Thursday 12 April 2012

সালাত আদায়ের ধারাবাহিক পদ্ধতি

                 بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم

পদ্ধতির গুরুত্ব :
আমাদের প্রিয় রসূলুল্লাহ সা. বলেছেন :
তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছো ,ঠিক সেভাবে সালাত আদায় করো। ’ ( সহীহ বুখারি ) আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্ম্‌দ সা. যেভাবে সালাত আদায় করেছেন এবং যেভাবে আদায় করতে বলে গেছেন,আমাদেরকে ঠিক সেভাবেই সালাত আদায় করতেহবে।
নিয়মের ধারাবাহিকতাকে বলা হয় তরতীব। সালাত আদায়ে তরতীব রক্ষা করা ফরয।
এখানে সালাত আদায়ের ধারাবাহিক নিয়ম পেশ করা হলো।এখানে সালাত আদায়ের ধারাবাহিক নিয়ম পেশ করা হলো এখান থেকে আমরা জানতে পারবো সালাতের আরকান আহকাম কোন্‌টির পরকোনটি ?
সালাতের ধারাবাহিক নিয়ম বা পদ্ধতি
সালাত আদায়ের ধারাবাহিক পদ্ধতি হলো :
১.সময় অনুযায়ী সালাত আদায় করা।
২.দৈহিক পাক পবিত্র হওয়া।
৩. অযু করা।
৪. পরিধানের কাপড় চোপড় পাক থাকা।
৫.সালাতের জায়গা পাক থাকা।
৬. সতর ঢাকা।
৭. নিয়্যত করা। (নিয়্যত মানে এখন কোন ওয়াক্তের কোন সালাত আদায় করবো মনে মনে তা স্থির করা।)
৮. কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে দাঁড়ানো ।
৯. “আল্লাহু আকাবার ’বলে সালাত শুরু করা।এটিকে ‘তাকবীরে তাহরীমা’বলা হয়।
১০. বুকে বা নাভিতে হাত বাঁধা।
১১.সানা পড়া।
১২.‘আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’পড়া।
১৩.‘বিসল্লাহির রাহমানির রাহীম’পড়া।
১৪.সূরা ফাতিহা পড়া।
১৫.সূরা ফাতিহা শেষ করে ‘আমীন’ বলা।
১৬.সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা বা কিরাত পড়া।
১৭.‘আল্লাহু আকবার’বলে রুকূ করা।
১৮.রুকূতে তাসবীহ পড়া (সূবহানা রাব্বিয়াল আজিম)
১৯.‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’বলে থেকে উঠা।
২০.রুকূ থেকে উঠে ‘রাব্বানা হামদ’বলে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়ানো।
২১.‘আল্লাহু আকবার’ বলে সাজদায় যাওয়া।
২২.সাজদায় নাক,কপাল,দুই হাঁটু,দুই হাতের তালু ও দুই পায়ের পাতার অগ্রভাগযমীনে স্থাপন করা।
২৩.সাজদায় তাসবীহ পড়া (সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা)।
২৪.‘আল্লাহু আকবার’বলে সাজদা থেকে উঠে কিছুক্ষণবসা।
২৫.প্রথমটির মতো আরেকটি সাজদা করা।
২৬.দুই সাজদার মাঝ খানে আল্লাহর কাছে দোয়া করা ও ক্ষমা চাওয়া।
২৭.দ্বিতীয় সাজদা শেষ করে ‘আল্লাহু আকবার ’বলে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
২৮.প্রথম রাকাতের মতোই সূরা ফাতিহা,কিরাত,রুকু ওসাজাদা সহ দ্বিতীয় রাকাতআদায় করা।
২৯.দ্বিতীয় রাকাতে দুই সাজদা শেষ করে উঠে বসা এবং বসে আত্তাহিয়্যাতু.... পড়া।
৩০.চার রাকাত বা তিন রাকাতের নামায হলে ‘আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে ‘আল্লাহু আকবার’বলে দাঁড়ানো।
৩১.বাকি রাকাতগুলো প্রথমদুই রাকাতের মতো আদায় করা। তবে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা বা কিরাত পড়ার প্রয়োজন নেই।
৩২. শেষ বৈঠকে ‘ আত্তাহিয়্যা ’ এবং নবীর প্রতি ‘ দরূদ’ পাঠ করা।
৩৪ .সালাম ফেরানেরা পূর্বে দোয়া করা।
৩৫. ‘ আসসালুমু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহ’ বলে ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা।



 
 যেমন কাজ করবে/তেমনই ফল পাবে/বিশ্বাস হয়না ?তো করে করে দেখ/-/জান্নাত আছে/জাহান্নামও আছে/বিশ্বাস হয়না ?তো মরে দেখ !

0 comments

Post a Comment

Thanks for comment