بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
পুলসিরাত কি?
হাশরের ময়দানে বেহেশত ও দোযখ এনে উপস্থিত করা হবে। বেহেশত উঁচু স্থানে আর দোযখ রাখা হবে গভীর নিম্নে। দোযখের উপর পুল স্থাপন করা হবে সেটিই পুলসিরাত নামে পরিচিত।
ঐ পুলের শেষ প্রান্তে বেহেশত অবস্থিত। বেহেশতে যেতে হলে সেই পুলটি পেরিয়ে যেতে হবে। মানুষেরনেকি-বদি ওজন এবং হিসাব-নিকাশের পর সকল লোকজনকে বলা হবে, তোমরা এখন নিজ নিজ স্থানে চলে যাও। ফিরিস্তাগন আল্লাহর নির্দেশে বান্দাগনকে পুলসিরাত দেখিয়ে দিয়ে বলবে এই তোমাদের পথ। এই পুল পেরিয়েই তোমাদেরকে যেতে হবে। কিন্তু সবার জন্য ঐ পুল পার হওয়া সম্ভবহবে না। পাপীরা সেটাকে চুল থেকেও চিকন দেখতে পাবে। তাদের জন্য সেটি হবে অত্যন্ত ধারালো। তারাঐ পুলে আরোহণ করা মাত্রই তাদের পদদ্বয় কেটে তারা নিন্মস্থ দোযখে পড়ে যাবে।আর নেককারদের জন্য হবে সুপ্রশস্থ সুগম পথ। তারা তাদের নেকীর তারতম্যানুয়াযী কেউবা বিজলীর মত মুহুত্বে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। কেউ বা বায়ূ বেগে, আবার কেউবা দ্রত দৌড়ে, কেউবা ধীর মন্তর গতিতে হেঁটে হেঁটে পুল পার হয়ে তাদের গন্তব্স্থল বেহেশতে পৌঁছেযাবে।
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন- " যেদিন আমি পরহেগারদিগকে মেহেরবান আল্লাপাকের কাছে মেহমানেরন্যায় জামাত জমাত সমবেত করিব এবং অপরাধী দিগকে পিপাসিত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে চালিত করিব।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৮৫-৮৬)
আল্লাহপাক আরো বলেন-" তাহাদিগকে জাহান্নামের পথে চালিত কর এবং তাহাদিগকে থামাও কারণ তাহাদিগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে।" (সূরা ছাফফাত, আয়াত ২৪)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- পুলসিরাত জাহান্নামের মধ্যখানে স্থাপন করা হইবে। রাসুলের মধ্য আমিই সর্ব প্রথম স্বীয় উম্মত লইয়া ইহা অতিক্রম করিব। সে দিন নবী রাসুলগন ব্যতীত অন্য কেহ কথা বলিবে না। প্রত্যেক নবী বলিতে থাকিবে হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন। হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন।
পুলসিরাত পার হতে হলে আমাদের করণীয় কি কিঃ
* অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) উপর ঈমান আনতে হবে, আখিরাতকে বিশ্বাস করতে হবে।
* আমৃত্যু পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্যই পড়তে হবে।
* রমযান মাসে রোযা রাখতে হবে।
* যাকাত প্রদান করতে হবে।
* হজ্জ ফরজ হলে হজ্ব পালন করতে হবে।
* হালাল উপার্জন করতে হবে ও হারামকে বর্জন করতে হবে।
* সুদ, ঘুষ, দুর্ণিতি থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে হবে।
* আত্বীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বিপদাপদে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।
* সর্বোপরি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করতে পারলেই পুলসিরাত পার হওয়া যাবে।
হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সঠিকপথে চলার তওফিক দান করুন।
হাশরের ময়দানে বেহেশত ও দোযখ এনে উপস্থিত করা হবে। বেহেশত উঁচু স্থানে আর দোযখ রাখা হবে গভীর নিম্নে। দোযখের উপর পুল স্থাপন করা হবে সেটিই পুলসিরাত নামে পরিচিত।
ঐ পুলের শেষ প্রান্তে বেহেশত অবস্থিত। বেহেশতে যেতে হলে সেই পুলটি পেরিয়ে যেতে হবে। মানুষেরনেকি-বদি ওজন এবং হিসাব-নিকাশের পর সকল লোকজনকে বলা হবে, তোমরা এখন নিজ নিজ স্থানে চলে যাও। ফিরিস্তাগন আল্লাহর নির্দেশে বান্দাগনকে পুলসিরাত দেখিয়ে দিয়ে বলবে এই তোমাদের পথ। এই পুল পেরিয়েই তোমাদেরকে যেতে হবে। কিন্তু সবার জন্য ঐ পুল পার হওয়া সম্ভবহবে না। পাপীরা সেটাকে চুল থেকেও চিকন দেখতে পাবে। তাদের জন্য সেটি হবে অত্যন্ত ধারালো। তারাঐ পুলে আরোহণ করা মাত্রই তাদের পদদ্বয় কেটে তারা নিন্মস্থ দোযখে পড়ে যাবে।আর নেককারদের জন্য হবে সুপ্রশস্থ সুগম পথ। তারা তাদের নেকীর তারতম্যানুয়াযী কেউবা বিজলীর মত মুহুত্বে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। কেউ বা বায়ূ বেগে, আবার কেউবা দ্রত দৌড়ে, কেউবা ধীর মন্তর গতিতে হেঁটে হেঁটে পুল পার হয়ে তাদের গন্তব্স্থল বেহেশতে পৌঁছেযাবে।
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন- " যেদিন আমি পরহেগারদিগকে মেহেরবান আল্লাপাকের কাছে মেহমানেরন্যায় জামাত জমাত সমবেত করিব এবং অপরাধী দিগকে পিপাসিত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে চালিত করিব।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৮৫-৮৬)
আল্লাহপাক আরো বলেন-" তাহাদিগকে জাহান্নামের পথে চালিত কর এবং তাহাদিগকে থামাও কারণ তাহাদিগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে।" (সূরা ছাফফাত, আয়াত ২৪)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- পুলসিরাত জাহান্নামের মধ্যখানে স্থাপন করা হইবে। রাসুলের মধ্য আমিই সর্ব প্রথম স্বীয় উম্মত লইয়া ইহা অতিক্রম করিব। সে দিন নবী রাসুলগন ব্যতীত অন্য কেহ কথা বলিবে না। প্রত্যেক নবী বলিতে থাকিবে হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন। হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন।
পুলসিরাত পার হতে হলে আমাদের করণীয় কি কিঃ
* অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) উপর ঈমান আনতে হবে, আখিরাতকে বিশ্বাস করতে হবে।
* আমৃত্যু পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্যই পড়তে হবে।
* রমযান মাসে রোযা রাখতে হবে।
* যাকাত প্রদান করতে হবে।
* হজ্জ ফরজ হলে হজ্ব পালন করতে হবে।
* হালাল উপার্জন করতে হবে ও হারামকে বর্জন করতে হবে।
* সুদ, ঘুষ, দুর্ণিতি থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে হবে।
* আত্বীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বিপদাপদে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।
* সর্বোপরি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করতে পারলেই পুলসিরাত পার হওয়া যাবে।
হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সঠিকপথে চলার তওফিক দান করুন।
0 comments
Post a Comment
Thanks for comment