Monday 16 April 2012

নামাযঃ মুসলিম এবং কুফর ও শিরক এর মধ্যে পার্থক্যকারী




                                   বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম

 

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন ‘‘মু’মিন ও কাফির-মুশরিকদের
মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামায পরিত্যাগ করা। অর্থাৎ

মু’মিনেরা নামায পড়ে, আর কাফির-মুশরিকরা নামায

পড়ে না।"

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন

—“নিশ্চয়ই মানুষ ও কুফরীর (শিরক)

মাঝে পৃথককারী বিষয় হচ্ছে সালাত ত্যাগ

করা।”
                     (সহীহ মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘আমাদের ও তাদের

(অমুসলমানদের) মধ্যকার পার্থক্য সূচক অঙ্গীকার

হচ্ছে নামায। অতএব, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল

সে কুফরী করল।”

                     
(মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী,

ইবনে মাজাহ)

আর এখানে কুফরীর অর্থ হলো, এমন

কুফরী যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।

কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

সালাতকে মু’মিন ও কাফিরদের

মাঝে পার্থক্যকারী বলে ঘোষণা করেছেন।

আবু হুরায়রা [রাঃ] থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ

সল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন,

তোমাদের কারো দরজার সামনে যদি একটা নহর

থাকে আর সে যদি তাতে দিনে পাঁচবার গোসল

করে তবে তার শরীরে কোন

ময়লা থাকতে পারে বলে কি তোমাদের ধারণা হয়?

সাহাবীরা বললেন, কোন ময়লা থাকতে পারে না।

তিনি [রসূল সাঃ] বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতও তদ্রুপ।

এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়া'লা গুনাহসমূহ বিলীন

করে দেন।

                         
{সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৮৬৮}

"কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার সালাতের হিসাব

হবে। যদি সালাত ঠিক হয় তবে তার সকল আমল সঠিক

বিবেচিত হবে। আর যদি সালাত বিনষ্ট হয় তবে তার

সকল আমলই বিনষ্ট বিবেচিত হবে।"             
(তিরমিযি:২৭৮)


0 comments

Post a Comment

Thanks for comment