।
বাংলা অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে ও আমাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।
(সুরা ফুরকান, আয়াত-৭৪)



দোয়ায়ে কুনুত (বাংলা উচ্চারন)

                                      بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم


   

এই দোয়াটি বিতরের নামাজে তৃতীয় রাকাআতে দ্বিতীয়বার হাত বাঁধার পর পড়তে হয়
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনোকা , অনাস্তাগো ফিরুকা ,অনুকমি বিনুকা , অনাতা অক্কালু আলাইকা ,অনুছনি আলাইকাল খইর ।
অনাশ ফিরুকা ,অলানাগ ফিরুকা ,অনাখ লাহু ,অনাত রুকু ,মাইয়াফ জুরুক ।
আল্লাহুম্মা ইয়া কানাআবুদু ।ওয়ালা কানু ছল্লি ,অনাছজুদু ,ওয়ালাইকানাশ আ ।অনাছফিদু ,অনারজু ,রাহমাতাকা ,অনাখশা ,আজাবাকা ,ইন্না আজাবাকা বিল কুফফারি মূল হিক ।



 যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

Sunday, 22 April 2012

নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি

                                    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم



ভূমিকা : সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে মুমিন সর্বাধিক সতর্ক হবে। যথাসম্ভব নির্ভূলভাবে ছালাত সম্পাদন করতে সচেষ্ট হবে।ছালাতের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত এবং ছালাতের পূর্বাপর বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিশুদ্ধভাবে পালন করবে। তার ছালাত নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছালাতের সাথে মিলছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি? বর্তমানে মুসলমানদের ছালাতের অবস্থা দেখলে মনে হয়না যেতারা ছালাতের মত শ্রেষ্ঠ ইবাদতটি আদায় করছেন না কিকরছেন? দেখা যায় অধিকাংশ লোকের ছালাত বিভিন্ন ধরণের ভুলে ভরা।
আমরা নিম্নে এমন কিছু ভুল-ত্রুটির উল্লেখ করছি যেগুলো মুছল্লীদের মধ্যে দেখা যায়; অথচ তা থেকে সতর্ক থাকা সকলের জন্য জরুরী।
১ ) তাড়াহুড়া করে ওযু করাঃ নামায ধরার জন্য তাড়াহুড়া করে ওযু করার কারণে অনেক সময় কোন কোন স্থানে পানি পৌঁছে না। শুকনা রয়ে যায় বিভিন্ন অঙ্গের কোন কোন স্থান। অথচ কোন স্থান শুকনা থেকেগেলে সেই ওযু দিয়ে ছালাত বিশুদ্ধ হবে না।
২ ) পেশাব ও পায়খানার চাপ রেখে ছালাত আদায় করাঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন,

“খাদ্য উপস্থিত হলে এবং দুটি নাপাক বস্তুর (পেশাব-পায়খানা) চাপ থাকলে ছালাত হবে না। (মুসলিম)
৩ ) দ্রুততার সাথে দৌড়িয়ে নামাযে শরীক হওয়াঃ অনেকে ইমামের সাথেতাকবীরে তাহরীমা পাওয়ার জন্য বা রুকু পাওয়ার জন্যদৌড়িয়ে বা দ্রুত হেঁটে ছালাতে শামীল হয়। অথচ এটানিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন,

“যখন নামাযের ইকামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং ধীর-স্থীর এবং প্রশান্তির সাথে হেঁটে হেঁটে আগমণ করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে তা আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (ইমামের সালামের পর) পূর্ণ করে নিবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
৪ ) জায়নামায পাক করার জন্য দুয়া পাঠ করাঃ ইন্নী ওয়াজ্জাহ্‌তু … বলে জায়নামায পাক করার জন্য দুয়া পাঠ করা হয়। এটি একটি বিদআত। কেননা জায়নামায পবিত্র থাকলে দুয়া না পড়লেও ছালাত হবে।আর জায়নামায নাপাক থাকলে হাজার দুয়া পড়লেও তা পাক হবে না। তাছাড়া এঅবস্থায় দুয়া পাঠ করা নবীজীর ছালাতের পদ্ধতীতে প্রমাণিত নয়।
৫ ) ছালাত শুরুর সময় মুখে নিয়ত উচ্চারণ করাঃ নাওয়াইতু আন… বলে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা আরেকটি বিদআত। কেননা এর পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ তো দূরের কথা কোন যঈফ হাদীছওপাওয়া যায় না। এ ভাবে নিয়ত না রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  না ছাহাবায়ে কেরাম না তাবেঈন না তাবে-তাবেঈন না চার ইমামের কেহ করেছেন। এটা কোন বুযুর্গ ব্যক্তির তৈরী করা প্রথা। তার সাথেইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।সুতরাং তা বর্জন করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ফরয। নিয়ত শব্দের অর্থ-ইচ্ছা বা সঙ্কল্প করা। আর তা অন্তরে হয় মুখে নয়। সুতরাং কোন কিছুকরার জন্য অন্তরে ইচ্ছা বা সঙ্কল্প করলেই সে কাজের নিয়ত হয়ে গেল। তা মুখে বলতে হবে না।
৬ ) নাভীর নীচে হাত বাঁধাঃ এক্ষেত্রে আহমাদ ও আবু দাঊদ বর্ণিত হাদীছটি দলীল হিসেবে পেশ করা হয়। আলী (রাঃ) বলেন, সুন্নাত হচ্ছে ছালাতে ডানহাতকে বাম হাতের উপর রেখেনাভীর নীচে রাখা। কিন্তু হাদীছটির সনদ দুর্বল, তাই উহা আমলযোগ্য নয়। তার বিপরীতে ছহীহ হাদীছ হচ্ছেডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর রাখা। (হাদীছটি ওয়ায়েল বিন হুজর(রাঃ) এর বরাতে আবু দাঊদে বর্ণিত হয়েছে।)
৭ ) সিজদার স্থানে দৃষ্টিপাত না করাঃ আকাশের দিকে বা অন্য দিকেদৃষ্টিপাত করার ফলে ছালাতে ভুল হয়ে যায় এবং মনের মাঝে নানান কথার সৃষ্টি হয়। অথচ দৃষ্টি নতরাখা এবং সার্বক্ষণিক দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখার জন্য নির্দেশ রয়েছে। তবে তাশাহুদ অবস্থায় ডান হাতের তর্জনীখাড়া রেখে তা নাড়াতে হবে এবং তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কি হয়েছে কিছু লোকের, তারা ছালাতরত অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে? তারপর তিনি কঠোর শব্দ ব্যবহার করে বলেন, “তারা এথেকে বিরত হবে; অন্যথা তাদের দৃষ্টি শক্তি ছিনিয়ে নেয়াহবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
ছালাত অবস্থায় ডানে-বামে দৃষ্টিপাতের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এটা হচ্ছে বান্দার ছালাত থেকেকিছু অংশ শয়তানের ছিনিয়ে নেয়া।” (বুখারী)
৮ ) তাকবীর, কুরআন তেলাওয়াত ও ছালাতের অন্যান্য দুয়ার সময় ঠোঁট না নড়িয়ে শুধু মনে মনে বলাঃ এটি একটি বহুল প্রচলিত ভুল। ইমাম নববী বলেন, ইমাম ছাড়া অন্যসবার জন্য সুন্নাত হচ্ছে সবকিছু চুপে চুপে পাঠ করা। চুপে চুপে বলার সর্বনিম্ন সীমা হচ্ছে নিজেকে শোনানো- যদি তার শ্রবণ শক্তি ঠিক থাকে এবংকথায় কোন জড়তা না থাকে। এ বিধান সকল ক্ষেত্রে ক্বিরাত পাঠ, তাকবীর, রুকুসিজদার তাসবীহ্‌ প্রভৃতি। তাছাড়া ঠোঁট না নাড়ালে তো তাকে পড়া বলা চলেনা। কারণ আরবীতে এমন অনেক অক্ষর আছে ঠোঁট না নাড়ালে যার উচ্চারণই হবে না।
৯ ) ছানা এবং আঊযুবিল্লাহ্‌ পাঠ নাকরে সরাসরি বিসমিল্লাহ্‌ পড়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করা। ছানা ও আঊযুবিল্লাহ্‌ পাঠ করা মুস্তাহাব।
১০ ) সূরা ফাতিহা পাঠ না করাঃ বিশেষ করে ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করার সময় সূরা ফাতিহা অনেকে পড়ে না। অথচ সুরা ফতিহা ছাড়া ছালাত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি এমন ছালাত পড়ল যাতে সূরা ফাতিহা পড়ে নাইসে ছালাত ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ তথা অসম্পূর্ণ। (বুখারী ও মুসলিম) রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাঃ) একদা ফজরের ছালাত শেষে মুছল্লীদের বললেন, তোমরা কি ইমামের পিছে পিছে কিছু পাঠ কর? আমরা বললাম, হাঁ, দ্রুত করে পড়েনেই। তিনি বললেন, এরূপ করোনা। তবে সূরা ফাতিহা পড়ে নিও। কেননা যে ব্যক্তি এ সূরা পড়বে না তার ছালাত হবে না। (আবু দাঊদ, তিরমিযী)
لَا صَلَاةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلَا هُوَ يُدَافِعُهُ الْأَخْبَثَانِ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُفَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا

তথাকথিত আশেকে রাসুল, ভন্ড পীর সুফী সম্রাট দেওয়ানবাগী !

http://photos-b.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/428317_370736396279642_322533971099885_1369229_1283940505_n.jpg
মন্তব্য-১# সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে রাসুল সা.রওজায়ে আতহারে ময়লা আবর্জনায় শুয়ে আছেন (নাউজুবিল্লাহ) তারপরে সে নাকি তা পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছে। রাসুল সা. কে কেউ স্বপ্নে খারাপ অবস্থায় দেখলে বুঝতে হবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে।
মন্তব্য-2# তাকে জিজ্ঞাসা করা হল আপনার উপর তো হজ্জ ফরজ, তো আপনি হজ্জ করেন নাকেন? সে বলল: জিবরাঈল আমার ঘরে কা'বা শরীফ নিয়ে আসে এবং আমি ঘরে বসেই হজ্জ করি। এমনকি রাসুল সা. মদীনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজ্জ করেছেন আর তিনি ঘরে বসেই হজ্জ করে ফেলেন।
বলুন এসব ব্যাপার কি সহ্য করা যায়? আল্লাহ জানেন এই অপরাধের কী শাস্তি হতে পারে, ইসলামের নাম বিক্রিকরে তারা তাদের পেট চালাচ্ছে। একবার ওরশ হলে ৩০/৪০ লাখ উঠে যায়। আমরা সাধারণ জনগণ ইসলামের বেসিক জিনিসগুলো কেন জানিনা? যাতে কোন ধর্ম ব্যবসায়ী আমাদের সরল বিশ্বাস নিয়ে কোন ব্যবসা করতে না পারে।
শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী শিরক, বিদআ'ত পা্ওয়া গেলে তাকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে। শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী কারো মাঝে শিরক বিদআ'ত না পাওয়া গেলে শুধু জেদের বশে তাকে ভন্ড বলা উচিত নয়। ইসলাম সবসময় ঠান্ডামাথা ও সুস্থ চিন্তার পক্ষে। আপনার এবং আপনার পরিবারের উপর আল্লাহর রহমত নাজিল হোক ।পোস্ট টি শেয়ার করে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহযোগীতা করুন ।
*** এই পোস্টটি শেয়ার করে সচেতনতা সৃষ্টি করুন।
সুতরাং সবাই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান ।এদেরকে ইসলাম থেকে বিতারিত করুন ।এদের মত ভন্ডদের জন্যই আজ ইসলাম ধর্মের এই দশা ।আপনার আশেপাশের সবাইকে এই ভন্ডদের কবল থেকে রক্ষা করুন ।সচেতন হোন সবাই ।
সূত্রঃ ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত



যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

এপ্রিল ফুল নিয়ে কিছু কথা ।

http://a5.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/s320x320/535036_271272306290596_100002234871416_609595_1934267568_n.jpg

এপ্রিল ফুল এর ইতিহাস বড়ই বেদনাদায়ক।
এখন থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে স্পেন ছিল মুসলিমদের দেশ। এই
দেশটি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রনে ছিল প্রায় আট শত বছর। ক্রসেড-রা দীর্ঘ
দিন ধরে স্পেনকে নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এজন্য তারা ধর্ম যুদ্ধের নামে বিভিন্ন সময় স্পেনে আক্রমন করত। কিন্তু স্পেনের
মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে তারা বরাবরই পরাজিত হত। মুসলিমরা এই
দেশটাকে এতটাই আধুনিক ভাবে সাজিযে ছিল , যা ছিল সত্যিই অসাধারণ।
আজও স্পেনের সেই শহরগুলো এক একটি অপূর্ব ঐতিহাসিক নিদর্শন।
যাহ মানুষকে এখনও মুগ্ধ করে। মুসলিমরা ভালই ছিল স্পেনে। কিন্তু
একটা পর্যায়ে মুসলিমরা ইসলাম হতে দূরে সরে যেতে লাগল। তাদের ইসলাম প্রচার-প্রসার ও ইসলাম পালনের প্রতি অনিহা বাড়তে লাগল
এবং তারা দুনিয়ামুখি হযে গেল। এক পর্যায়ে মুসলিমদের ঈমানের
অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ল। ঠিক এমন এক সময় খ্রিস্টানরা মুসলিমদের
উপর আবারও আক্রমণ করল। যদিও কিছু মুসলিম বীর ও তাদের সাথীরা চরম ভাবে আক্রমণকে প্রতিহত করল এবং ক্রসেড বাহিনীকে প্রায় পরাজিত
করে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। এক্ষেত্রে খ্রিষ্টানরা(ক্রসেড) মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করল। তারা প্রচার
করতে লাগল যে স্পেন এখন তাদের দখলে। এবং তারা ঘোষনা দিয়ে দিল ,
যে সকল মুসলিমরা মসজিদে আশ্রয় নিবে এবং সমুদ্রগামী জাহাজে আশ্রয়
নিবে তারা নিরাপদ। দূর্বল ইমানের মুসলিমরা শত্রুদের কথা মতো কাজ
করল। তারা মসজিদ ও জাহাজে আশ্রয় নিল।
পরে ক্রসেড বাহিনী সকল মসজিদ তালা বদ্ধ করল, এই বলে যতে মুসলিমরা নিরাপদে থাকে। পরে তারা সকল মসজিদ গুলোতে আগুন
ধরিয়ে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করল। আর জাহাজ গুলোকে তারা ডুবিয়ে দিল।
এভাবে স্পেন থেকে মুসলিমদের পরাজিত করল। এবং সেখানে এমন একজন
মুসলিমও ছিল না , যে কিনা আজান দিবে। বিগত ৫০০ বছর স্পেনে কোন আজান
হয়নি।মাত্র কয়েক বছর আগে আজানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আর এভাবে এপ্রিল মাসে মুসলিমদের বোকা বানিয়ে পরাজিত করেছিল। মুসলিমদের এই পরাজয়কে স্মরণ করে খ্রিষ্টানরা এপ্রিল ফুল পালন
করে থাকে। আর আমরা মুসলিমরা এখনও বোকার মত এপ্রিল ফুল পালন
করে নিজেদেরকে আরো বোকা হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকি।

Saturday, 21 April 2012

কিছু চমত্কার ইসলামিক নিদর্শন

http://photos-b.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/379438_231610266916376_229180590492677_501871_1105871414_n.jpg
পাশ্চাত্য মিডিয়া তে এই ছবি টি কখন ই প্রকাশ হবেনা
তবে যে তাদের দম্ভ বিনাশ হবে
এই ছবি টি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ সুনামির ধ্বংসযজ্ঞের পরবর্তী ছবি
পুরো এলাকা বিধ্বস্ত মাঝেদারিয়ে আছে আল্লাহর ঘর-মসজিদ
সুবহানাল্লাহ
আর যারা বলবেন এটা ঘটনাক্রমে মাত্র ! তাদের বলছি এরকম কয়েকটা ঘটনার প্রমান আছে আরও !
সব ই শুধুই ঘটনাক্রমে !!!
http://photos-d.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc7/403146_197644686998984_139739282789525_366064_52445955_n.jpg
জম জম কুপের পানি আল্লাহর
রহমতস্বরুপ। শিশু হজরত ইসমাইল ও
তার মা'কে যখন আল্লাহর
নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আঃ ) নির্জন
মরুভুমিতে পরিত্যাগ করেন। তখন তার
পায়ের আঘাতে জমজম কুপের
উৎপত্তি হয়।মা হাজেরা কুপের
চারপাশে চারটি পাথর
দিয়ে সিমানা দিয়ে দেন
তা না হলে সারা পৃথিবীতে জমজম কুপ
ছড়িয়ে পড়ত।
জমজম কুপের পানি অনেক রোগনিরাময়
করে। যারা হজ্জ
করতে যানা তারা বোতলে ভরেজম জম
কুপের পানি নিয়ে আসেন। এত মানুষ খায়
তবু পানির ফোটা পরিমান ও শেষ হয় না।
এভাবে আল্লাহ তার বান্দারজন্য
ঐশীবানী নিদর্শন রেখেছেন।
নীচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন
এটি হচ্ছে সেই জম জম কুপ !
ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসছেজম জম
কুপের পানি।