Sunday 18 March 2012

প্রতিদিন একটি হাদিস

1. হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রা. থেকে বর্ণিত। হুযুর সা. ইরশাদ করেছেন- কোন বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তা থেকে দান-সদকা করলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা, আর তা থেকে ব্যয় করলে তাতে বরকতও হবে না। আর এই ধন-সম্পদ তার উত্তরাধীকারীদের জন্য রেখে গেলে তার জন্য দোযখের পূঁজি হবে। (মুসনাদে আহমাদ-হাদিস নং-৩৬৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-২০২৬)
~~ আসুন হারাম থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট হই~~

2. সুফইয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ছাকাফী [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহ রাসূল! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম] বললেনঃ"তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।" {সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৪১৩}

3. “যখন নামাযের ইকামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং ধীর-স্থীর এবং প্রশান্তির সাথে হেঁটে হেঁটে আগমণ করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে তা আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (ইমামের সালামের পর) পূর্ণ করে নিবে।”
(বুখারী ও মুসলিম)  

4. রাসূলুল্লা হ (সাঃ ) বলেছেন- ইবলিস তার রবের সমীপে বলল,
“আপনার ইযযত ও জালালের কসম! আমি আদম সম্প্রদায়কেপথচ্যুত করতে থাকব, যে পর্যন্ততাদের প্রাণ থাকে।” আল্লাহ বললেন,
“আমার ইযযত ও জালালের কসম! তাদেরকে আমিমাফ করতেথাকব, যে পর্যন্ত তারা আমার কাছে মাফ চাইতে থাকবে।”

5.  ''যে ব্যক্তি যথারীতি নামায আদায় করবে, তা কিয়ামতের দিন তার জন্য মুক্তির ওসীলা , আলোকবর্তিকা,ও যুক্তিপ্রমাণ দাঁড় হবে। আর যে যথারীতি নামায আদায়না করবে , তার জন্য তা আলোকবর্তিকাও হবে না, যুক্তিপ্রমাণও হবে না এবংমুক্তির ওসীলাও হবে না । বরং সে কিয়ামতের দিন ফেরাউন, কারূন, হামান ও উবাই বিন খালফের সহযাত্রীহবে।'' [আহমদ। দারিমী ও মিশকাত]

6.  হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-“তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা।(অর্থা কবরের মত ইবাদতহীন করোনা) আর আমার কবরে উৎসব করোনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেইথাকনা কেন, তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে”। {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২০৪৪, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদিস নং-৪১৫১২, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং-৩৮৬৫}  

7.  রাসূল (সা) বলেছেনঃ বেহেশ্‌ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৫৪৩৯, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )

8. হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা জিজ্ঞেস করলেন-“তোমরা কি জান, প্রকৃত নিঃস্ব কে?” সাহাবারা উত্তরে বললেন-“আমাদের মাঝে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যার কোন টাকা-পয়সাবা সহায় সম্পত্তি নাই”। নবী কারীম সাঃ বললেন-“প্রকৃত নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিননামায, রোযা, যাকাত ইত্যাদি নিয়ে হাজির হবে। সাথে এটাও নিয়ে আসবে যে, কাউকে গালি দিয়েছে। কাউকেমিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। কারো মাল খেয়ে ফেলেছে। কাউকে হত্যা করেছে। কাউকেপ্রহার করেছে। তারপর তার পূণ্যগুলির কিছু একজনকে আর কিছু অন্যজনকে দেয়া হবে। যদি হকদারদের দাবী শেষ হওয়ার আগেই তার পূণ্যশেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপ তাকে সোপর্দ করা হবে।অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
আল মু’জামুল আওসাত, হাদিস নং-২৭৭৮,
সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৪১৮, ,
সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৬৭৪৪,
মুসনাদুস সাহাবা ফিল কুতুবিত তিসআ, হাদিস নং-৬২০

9. আনাস ইবনে মালিক [রাযি] থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ"আদম সন্তানের বয়স বাড়ে কিন্তু তাতে দু'টো বিষয় জওয়ান হয়, জীবনের প্রত্যাশা এবং সম্পদের মোহ।" {সুনানে তিরমিযী-২৩৪২}

10.  আদী ইবনে হাতেম (রাঃ ) হতেবর্নিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
“দোযখের আগুন থেকে বাঁচ, যদি এক টুকরা খুরমা দান করেও হয়। আর তাও না পেলে একটি মিষ্টি কথার বিনিময়েহলেও।”
[বুখারি]  




0 comments

Post a Comment

Thanks for comment